Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২০ রমযান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ এপ্রিল , ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২০ রমযান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১২ এপ্রিল , ২০২৩ ঈসায়ী

    পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর অভিযান, ২ ফিলিস্তিনি নিহত



    ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত দুই ফিলিস্তিনি।


    পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ভেতরে হামলার পর এবার কথিত অভিযানের নামে গোটা পশ্চিম তীর জুড়ে আগ্রাসী হামলা ও ধরপাকড় চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলায় ২ ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন মুসলিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় তারা। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ইহুদি আগ্রাসনে প্রাণ হারালেন প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি।

    গত ৯ এপ্রিল কালকিলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আয়েদ সালিম নামে এক ফিলিস্তিনি যুবককে খুন করেছে ইহুদি বাহিনী। পরের দিন একটি শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মুহাম্মদ বলহান নামে আরও এক কিশোরকে খুন করে তারা। এ সময় অপর দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, জোরপুর্বক তুলে নেওয়া হয়েছে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনিকে।
    জানাজা নামাজ শেষে আয়েদ সালিমের লাশ বহন করছেন ফিলিস্তিনিরা।
    সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইসরাইলের আগ্রাসী অভিযান অব্যাহত ছিল। অভিযান কঠোর করতে ব্যাপক আকারে সেনা বৃদ্ধি করেছে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। চলমান এসব অভিযানের নামে নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করে যাচ্ছে ইহুদিরা।

    এসব অভিযানের নামে পাশবিক নির্যাতনের বেশ কিছু লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ফিলিস্তিনি যুবক দোকানে মালামাল সাজিয়ে রাখার সময় হঠাৎ ইসরাইলি সেনারা তাঁর দোকানে হামলা চালায়। এ সময় সেনারা তাঁকে বেদম মারধর ও চোখে-মুখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নির্যাতন করে।





    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Ayed Saleem (20 y/old), the Palestinian who was show dead by the lsraeli occupation forces east of Qalqilya
    https://tinyurl.com/2ryrepz8
    2. Update: lsraeli occupation forces kill a Palestinian youth in Aqbat Jarb camp
    https://tinyurl.com/285raw6w
    3. While stocking shelves at a local store, a Palestinian youth was attacked by a number of lsraeli occupation soldiers who have aggressively beaten him and assaulted him with pepper spray
    https://tinyurl.com/ztu9zp3f


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কাশগড়ে উইঘুরদের ঐতিহ্যবাহী বাজার ধ্বংস করছে চীন


    [উইঘুরদের শতাব্দী পুরোনো ঐতিহ্যবাহী খান বাজার।]

    কাশগড়ের শত বছরের পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী একটি সমৃদ্ধ বাজার হচ্ছে ‘খান বাজার’। বাজারের মাঝখান দিয়ে গেছে পথচারীদের জন্য তৈরি রাস্তা। আধুনিক পর্যটকরা সেই রাস্তা দিয়ে পায়চারি করছেন। আর কাপড়ের দোকান নিয়ে বসেছেন উইঘুর ব্যবসায়ীরা—এমন সব প্রাণবন্ত দৃশ্য চোখে ভাসছে কাসিমজান আব্দুর রহিমের।

    আরও উন্নত ও আধুনিক করার নামে বাজারটি ধ্বংস করতে শুরু করেছে চাইনিজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আব্দুর রহিম ও তাঁর মতো উইঘুররা বিশ্বাস করেন, চাইনিজ কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ মূলত উইঘুর মুসলিম জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করারই আরেকটি প্রচেষ্টা।

    টিকটক অ্যাপে ছড়িয়ে পড়া একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানের সিঁড়ি, জানালা এবং দরজাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। বাজার রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
    ‘তারা পুরোনো কাঠামো ধ্বংস করে নতুন কাঠামো নির্মাণ করছে। নতুন এই কাঠামো ভূমিকম্প প্রতিরোধী হবে বলে তাদের দাবি,’ বলছেন আব্দুর রহিম। ৪০ বছর বয়সী এই উইঘুর এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে রিয়াল অ্যাস্টেট অ্যাজেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

    উইঘুরদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২২ সালে জিনজিয়াংয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বৃহৎ বাজার কাশগড়ের ‘গ্র্যান্ড বাজার’ ধ্বংস করেছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। বাজারটিতে উইঘুর স্বাতন্ত্র্যসূচক যে সকল বৈশিষ্ট্য ছিল, তার কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি কর্তৃপক্ষ।

    একই পরিণতি হচ্ছে খান বাজারের। এভাবে বাজার ধ্বংসের ফলে নিজেদের ব্যবসা চিরতরে হারানোরও আশঙ্কা আছে। এ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের সাথে বিবাদেও জড়িয়েছিলেন কিছু উইঘুর।

    ফলশ্রুতিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের একজন হলো বাহতিয়ার; বয়স ১৬। এই তরুণের বাবাকেও ২০১৭ সাল থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ বন্দী করে রেখেছে। বাবার অনুপস্থিতিতে বাহতিয়ার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে তার মাকে দোকান পরিচালনায় সাহায্য করে আসছিল।

    জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে অনেক পরিবার তাদের বসতবাড়ি, ব্যবসা এবং আবাদী জমি হারিয়েছেন। কথিত আধুনিকায়নের নামে চীনা কর্তৃপক্ষের চালানো এসব ধ্বংসযজ্ঞের কারণে উইঘুর জাতি তাদের মসজিদ, প্রাচীন বাজার, নিজেদের ঐতিহ্যবাহী স্বকীয়তা হারাচ্ছেন।
    চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ‘খান বাজার’ ধ্বংস করছে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য। তবে তাদের এই দাবিকে নাকচ করে আব্দুর রহিম বলেন, ‘এটা বাস্তবতার সাথে যায় না।’

