বিশ্ব ব্যাংকের স্বীকারোক্তি : আফগানিস্তানের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে তালিবানের নেতৃত্বে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময় পশ্চিমা-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম নানা ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার ও প্রোপ্যাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে। অথচ বাস্তবে কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায়ের নানান নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইমারাতে ইসলামিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্রুত বাড়ছে।
ফলাফলস্বরূপ, বিশ্ব ব্যাংক এখন নিজেই বলতে বাধ্য হয়েছে যে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে।ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ব ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছে যে, ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি ধসে পড়ছে না- বরং ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের নেতৃত্বে দেশে রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও গতি পেয়েছে।ইসলামি ইমারতের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে, যা সম্ভব হয়েছে মূলত তালিবানের দৃঢ় নেতৃত্বে দুর্নীতি অবসানের ফলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমারতের রাজস্ব আদায় ২০২০ ও ২০২১ এর তুলনায় বেড়ে ২০২২ এর সর্বশেষ নয় মাসে (মার্চ-ডিসেম্বর) ১.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। রাজস্ব আয়ের বেশিরভাগই এসেছে কাস্টমস থেকে।
তৃতীয় পক্ষের সূত্রের বরাতে বিশ্ব ব্যাংক আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখন সময় মতো চাকরিজীবীদের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে।সেই সাথে ইমারাতে ইসলামিয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমেছে। ভোক্তা মূল্য সূচকে মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের জুলাইয়ে ছিল ১৮.৩ শতাংশ। নভেম্বরে সেটা কমে হয়েছে ৯.১ শতাংশ। তবে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ৬.১ শতাংশে নেমে আসার বিষয়টি প্রতিবেদনে স্থান পায়নি।এখানেই শেষ নয়, এশিয়ার অনেক দেশের নিত্যদিনের বাজার দ্রব্যের মূল্যের চাইতে আফগান জনগণ স্বল্পমূল্যে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। সেই সাথে দক্ষিণ এশিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে আফগান জনগণ সস্তায় তেল ব্যবহার করছেন।
অন্যদিকে দেখা গেছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়ায় প্রচলিত মুদ্রা আফগানির মূল্যমানও বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ডলার এবং ইউরো বিনিময় হারের উচ্চ মাত্রা পিছনে রেখে ভারসাম্য অর্জন করেছে দেশটি। সাম্প্রতিক অতীতে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার মোকাবেলায় আফগানি অর্থের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিলামে মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে। ফলস্বরূপ গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন ডলারের সাথে আফগান অর্থের এক্সচেঞ্জ রেট ৮৭-৮৯ এর মধ্যে রয়েছে, যেখানে মার্কিন ডলারের সাথে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ১০৫.৯০।
একইসাথে ইরান ও পাকিস্তানের মুদ্রার বিপরীতেও আফগানি মুদ্রার দ্রুত মূল্যায়ন বাড়ছে।প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের রপ্তানি পরিসংখ্যানের বিশাল বৃদ্ধির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ২০২২ অর্থবছর জুড়ে রপ্তানি শিল্পেও দৃঢ়তা দেখা গেছে। ২০২২ সালের ৯ মাস মেয়াদে রপ্তানির পরিসংখ্যান পুরো ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
অথচ পূর্বেকার পশ্চিমা সমর্থিত সরকরের আমালে আফগানিস্তানের রপ্তানি ছিলো মাত্র ৮০০ মিলিয়ন ডলার।এভাবে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণে আফগানিস্তানের ক্রমোন্নত অর্থনীতির বিষয়টি স্পষ্ট উঠে এসেছে; বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হচ্ছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানের অর্থনীতি সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের অপপ্রচার ও প্রোপ্যাগান্ডার বিরুদ্ধেও বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক এই রিপোর্ট আফগানিস্তানের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থার একটি অংশ তুলে ধরেছে।
তাই বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য যে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উপর পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। কঠিন এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিসংখ্যান ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়।
ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তাই বলা হয়েছে, “ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান বিশ্বাস করে, যদি আফগানিস্তানের ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং আটকে রাখা অর্থ ফেরত দেওয়া হয়, তবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি অতি দ্রুত আরও উন্নতি ও স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।”বিবৃতিতে ইসলামি ইমারতের পক্ষ থেকে বিশ্বের সকল সংস্থাকে আফগানিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেও আহ্বান জানানো হয়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে তালিবানের নেতৃত্বে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময় পশ্চিমা-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম নানা ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার ও প্রোপ্যাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে। অথচ বাস্তবে কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায়ের নানান নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইমারাতে ইসলামিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্রুত বাড়ছে।
