উইঘুরদের স্বাধীনতায় কাজ করার ব্যাপারে পাকিস্তান কনস্যুলেটের টুইট, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার দাবি মন্ত্রণালয়ের
চীনের চেংডুতে পাকিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসিয়াল টুইটার থেকে শুক্রবার একটি পোস্টে বলা হয়, ইসলামাবাদ এবং বেইজিং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে জিনজিয়াংয়ের অধিবাসী উইঘুরদের “অধিকার এবং স্বাধীনতা”-এর জন্য কাজ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
টুইটে বলা হয়, বন্যা পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য পাকিস্তান চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা উইঘুর জাতির অধিকার ও স্বাধীনতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে মিলিতভাবে কাজ করে যাব।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলে, ঐ টুইটার একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং উক্ত টুইট পাকিস্তান সরকারের অবস্থানকে তুলে ধরে না।
উইঘুররা প্রধানত মুসলিম ধর্মাবলম্বী। চীনের কমিউনিস্ট সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, সকল উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের এমন বর্বরতা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। তাই হঠাৎ পাকিস্তানের কনস্যুলেট জেনারেলের উইঘুরদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাওয়ার টুইটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিস্মিত হন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে, চীনের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
পূর্ববর্তী পাকিস্তানি সরকার এবং বর্তমান সরকারও উইঘুর ইস্যুতে চীনের পক্ষে কথা বলেছে।
২০২১ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনে সাংবাদিকদের বলেছিল, জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি পশ্চিমা মিডিয়া কর্তৃক বিকৃত করা হয়েছে।
পরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য চীন সফর করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এসময় চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করার পরে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে পাকিস্তান পক্ষ চীনের ‘এক-চীন নীতি’ -এর প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং ও তিব্বতের ব্যাপারে চীনের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফরের সময় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেও বলা হয়, “তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং এবং তিব্বতের ইস্যুতে” বেইজিংকে সমর্থন করতে ইসলামাবাদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এভাবে গাদ্দার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের ইস্যুতে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে বর্বর হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে। আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তানের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে সহায়তা করেছে। আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কাশ্মীরের মুসলিমদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, কিন্তু মুসলিমদের স্বাধীনতার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা যারা নিতে চাচ্ছে উলটো তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর সর্বদা উইঘুর নির্যাতনের ব্যাপারে চীনের পক্ষে কথা বলছে। পাকিস্তানের এই শাসকগোষ্ঠীর প্রায় পুরো ইতিহাসই গাদ্দারিতে ভরপুর।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Pakistan consulate in China cites ‘freedom’ of Uyghurs as mutual interest, ministry claims hacking
– https://tinyurl.com/yc894b3d
চীনের চেংডুতে পাকিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসিয়াল টুইটার থেকে শুক্রবার একটি পোস্টে বলা হয়, ইসলামাবাদ এবং বেইজিং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে জিনজিয়াংয়ের অধিবাসী উইঘুরদের “অধিকার এবং স্বাধীনতা”-এর জন্য কাজ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
টুইটে বলা হয়, বন্যা পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য পাকিস্তান চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা উইঘুর জাতির অধিকার ও স্বাধীনতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে মিলিতভাবে কাজ করে যাব।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলে, ঐ টুইটার একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং উক্ত টুইট পাকিস্তান সরকারের অবস্থানকে তুলে ধরে না।
উইঘুররা প্রধানত মুসলিম ধর্মাবলম্বী। চীনের কমিউনিস্ট সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, সকল উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের এমন বর্বরতা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। তাই হঠাৎ পাকিস্তানের কনস্যুলেট জেনারেলের উইঘুরদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাওয়ার টুইটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিস্মিত হন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে, চীনের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
পূর্ববর্তী পাকিস্তানি সরকার এবং বর্তমান সরকারও উইঘুর ইস্যুতে চীনের পক্ষে কথা বলেছে।
২০২১ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনে সাংবাদিকদের বলেছিল, জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি পশ্চিমা মিডিয়া কর্তৃক বিকৃত করা হয়েছে।
পরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য চীন সফর করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এসময় চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করার পরে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে পাকিস্তান পক্ষ চীনের ‘এক-চীন নীতি’ -এর প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং ও তিব্বতের ব্যাপারে চীনের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফরের সময় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেও বলা হয়, “তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং এবং তিব্বতের ইস্যুতে” বেইজিংকে সমর্থন করতে ইসলামাবাদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এভাবে গাদ্দার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের ইস্যুতে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে বর্বর হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে। আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তানের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে সহায়তা করেছে। আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কাশ্মীরের মুসলিমদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, কিন্তু মুসলিমদের স্বাধীনতার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা যারা নিতে চাচ্ছে উলটো তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর সর্বদা উইঘুর নির্যাতনের ব্যাপারে চীনের পক্ষে কথা বলছে। পাকিস্তানের এই শাসকগোষ্ঠীর প্রায় পুরো ইতিহাসই গাদ্দারিতে ভরপুর।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Pakistan consulate in China cites ‘freedom’ of Uyghurs as mutual interest, ministry claims hacking
– https://tinyurl.com/yc894b3d
Comment