Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৮ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১৬ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৮ই ছফর , ১৪৪১ হিজরী # ১৬ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    পশ্চিম তীরে আরও দুই হাজারের অধিক ইহুদি বসতি

    ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নতুন করে আরও দুই হাজারেরও বেশি ইহুদি বসতি করতে যাচ্ছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক আইনে এই ধরনের বসতি অবৈধ হলেও, বুধবার নতুন করে দুই হাজার ১৬৬টি বসতির অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রকাশিত বিতর্কিত পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরের বিশাল একটি অংশ দখলের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তার অংশ হিসেবেই বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ‘ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকরণে’র ফলে শক্তিশালী হয়েছে ইসরাইলের নীতি। তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি স্থাপনের পরিকল্পনা আবারো পিছিয়ে যাবে। ইসরাইলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে আরব বিশ্বেরও।’ঢাকা টাইমস
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাংলাদেশকে পাশে পেতে ভারতের সাহায্য চায় যুক্তরাষ্ট্র

    দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বড় দেশ ভারত ও পাকিস্তান যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে জোট গড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে শক্তিশালী করার জন্য এখন বাংলাদেশকে পাশে পেতে চায়।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশের জ্বালানি, আইটি, ওষুধ ও কৃষিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এটা ছিলো দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক এযাবতকালে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা।

    ওয়াশিংটনের ওপেন স্কাই নীতির আওতায় একই দিন বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের একটি চুক্তিও করে ওয়াশিংটন।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি আমাদের মজবুত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করবে, দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে এবং বিমান সংস্থা, পর্যটন কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট সিটিফেন বিগান ১৪ অক্টোবর থেকে ঢাকায় তিন দিনের সফর করছেন।

    ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ডেপুটি সেক্রেটারির আলোচনায় একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়তে আমাদের অভিন্ন ভিশনকে এগিয়ে নেয়া, কোভিড মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো স্থান পাবে।

    চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপোড়ন তৈরি হওয়ায় দুই দেশই বাংলাদেশের মন জয় করতে চাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি বিমানবন্দর টার্মিনালের উন্নয়নের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের কাজ পেয়েছে বেইজিং। অন্যদিকে, বেইজিং বাংলাদেশ ৯৭% রফতানি পণ্যে শুল্ক রেয়াত দিয়েছে।

    বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের (বিআরআই) আওতায় বাংলাদেশের ২৭টি প্রকল্পে ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দানের অঙ্গীকার করেছে বেইজিং।

    তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বরের আলোচনায় নেতৃত্বাদানকারী বাংলাদেশের কর্মকর্তা রহমান। তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘চমৎকার’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হচ্ছে এবং আমরা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছি।

    যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান নয়াদিল্লীকে বলেছেন যে, প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে আরো আলোচনা করবে ওয়াশিংটন। ঢাকার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। সাউথ এশিয়ান মনিটর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এবার শুঁটকি তৈরি শিখতেই বিদেশ যাবে ৩০ কর্মকর্তা

      শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিখতে ৩০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। ‘কক্সবাজার জেলায় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্পের অধীনে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

      প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বিএফডিসি। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতের ব্যয় কমানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের আওতায় একটি জিপ, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি মাইক্রোবাস ও চারটি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু যানবাহনের জন্য অর্থ বিভাগের জনবল কমিটি কোনো গাড়িচালকের পদ সুপারিশ করেনি। প্রকল্পের ডিপিপিতে এসব বিষয় সংশোধন করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

      বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাড়াও অভ্যান্তরীণ প্রশিক্ষণ বাবদ ১ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ৪ হাজার ৮৫৫ জন বিএফডিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী, উপকারভোগী ও স্টেকহোল্ডারের জন্য প্রশিক্ষণ বাবদ এই টাকা ব্যয় হবে। প্রতিজনের প্রশিক্ষণ ভাতা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রশিক্ষণ সামগ্রী (ব্যাগ, নোট প্যাড ও কলম) বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ প্রতিজনের জন্য ব্যয় হবে ৫০০ টাকা। বিডি প্রতিদিন
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        খাবার নিয়ে মারামারি করে আহত ২১ ইসরায়েলি সেনা

        ইসরায়েলের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুপুরের খাবার নিয়ে মারামারিতে ২১ জন সেনা আহত হয়েছেন। জিভন্তি পদাতিক ডিভিশনের কেটিজিওট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে দুইটি আলাদা কোম্পানির সেনারা প্রশিক্ষণের জন্য ঘাঁটিতে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।

        সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, রবিবার তারা খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়ালে বেদুইন ৫৮৫তম গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে সাকেড ব্যাটালিয়ন কোম্পানির সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু‘দলের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
        এ সময় মারামারিতে দুই দলের প্রায় ৩০ জন সেনাসদস্য জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে ২১ জন আহত হন। পরে ট্রেনিং কমান্ডার এসে তাদের এই মারামারি থামান।

        আহতদের মধ্যে আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে পুনরায় মারামারিতে লিপ্ত হন। সে সংঘর্ষ দ্রুত থামিয়ে দেন একজন কমান্ডার। বিডি প্রতিদিন
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ব্যক্তিগত রোষেই রায়হানকে হত্যা করেন এসআই

          সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে মারা যান আখালিয়ার যুবক রায়হান। গত ১১ অক্টোবর দিবাগত রাত তিনটায় তাকে এ ফাঁড়িতে ধরে এনে ভোর ছয়টা পর্যন্ত চালানো হয় নির্যাতন। নির্যাতনের ফাঁকে রায়হানের হাতে একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হয়। রায়হান সেই ফোনে পরিবারের কাছে কল করে জানান, ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে এসে যেন তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এ তথ্য পেয়ে পরিবারের সদস্যরা টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে হাজির হলেও রায়হানের সঙ্গে তাদের দেখাই করতে দেওয়া হয়নি, নেওয়া হয়নি দাবিকৃত টাকাও। পরে জানানো হয়, গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। এসব কারণে প্রশ্ন জেগেছে, শুধু কি ১০ হাজার টাকা আদায় করতেই রায়হানের ওপর নির্যাতন চালান এসআই আকবরসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা? এ প্রশ্নে একাধিক সূত্র বলছে, নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে ইউটিউবের একটি চ্যানেলের নাট্যাভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন এসআই আকবর। তারা যে বাড়িতে নিষিদ্ধ আড্ডা দিতেন, নিহত যুবক রায়হানদের বাড়ি সেই বাড়িটির অদূরেই অবস্থিত। রায়হান ওই বাড়িতে চলা অপকর্ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরোধী ছিলেন। এটি খেপিয়ে তোলে এসআই আকবরকে। তাই রাতে রায়হানকে হাতের নাগালে পেয়ে তাকে আটক করে গায়ের ঝাল মেটান আকবর। তার আক্রোশী নির্যাতনের কারণেই মারা গেছেন রায়হান।

          এদিকে গতকাল বেলা ২টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান জানিয়েছেন, নিহত রায়হানের লাশ কবর থেকে তুলে আবার ময়নাতদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ।

          একে একে বেরিয়ে আসছে আকবরের সব অপকর্ম

          বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম। এতদিন ভয়ে কেউ টুঁ শব্দটি করেননি। এখন এ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর পর উঠে আসছে অনেক অনেক ভুক্তভোগীর অসংখ্য অভিযোগ।

          জানা গেছে, অসহায় মানুষকে এ ফাঁড়িতে ধরে এনে কখনো মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে, কখনো নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হতো। এ ছাড়া বন্দরবাজার, কাষ্টঘর, মহাজনপট্টি এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরাও এই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের হয়রানির শিকার হয়েছেন। বুধবার পিবিআই দল মামলার তদন্ত হিসেবে ফাঁড়ি পরিদর্শনে গেলে সেখানে সমবেত হয়ে ক্ষোভ জানান ভুক্তভোগীরা।

          সবজি ব্যবসায়ী তমিজ আলী বলেন, সকালে সবজি নিয়ে এলাকায় এলেই সবজির ভার আটকে দিয়ে সঙ্গে গাঁজা আছে বলে দাবি করা হয়। তাদের টাকা দিয়ে তবেই ছাড় পাওয়া যায়।

          সঙ্গে গাঁজা না থাকলে টাকা দেন কেন, এমন প্রশ্নে তমিজ আলী বলেন, গাঁজা তো তাদের কাছেই থাকে। আমি না বললে সেটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দেবে।

          স্থানীয় ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ী ফয়েজ বলেন, কতবার যে তাদের হয়রানির শিকার হয়েছি তার ঠিক নেই। কিন্তু কার কাছে অভিযোগ করব? এই এলাকায় তো তাদেরই রাজত্ব।

