Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

    দিল্লির মুসলিম কলোনিতে চলছে হিন্দুত্ববীদের বুলডোজার




    ভারতের মেহরাউলিতে মুসলিমদের বাড়িঘরে বুলডোজার চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ)। মুসলিম কলোনিতে ডিডিএ-র ধ্বংসলিলার এ অভিযান গত ১২ জানুয়ারী, রবিবার শুরু হয়। অভিযান ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ভুক্তভোগী মুসলিমরা জানিয়েছেন, তাদের রেজিস্ট্রি, হাউস ট্যাক্সসহ সব ধরণের সার্টিফিকেট আছে। তবুও তাদের তারা গৃহহীন করা হচ্ছে। এটা তাদের সারাজীবনের আয় ছিল। “আমাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থাও নেই আমরা নারী শিশুদের নিয়ে কোথায় যাব?”

    এখানে বাড়িঘর করতে কেউ কেউ তাদের গ্রামের বাড়িঘর, জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এবং কেউ কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়ি তৈরি করেছে, কিন্তু আজ সবাইকেই গৃহহীন করা হয়েছে।

    এলাকার একজন সচ্ছল মুসলিম সমাজকর্মী আফতাব আলম জানিয়েছেন, তার বাড়ি হারানো ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বিধ্বংসী মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি। গত মঙ্গলবার দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ) একটি বুলডোজার আলমের বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে।

    আফতাব আলম মাকতুব মিডিয়াকে জানিয়েছেন, “আমি গত ৩০ বছর ধরে এখানে বাস করছি। আমি একজন সমাজকর্মী, আমি অন্যদেরকেও সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম। কিন্তু দেখুন, এখন আমার নিজেেই কিছুই নেই। মাথা গোজার আশ্রয়টুকু ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি এখন এই ধ্বংসস্তূপেই থাকব, এবং আমি এখানেই মারা যাব কারণ আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”

    আফতাব আলম তার দুই বোন এবং এক ভাইয়ের সাথে যৌথভাবে বসবাস করতেন। শুধু আফতাব আলমই নয়, বুলডোজারের ফলে বহু পরিবারের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। যারা বংশ পরম্পরায় এখানে বসবাস করে আসছে।



    ডিডিএ লেফটেন্যান্ট গভর্নর উগ্র হিন্দু বিনাই কুমার সাক্সেনার নির্দেশে, দিল্লির রাজস্ব মন্ত্রীর সাথে পরামর্শ ছাড়াই মেহরাউলিতে মুসলিম কলোনিতে বনভূমি সাফ করার জন্য ধ্বংস অভিযান চালানো হচ্ছে।

    স্বানীয় মুসলিমরা আরও জানিয়েছেন, যে তাদের অজান্তেই বাড়ির বাইরে নোটিশগুলি লাগানো হয়েছিল। সে এলাকায় বসবাসকারীরা মিশ্র জনসংখ্যা হলেও, ভেঙে ফেলা বাড়িঘর ও দোকানগুলো শুধুই ওই এলাকার মুসলমানদের।

    ৫০ বছর বয়সী জনাব রইস আহমেদ। তার বাড়িতেও নোটিশ পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, “আমার পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে এখানে বসবাস করছে। আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি, এবং এখন তারা আমার বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে। কোনো জরিপ বা আদেশ ছাড়াই, তারা আমাদের জীবনের কঠোর পরিশ্রমকে নষ্ট করে দিচ্ছে।”

    ইতিমধ্যে, যারা এই অভিযানে তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে তারা দাবি করেছে যে, তারা দিল্লিতে আম আদমি পার্টি সরকার এবং কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন।

    ২০ বছর বয়সী জয়নব তার হাতে একটি নীল ফোল্ডার নিয়ে তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সে মাকতুব মিডিয়াকে জানিয়েছে, জমি ও বাড়ি নিজেদের বলে প্রমাণ করার জন্য অনেকের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে। “আপনি সব কাগজপত্র দেখতে পারেন; আমাদের এখানে সব আছে। তবুও তারা কাগজপত্রের দিকে তাকাচ্ছে না এবং সরাসরি আমাদের বাড়ি ভেঙে ফেলছে।

