Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৩ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৩ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ঈসায়ী

    উইঘুরদের স্বাধীনতায় কাজ করার ব্যাপারে পাকিস্তান কনস্যুলেটের টুইট, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার দাবি মন্ত্রণালয়ের


    চীনের চেংডুতে পাকিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসিয়াল টুইটার থেকে শুক্রবার একটি পোস্টে বলা হয়, ইসলামাবাদ এবং বেইজিং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে জিনজিয়াংয়ের অধিবাসী উইঘুরদের “অধিকার এবং স্বাধীনতা”-এর জন্য কাজ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

    টুইটে বলা হয়, বন্যা পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য পাকিস্তান চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা উইঘুর জাতির অধিকার ও স্বাধীনতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে মিলিতভাবে কাজ করে যাব।
    কিন্তু পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলে, ঐ টুইটার একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং উক্ত টুইট পাকিস্তান সরকারের অবস্থানকে তুলে ধরে না।

    উইঘুররা প্রধানত মুসলিম ধর্মাবলম্বী। চীনের কমিউনিস্ট সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, সকল উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের এমন বর্বরতা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। তাই হঠাৎ পাকিস্তানের কনস্যুলেট জেনারেলের উইঘুরদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাওয়ার টুইটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিস্মিত হন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়ে, চীনের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।

    পূর্ববর্তী পাকিস্তানি সরকার এবং বর্তমান সরকারও উইঘুর ইস্যুতে চীনের পক্ষে কথা বলেছে।
    ২০২১ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনে সাংবাদিকদের বলেছিল, জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি পশ্চিমা মিডিয়া কর্তৃক বিকৃত করা হয়েছে।

    পরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য চীন সফর করে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এসময় চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করার পরে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে পাকিস্তান পক্ষ চীনের ‘এক-চীন নীতি’ -এর প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং ও তিব্বতের ব্যাপারে চীনের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

    গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের চীন সফরের সময় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানেও বলা হয়, “তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, হংকং, জিনজিয়াং এবং তিব্বতের ইস্যুতে” বেইজিংকে সমর্থন করতে ইসলামাবাদ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    এভাবে গাদ্দার পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুসলিমদের ইস্যুতে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে বর্বর হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছে। আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের আগ্রাসনের সময় আফগানিস্তানের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে সহায়তা করেছে। আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কাশ্মীরের মুসলিমদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, কিন্তু মুসলিমদের স্বাধীনতার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা যারা নিতে চাচ্ছে উলটো তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর সর্বদা উইঘুর নির্যাতনের ব্যাপারে চীনের পক্ষে কথা বলছে। পাকিস্তানের এই শাসকগোষ্ঠীর প্রায় পুরো ইতিহাসই গাদ্দারিতে ভরপুর।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Pakistan consulate in China cites ‘freedom’ of Uyghurs as mutual interest, ministry claims hacking
    https://tinyurl.com/yc894b3d

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বই নয়,তলোয়ার পূজা করুন: কর্ণাটকে হিন্দুত্ববাদী নেতা প্রমোদ মুথালিক



    কর্ণাটকের মুসলিম বিদ্বেষী এক কুখ্যাত হিন্দুত্ববাদী নেতা প্রমোদ মুথালিক। শ্রী রাম সেনের জাতীয় সভাপতি এই উগ্র প্রমোদ মুথালিক হিন্দুদের তরবারি পূজা করতে এবং তাদের বাড়িতে সাজিয়ে রাখতে বলেছে।

    ২২সালের শেষের দিকে বিজেপি সংসদ সদস্য প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর মুসলিমদের খুন করতে হিন্দুদের ঘরে ধারালো ছুরি রাখতে বলার কয়েকদিন পরেই সে এমন মন্তব্য করেছে।

    উগ্র মুথালিক বলেছে যে আয়ুধা পূজায় সরঞ্জাম বা বইয়ের চেয়ে তরোয়াল পূজা করা ভাল। দক্ষিণ ভারতে দশরার এক দিন আগে ব্যাপকভাবে পালন করা হয় – যা বিজয়া দশমীর সাথে মিলে যায় – যে সময় হিন্দুরা তাদের পেশা বা পেশার সাথে সম্পর্কিত বস্তুর পূজা করে।

