Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৬ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৬ রজব, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

    জীবন্ত পুড়িয়ে দুই মুসলিমকে নৃশংস কায়দায় খুন করলো কথিত গো-রক্ষকরা


    হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের ছত্রছায়ায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও গণহত্যার নীতি পূর্ণ গতিতে চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় কথিত গো-হত্যার অভিযোগে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা দুইজন মুসলিমকে অপহরণের পর পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর আহত মুসলিমদের আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা। নিহত মুসলিমরা হলেন রাজস্থানের গোপালগড় গ্রামের বাসিন্দা জুনায়েদ ও নাসির।

    গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় ভিওয়ানি জেলায় পাষাণ্ডু হিন্দুত্ববাদীরা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায়।

    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিহতদেরকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আপহরণ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের সদস্যরা। অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় গোপালগড় থানায় এফআইআর দায়ের কারার চেষ্টা করে। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন এফআইআর দায়ের করে নি, বরং তাদেরকে থানা থেকে বের করে দেয়।

    ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষবসত ভারতীয় প্রশাসন অপহরণের পর দ্রুত ও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয় নি। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অপহরণের শিকার দুই মুসলিম যুবককে খুঁজে পাওয়া যায় একটি গাড়িতে। তবে জীবিত অবস্থায় নয়, বরং তাদের গ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের একটি বনের মধ্যে একটি গাড়িতে তাদেরকে মৃত ঝলসানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

    স্থানীয়রা জানান, অপহরনের শিকার জুনায়েদ ও নাছিরকে উগ্র হিন্দুরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে প্রথমে মারাত্মকভাবে আহত করে, এবং পরে তাদেরকে গাড়িতে ঢুকিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, অপহরণ ও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের স্থানীয় নেতারা রয়েছে। বজরং দলের নেতা মনু মানেসার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ট ছিল।

    এদিকে রাজ্য পুলিশের আইজি গৌরব শ্রীবাস্তব এই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে মিডিয়ার সামনে বলেছে, হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় একটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, গাড়িটিতে তখন দুই গরু পাচারকারীর মৃতদেহ ছিলো।

    অথচ, নিহতের পরিবারের এক সদস্য মাকতুব মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, উগ্র মনু মানেসার এবং তার সন্ত্রাসী দল, জুনায়েদ এবং নাসিরকে পিরুকার জঙ্গল থেকে অপহরণ করে ভিওয়ানির বারওয়াস গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে তাদের পিটিয়ে আহত করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে, পরিবার ও মুসলিমদের চাপের মুখে বজরং দলের নেতা মনু মানেশর, লোকেশ, রিংকু সাইনি এবং শ্রীকান্তের নাম উল্লেখ করে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

    তবে অভিযোগ হিসেবে শুধু জুনায়েদ ও নাসিরকে অপহরণ ও মারধরের কথা উল্লেখ করেছে। খুনের কোন ধারা উল্লেখ করেনি। ফলে দেখা যাবে হয়ত তাদের আটকই করা হবে না। কিংবা আটক করলেও সহজেই জামিনে বের হয়ে যাবে। কোন বিচারই হবে না।

    ভুক্তভোগি মুসলিমদের সাথে এমনটাই করা হচ্ছে অহরহ। বিচারের নামে যেন প্রহসন করা হচ্ছে মুসলিমদের প্রতি। মুসলিমদের নিজেদেরকেই তাই ন্যায়বিচার ও নিজেদের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করাটা এখন বাস্তবতার দাবি বলে প্রতীয়মান হয়।



    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Two Muslim men burnt to death in Haryana, “Bajrang Dal killed them,” says family ( Maktoob Media )
    https://tinyurl.com/4ddfatr5
    2. video link:
    https://tinyurl.com/2netfuya


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইউপিতে ভিএইচপি এবং বজরং দল সন্ত্রাসীদের মসজিদ ভাঙচুর



    ভারতের উত্তর প্রদেশে নির্মাণাধীন একটি মসজিদে ভাংচুর চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর সদস্যরা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, বুধবার হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা বান্দা জেলার বলখন্দি নাকা এলাকার কাছে অবস্থিত নির্মাণাধীন মসজিদটিতে ভাংচুরের হামলা চালায়।

    হিন্দুত্ববাদী উগ্র জনতা মসজিদর দ্বিতীয় তলা তৈরি করাকে বেআইনি বলে দাবি করে। তারা মসজিদের জিনিসপত্র সড়কে ফেলে দেয় ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

