বিহারে রাম নবমীর মিছিল থেকে মসজিদে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ
বিহারে রাম নবমী উদযাপনকারী হিন্দুরা মসজিদে ভাংচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়
বিহারের নালন্দা জেলার বিহার শরীফে রাম নবমী উদযাপনকারী হিন্দুরা একটি মসজিদে ভাংচুর চালিয়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। উগ্র হিন্দু জনতা এক মুসলিমের দোকানেও আগুন দিয়েছে। গত ৩১ মার্চ, রাম নবমীর মিছিল করার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোহতাস জেলার সাসারামেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
মাকতুব মিডিয়ার প্রতিবেদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সাথে কথা বলার সময়, মুরারপুর মসজিদের ইমাম বলেন, ‘মসজিদের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মিছিলে সংঘর্ষ হয়েছিল। মসজিদের চারপাশে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। মসজিদটি একটি মোড়ে অবস্থিত এবং মসজিদের আশেপাশে মুসলিমরা না থাকার সুযোগে হিন্দুত্ববাদী জনতা হামলা চালায়।’
ইমাম সাহেব আরও জানিয়েছেন, মসজিদে ছোড়া পাথরের আঘাতে তিনিও আহত হয়েছেন। পাথর নিক্ষেপের পরেই হিন্দু জনতা মসজিদে জড়ো হয়ে তা ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমির বলেছেন, ‘হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলাম রাস্তায় লোকজন গলির দিকে ছুটতে শুরু করেছে। পরের মুহুর্তে, একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন হোটেল সিটি প্যালেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।’
আমিরের মতে, মিছিলের সময় মুসলিমদের প্রতি সাম্প্রদায়িকভাবে উসকানিমূলক হিন্দুত্ববাদী পপ গানগুলি বাজানো হয়। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়।
তবে এই হামলার পিছনে স্থানীয় মুসলিমরা বিজেপি বিধায়ক প্রণব কুমারকে দায়ী করেছেন। কারণ তার নেতৃত্বে পতাকা মিছিল নিয়ে একদল বাইক-সওয়ারী হিন্দু যুবক মুসলিম জনবহুল হজরতগঞ্জ মহল্লায় প্রবেশ করেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হজরতগঞ্জ হয়ে পতাকা মিছিলের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও একদল হিন্দু যুবক ১০০ টিরও বেশি বাইকে চড়ে হজরতগঞ্জ মহল্লা খানকাহ গেটের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় ‘জয় শ্রী রাম বোলো মিয়া কো কাটো’ (শ্রী রাম বলে মিয়াদের (মুসলিমদের) হত্যা কর) এমন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে তলোয়ার নাড়তে থাকে। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর কারণে ৭ বছরের এক মুসলিম শিশু আহত হয়েছে।
চকে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, হিন্দু যুবকরা মিছিল নিয়ে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রণব যাদবের একটি সাদা এসইউভি হজরতগঞ্জ চৌকি পার হচ্ছে।
২০২২ সালে রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীর সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উপর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সে সহিংসতায়ও পাঁচজন আহত হয়েছিল।
সে সময় বিহারের মুজাফফরপুরে রাম নবমী মিছিলের সদস্যরা একটি মসজিদের মিনারে উঠে মাইক ফেলে সেখানে জাফরান পতাকা টানিয়ে দেয়। এতে মিছিলের বাকি সদস্যরা উল্লাস প্রকাশ করেছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে রাম নবমীসহ হিন্দুদের প্রায় সকল আয়োজনেই মুসলিম বিদ্বেষী স্লোগান দেওয়া হয়। উসকানিমূলক হিন্দুত্ববাদী পপ গান বাজিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হিন্দুদের একটি সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Mosque set on fire in Bihar town during Ram Navami procession
– https://tinyurl.com/t6pak99k
2. Bihar: Muslims blame BJP MLA for ruckus during Ram Navami procession
–https://tinyurl.com/t6pak99k
