Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৭শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ মার্চ , ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৭শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ মার্চ , ২০২৩ ঈসায়ী

    মুসলিম গণহত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনার দাবি হিন্দু ধর্মগুরুর



    কঠোর মুসলিম বিদ্বেষী ঘোষণা এবং বির্তকিত মন্তব্য করে প্রায়ই সমালোচিত হয় হিন্দু পুরোহিত জগদগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ। এবার সে ‘কীভাবে সমস্ত মুসলমানকে ভারত থেকে নির্মূল করা উচিত’ সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনার দাবি করেছে।

    হিন্দুত্বওয়াচ-এর টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, তাকে একজন সংবাদ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে দেখা যায়, যেখানে সে স্পষ্টভাবে বিবৃতি দিচ্ছে যে, ভারতে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকার কোন অবকাশ নেই। অবশ্যই সমস্ত মুসলিমদের হত্যা করা উচিত। এটাই তাদের নায্য পাওনা।

    সে আরও বলেছে যে ভারতকে শীঘ্রই একটি হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে। এবং সর্ব-হিন্দু রাষ্ট্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এমন এক ব্যক্তি হবে, যে ভগওয়া-পরা (গেরুয়া-পরিহিত) গুরু হবে, এবং তাকে অবশ্যই সমস্ত জিহাদিদের (মুসলিমদের) নির্মূল করতে হবে, এবং ভারত থেকে সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করতে হতে।

    কথিত জগদগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে মুসলমানদের জাতিগত নির্মূল নিয়ে আলোচনা করেছে। এবং মোদিকে সে অনুরোধ করেছিল যে তাকে অবশ্যই এক ঘন্টার জন্য ভারতের শাসনভার দিতে হবে। সে বলেছিল,”আমি এই এক ঘন্টার মধ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করব(অর্থাৎ যারা হিন্দু নয় তাদের উচ্ছেদ করব)”।

    সে আরও বলেছে, আমি মোদীজিকে পরামর্শ দিয়েছি যে, সমস্ত ‘জিহাদিদের’ নির্মূল করার সেরা দিন শুক্রবার। যখন মোদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে কেন সেদিন। তখন আমি জানিয়েছি “কারণ আমি এমন সব স্পট জানি যেখানে শুক্রবারে তাদের পাওয়া যায়। তাই সহজেই নির্মূল করা যাবে।”

    উল্লেখ্য, মুসলিমরা শুক্রবারে জুমার সালাত আদায় করার জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদগুলোতে একত্রিত হন। এই পুরোহিত কতটা জঘন্যভাবে জুমার সালাতে মুসলিমদের নির্মূল করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এছাড়া মুসলিমদের জান্নাতে যাওয়ার আশাকে সে ব্যঙ্গ করে বলেছে, ‘জিহাদিদের’ একেবারে নির্মূল করে ‘স্বর্গে পাঠিয়ে দিতে চাই। তারা সব সময় স্বর্গে যাওয়া আশা করে। এর ফলে সরাসরি তাদের প্রিয় স্বর্গে পাঠানোর একটি সমাধানও হয়ে যাবে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. I have discussed the genocide of Muslims with PM Modi, claims a Hindu priest!
    https://tinyurl.com/mr35rvw7

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বিহারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চার স্থানে মুসলিমদের উপর হামলা


    হিন্দুদের নৃশংস মারধরে নিহত একজন মুসলিম।

    ভারতের বিহার রাজ্যে গত ২ সপ্তাহে চার স্থানে মুসলিমদের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিহারের গয়াতে হিন্দু জনতা “চুরির সন্দেহে” মোহাম্মদ বাবর, সাজিদ এবং রখমুদ্দিন নামে তিনজন মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে মারধর করে; এরমধ্যে পিটিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খুন করে অপর একজন মুসলিমকে। আর বাকি দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখে তারা৷ নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, এটি একটি “টার্গেটেড কিলিং”এর ঘটনা ছিল।

    এ ঘটনার পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিহারে আরও একজন মুসলিমকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটে। বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার মিরপুর গ্রামের মালিয়া টোলার বাসিন্দা আব্বাস আনসারিকে হিন্দু জনতা পিটিয়ে হত্যা করেছে। গত দুই সপ্তাহে, বিহারের চারটি জেলা (গয়া, রাক্সৌল, সমষ্টিপুর, পূর্ব চম্পারণ) থেকে হামলা ও মারধরের এই খবরগুলো পাওয়া গেছে।

    রাক্সৌলে হিন্দু জনতা আনসারুল শেখ নামে একজন বয়স্ক মুসলিম ব্যক্তিকে গরুর মাংস বহন করার অভিযোগে মারধর করে হিন্দু জনতা। মারধরের জন্য হিন্দুদের বিচারের পরিবর্তে আনসারুল শেখের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং তাকে আটক করে হয়রানি করা হয়।

