Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৪ শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৪ শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ঈসায়ী

    আবারও ইসরাইলের রক্তক্ষয়ী হামলা: নিহত ১১, আহত শতাধিক




    ফিলিস্তিনে ফের রক্তক্ষয়ী অভিযান চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এক দিনেই ১১ ফিলিস্তিনি মুসলিমকে খুন ও শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম তীরের নাবলুসে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনী সকালে এলাকাটিতে ডজন ডজন সাঁজোয়া যান এবং বিশেষ বাহিনী নিয়ে অভিযান চালায়। এরপর শহরের সমস্ত প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয় এবং দুইজন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধার বাড়ি ঘেরাও করে তারা। এ সময় দুই ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে শহীদ করে ইহুদি সেনারা।

    এরপরই ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় ইহুদি সেনাদের। দুইজন মুসলিমকে খুন করার পরও দখলদার ইহুদি সেনাদের বর্বরতা এতটুকুও কমেনি, বরং আরও বেপরোয়াভাবে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে থাকে তারা। ফলে হতাহত হন বহু সংখ্যক মুসলিম।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত এ অভিযানে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নিহত এবং কমপক্ষে ১০২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জন মুসলিমের অবস্থা গুরুতর।

    তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র মারফত কমপক্ষে ১১ জন মুসলিম নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এমনিতে প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যা করছে দখলদার বাহিনী। তার ওপর কিছুদিন পর পরই বৃহৎ পরিসরে অভিযানের নামে নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ১৩ শিশু সহ ৬১ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে খুন করেছে ইসরাইলি দখলদাররা। এরপরও কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় নীতি-নৈতিকতাকে পাশ কাটিয়ে নগ্নভাবে দখলদার ইহুদি সন্ত্রাসবাদীদেরকেই সমর্থন করে যাচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. 10 Palestinians killed, over 100 injured by IOF gunfire in Nablus
    https://tinyurl.com/3z53k2sv
    2. lsraeli occupation forces commit a massacre in Nablus city, killing 10 Palestinians and injuring more than 100 others
    https://tinyurl.com/2s4d9hyp






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হায়দারাবাদে পুলিশি নির্যাতনে একজন ও আসামে পুলিশের গুলিতে অপর মুসলিম খুন



    ভারতের হায়দারাবাদে একজন মুসলিমকে গ্রেপ্তারের পর নির্মম নির্যাতন করে খুন করেছে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। ৩৫ বছর বয়সী মুসলিম ব্যক্তি জনাব মুহম্মদ কাদির দৈনিক মজুরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তার কোন অপরাধ প্রমাণিত হয়নি, বরং তার মুখের আকৃতি এক চেইন-ছিনতাই মামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে মিলে ছিল। শুধু এই কারণেই তাকে আটক করা হয়।

    জনাব কাদিরের স্ত্রী জানিয়েছেন, কাদির সাহেবকে গত ২৭ জানুয়ারী হায়দরাবাদে তার বোনের বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী পুলিশ। পরে তেলেঙ্গানার মেদক পুলিশের হেফাজতে মারধরের পরে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার তিনি মারা যান।

    জনাব কাদিরের স্ত্রী আরো জানিয়েছেন, কাদির হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। “পুলিশ সোনার অলঙ্কার চুরির অভিযোগে তাকে তুলে নিয়েছিল। তারা তার উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাকে এতটাই মারধর করা হয়েছিল যে তার হাড়গোড় ভেঙ্গে গেছে। তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াতেও পারেননি এবং পুলিশের নির্যাতনে তার কিডনিও নষ্ট হয়ে গেছে।”

    মোহাম্মদ কাদিরের জীবনের শেষ একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, মেদক পুলিশ আমাকে এতটাই অক্ষম বানিয়ে দিয়েছে যে স্বাক্ষরও করতে পারিনি এবং তার পক্ষে অন্য কেউ করে দিয়েছে।

    মোহাম্মদ কাদিরের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুর পরপরই, মুসলিমরা তার গ্রামে জড়ো হয় এবং তার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

    কিন্তু অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ হলো, এ ধরনের ঘটনায় অপরাধীদের কখনোই কোনো বিচার হয় না। কারণ এ ঘটনায় ভিক্টিম একজন মুসলিম ছিলেন। অন্যথায় ভিক্টিম হিন্দু হলে কখনোই কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া শুধু বাহ্যিক আকৃতির মিল থাকার কারণে এমন নির্মম নির্যাতন করা হতো না।



    একইদিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখেই আসামে পুলিশ অপর একজন মুসলিম যুবককে গুলি করে খুন করেছে।

    টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে অপহরণ ও হত্যা মামলার সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রমাণ উদ্ধার করতে পুলিশ ৩৩ বছর বয়সী শাহ আলম তালুকদারকে গুয়াহাটির বাতাহগুলি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে গুলি করে খুন করা হয়।

    খুনের অপরাধ আড়াল করতে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) দিগন্ত কুমার চৌধুরী দাবি করেছে যে, তালুকদারকে ধরে থাকা পুলিশদের ধাক্কা দিয়ে একটি জঙ্গল এলাকার দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে গুলি করা হয়েছে।

    তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন-পুলিশের এ দাবি বাস্তবতার পরিপন্হী। একটি বাহিনীর কাছ থেকে একজন হাতকড়া লাগানো সাধারণ ব্যক্তি পালিয়ে আর কতটুকুই বা যেতে পারে! আর যদি খুনের ইচ্ছে না থাকতো তাহলে তাকে পায়ে বা এমন জায়গায় গুলি করা যেতো, যেখানে গুলি লাগলেও মানুষ মারা যায় না। আর কেউ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই কি তাকে গুলি করে খুন করা বৈধ হয়ে যায়?

    বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ২০২১ সালের মে মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে হিন্দুত্ববাদী পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই মুসলিম। পুলিশের সহিংসতায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫৪ জন। এছাড়াও মুসলিমদের উপর ধরপাকড় ও তাদের বসতিগুলোতে বুলডোজার চালানোকে নিয়ম বানিয়ে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন আসাম সরকার, যে অভিযানগুলোতে কোন আইনের তোয়াক্কাও করা হয় না।


    তথ্যসূত্র:
    ———
    1. Muslim man arrested ‘mistakenly’, killed due to brutal custodial torture in Hyderabad
    https://tinyurl.com/yckjmu4j
    2. Muslim man killed in Assam police firing
    https://tinyurl.com/4x3kxmfa
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      থাইল্যান্ডে মারা গেছেন ৯ বছর ধরে বন্দী থাকা উইঘুর শরণার্থী!



      ৪৯ বছর বয়সী উইঘুর মুসলিম শরণার্থী আজিজ আব্দুল্লাহ। দীর্ঘ ৯ বছর ব্যাংককের অভিবাসী বন্দী শিবিরে বন্দী থাকার পর মারা গেছেন তিনি। শরণার্থী হিসেবে ন্যুনতম মানবিকতাবোধও তাঁর প্রতি দেখায়নি থাইল্যান্ড। তাঁর মৃত্যুর পর মানবাধিকার গ্রুপগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা ৯ বছর ধরে থাইল্যান্ডের বন্দী শিবিরে থাকা প্রায় ৫০ শরণার্থীর দুর্দশার মানবিক সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

      আব্দুল্লাহ দক্ষিণ-পশ্চিম জিনজিয়াংয়ের (পূর্ব-তুর্কিস্তানের) একজন কৃষক ছিলেন। ২০১৩ সালের শেষদিকে তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছান। সাথে ছিল তাঁর সাত সন্তান, তাঁর স্ত্রী এবং ভাই। তাঁর স্ত্রী তখন গর্ভবতী ছিলেন। ছোট এই কাফেলা মালয়েশিয়া হয়ে তুর্কির পথে যাচ্ছিলেন। তবে তাদের থামিয়ে দেওয়া হয় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে। বন্দী করে রাখা হয় অভিবাসী বন্দী শিবিরে।

      বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের শরণার্থী সেন্টারের ডিরেক্টরের দাবি, থাই কর্তৃপক্ষ আব্দুল্লাহকে হাসপাতালে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। অথচ আব্দুল্লাহ প্রায় এক মাস ধরেই খুব অসুস্থ।
      “তিনি কাশি দিচ্ছিলেন এবং রক্ত-বমি করছিলেন। খেতে পারতেন না। একজন ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে বলে যে, তাঁর অবস্থা না-কি সাধারণ (Normal) আছে!”

      অবশেষে তাঁর অবস্থা যখন প্রায় মরণাপন্ন, তখন নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যু সনদে বলা হয়, তিনি ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন।

      চীনের কমিউনিস্ট সরকার উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালাচ্ছে। চীনের সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে মুক্তি পেতে মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বহু উইঘুর শরণার্থী। কিন্তু বিশ্ববাসী উইঘুর মুসলিমদের প্রতি সুবিচার করেনি। অনেকে উইঘুর মুসলিমদের আবারো চীনের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।

      থাইল্যান্ড ২০১৫ সালে ১০৯জন উইঘুর মুসলিমকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চীনে ফেরত পাঠ। আজিজ আব্দুল্লাহর ভাইও তাঁদের একজন। এই উইঘুর মুসলিমদেরকে রাষ্ট্রায়ত্ত চীনা মিডিয়া সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে যুক্ত বলে অভিহিত করে। চীনে ফেরত যেতে বাধ্য হওয়ার পর এই মুসলিমদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা জানা যায়নি।

      গত বছর পর্যন্ত আরও অন্তত ৫০জন উইঘুর মুসলিম থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছেন। তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন তাঁদের সাহায্যের চেষ্টাকারী কর্মীরা। উইঘুর মুসলিমদের একজন থেকে অপরকে পৃথক রাখা হয়েছে, বাহিরের বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এ যেন চীনেরই আরেক ডিটেনশন সেন্টার!

      দ্য পিপল’স অ্যামপাওয়ারম্যান্ট ফাউন্ডেশনের ছালিদা তাছারুয়েনসুক বলেছেন, “সাধারণ থাই কারাগারগুলো থেকে এগুলো আরও অনেক বেশি খারাপ, খুব বেশি জনাকীর্ণ, খাবারের অভাব আছে। যে খাবার দেওয়া হয়, তাও স্বাস্থ্যকর নয়। মুসলিম বন্দীদের জন্য হালাল খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। পানীয়গুলোও পরিষ্কার নয়; ট্যাপের পানি পান করতে হয়। স্বাস্থ্যযত্নের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদেরকে কেবল পেইন-কিলার অথবা এই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়।”

      আজিজ আব্দুল্লাহর মৃত্যু- কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উইঘুর মুসলিম শরণার্থীদের প্রতি কেমন অবিচার করেছে, তার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Uyghur asylum seeker dies after 9 years in detention https://tinyurl.com/ywvxeued
      2. Aziz Abdullah: Uyghur asylum-seeker death heaps pressure on Thailand
      https://tinyurl.com/yeytksu5

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যে সত্যের পক্ষে দাঁড়ায় তাকে পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

        Comment


        • #5
          ইয়া রব!
          মুসলিমদেরকে তুমি কাফেরদের নির্যাতন থেকে হেফাজত করো ।

          Comment

          Working...
          X