    মুসলিমদের বাড়িঘরের সাথে দোকানপাটগুলোকেও ভেঙ্গে দিয়েছে। একজন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফের দোকান মাটিতে গুড়িয়ে দিয়েছে।

    মোহাম্মদ আরিফ এয়ার কন্ডিশনার ও পাইপ বিক্রি করতেন। কয়েক প্রজন্ম ধরে তিনি এলাকায় কাজ করে আসছেন।” তার দোকান এখন ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই নয়।

    “আমরা সরকারের জন্য দাবার গুটির মত। ওরা আমাদের নিয়ে রাজনীতি করে এছাড়া কিছুই না। আমি কিভাবে আমার পরিবারকে খাওয়াবো? এই লোকেরা আমাকে আমার জিনিসপত্রও বের করতে দেয়নি,” বলেন মোহাম্মদ আরিফ, “আমি বিচার বিভাগ থেকেও আশা হারিয়ে ফেলেছি।”

    তবে এটা রাজনৈতিক কারণ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান মোহাম্মদ আলম। “কেন আমার বাড়ি ভাঙা হল? তারা সময়মতো এসে ভাঙা বন্ধ করার নোটিশ দিতে পারত, কিন্তু আমি গরীব বলে আমার বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।”

    এভাবেই সারা ভারতজুড়ে নানান অজুহাতে মুসলিমদের উপর সরকারি প্রতক্ষ-পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো হচ্ছে ক্র্যাকডাউন। আর অসহায় মুসলিমরা চেয়ে দেখা ছাড়া কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে পারছেন না। আসন্ন গণহত্যার সামনে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তারা।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. “We are going to stay in this rubble only,” say Mehrauli residents
    https://tinyurl.com/3ynakj24

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মধ্যপ্রদেশে মুসলিম বাড়িতে অনুপ্রবেশ, হনুমান মূর্তি স্থাপন ও হিন্দুদের পূজা



    ভারতের মধ্যপ্রদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা দুবে কলোনির মুন্সি চকে এক মুসলিম ব্যক্তির বাসভবনে প্রবেশ করে। সেখানে তারা একটি হনুমান মূর্তি স্থাপন করে এবং এটির পূজা শুরু করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার মধ্যপ্রদেশে খান্ডওয়া জেলায় জঘন্য এ ঘটনা ঘটেছে।

    খন্ডওয়ার পদমকুন্ড ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রার্থী উগ্র রবীন্দ্র আভাদের নেতৃত্বে হিন্দু সন্ত্রাসীরা শেখ আসগরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে, সেখানে হনুমান মূর্তি স্থাপন করে এবং পুজা করতে শুরু করে।

    মুসলিমরা এমন ঘৃণিত কাজে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মারমুখী আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়, এবং একে অপরের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে।

    মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় শেখ আসগর জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাস আগে তিনি বাড়িটি কিনেছিলেন এবং ১৮ জানুয়ারি যাবতীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করেছেন।

    শেখ আসগর বলেন, “উগ্র রবি আভাদ এবং প্রায় ২৫-৩০ সদস্যের একটি হিন্দুত্ববাদী দল আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমি বাড়িটি প্রায় ৩-৪ মাস আগে কিনেছিলাম এবং কাগজপত্র ১৮ জানুয়ারী হয়ে গেছে। তবুও তারা আমাদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে মুসলিমদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।”

    এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন উপমহাদেশের মুসলিমদের নিত্যসঙ্গী। কেউ জানে না আগামিকাল তদের সঙ্গে কি ঘটতে চলেছে, হিন্দুত্ববাদীরা নতুন কোন ফন্দি এঁটে তাদের উপর হামলে পরতে যাচ্ছে। এভাবে চরম হতাশা ও আতংকে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে অভিভাবকহীন সতধা-বিভক্ত মুসলিমদের।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Hindutva Mob Allegedly Enters Muslim Man’s House in MP’s Khandwa, Installs Idol ( The Quint )
    https://tinyurl.com/tw8wrsex