    ২৫ ফেব্রুয়ারি, মুহাম্মদ ফাইয়াজ নামে এক মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিবন্ধী মুসলিম যুবককে সমষ্টিপুরে হিন্দু জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। এত অল্প সময়ের মধ্যে মুসলিমদের উপর হামলার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও,ভারতীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় নি।

    ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে বিহারের জনসংখ্যার ১৬.৯% মুসলিম। হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ট হওয়ায় কারণে-অকারণেই তারা মুসলিমদের উপর হামলা চালায়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মত বিহারেও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মুসলিমদের হতাহত করার ঘটনা। এসব ঘটনা মুসলিম গণহত্যার হুমকিকে দিন দিন আরও জোরালো করে তুলছে।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. 2nd week, four mob lynchings
    https://tinyurl.com/5zzxm2r6
    2. Bihar: Lynched Muslim man, injured booked for theft, families allege foul play, police forms SIT as protest erupts
    https://tinyurl.com/ms4esu9x
    3. video:
    https://tinyurl.com/4xpmcmzh

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লিদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সৌদি সরকার


      পবিত্র কাবায় নামাজের মনোরম দৃশ্য- ফাইল ছবি।


      মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও মর্যাদার মাস মাহে রমাদান, যার জন্য মুসলিমরা অধির আগ্রহভরে অপেক্ষা করে মাসের পর মাস। মুসলিমদের দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত এই বরকতময় মাস শুরুর আর কয়েকদিন মাত্র বাকী।

      এরই মধ্যে পবিত্র এই মাসের ইবাদতকে ঘিরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে সৌদি আরব সরকার। এসব বিধি নিষেধের মধ্যে রয়েছে মসজিদে মাইকের সাউন্ড কমানো ও ইতিকাফকারীদের ওপর নজরদারি, তারাবিহ নামাজের দৃশ্য ধারণ ও সম্প্রচারের ওপর নিষেধজ্ঞা।

      গত ৩ মার্চ সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ শেখ এক বিবৃতিতে রমাদান মাসকে ঘিরে দশটি পয়েন্ট সংবলিত আদেশনামা জারি করে। আদেশগুলো সেদেশের সবাইকে মেনে চলতে হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
      সৌদি ধর্ম মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতি- ছবি:টুইটার।
      আদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘ইমাম ও মুয়াজ্জিন খুব প্রয়োজন ব্যতীত অনুপস্থিত থাকবে না, তারাবিহ নামাজ দীর্ঘায়িত করা যাবে না, রমজানের শেষ দশ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ ফজর নামাজের অনেক আগেই শেষ করতে হবে। নামাজের সময় ক্যামেরা ব্যবহার করে তা সম্প্রচার করা যাবে না। পাশাপাশি রমজান মাসের শেষ দশ দিন যারা মসজিদে ইতিকাফ পালন করবে তাদের সবার নাম-পরিচয় ইমাম ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করতে হবে।

      এছাড়াও রোজাদারদের ইফতার করানোর জন্য কোন প্রকার দান-সাদাকা সংগ্রহ করা যাবে না, মসজিদের ভেতরে ইফতারের আয়োজন করা যাবে না, তবে মসজিদের বাহিরে ইফতার করা যাবে।
      বাবা-মায়ের সাথে নিজ সন্তানকে নামাজে নিয়ে আসার ওপরও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

      পবিত্র রমাদান মাস মানেই ইবাদতের উৎসাহ-উদ্দীপনা। আর এই উদ্দীপনা পুরো বছর জুড়েই মুসলিমদের মনে দোলা দিয়ে থাকে। এছাড়াও পুরো বছর আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ-নিষেধ পালনের এক গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা লাভ হয় এ মাসে। আর এ মাসেই শিশুদের মসজিদে আসা, মসজিদে ইফতার করা ও ইতিকাফের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে সৌদি সরকার।

      সৌদি সরকার একদিকে ইসলামি বিধিনিষেধ পালনে বাধা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে পবিত্র ভূমিতে গান-বাজনা, নাটক, সিনেমা ও বিভিন্ন পশ্চিমা অনুষ্ঠান চালু করছে। সৌদি সরকারের এসব কাজকে নিঃসন্দেহে ইসলামি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার নীল-নকশা হিসেবেই দেখছেন হক্কপন্থী আলেমগণ।



      তথ্যসূত্র:
      ——–
      1. Saudi Arabia imposes restrictions on Ramadan practices, limiting loudspeakers and surveiling worshippers
      https://tinyurl.com/3crjsyya

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ তুমি জালেমদের কাছ থেকে ্মুসলমানদের হেফাজত কর

        Comment


        • #5
          ইয়া রব
          আপনি মুসলিমদের হেফাজত করুন। আমিন।
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-13-2023, 09:23 AM.

          Comment


          • #6

            এটা ইহুদীদের চক্রান্ত।তারা যেমনি ভাবে মসজিদে আকসার মধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে তেমনি ভাবে তারা মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর মধ্যেও হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে।






            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment


            • #7
              এই সকল উস্কানি দাতা পুরোহিতদেরকে হত্যা করা উচিত।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X