আরবের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ফরাসি পণ্য বর্জন
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার অপরাধে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে আরবের বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আরব এক্টিভিস্টরা ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বান সম্বলিত হ্যাশট্যাগ।(#boycottfrance #boycott_French_products #ProphetMuhammad)
কুয়েত:
মহানবী ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে অবমাননার মন্তব্য করার অপরাধে ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আল নাঈম কোঅপারেটিভ সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমাদের আন্দোলন প্রতিটি তাক থেকে ফ্রান্সের সকল পণ্য সরিয়ে দেবে।
এছাড়াও কুয়েতের সাবার্ব আফটার নুন অ্যাসোসিয়েশন, ইকাইলা কোঅপারেটিভ সোসাইটি ও সাদ আল আব্দুল্লাহ সিটি কোঅপারেটিভ সোসাইটি মতো বৃহৎ বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠানগুলোও ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান তিনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপারশপ থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে ফেলার ছবি প্রকাশ করেছে।
কাতার:
কাতারের বানিজ্যক প্রতিষ্ঠান আল ওয়াজবা ডেইরি কোম্পানি ও আলমিরা কনজ্যুমার গুডস কম্পানি ফ্রান্স বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জানিয়েছে, ‘আমরা ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের পাশাপাশি এর বিকল্প পণ্য বাজারে সরবরাহ করবো।’
এই বয়কট ক্যাম্পেইনের সাথে আরো যুক্ত হয়েছে কাতারের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্রান্সের ইসলাম বিরোধী অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় ফরাসী সাংস্কৃতিক সপ্তাহ কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘ইসলামী বিশ্বাস, পবিত্রতা ও প্রতীকগুলির যে কোনও অবজ্ঞা ও আক্রমণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যাত।’ টুইটবার্তার মাধ্যমে আরো সংযুক্ত করা হয়েছে, “এই অবমাননা সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজের উন্নত নৈতিক নীতিমালার জন্য ক্ষতিকর, ”
সাম্প্রতিককালে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মুসলমানদের “বিচ্ছিন্নতাবাদ” বলে অভিযুক্ত করে ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইসলামকে “পুরো বিশ্বজুড়ে সঙ্কটের একটি ধর্ম” হিসাবে বর্ণনা করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
ইসলামী বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য কুখ্যাত ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর অব্যাহত উস্কানিমূলক কার্যক্রমের সাথে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমর্থন ও তার নিজস্ব ইসলামবিদ্বেষী অবস্থান এবং পুলিশি পাহারায় প্যারিসের বহুতল সরকারি ভবনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মতো জঘন্য ধৃষ্টতা সমগ্র বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ক্রুদ্ধ ও বিক্ষুব্ধ করেছে। দেশে দেশে মুসলিমরা ফরাসি পণ্য বর্জনের পাশাপাশি শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলছে। চলমান বাস্তবতায় অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মতো বাংলাদেশি মুসলিমদের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স বিরোধী কোনো শক্ত পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি, এক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে বাংলার মুসলিমরা কি নবী প্রেমে পিছিয়ে থাকতে চায়?
———
লেখক: রাফিদ ইয়াজভান
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার অপরাধে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে আরবের বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আরব এক্টিভিস্টরা ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বান সম্বলিত হ্যাশট্যাগ।(#boycottfrance #boycott_French_products #ProphetMuhammad)
কুয়েত:
মহানবী ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে অবমাননার মন্তব্য করার অপরাধে ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আল নাঈম কোঅপারেটিভ সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমাদের আন্দোলন প্রতিটি তাক থেকে ফ্রান্সের সকল পণ্য সরিয়ে দেবে।
এছাড়াও কুয়েতের সাবার্ব আফটার নুন অ্যাসোসিয়েশন, ইকাইলা কোঅপারেটিভ সোসাইটি ও সাদ আল আব্দুল্লাহ সিটি কোঅপারেটিভ সোসাইটি মতো বৃহৎ বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠানগুলোও ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান তিনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপারশপ থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে ফেলার ছবি প্রকাশ করেছে।
কাতার:
কাতারের বানিজ্যক প্রতিষ্ঠান আল ওয়াজবা ডেইরি কোম্পানি ও আলমিরা কনজ্যুমার গুডস কম্পানি ফ্রান্স বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে জানিয়েছে, ‘আমরা ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের পাশাপাশি এর বিকল্প পণ্য বাজারে সরবরাহ করবো।’
এই বয়কট ক্যাম্পেইনের সাথে আরো যুক্ত হয়েছে কাতারের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্রান্সের ইসলাম বিরোধী অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় ফরাসী সাংস্কৃতিক সপ্তাহ কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘ইসলামী বিশ্বাস, পবিত্রতা ও প্রতীকগুলির যে কোনও অবজ্ঞা ও আক্রমণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যাত।’ টুইটবার্তার মাধ্যমে আরো সংযুক্ত করা হয়েছে, “এই অবমাননা সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজের উন্নত নৈতিক নীতিমালার জন্য ক্ষতিকর, ”
সাম্প্রতিককালে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মুসলমানদের “বিচ্ছিন্নতাবাদ” বলে অভিযুক্ত করে ইসলাম ও মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইসলামকে “পুরো বিশ্বজুড়ে সঙ্কটের একটি ধর্ম” হিসাবে বর্ণনা করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
ইসলামী বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জন্য কুখ্যাত ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর অব্যাহত উস্কানিমূলক কার্যক্রমের সাথে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমর্থন ও তার নিজস্ব ইসলামবিদ্বেষী অবস্থান এবং পুলিশি পাহারায় প্যারিসের বহুতল সরকারি ভবনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মতো জঘন্য ধৃষ্টতা সমগ্র বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ব্যাপকভাবে ক্রুদ্ধ ও বিক্ষুব্ধ করেছে। দেশে দেশে মুসলিমরা ফরাসি পণ্য বর্জনের পাশাপাশি শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলছে। চলমান বাস্তবতায় অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মতো বাংলাদেশি মুসলিমদের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স বিরোধী কোনো শক্ত পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি, এক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে বাংলার মুসলিমরা কি নবী প্রেমে পিছিয়ে থাকতে চায়?
———
লেখক: রাফিদ ইয়াজভান
Comment