ফলাফলস্বরূপ, বিশ্ব ব্যাংক এখন নিজেই বলতে বাধ্য হয়েছে যে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে।ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ব ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছে যে, ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি ধসে পড়ছে না- বরং ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের নেতৃত্বে দেশে রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নও গতি পেয়েছে।ইসলামি ইমারতের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে, যা সম্ভব হয়েছে মূলত তালিবানের দৃঢ় নেতৃত্বে দুর্নীতি অবসানের ফলে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমারতের রাজস্ব আদায় ২০২০ ও ২০২১ এর তুলনায় বেড়ে ২০২২ এর সর্বশেষ নয় মাসে (মার্চ-ডিসেম্বর) ১.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। রাজস্ব আয়ের বেশিরভাগই এসেছে কাস্টমস থেকে।
তৃতীয় পক্ষের সূত্রের বরাতে বিশ্ব ব্যাংক আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানে এখন সময় মতো চাকরিজীবীদের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে।সেই সাথে ইমারাতে ইসলামিয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমেছে। ভোক্তা মূল্য সূচকে মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের জুলাইয়ে ছিল ১৮.৩ শতাংশ। নভেম্বরে সেটা কমে হয়েছে ৯.১ শতাংশ। তবে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি ৬.১ শতাংশে নেমে আসার বিষয়টি প্রতিবেদনে স্থান পায়নি।এখানেই শেষ নয়, এশিয়ার অনেক দেশের নিত্যদিনের বাজার দ্রব্যের মূল্যের চাইতে আফগান জনগণ স্বল্পমূল্যে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। সেই সাথে দক্ষিণ এশিয়া সহ বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে আফগান জনগণ সস্তায় তেল ব্যবহার করছেন।
অন্যদিকে দেখা গেছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়ায় প্রচলিত মুদ্রা আফগানির মূল্যমানও বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ডলার এবং ইউরো বিনিময় হারের উচ্চ মাত্রা পিছনে রেখে ভারসাম্য অর্জন করেছে দেশটি। সাম্প্রতিক অতীতে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার মোকাবেলায় আফগানি অর্থের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিলামে মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে। ফলস্বরূপ গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন ডলারের সাথে আফগান অর্থের এক্সচেঞ্জ রেট ৮৭-৮৯ এর মধ্যে রয়েছে, যেখানে মার্কিন ডলারের সাথে বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ১০৫.৯০।
একইসাথে ইরান ও পাকিস্তানের মুদ্রার বিপরীতেও আফগানি মুদ্রার দ্রুত মূল্যায়ন বাড়ছে।প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের রপ্তানি পরিসংখ্যানের বিশাল বৃদ্ধির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ২০২২ অর্থবছর জুড়ে রপ্তানি শিল্পেও দৃঢ়তা দেখা গেছে। ২০২২ সালের ৯ মাস মেয়াদে রপ্তানির পরিসংখ্যান পুরো ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেড়ে ১.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
অথচ পূর্বেকার পশ্চিমা সমর্থিত সরকরের আমালে আফগানিস্তানের রপ্তানি ছিলো মাত্র ৮০০ মিলিয়ন ডলার।এভাবে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষণে আফগানিস্তানের ক্রমোন্নত অর্থনীতির বিষয়টি স্পষ্ট উঠে এসেছে; বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হচ্ছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানের অর্থনীতি সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমের অপপ্রচার ও প্রোপ্যাগান্ডার বিরুদ্ধেও বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক এই রিপোর্ট আফগানিস্তানের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থার একটি অংশ তুলে ধরেছে।
তাই বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য যে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উপর পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। কঠিন এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিসংখ্যান ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়।
ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে তাই বলা হয়েছে, “ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান বিশ্বাস করে, যদি আফগানিস্তানের ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং আটকে রাখা অর্থ ফেরত দেওয়া হয়, তবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি অতি দ্রুত আরও উন্নতি ও স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।”বিবৃতিতে ইসলামি ইমারতের পক্ষ থেকে বিশ্বের সকল সংস্থাকে আফগানিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেও আহ্বান জানানো হয়।
লেখক : ত্বহা আলী আদনান
সংকলক : সাইফুল ইসলাম
তথ্যসূত্র :
1. Afghanistan’s Economy is Gradually Recovering not Collapsing: World Bank
– https://tinyurl.com/ydv2tt7p
2. ইসলামি ইমারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
– https://tinyurl.com/mryur59v
1. Afghanistan’s Economy is Gradually Recovering not Collapsing: World Bank
– https://tinyurl.com/ydv2tt7p
2. ইসলামি ইমারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
– https://tinyurl.com/mryur59v
Comment