Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করতে বজরং কর্মীর হয়রানিঃ মুসলিমদের বেলায় হিন্দুত্ববাদীদের দ্বিমুখীতা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করতে বজরং কর্মীর হয়রানিঃ মুসলিমদের বেলায় হিন্দুত্ববাদীদের দ্বিমুখীতা

    মুসলিম ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করতে বজরং কর্মীর হয়রানিঃ মুসলিমদের বেলায় হিন্দুত্ববাদীদের দ্বিমুখীতা




    কর্ণাটকের শিবমোগার বাসিন্দা মুসলিম শিক্ষার্থী সাবা শেখ। শিবমোগার সাগরায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাবা শেখ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী বজরং দলের সক্রিয় উগ্র কর্মী সুনীল তাকে জোরপূর্বক হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করেছে। বিভিন্ন সময় হয়রানি এবং তাকে তার বোরকা খুলে ফেলতে বলেছে।

    সাবা শেখ অশ্রুসিক্ত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, “হিজাব পরে, আমি যখন আমার ক্লাসে যেতাম তখন সে আমাকে আমার হিজাব এবং বোরকা খুলে ফেলতে বলত। সে আমাকে সব জায়গায় অনুসরণ করত। আমাকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেও ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করেছে।

    “আমার ভাই বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করে। যখনই সুনীল আমাকে হেনস্থা করত আমি তাকে বলতাম। আমার ভাই কাউকে আক্রমণ করার জন্য নয়, সে শুধু সুনীলকে ভয় দেখিয়ে সাবধান করত যাতে সে আমার থেকে দূরে থাকে। তার বাড়িও আমার বাড়ির মতো একই পথে।”

    সাবা শেখ আরো জানিয়েছে যে, সে কখনই সুনীলের মুখোমুখি হত না এবং তার কলেজ থেকে সরাসরি বাড়ি ফিরত।

    গত ০৯ জানুয়ারী, সোমবার, আমার ভাই এবং আমার পরিবারকে ফাঁসাতে একটি নাটক সাজানো হয় যে সুনীলকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। সুনীল অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যায় এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যার পরে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তাকে যেহেতু আমার ভাই সাবধান করেছিল তাই আমার ভাইকে আসামী করা হয়। পরে পুলিশ আমার ভাই সমীরসহ তিনজনকে আটক করে।

    শিবমোগা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) জি মিঠুন কুমার ও নিশ্চিত করেছে যে, সাবা শেখকে প্রকৃতপক্ষেই সুনীল হয়রানি করেছে।

    সুনীল জানিয়েছে, সে সাবাদের বাড়ির পাশেই থাকে। সে গত পাঁচ বছর ধরে বজরং দলের কর্মী হিসেবে কাজ করছে। সে বজরং দলের ইভেন্টেও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

    ভারতে মুসলিমদের জান মালের কোন নিরাপত্তা নেই। মুসলিম নারীদের ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা যা খুশি করে যাবে। তাদেরকে সতর্ক করা কিংবা বাধা দেওয়াটাও বিপজ্জনক। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ নেই। তারাই বরং মুসলিমদের উপর নির্যাতনে হিন্দুদের প্রকাশ্য সহায়তা করছে।

    সুনীলরা মুসলিম নারীকে উত্ত্যক্ত করার পরেও কোন বিচার হয় না। অন্যদিকে শুধু হিন্দু মেয়ের সাথে কথা বলার ঠুনকো অভিযোগে মুসলিমদের হতাহত করার ঘটনাও ঘটছে।

    ৫ জানুয়ারি ২৩, হাফিদ নামে এক মুসলিম যুবক সুব্রামান্য কেএসআরটিসি বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশেই দাড়িঁয়ে ছিল একটি হিন্দু মেয়ে। হঠাৎ কয়েকজন হিন্দু গুণ্ডা এসে বাসস্ট্যান্ড থেকে মুসলিম ছেলেটিকে ধরে গাড়িতে তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে হাফিদকে প্রচন্ডভাবে মারধর করে। ছুরি দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যেন ভবিষ্যতে মেয়েটির সাথে দেখা না করে।

    হাফিদকে মারধরের কিছু ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে তাকে তার অন্তর্বাসে মাটিতে পড়ে থাকতে এবং একটি পিলারে বসে থাকতে দেখা যায় এবং তার শরীরে মারধরের চিহ্নও দেখা যায়।

    মেয়েটির সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তেমন কোন কথাবার্তাও হয়নি। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দুরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।

    এমনিভাবে, কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় গত ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার এক হিন্দু মেয়ের সাথে শুধুমাত্র কথা বলার অভিযোগে এক মুসলিম ছাত্রকে কলেজের হিন্দু শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধর করেছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০:৩০ মিনিটে সুলিয়া তালুকের কাসাবা গ্রামের কলেজ মাঠে মোহাম্মদ সানিফ (১৯) কে মারধর ও খুনের হুমকি দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।

    মোহাম্মদ সানিফকে কলেজের মাঠে ডেকে নিয়ে আসার পর প্রজ্বল, তনুজ, অক্ষয়, মোক্ষিত, গৌতম এবং অন্যরা তাকে কাঠের বানানো লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। পরে মোহাম্মদ সানিফকে বলেছে, মেয়েটির সাথে কোন কারণে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে খুন করে ফেলবে।