          বন্দরবাজার এলাকার স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ হকার, আবাসিক হোটেল, মাদকদ্রব্য কেনা-বেচার স্পট, নিশীকন্যাদের অসামাজিক কার্যকলাপের স্পট, ছিনতাইকারী গ্রুপ, জুয়া খেলার স্পটগুলো থেকে প্রতিদিন, সপ্তাহ ও মাসিক হিসাবে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন এসআই আকবর। তার নির্দেশে নিরীহ পথচারীদের আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন ফাঁড়িটির পুলিশ সদস্যরা।

          নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়ির আওতাভুক্ত তালতলা থেকে জিন্দাবাজার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ভাসমান হকার রাস্তা ও ফুটপাতে বসেন। এর মধ্যে প্রত্যেক স্থায়ী হকারের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা এবং ভ্রাম্যমাণ হকারদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা ওঠাতেন এসআই আকবর। এ হিসাবে বন্দর ফাঁড়ির নামে প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হতো হকারদের কাছ থেকে।

          অসামাজিক কাজের সুযোগ করে দিয়ে কয়েকটি হোটেল থেকে মাসোয়ারা আদায় করতেন আকবর। তার ফাঁড়ি এলাকার সুরমা মার্কেটে ২টি, জিন্দাবাজারে ২টি ও কালীঘাটে ২টি- এই ৬টি আবাসিক হোটেল থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার নিতেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

          গুঞ্জন আছে, বন্দর এলাকাভিত্তিক মাদকদ্রব্য বিক্রির একটি বিশাল সিন্ডিকেটও পুষতেন এসআই আকবর। কাষ্টঘর ও কিন ব্রিজের নিচে মদ, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করত এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা নিত আকবর বাহিনী।

          লালদিঘিরপারের সাধারণ ব্যবসায়ীরাও রেহাই পাননি আকবরের কবল থেকে। বৈধ ব্যবসা করেও নিয়মিত চাঁদা দিতে হতো তাদের। না দিলে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হেনস্তা করতেন আকবর। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিমাসে লালদিঘিরপারস্থ হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৩০ হাজার টাকা চাঁদা তুলত আকবরের মদদপুষ্ট পুলিশ সদস্যরা।

          প্রতিরাতে বন্দরবাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ায় ছিনতাইকারী কয়েকটি গ্রুপ। তারা সুযোগ বুঝেই হামলে পড়ে পথচারীদের ওপর, ছিনতাই করে সর্বস্ব লুটে নিত সাধারণ মানুষের। এই ছিনতাইকারীদের কয়েকটি গ্রুপকে শেল্টার দিতেন আকবর। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে পেতেন বড় অঙ্কের টাকা।

          বন্দরবাজার, কিন ব্রিজের মুখ, সুরমা মার্কেট ও করিমুল্লাহ মার্কেটের সামনে এবং ধোপাদিঘির পূর্বপারের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে মাসোয়ারা আদায় করতেন এসআই আকবর।

          সুরমা মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভোরে এবং রাতে ঢাকা অথবা সিলেটের বহিরাঞ্চল থেকে আগত নারী-পুরুষদের রাস্তা থেকে ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে মাদক ও অবাঞ্ছিত নারীদের দিয়ে আটক দেখানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় ছিল এসআই আকবরের নিত্যদিনের কাজ।

          গত ১১ অক্টোবর রাতে এই ফাঁড়িতেই পুলিশের নির্যাতনে মারা যান রায়হান। রাত তিনটায় ধরে এনে ছয়টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয় তাকে। পরিবারের কাছে কল দিয়ে দাবি করা হয় ১০ হাজার টাকা। পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে আসার আগেই নির্যাতনে রায়হানের অবস্থা হয় মুমূর্ষু। তিন ঘণ্টা নির্যাতনের পর সকাল ছয়টায় হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন হাঁটতেও পারছিলেন না রায়হান। হাসপাতালে যাওয়ার কিছুক্ষণে মধ্যে রায়হান মারা গেলে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে প্রথমে প্রচার করে পুলিশ। কিন্তু পুরো এলাকাবেষ্টিত সিসিক্যামেরার ফুটেজে কোনো গণপিটুনির ঘটনা দেখা যায়নি জানার পর বক্তব্য পাল্টায় পুলিশ।
          আমাদের সময়
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X