3. VIDEO LINK:https://tinyurl.com/3v8wek29
বিহারে রাম নবমী উদযাপনকারী হিন্দুরা মসজিদে ভাংচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়
বিহারের নালন্দা জেলার বিহার শরীফে রাম নবমী উদযাপনকারী হিন্দুরা একটি মসজিদে ভাংচুর চালিয়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। উগ্র হিন্দু জনতা এক মুসলিমের দোকানেও আগুন দিয়েছে। গত ৩১ মার্চ, রাম নবমীর মিছিল করার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোহতাস জেলার সাসারামেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
মাকতুব মিডিয়ার প্রতিবেদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের সাথে কথা বলার সময়, মুরারপুর মসজিদের ইমাম বলেন, ‘মসজিদের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মিছিলে সংঘর্ষ হয়েছিল। মসজিদের চারপাশে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। মসজিদটি একটি মোড়ে অবস্থিত এবং মসজিদের আশেপাশে মুসলিমরা না থাকার সুযোগে হিন্দুত্ববাদী জনতা হামলা চালায়।’
ইমাম সাহেব আরও জানিয়েছেন, মসজিদে ছোড়া পাথরের আঘাতে তিনিও আহত হয়েছেন। পাথর নিক্ষেপের পরেই হিন্দু জনতা মসজিদে জড়ো হয়ে তা ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমির বলেছেন, ‘হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলাম রাস্তায় লোকজন গলির দিকে ছুটতে শুরু করেছে। পরের মুহুর্তে, একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন হোটেল সিটি প্যালেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।’
আমিরের মতে, মিছিলের সময় মুসলিমদের প্রতি সাম্প্রদায়িকভাবে উসকানিমূলক হিন্দুত্ববাদী পপ গানগুলি বাজানো হয়। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়।
তবে এই হামলার পিছনে স্থানীয় মুসলিমরা বিজেপি বিধায়ক প্রণব কুমারকে দায়ী করেছেন। কারণ তার নেতৃত্বে পতাকা মিছিল নিয়ে একদল বাইক-সওয়ারী হিন্দু যুবক মুসলিম জনবহুল হজরতগঞ্জ মহল্লায় প্রবেশ করেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হজরতগঞ্জ হয়ে পতাকা মিছিলের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও একদল হিন্দু যুবক ১০০ টিরও বেশি বাইকে চড়ে হজরতগঞ্জ মহল্লা খানকাহ গেটের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় ‘জয় শ্রী রাম বোলো মিয়া কো কাটো’ (শ্রী রাম বলে মিয়াদের (মুসলিমদের) হত্যা কর) এমন উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে তলোয়ার নাড়তে থাকে। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর কারণে ৭ বছরের এক মুসলিম শিশু আহত হয়েছে।
চকে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, হিন্দু যুবকরা মিছিল নিয়ে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রণব যাদবের একটি সাদা এসইউভি হজরতগঞ্জ চৌকি পার হচ্ছে।
২০২২ সালে রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীর সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উপর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সে সহিংসতায়ও পাঁচজন আহত হয়েছিল।
সে সময় বিহারের মুজাফফরপুরে রাম নবমী মিছিলের সদস্যরা একটি মসজিদের মিনারে উঠে মাইক ফেলে সেখানে জাফরান পতাকা টানিয়ে দেয়। এতে মিছিলের বাকি সদস্যরা উল্লাস প্রকাশ করেছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে রাম নবমীসহ হিন্দুদের প্রায় সকল আয়োজনেই মুসলিম বিদ্বেষী স্লোগান দেওয়া হয়। উসকানিমূলক হিন্দুত্ববাদী পপ গান বাজিয়ে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হিন্দুদের একটি সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Mosque set on fire in Bihar town during Ram Navami procession
– https://tinyurl.com/t6pak99k
2. Bihar: Muslims blame BJP MLA for ruckus during Ram Navami procession
–https://tinyurl.com/t6pak99k
3. VIDEO LINK:https://tinyurl.com/3v8wek29
Comment