Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৬ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৬ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

    গণহত্যামূলক বক্তৃতা প্রচার করায় মিডিয়াকে দিল্লি পুলিশের নোটিশ, বক্তৃতাকারিদের নয়




    উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একেরপর এক উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুুত করছে। খোদ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে।কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তাদের গণহত্যামূলক বক্তৃতা কভার করার জন্য মিডিয়াকে দিল্লি পুলিশ নোটিশ দিয়েছে।নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে পার্লামেন্ট চলাকালীন মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে একজন হিন্দু পুরোহিত গণহত্যায় উসকানিমূলক বক্তৃতা প্রদান করে। আশ্চর্যজনকভাবে, সেই বক্তৃতাদানকারী উগ্র হিন্দু নেতাকে রেখে সেই সংবাদ প্রচার করার জন্য দিল্লি পুলিশ অনলাইন মিডিয়া মলিটিক্সকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।

    ডিসিপি নয়াদিল্লির টুইট করা নোটিশটি হল:

    “দেখা যাচ্ছে আপনি আপত্তিকর, বিদ্বেষপূর্ণ এবং উস্কানিমূলক পোস্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন। দিল্লি জেলার সাইবার পুলিশ স্টেশন, নোডাল এজেন্সি ১৪৯ সিআরপিসি ধারার অধীনে আপত্তিকর, বিদ্বেষপূর্ণ এবং উস্কানিমূলক বার্তা পোস্ট করার জন্য এ মিডিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে। যা আইনশৃঙ্খলায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।”
    অর্থাৎ হিন্দুরা গণহত্যার প্রকাশ্য আহব্বান জানিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে তা শুরুও করে দিতে পারবে, কিন্তু সেই খবর প্রচার করলে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হবে, আর মুসলিম নিধনযজ্ঞ চালিয়ে অখণ্ড ভারত বাস্তবায়নের কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই পুলিশ উগ্র হিন্দুদের মিশন বাস্তবায়ন সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে মিডিয়াকে খবরদার করছে।
    সহজ ব্যাখ্যা করলে বিষয়টা অনেকটা এমনই দাঁড়ায় না কি?

    নোটিশে আরো বলেছে, এমনটি করা থেকে আপনাকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা না করলে আইনের প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকবেন।

    গত ৫ জানুযারি রবিবার রাজধানী দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি ‘ধর্ম সংসদ’ বা হিন্দু সংসদে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম ও খ্রিস্টানদের হত্যার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সমাবেশে উগ্র হিন্দু সুরজ পাল আমু, কেউ ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে বাধা দিলে, সহিংসতা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।
    মহামন্ডলেশ্বর স্বামী ভক্ত হরি সিং বলেছে, “শুধু ফল কাটার ছুরি রাখলে চলবে না। বাড়িতে আধুনিক অস্ত্র রাখুন। মুসলমান ও খ্রিস্টানদের হত্যা করুন। এক হাতে অস্ত্র এবং অন্য হাতে ধর্মগ্রন্থ রাখুন।”মলিটিক্সের শেয়ার করা ভিডিওটিতে হরি সিংয়ের বক্তৃতাই দেখানো হয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী পুলিশ গণহত্যামূলক বক্তৃতাকারিদের না ধরে তাদের ভিডিও পোস্ট করার জন্য মিডিয়াকে নোটিশ দিয়েছে।

    হিন্দুত্ববাদী ভারতে হিন্দুরা যা ইচ্ছে বলবে, করবে কিন্তু অন্যরা বাধা দিলে কিংবা প্রতিবাদ করলে, এমনকি সচেতনতামূলক প্রচার করলেও গণহত্যা চালানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গণহত্যা বাস্তবায়নের সকল ধাপ বাস্তবায়ন করে হিন্দুত্ববাদীরা এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Delhi Police notice to media for covering genocidal speech, no action against hate-mongers ( Maktoob Media )
    https://tinyurl.com/57rp5fub
    2. Barely 2 km from Parliament, Hindutva gathering urges killing of Muslims and Christians ( Maktoob Media )
    https://tinyurl.com/2p8k6bfz
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে ইহুদিদের আদলে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ভারত



    সম্প্রতি কাশ্মীরের শ্রীনগর এলাকায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ভারত। আগাম কোন নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে তারা। ইতোমধ্যেই বাড়িঘর, দোকানপাট ও শপিংলসহ অন্তত শতাধিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। শুধু শ্রীনগরেই নয়, কাশ্মীরের আরও কয়েকটি এলাকায় এমন অভিযান শুরু করেছে দখলদার কর্তৃপক্ষ।

    রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দখল করে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি সন্ত্রাসী ভারতের। তবে কাশ্মীরি মুসলিমরা জানিয়েছেন, এগুলো ভারতের প্রহসন আর সাজান মিথ্যা। বরং যেসব স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এসকল জায়গার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তাদের হাতে। তা সত্ত্বেও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দখলদার ভারত।

    গত ৪,৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি চারটি বুলডোজার জম্মুর সুঞ্জয়ান, বাথিন্ডি ও মল্লিকমার্কেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালালে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পাথর নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ করে। ফলে সন্ত্রাসীরা যন্ত্রপাতি ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষণেই শত শত সেনা উপস্থিত হয়ে আবারো দোকানপাট ও শপিংমল এবং অন্যান্য স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়।

    এদিকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দিল্লিতে বৈঠক করে অধিকৃত কাশ্মীরের গভর্নর মনোজ সিনহা। এর একদিন পরই সে কাশ্মীরে ফিরে যায়। এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায় কাশ্মীরে উচ্ছেন অভিযান চলমান থাকবে। আর এরপর থেকে গ্রেফতার অভিযানও পরিচালান করছে তারা। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এখন পর্যন্ত ৯ জন কাশ্মীরি মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে দখলদার ভারত। যাদের বেশিরভাগই উচ্ছেদ অভিযানের ভুক্তভোগী।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Following Israeli formula, India’s Modi regime bulldozing Muslim houses in Kashmir!
    https://tinyurl.com/2nb677x8
    2. Encroachments: Bulldozers Continue Rolling in Kashmir and Jammu
    https://tinyurl.com/yszhm2yx




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X