সিরিয়া ও তুরস্কের ভূমিকম্প নিয়ে শার্লি হেবদোর উপহাস!
তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প নিয়ে প্রকাশিত শার্লি হেবদোর ব্যঙ্গচিত্র
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস্তুপের নীচে এখনো চাপা পড়ে আছে অগনিত হতাহত মানুষ। তাদের উদ্বারে কাজ করছে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও পাঠানো হচ্ছে সাহায্যকারীদের। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পুরো বিশ্বেই যেখানে হতবাক ও শোকাবহ, ঠিক এই সময় ইসলাম ও মুসলিমদের দুশমন ক্রুসেডার ফরাসিরা লিপ্ত হয়েছে ঘৃণ্য উপহাসে।
ফ্রান্সের কুখ্যাত ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো ভূমিকম্পে মুসলিমদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ঘৃণ্য কাটুর্ন এঁকে উপহাসে লিপ্ত হয়েছে। ‘দিনের কার্টুন’ শিরোনামে টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া বেশকিছু ভবনের ছবি আঁকা হয়েছে। নিচের দিকে রয়েছে একটি উল্টানো গাড়ি এবং ধ্বংসাবশেষের স্তূপ। কার্টুনের ওপরে লেখা আছে, তুরস্কে ভূমিকম্প, আর নিচে লেখা আছে, ‘এমনকি ট্যাংকগুলো পাঠানোরও দরকার নেই।’
মুসলিম জাতির প্রতি তারা যে কঠোর বিদ্বেষ পোষণ করে, সেটাই মূলত প্রতিফলিত হয়েছে এই কার্টুনের মাধ্যমে। মুসলিম জাতি ক্রুসেডারদের ঘৃণ্য ইতিহাস ভুলে গেলেও ক্রুসেডাররা মুসলিমদের বিরোধীতায় এক মুহুর্তের জন্যও বসে নেই। তারা মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করে দিতে সার্বক্ষণিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে- এটির প্রতিফলনও হয়েছে এই কার্টুনের মাধ্যমে।
ফ্রান্সের এমন ঘৃণ্য আচরণে গোটা বিশ্বেই সমালোচনা হচ্ছে। তবে ক্রুসেডার ফরাসিদের কাছ থেকে আসলে এমন আচরণই প্রত্যাশিত। কেননা ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ নতুন কিছু না। আফ্রিকায় মুসলিমদের ওপর যুগ যুগ ধরে বর্বরোচিত আগ্রাসন চালিয়েছে উপনিবেশবাদী ফ্রান্স; যা এখন চলমান রয়েছে। অন্যদিক যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই ইসলাম, মুসলিম ও রাসুল (ﷺ) এর শানে কুৎসা রটিয়ে ইসলাম বিদ্বেষের জানান দিয়েছে তারা। আর এগুলোকে তারা প্রচার করেছে কথিত বাকস্বাধীনতা বলে। তবে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি কিংবা পোপ-এর কার্টুন আকা হলে তারা কার্টুনিস্টদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। আর এবার তো তারা ভুমিকম্প-বিধ্বস্ত অসহায় মুসলিমদের নিয়ে উপহাস করতেও ছাড়লো না!
এই হল পশ্চিমাদের কথিত ‘বাকস্বাধীনতা’, ‘প্রগতি’ আর ‘মানবতা’র নমুনা। এই মানবতা আর স্বাধীনতাই তারা আমাদের সমাজে চাপিয়ে দিতে চায়; কথিত গণতন্ত্র আর সেকুলারিজম চর্চার নামে নির্মাণ করতে চায় তাদেরই মতো আবেগ-বিবেক-সম্মান বিবর্জিত এক পশুসমাজ।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Outrage over Charlie Hebdo’s Turkey-Syria earthquake cartoon
– https://tinyurl.com/4xezeh5z
তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প নিয়ে প্রকাশিত শার্লি হেবদোর ব্যঙ্গচিত্র
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস্তুপের নীচে এখনো চাপা পড়ে আছে অগনিত হতাহত মানুষ। তাদের উদ্বারে কাজ করছে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও পাঠানো হচ্ছে সাহায্যকারীদের। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পুরো বিশ্বেই যেখানে হতবাক ও শোকাবহ, ঠিক এই সময় ইসলাম ও মুসলিমদের দুশমন ক্রুসেডার ফরাসিরা লিপ্ত হয়েছে ঘৃণ্য উপহাসে।
ফ্রান্সের কুখ্যাত ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো ভূমিকম্পে মুসলিমদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ঘৃণ্য কাটুর্ন এঁকে উপহাসে লিপ্ত হয়েছে। ‘দিনের কার্টুন’ শিরোনামে টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া বেশকিছু ভবনের ছবি আঁকা হয়েছে। নিচের দিকে রয়েছে একটি উল্টানো গাড়ি এবং ধ্বংসাবশেষের স্তূপ। কার্টুনের ওপরে লেখা আছে, তুরস্কে ভূমিকম্প, আর নিচে লেখা আছে, ‘এমনকি ট্যাংকগুলো পাঠানোরও দরকার নেই।’
মুসলিম জাতির প্রতি তারা যে কঠোর বিদ্বেষ পোষণ করে, সেটাই মূলত প্রতিফলিত হয়েছে এই কার্টুনের মাধ্যমে। মুসলিম জাতি ক্রুসেডারদের ঘৃণ্য ইতিহাস ভুলে গেলেও ক্রুসেডাররা মুসলিমদের বিরোধীতায় এক মুহুর্তের জন্যও বসে নেই। তারা মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করে দিতে সার্বক্ষণিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে- এটির প্রতিফলনও হয়েছে এই কার্টুনের মাধ্যমে।
ফ্রান্সের এমন ঘৃণ্য আচরণে গোটা বিশ্বেই সমালোচনা হচ্ছে। তবে ক্রুসেডার ফরাসিদের কাছ থেকে আসলে এমন আচরণই প্রত্যাশিত। কেননা ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ নতুন কিছু না। আফ্রিকায় মুসলিমদের ওপর যুগ যুগ ধরে বর্বরোচিত আগ্রাসন চালিয়েছে উপনিবেশবাদী ফ্রান্স; যা এখন চলমান রয়েছে। অন্যদিক যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই ইসলাম, মুসলিম ও রাসুল (ﷺ) এর শানে কুৎসা রটিয়ে ইসলাম বিদ্বেষের জানান দিয়েছে তারা। আর এগুলোকে তারা প্রচার করেছে কথিত বাকস্বাধীনতা বলে। তবে সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি কিংবা পোপ-এর কার্টুন আকা হলে তারা কার্টুনিস্টদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। আর এবার তো তারা ভুমিকম্প-বিধ্বস্ত অসহায় মুসলিমদের নিয়ে উপহাস করতেও ছাড়লো না!
এই হল পশ্চিমাদের কথিত ‘বাকস্বাধীনতা’, ‘প্রগতি’ আর ‘মানবতা’র নমুনা। এই মানবতা আর স্বাধীনতাই তারা আমাদের সমাজে চাপিয়ে দিতে চায়; কথিত গণতন্ত্র আর সেকুলারিজম চর্চার নামে নির্মাণ করতে চায় তাদেরই মতো আবেগ-বিবেক-সম্মান বিবর্জিত এক পশুসমাজ।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Outrage over Charlie Hebdo’s Turkey-Syria earthquake cartoon
– https://tinyurl.com/4xezeh5z