    ভিএইচপি জেলা সভাপতি চন্দ্রমোহন বেদি বলেছে, প্রশাসন মসজিদের সংস্কারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। “মসজিদটি সংস্কার করার কথা ছিল, নতুন নির্মাণ করা নয়। আমরা এটা হতে দেব না।

    হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা হট্টগোল ও মসজিদ ভাঙ্গচুর শুরু করায় অপারগ হয়ে মুসলিমরা পুলিশকে খবর দেয়। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ৩০ মিনিট ধরে চলে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের ভাঙ্গচুর আর গুন্ডামি।

    পরে মুসলিমদের সমালোচনার মুখে বান্দার পুলিশ তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যাতে বলেছে তদন্ত করা হচ্ছে। অথচ, তাদের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। তারা কোনরুপ বাঁধা দেয়নি। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আটকও করেনি।

    উল্লেখ্য, এই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষভাবে মুসলিমদের উপর হামলা চালানোর জন্য সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে থাকে। এর প্রমাণ দিল্লি গণহত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. UP: VHP, Bajrang Dal vandalise mosque claiming illegal construction ( The Siasat )
    https://tinyurl.com/3828hbw7
    2. video link:
    https://tinyurl.com/bdhdfxyz

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আসামে দুটি মসজিদসহ মুসলিম বসতিতে বুলডোজার হামলা, ২৫০০ পরিবার গৃহহীন



      পূর্বে কয়েক দফায় বুলডোজার চালানোর পর এবার আসামের সোনিতপুর জেলায় মুসলিম বসতিতে বুলডোজার চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। দুটি মসজিদসহ মুসলিমদের ২৫০০ বাড়িঘরে বুলডোজার চালানো হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

      উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ২৫০০ বাঙালি মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ ব্যক্তিই বাংলাভাষী মুসলিম এবং তারা মূলত চাষাবাদে নিয়োজিত থাকেন।

      এক মুসলিম বাসিন্দা বলেছেন, আমরা গত ৩৫ বছর ধরে মসজিদে নামাজ পড়ছি, সে দুটি মসজিদও ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ।

      সোনিতপুরের জেলা প্রশাসক দেব কুমার মিশ্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, অভিযানটি তিন দিন ধরে চলবে। কয়েক দশক ধরে হাজার হাজার লোক ‘অবৈধভাবে’ এলাকা দখল করে রেখেছে বলে সে দাবি করে। উগ্র মিশ্র আরো জানিয়েছে, তারা লাঠিমারী, গণেশ তপু, বাঘে তপু, গুলিরপাড় এবং শিয়ালিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে।

      এদিকে, ভেঙ্গে ফেলা বাড়ি থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করার সময়, ফিরোজা বেগম পিটিআই নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে প্রশাসন ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা বলেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে “কোনও তথ্য ছাড়াই ১৪ তারিখ থেকেই উচ্ছেদ শুরু করেছে।”

      উগ্র হিন্দুত্ববাদী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ২০২১ সালের মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন মুসলিম এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ২০০৬ সালের আইন অনুযায়ী মুসলিমরা জমির অধিকারী হলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না হিন্দুত্ববাদী কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, আসামসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম বসতিতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন বুলডোজার চালিয়ে আসছে।

      তবে আসামকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, কেননা এখানকার অধিকাংশ মুসলিম বাংলা ভাষাভাষী। তারা ইংরেজ আমলে আসামে বসতি গড়েন, তার আগেও অনেকে সেখানে গিয়েছেন। এখন হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন ও নেতারা প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশি ও বহিরাগত সাব্যস্ত করছে; সেখানে চীনের আদলে তৈরি করছে বড় বড় বন্দীশিবির।

      মুসলিমদেরকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণাও দিচ্ছে তারা, আর এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে তারা বদ্ধপরিকর। সেক্ষেত্রে এতো বিশাল সংখ্যক একটি জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে এখানে ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি হবে, সহজেই তখন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাহায্য করার নামে সেনা পাঠিয়ে দখল করে নেওয়া যাবে বাংলাদেশ। আসাম ও বাংলাদেশ নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছেন ইসলামি বিশ্লেষকগণ।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Assam: 2,500 Bengali Muslim families go homeless as govt launches demolition drive, two mosques among bulldozed
      https://tinyurl.com/48cvdu82

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X