Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১২ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ৩০ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১২ ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ৩০ সেপ্টেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    সোমালিয়ায় এক মহিলাসহ ১০ জনকে নাগরিককে হত্যা করল মার্কিন বাহিনী

    দক্ষিণ সোমালিয়ার মধ্য শাবেলী রাজ্যে জঘন্যতম গণহত্যা চালিয়েছে ক্রুসেডার মার্কিন ও সোমালীয় বিশেষ বাহিনী, এতে এক মহিলা সহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

    শাহাদাহ্ নিউজ এজেন্সীর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সোমালিয়ার মধ্য শাবেলী রাজ্যের লেগো শহরে দখলদার মার্কিন ও সোমালীয় বিশেষ বাহিনী যৌথভাবে এক জঘন্যতম গণহত্যা চালিয়েছে। ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর বালেদোগলি সামরিক বিমানবন্দরে নিকটে অবস্থিত এই শহরটি। ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর যৌথভাবে পরিচালিত এই জঘন্য গণহত্যায় এক মহিলা সহ কমপক্ষে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

    শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, ক্রুসেডার আমেরিকান বাহিনী এবং তাদের দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালি বিশেষ বাহিনী শহরের বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ করেছে। তারা শহরের মানুষের উপর জঘন্য অপরাধ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আমেরিকান ও সোমালি বাহিনী শহরে কমপক্ষে দশ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, যাদের মাঝে একজন মহিলাও ছিল।

    এই গণহত্যার কথা বলতে গিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের একজন বলেছিলেন: "আমার নাম ওমর, কাফেররা লেগো সিটির কেন্দ্রীয় বাজারে আমাদের আক্রমণ করেছিল, এসময় তারা আমার স্ত্রী সহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। সোমবার লোকজন শপিং করার জন্য নগরীর কেন্দ্রীয় বাজারে গিয়েছিল, আর তখনই এই জঘন্যতম হামলাটি চালিয়েছে কাফেররা।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ১৮ বছর পর ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া স্বামীকে দেখে আবেগে আত্মহারা স্ত্রী

    বিয়ের মাত্র তিনমাসের মাথায় আটক হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ইহুদি সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনের আব্দুল করিম মুখদার নামে এক ব্যাক্তি।

    গতো ২৮ সেপ্টেম্বর আব্দুল করিম ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জেনিন শহরের জালামা চেকপয়েন্টে ফুলের তোড়া হাতে স্বামীকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন তার স্ত্রী জিনান। এসময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমেই দৌড় দিয়ে স্বামীর দিকে এগিয়ে যায় আর স্বামীও দৌড়ে এসে পরম আবেগে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন। দীর্ঘসময় পর একে অপরকে কাছে পেয়ে আবেগে আত্মহারা হয়ে যান তারা।

    গতো ২০০২ সালের জুন মাসে ৩১ বছর বয়সী যুবক আব্দুল করিমের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ২৬ বছর বয়সী জিনান সামারা’র। এরপর বিয়ের মাত্র তিনমাসের মাথায় একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইসরায়েল বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে আব্দুল করিমকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে স্বামীর মুক্তির জন্য প্রহর গুনছিলো স্ত্রী। অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বামী মুক্তি পাওয়ায় বাকি জীবন একসাথে কাটানোর সুযোগ পেলেন তারা।

    আব্দুল করিমের স্ত্রী জিনান বলেন, আমি আল-কুদস ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করার দু’বছর পর ২০০২ সালের জুন মাসে আবদুল করিম মুখদারের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ে হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ইসরায়েল বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায় ঘৃণ্য ইহুদি বাহিনী। পরবর্তীতে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর থেকে আমি কোনদিন স্বামীর হাত ধরতে পারিনি। ইসরায়েলি কারাগারে মাসে একবার ৪৫ মিনিটের জন্য স্বামীর সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো। আমাদের মাঝখানে কাচের দেওয়াল থাকায় আমরা ফোনে কিছু কথা বলতাম। আমরা দু’জনেই হাত নাড়াতাম কিন্তু একজন আরেকজনকে স্পর্শ করতে পারতাম না।

    সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      চলতি বছর ফিলিস্তিনিদের ৫ শতাধিক বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল

      ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের ৫ শতাধিক বাড়িঘর
      ভেঙে দিয়েছে ইহুদি সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

      গতো ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা 'ওসিএইচ 'এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

      বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র পশ্চিম তীরেই বিল্ডিং পারমিট না থাকার অজুহাতে ৫০৬ টি ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল সৈন্যরা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কখনোই ফিলিস্তিনিদেরকে বিল্ডিং পারমিট দেয় না। অথচ ফিলিস্তিনিরা কোন বাড়ি নির্মাণ করলেই বিল্ডিং পারমিট না থাকার অজুহাতে নির্মিত বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। যদি কোন বাড়িওয়ালা নিজ বাড়ি ভেঙে দিতে অস্বীকার করে তাহলে বাড়ি নির্মাতা বাড়ি ভাঙতে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিতে হয়।
      ইহুদিদের কর্তৃক চলমান ধ্বংসলীলার করণে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিচলিত হয়ে পড়েছে।

      সূত্র: ডেইলি সাবাহ
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাবুল বাহিনীর হামলায় মা ও দুই শিশুসহ কমপক্ষে ৬ জন হতাহত

        আফগানিস্তানের মধ্য লগমন প্রদেশের আলিনগর জেলায় মুরতাদ কাবুল বাহিনীর মর্টার হামলায় অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছেন।

        পুশ্তভাষী সংবাদ মাধ্যম 'নন এশিয়া' জানিয়েছে, গত ২৯শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আলিনগর জেলার একটি এলাকায় মুরতাদ কাবুল সরকারী সৈন্যরা বেসামরিক লোকদের বাড়িতে মর্টার গুলি চালিয়েছে। এতে একজন মা ও দুই শিশুসহ কমপক্ষে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছেন।

        এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, কাবুল সরকারি সেনারা মাঝে মধ্যে নাগরিকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চীনে উইঘুরদের পর এবার উতসুল মুসলিমদের ওপর নির্যাতন

          কোনো কারণ ছাড়াই চীনের হাইনান দ্বীপের সানয়া শহরে বাসকারী উতসুল মুসলিমদের স্থানীয় স্কুল ও সরকারি অফিসে ধর্মীয় পোশাক পরিধান নিষিদ্ধ করেছে চীনা সরকার। ফলে মুসলিমরা হিজাব বা নিকাব পরিধান করতে পারবে না। সানয়া জিংজিয়াং থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের মতো।

          চলতি মাসের শুরুতে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে উতসুল অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ হতে দেখা গেছে। চীনের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে ‘তিয়ানয়া উতসুল প্রাইমারি স্কুলে’র বাইরে একদল মেয়ে হিজাব পরে পাঠ্যপুস্তক পড়ছে এবং পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে।

          নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উতসুল সমাজকর্মী বলেন, ‘প্রশাসনিক আদেশ হলো কোনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী স্কুলে তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করতে পারবে না। কিন্তু সানয়াতে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের প্রাত্যহিক জীবনে ধর্মীয় পোশাক পরিধান করে না। সুতরাং এ আদেশে তাদের কিছু যায় বা আসে না। আমাদের বিষয়টি ভিন্ন। হিজাব মুসলিম সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। হিজাব খোলা মুসলিমদের জন্য ‘উলঙ্গ’ হওয়ার মতো।’

          কমিউনিস্ট পার্টির একটি নথি গত বছর ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে’র হাতে আসে এবং তা যাচাই করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘একটি সম্মিলিত প্রচারণার সর্বশেষ ধাপ হলো সিনসিজমের যেসব মুষ্টিমেয় পাড়ায় উতসুলরা বসবাস করে, খায় ও প্রার্থনা করে সেখানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।’

          চার পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন থেকেও উতসুলদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়। যার শিরোনাম ‘ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট রিগার্ডিং দ্য স্ট্রেংদেনিং অব ওভারঅল গভর্ন্যান্স ওভার হুইসিন অ্যান্ড হুইহুই নেইবারহুড’। সানয়ার বেশির ভাগ অধিবাসী মুসলিম হওয়ার পরও এখানে শুধু দুটি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা হয়েছে।

          উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট পার্টির এক নথিতে নির্দেশনা রয়েছে যে, ‘সমস্যা’র সমাধানে কর্তৃপক্ষ মুসলিম পাড়াগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করবে এবং ধর্মীয় ও আরব স্থাপত্যের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। মসজিদগুলো পুনর্নির্মাণের সময় ছোট করা হবে এবং তা ‘আরবীয় স্থাপত্যরীতি’তে নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হবে। এমনকি দোকানের সামনে চীনা বর্ণে ‘হালাল’ ও ‘ইসলামিক’-এর মতো মুসলিম পরিভাষা সরিয়ে ফেলা হবে।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মহান আল্লাহ ওই সকল মুসলিমদের সাহায্য করুন। চীনা নরপশুগুলোকে আল্লাহ ধ্বংস করুন। ওদেরকে লাঞ্ছনাকর যন্ত্রদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাক।

            Comment

            Working...
            X