    গত ১২ জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার উত্তর কর্ণাটকের ইয়াদরভিতে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সম্মেলনে মুথালিক বলেছে, “আমাদের ট্রাক্টর, বই বা কলমের পরিবর্তে তলোয়ার পূজা করা উচিত। “লাভ জিহাদ” কারীদের জন্য আমাদের বাড়িতে তলোয়ার প্রদর্শন করা উচিত।”

    হিন্দুত্ববাদীরা এমন হিংস্রতার আহ্বান জানালেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বা এফআইআর করেনি। কর্ণাটকের পুলিশ এর আগে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে তার উগ্র মন্তব্যের তিন দিন পরে, জনসাধারণের চাপে পড়ে, সমালোচনা থামাতে তার বিরুদ্ধে ঘৃণা-বক্তৃতা বিষয়ক এফআইআর দায়ের করেছিল।

    প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, লোকসভার সদস্য এবং সন্ত্রাসী মামলার আসামী। ২৫ ডিসেম্বর হিন্দুদের “লাভ জিহাদ”-এর অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের সবজির ছুরি ধারালো রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

    এমনিভাবে, ভারতীয় জনতা পার্টির কর্ণাটক শাখার প্রধান পার্টির সদস্যদের পয়ঃনিষ্কাশন এবং পরিবহন ব্যবস্থার আগে “লাভ জিহাদের” দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছে।

    ম্যাঙ্গালুরু শহরে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি ও লোকসভা সাংসদ নলিন কুমার কাতিল এই মন্তব্য করে।
    “লাভ জিহাদ” হল একটি হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র, যেটি অনুসারে তাদের প্রোপাগান্ডা হল, মুসলিম পুরুষরা হিন্দু মহিলাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য প্রেমে প্ররোচিত করে।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Worship swords, not books: Hindutva hawk in Karnataka
    https://tinyurl.com/32sn4err

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় মুসলিম ব্যবসায়ীকে উলঙ্গ করে মারধর


      উত্তরপ্রদেশে দিল্লি-মোরাদাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম ব্যবসায়ীকে উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে উগ্র হিন্দুরা। অসীম হোসেন নামে ওই ব্যবসায়ী মোরাদাবাদের বাসিন্দা।

      হাপুর স্টেশনে ট্রেনে উঠে কিছু অজ্ঞাত লোক চলন্ত ট্রেনে তার উপর হামলা শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে গত ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার। যখন ব্যবসায়ী অসীম হুসেন পদ্মাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে দিল্লি থেকে মোরাদাবাদে ফিরছিলেন, তখন ৮-১০ জন লোকের ঐ দলটি হঠাৎ চিৎকার করে ‘ইয়ে মুল্লা চোর হ্যায়’ (এই মোল্লা চোর)। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ভুক্তভোগী মুসলিম ব্যবসায়ী জানান, হামলাকারীরা তার দাড়ি চেপে ধরে মারধর করে, তাকে ‘অকারণে’ চোর বলা শুরু করে। গোটা ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

      ভিকটিম অসীম হুসেন জানান, হামলাকারীরা তাকে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়াতে চেয়েছিল, কিন্তু সে তা করতে অস্বীকার করলে তারা তাকে আক্রমণ করে এবং বেল্ট দিয়ে মারতে থাকে, যতক্ষণ না সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি তারা তার জামাকাপড় খুলে ফেলে। ট্রেনে অনেক লোক ছিল। কেউ তাকে উদ্ধার করতে আসেনি এবং ট্রেনটি যখন মোরাদাবাদ স্টেশনের কাছে পৌঁছায়, ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কেউ তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।

      পরিচিত একজনের সাহায্যে তিনি কোনওভাবে বাড়িতে পৌঁছতে সক্ষম হন, তবে ভয়ে তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু ট্রেনে থাকা কেউ পুরো ঘটনার ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করে দেয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, অসীম হুসেনও এগিয়ে এসে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ করেন।

      ভারতের অবস্থা এখন এই দাঁড়িয়েছে যে, হিন্দুরা যখন ইচ্ছা যেকোন মুসলিমকে মারছে বা ইচ্ছা হলে খুন করছে। আর নির্যাতনের শিকার মুসলিমরা বিচার দায়ের করতেও ভয় পাচ্ছেন। এভাবেই অনাগত গণহত্যার শঙ্কা মাথায় নিয়ে ভয়ে দিন পার করছেন ভারতের মুসলিমরা।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. UP: Muslim trader brutally beaten, stripped naked for not chanting `Jai Shri Ram` in Delhi-Moradabad express train
      https://tinyurl.com/2ysxu6su

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X