    তিনি বলেন, ১৯৮০ সাল থেকেই নানা সময় বিভিন্ন বাহানায় বাজার সংস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০০০ থেকে ২০১০ এর মধ্যেও এমন একটি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এমন প্রতিটি সংস্কার কার্যক্রমেই কিছু উইঘুর তাদের বাড়ি এবং দোকানপাট হারিয়েছেন। কারণ তারা সংস্কারের ফি দিতে সক্ষম না। ফলে উইঘুরদের এসব সম্পদ নাম মাত্র মূল্যে কিনে নেয় চীনা ব্যবসায়ীরা। আব্দুর রহিম রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা সরকারের পরিকল্পিত চক্রান্ত।’

    পনেরো শতাব্দী থেকে এই বাজার বসে এখানে। সামনে ইদকাহ মসজিদ। ২০১৬ সাল থেকে এই মসজিদটিও বন্ধ করে রেখেছে চীনা সরকার। উইঘুরদের ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর চীনা ক্র্যাকডাউনের নিদর্শন এগুলো। ইদকাহ মসজিদ থেকে দেখা যায় ব্যস্ত খান বাজার। আব্দুর রহিম ২০১৭ সালে সর্বশেষ এই স্থানটি দেখেছিলেন। এরপর তিনি বাণিজ্য ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে আর ফিরে আসেননি।

    যেসব উইঘুর পরিবার জিনজিয়াংয়ে রয়ে গেছেন, তারা খান বাজার সংস্কার কার্যক্রমের কারণে চিন্তিত। দোকান হারানোর ভয় তাদের মনে। চীনা সরকারের নির্ধারিত সংস্কার ফি দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। কারণ তাদের পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিদের ইতঃপূর্বেই ক্যাম্পে বা কারাগারে বন্দী করে রেখেছে চীনা সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।

    নির্যাতনের ভয়ে নিজেদের উদ্বিগ্নতার কথা জানাতেও পারেন না উইঘুররা। তবু গোপনে যতটুকু দুঃখ প্রকাশ করেন, তাও রাজনৈতিক নেতাদের কানে চলে যায়। ফলে বাজার ধ্বংসের সময় দোকান মালিকদের নজরদারিতে রাখে চীনা কর্তৃপক্ষ। এক পুলিশ সদস্যের সূত্রে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, দোকান মালিক ও বাসিন্দাদের সামাজিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, উইঘুরদের ঘর, দোকান ভেঙ্গে ফেলার সময় কোনো ধরনের প্রতিবাদ করা যাবে না। সবকিছু নীরবে সয়ে যেতে হবে তাদের।

    তথ্যসূত্র:
    —–
    Demolition of Kashgar’s Khan Bazaar creates uncertain future for Uyghur shop owners – https://tinyurl.com/mvxfy6mp

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌত্তলিক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাধ্যতামূলক


      ছবি- মঙ্গল শোভা যাত্রার র‍্যালি।

      আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। নববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও ঘটা করে উৎসব মুখর পরিবেশে দিনটি পালনের ঘোষণা দিয়েছে এ দেশের সেক্যুলার গোষ্ঠী ও সরকার। শুধু তাই নয়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নববর্ষ পালন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার র‍্যালিতে অংশ নেয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

      পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি প্রকাশ্য হিন্দুত্ববাদী মুশরিক আচার-অনুষ্ঠান। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ভালোবাসা, সমর্থন করা ও অংশগ্রহণ করার মতো যেকোনো কাজে মুসলিমদের যুক্ত হওয়া উচিত নয়। এর ব্যাপারে সকল উলামায়ে কেরাম একমত।তারপরও এমন একটি পৌত্তলিক অনুষ্ঠানকে ৯১ শতাংশ মুসলিম দেশের সার্বজনীন অনুষ্ঠান বলে চালিয়ে দিচ্ছে সেক্যুলার গোষ্ঠী। উপরন্তু দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করাকে বাধ্যতামূলক করছে তারা।

      পহেলা বৈশাখ সকাল বেলা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‌্যালি করার জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত কয়েকবছর ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছিল। এভাবে ধীরে ধীরে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে এই পৌত্তলিক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে স্বাভাবিক করা হয়।

      এতদিন এই পৌত্তলিক শোভাযাত্রা সবার জন্য বাধ্যতামূলক না থাকলেও এ বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নববর্ষ উদযাপন ও র‍্যালিতে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।প্রতি বছরই দেখা যায়, পুরো রমজান জুড়েই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটি থাকে।

      তবে করোনাকালীন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস চলে ১৪ রমজান বা ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থাৎ এ বছর ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক স্কুলেও ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। কিন্তু ছুটির মধ্যেও নববর্ষের অনুষ্ঠান করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করতে হবে।

      এ জন্য বন্ধের মধ্যেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রার র‍্যালিতে অংশ নিতে হবে।বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও একটি পৌত্তলিক হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতিকে দেশের মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেয়া ও একে মুসলিম দেশের সংস্কৃতি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য সরকারের চাপ প্রয়োগ সার্বিকভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক।

      তথ্যসূত্র:
      ——
      ১। বন্ধের মধ্যেও পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
      https://tinyurl.com/y33xvfjs







      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X