Announcement

Collapse
No announcement yet.

আরও তিনটি জায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় ‘তারা’

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আরও তিনটি জায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় ‘তারা’

    আরও তিনটি জায়নবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় ‘তারা’



    ১৪ মে ১৯৪৮, ব্রিটিশদের সহযোগিতায় অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে বিশ্বের রাজনীতি পরিচালিত হতে থাকে একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের হাতে; পেছন থেকে কলকাঠি নাড়তে থাকে এই অবৈধ জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল। এই অবৈধ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ব-ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সারা বিশ্বেই অন্যায়-অনাচার স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। মুসলিম বিশ্ব সহ পুরো দুনিয়ার বেশিরভাগ শাসকগোষ্ঠীই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিক্রি হয়ে গেছে ইহুদিদের কাছে।

    সেই কুখ্যাত ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা হচ্ছে ইসরাইল রাষ্ট্রকে বর্তমান আয়তনের তুলনায় ২০ গুণ বৃদ্ধি করা, যা কথিত গ্রেটার ইসরাইল নামে পরিচিত হবে। যে দেশগুলো দখল করে বর্ধিত আকৃতির ইসরাইল গঠন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেগুলো হচ্ছে- জর্ডান, সিরিয়া, মিশর ও সৌদি আরবের কিছু অংশ। এমনকি পবিত্র মদিনা নগরীকেও দখলের পরিকল্পনা রয়েছে কুখ্যাত ইহুদিদের।

    এর বাইরেও নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা হচ্ছে- সে মধ্যপ্রাচ্যে আরও তিনটি ইসরাইল (জায়নবাদী রাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটা তার স্বপ্ন নয়, বরং কর্ম পরিকল্পনা। ‘তারা’ এই তিন ইসরাইলের একটি প্রতিষ্ঠা করতে চায় আফগানিস্তানের কাছে, একটি ইয়েমেন এবং আরেকটি লিবিয়ায়। অবশ্য এখানে আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করার পেছনে ইমারতে ইসলামিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্য থাকে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    গত বছর ৮ নভেম্বর, আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট নামক এক সম্মেলনে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী নেতানিয়াহুকে করা এক প্রশ্নের জবাবে সে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় আরও তিনটি ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে চায় সে। এর মাধ্যমে তারা মুসলিম ভূ-খণ্ডের বেশিরভাগ অংশকে অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণ ও মধ্যপ্রাচ্যে একক মার্কিন (নিজেদের) রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

    ইয়েমন ও সিরিয়ায় এখন চলছে বিশ্ব ক্রুসেডারদের বর্বরোচিত হামলা ও আগ্রাসন। এসব রাষ্ট্রে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকার নেতৃত্বে কথিত ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার’ অজুহাতে নতুন কোন ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করার আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেননা মার্কিন রাজনীতির সবকিছুই পরিচালিত হয় ইহুদি বা ইহুদি নিয়ন্ত্রিত ব্যাক্তিদের দ্বারা।

    ফিলিস্তিনে নিজেদের দখলদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে দখলদার ইসরাইল মুসলিমদের ওপর গণহত্যা ও ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে। এই আগ্রাসন আজও চলমান। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউই ইসরাইলের বিরোধিতা করেনি। ইহুদিরা নিজেদের আত্মরক্ষায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার অধিকার রাখে বলে উলটো বিবৃতি দিয়েছে নির্লজ্জ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    এছাড়াও ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এর প্রতিরক্ষায় এদের সকল অবৈধ কাজকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা। আমেরিকা কেন ইসরাইলের পক্ষপাতিত্ব করছে, এটিও তারা খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেছে।

    গত বছর ২৭ অক্টোবর, হোয়াইট হাউসে তৎকালীন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী হারজোগকে ও জো বাইডেনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে জো বাইডেন জানায়, ‘আমি আমার কর্মজীবনে ৫০০০ বার বলব যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরাইলের সাথে আমাদের নীতি, আমাদের ধারণা, আমাদের মূল্যবোধ সবই এক ও অভিন্ন। আমি প্রায়শই বলেছি যে, যদি সেখানে (আরবে) ইসরাইল না থাকত, তাহলে আমাদেরকে সেখানে অবশ্যই একটি ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করতে হতো।’

    ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিমদের ওপর আধিপত্য বজায় রেখেছে পশ্চিমা ক্রুসেডাররা। এভাবে আরও কয়েকটি ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে ইহুদিরা। এ জন্য দীর্ঘ বিশ বছর আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে ইসলামি ইমারত ধ্বংস করে হয়তো সেখানে একটি ইসরাইল (জায়নবাদী রাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল তারা। তবে আল্লাহ তা’য়ালার ইচ্ছায় সেখানে ক্রুসেডার জোটের লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে। আর এজন্যই হয়তো নেতানিয়াহু ‘আফগানিস্তানে’ না বলে ‘আফগানিস্তানের কাছে’ (near afganistan) বলেছে।