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হান চাইনিজদের বিয়ে করতে উইঘুর নারীদের প্রলোভন দেখাচ্ছে চীন



      উইঘুর মুসলিম জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে সম্ভাব্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিউনিস্ট চীন সরকার। সন্ত্রাসবাদী চীন সরকার উইঘুর মুসলিম নারীদের বাধ্য করছে হান চাইনিজ পুরুষদের বিয়ে করতে। আর উইঘুর নারীকে বিয়ে করলে হান চাইনিজদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে চীন।

      তবে বর্তমানে আরও জঘন্যভাবে এই বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে চীন সরকার। উইঘুর নারীদের মধ্যে যারা হানদের বিয়ে করবে, এবার সেসব উইঘুর নারীদেরকেও পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা। উইঘুরদের নিয়ে কাজ করা ইরকিন সিদিক এক টুইট বার্তায় উইঘুরদের বরাত দিয়ে বলেন-
      ১. উইঘুর নারীদের যে হান চাইনিজ বিয়ে করবে, তার কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না।
      ২. উইঘুর-হান দম্পতিকে বিয়ের পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে ৮০ হাজার থেকে ৩৬০ হাজার চাইনিজ ইউয়ান মুদ্রা প্রণোদনা দেওয়া হবে।
      ৩. হান চাইনিজকে বিয়ে করা উইঘুর নারী যদি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়, তবে তাকে বিনা শর্তে চাকরি দেওয়া হবে।
      ৪. হান চাইনিজকে বিয়ে করে নিজের জাতি পরিচয়ও যে উইঘুর নারী পরিবর্তন করে হান চাইনিজ হবে, তার নিকটাত্মীয়কে কারাগার বা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
      ৫. হান চাইনিজকে বিয়ে করা উইঘুর নারীদের ৩-৫ বছরের ট্যাক্স মওকুফ করা হবে।
      ৬. হান চাইনিজকে বিয়ে করা উইঘুর নারীরা সুদবিহীন ব্যাংক-লোন নিতে পারবে।
      ৭. উইঘুর নারীদেরকে বিয়ে করার মতো যুবক উইঘুর পুরুষ নেই বললেই চলে। যারা আছে, তারা হয় মানসিকভাবে অসুস্থ বা সংসার চালানোর মতো চাকরি বা অর্থ-কড়ি নেই।

      হান চাইনিজদের বিয়ে করতে বাধ্য করার পাশাপাশি এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হচ্ছে উইঘুর নারীদেরকে। ধীরে ধীরে উইঘুর মুসলিম জাতির নাম-নিশানা মুছে ফেলা-ই উদ্দেশ্য তাদের। এমন জঘন্য গণহত্যার পরও কথিত আন্তর্জাতিক বিশ্ব বা জাতিসংঘ কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করছে। উইঘুর মুসলিম জাতির পক্ষে আজ কথিত মুসলিম বিশ্বের নেতারাও নেই। বরং পাকিস্তানসহ অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর নেতারা প্রকাশ্যে চীনের উইঘুর দমননীতিকে সমর্থন করেছে।

      তাই, উইঘুরদের মুক্তির জন্য এসব কথিত ‘মুসলিম নেতা’-দের দিকে তাকিয়ে থাকা বোকামি ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার কবল থেকে উইঘুরদের মুক্ত করতে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের দাবিতে সারাবিশ্বের মুসলিমদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নববী সুন্নাহ অনুসরণ করে সন্ত্রাসবাদী কমিউনিস্ট চীনের দাম্ভিকতা গুড়িয়ে দিতে হবে।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      ১. ইরকিন সিদিকের পোস্ট:
      https://tinyurl.com/ms8ebwvk

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X