    অথচ, মেয়েটিও তাদেরকে বলেছিল সানিফের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। কোন কথাবার্তাও হয় না। তবুও আক্রমণকারী উগ্র হিন্দু ছাত্ররা তাদের ছবি তুলেছিল এবং তাদের ভাইরাল করার হুমকি দেয়। মারধরের পরে বাড়ি ফেরার পর সানিফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনারও কোন বিচার হয়নি।

    ধর্মান্তরের অভিযোগে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতা:

    অনেক হিন্দুরা ইসলামের সত্যতা বুঝে মুসলিম হওয়ার কারণে অনেক মুসলিমদের উপর চড়াও হয়েছে।
    উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড ২০২১ সালে উমর গৌতমকে ‘জোর করে ধর্মান্তরিত করার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
    ওমর গৌতম ও কাজী জাহাঙ্গীরকে তিনদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদেরনামে অত্যাচার চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে।

    ওমর গৌতম নিজেও পূর্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন, আগে তার নাম ছিল শ্যাম প্রসাদ গৌতম। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি দাওয়াতের কাজ করছিলেন-যা ভারতের প্রচলিত আইনেও অবৈধ নয়।তিনিসহ অনেকে এখনো কারাগারে আছেন।

    অথচ, হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হওয়া ওই মুসলিমরা তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা বা অভিযোগ করেননি। এছাড়া তারা ভারতের কোনো গণমাধ্যমের সামনেও বলেননি যে, তাদের জোর করে মুসলিম বানানো হয়েছে। হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া ব্যক্তিরাও হিন্দু পুলিশের এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    এমনিভাবে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে কোন মেয়ে যদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করে, ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা সেটিকে লাভ জিহাদ বলে চালিয়ে দেয়। তাদেরকে চাপে ফেলতেই হিন্দুত্ববাদীরা আবিস্কার করেছে কথিত ‘লাভ জিহাদ’।
    এই কথিত লাভ জিহাদের অভিযোগে হিন্দুত্ববাদীরা অগণিত মুসলিমদের উপর হামলা চালিয়ে হতাহত করেছে। অনেক মুসলিমকে হিন্দুত্ববাদীরা কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।

    মুসলিম নারীদের হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চক্রান্ত:

    বিগত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, হিন্দুত্ববাদী বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) গ্রুপের চ্যাট এবং বার্তার স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। সেই ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাগুলিতে হিন্দু ছাত্ররা মুসলিমদের গণহত্যা, গণ ধর্মান্তর কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়।

    চ্যাটটি দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (DTU) ABVP হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রুপটির নাম “ABVP DTU Freshers”, চ্যাট এবং বার্তাগুলির স্ক্রিনশটগুলিতে এই গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গণহত্যা এবং মুসলিমদের গণধর্মান্তর নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়৷

    চ্যাটের একজন সদস্য পরামর্শ দিয়েছে যে, “ভাগওয়া লাভ জিহাদ” চালানোর জন্য মুসলিম মহিলাদের গণধর্মান্তর করার জন্য “ক্রয় বা অপহরণ” করার পরামর্শ দিয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করলেও তাদের কোন বিচার হবে না। উল্টো আরো মুসলিমদেরকেই অপরাধী বানিয়ে আটক করা হয়। এটাই হিন্দুত্ববাদী ভারতের আসল চিত্র। কারণ আইন আদালত রাষ্ট্রযন্ত্র সবই হিন্দুদের হয়ে কাজ করছে।


    প্রতিবেদক : মাহমুদ উল্লাহ্‌



    তথ্যসূত্র:
    1. Bajrang Dal worker used to harass me to convert to Hinduism: Sister of accused in Shivamogga assault case
    https://tinyurl.com/3efcybtp
    2. Leaked WhatsApp messages of ABVP group shows students discussing Muslim genocide, mass conversion (Vartha Bharati)
    https://tinyurl.com/2479suyc
    3.
    Indore, Madhya Pradesh Bajrang Dal goons beat two Muslim men over accusations of “Love Jihad.”
    https://tinyurl.com/52hj47km
    4.
    Delhi: Student, Activists Campaigning for G.N. Saibaba’s Release Allegedly Attacked by ABVP Members https://tinyurl.com/v3h2nz9
    5. कर्नाटक: बस स्टॉप पर खड़े होकर हिंदू लड़की से बात कर रहें मुस्लिम युवक “हफीद” को कुछ लोगों ने बेरहमी से पीटा, पुलिस ने 12 लोगों के खिलाफ FIR दर्ज़ की
    https://tinyurl.com/7daahcwv
    6. Karnataka: Muslim youngster attacked for conversing with a Hindu girl in college
    https://tinyurl.com/2m6w53b3

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করলেও তাদের কোন বিচার হবে না। উল্টো আরো মুসলিমদেরকেই অপরাধী বানিয়ে আটক করা হয়। এটাই হিন্দুত্ববাদী ভারতের আসল চিত্র।
    কারণ আইন আদালত রাষ্ট্রযন্ত্র সবই হিন্দুদের হয়ে কাজ করছে।





    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর ! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

    Comment


    • #3
      এই মালাউন রা যাই করুন,, তাদের সংবিধানে সব মাফ,,
      তবে মুসলমানরা যদি প্রতিবাদ করে, সেটাও অপরাধ।

      একজন মুহাম্মাদ বীন কাসিমের বড় অভাব।
      যে মালাউনদের কচুকাটা করবে,, ভারতবর্ষে ইসলামের পতাকা উড়াবে।
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment

      Working...
      X