    অন্যদিকে সিরিয়া ও ইয়েমেনে এখনো সর্বগ্রাসী আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ক্রুসেডার বাহিনী ও তাদের আঞ্চলিক সহযোগী গাদ্দার আরব শাসকগোষ্ঠী। আর এখানে তাদের মূল সহযোগী মুহাম্মাদ বিন সালমান ও মুহাম্মাদ বিন যায়েদকে তো ‘ইহুদি মায়ের সন্তান’ বলেই ধারণা করা হয়। তবে উভয় স্থানেই ক্রুসেডারদের সমুচিত জবাব দিচ্ছেন মুজাহিদগণ। আল্লাহ তা’য়ালার ইচ্ছায় সেসব স্থানেও তারা পরাজিত হবে ইনশাআল্লাহ্; যেভাবে আফগানিস্তানে তারা পরাজিত হয়েছে।

    এভাবে আফ্রিকাতেও আজ মুজাহিদগণের তীব্র বাধার সম্মুখীন জায়নবাদীদের ক্রীড়নক ক্রুসেডার জোট বাহিনী।

    আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। আরবের মতো এই উপমহাদেশও অস্তিত্ব রয়েছে ইসরাইলের। উপমহাদেশের ইসরাইল হলো হিন্দুত্ববাদী ভারত। এই মূর্তি পূজারীদের সাথে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রয়েছে গভীর সম্পর্ক, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একে অন্যের বিশ্বস্ত সহযোগী। হিন্দুত্ববাদী ভারতে ইতিমধ্যেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জাতিবিদ্বেষ সৃষ্টি করা হয়েছে, এবং ক্রমাগত এই বিদ্বেষ সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। এই উপমহাদেশের পরিস্থিতি এক ভয়ানক মুসলিম গণহত্যার দিকেই যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন খোদ গণহত্যা বিশেষজ্ঞরা।

    দখলকৃত কাশ্মীরে ইসরাইলের মতোই কয়েক দশক ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারত। কাশ্মীরে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে হুবহু ইহুদি আগ্রাসনকে অনুসরণ করে আসছে হিন্দুত্ববাদীরা। মুসলিম নিধনের ক্ষেত্রে হিন্দুরা যে ইসরাইলকে আদর্শ মনে করে এটি তারা নিজেরাই স্বীকার করে। ইতিমধ্যে ‘কৃষি প্রকল্পের’ নামে কাশ্মীরে ইসরাইলকে একটি ঘাঁটি তৈরি করার সুযোগ দিয়েছে ভারত।

    তবে আমাদের জন্য আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া পূর্ব-ভারতের মিজোরাম প্রদেশে ইহুদিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রদেশটি আগেই খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে; তবে সেখানে অনেক খ্রিস্টান এখন ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করছে। সেখানকার জনগণকে ইসরাইলি রাবাইরা বনী ইসরাইলের হারিয়ে যাওয়া ‘বনী মনেসা’ গোত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিজো ইহুদিরা এখন দলে দলে ইসরাইলে পাড়ি জমাচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহীনিতে মিজো ইহুদিরা কর্নেল র‍্যাঙ্ক পর্যন্তও পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষেই এমন আরেক ইসরাইলের আবির্ভাব নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।

    নেতানিয়াহু আরও তিনটি ইসরাইলের কথা বললেও ভারত আদতেই উপমহাদেশের ইসরাইলের ভূমিকায় রয়েছে। সুতরাং, এভাবে বললে অত্যুক্তি হবে না যে, বর্তমান পৃথিবীতে ইতিমধ্যে দু’টি ইসরাইলের অস্তিত্ব রয়েছে। এরা প্রতিনিয়ত মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে, কিন্তু কেউই তাদের কোন বাধা দিচ্ছে না। এ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যতদিন ইসরাইল থাকবে ততদিন মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই জায়নবাদী ও হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য নববী সুন্নাহ অনুসরণ করা এখন সময়ের দাবি।



    লিখেছেন : ইউসুফ আল-হাসান



    তথ্যসূত্র :
    1. US President Biden says ‘if there was no Israel we’d have to invent one'(ভিডিও)
    https://tinyurl.com/yc38jdb2
    2. Israel ‘Saved Countless Lives’, Biden Says
    https://tinyurl.com/2p9e26t3
    3. LOST TRIBE OF MENASHE RETURNS TO ISRAEL
    https://www.youtube.com/watch?v=pCXeJHCX5lI
    4. The Ten Lost Tribes of Israel | Where They Went, What They Are Now Called (Part 1 + 2)
    https://www.youtube.com/watch?v=EtXbzO4xl_c
    5. মুসলিম বিশ্বে আরও ৩ টি ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হবে
    https://tinyurl.com/2e7m3cx3
    6. US President Biden says ‘if there was no Israel we’d have to invent one’
    https://tinyurl.com/4weuxd66
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আমেরিকার সাথে সাথে ইয়াহুদি ও মুশরিক দের আগ্রাসনের প্রতিরোধ করার তাউফিক দান করুন

    Comment

    Working...
    X