Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪ যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ জুন, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪ যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৪ জুন, ২০২৩ ঈসায়ী

    ভারতীয় বাহিনীর পেলেট গুলিতে অন্ধ হয়ে যাওয়া কাশ্মীরি যুবতীর সফলতা



    সম্প্রতি কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় দু’চোখ অন্ধ এক মুসলিম যুবতী দ্বাদশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ বছর দেশটিতে দ্বাদশ পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ শীক্ষার্থী ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছেন। এর মধ্যে তিনিও একজন। এর আগে ২০১৮ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষাও অন্ধ অবস্থায় দেন এবং পাশ করেন তিনি।

    কাশ্মীরি এই যুবতির নাম ইনশা মুসতাক। আর সবার মতো তিনি ছিলেন দেহ-মনে সুস্থ, প্রাণোচ্ছল ও হাশিখুশি এক মেয়ে। সবার মতো নিজেই চলতে পারতেন পথঘাট। দেখতে পেতেন পৃথিবীর জান্নাত খ্যাত কাশ্মীর উপত্যকার রুপ-বৈচিত্র্য। তারও ছিল অন্য সবার মতোই ভবিষৎ স্বপ্ন-পরিকল্পনা। কিন্তু তাঁর সব স্বপ্ন ও জীবনকে কঠিন করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী পেলেট গান। সেনাদের পেলেট গুলির আঘাতে তাঁর জীবনের স্বপ্নগুলো এখন বড়ই কঠিন হয়ে গেছে।

    সময়টি তখন ২০১৬। কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় ভারতীয় সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের সময় এক যুদ্ধে বুরহান ওয়ানি শহীদ হন। তিনি ছিলেন কাশ্মীরে প্রতিরোধ জিহাদি আন্দোলনের অগ্রপথিক ও অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তার হত্যার ঘটনায় ওই সময় পুরো কাশ্মিরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় তাঁর খুনের প্রতিবাদে কাশ্মীরের অন্যান্য এলাকার মতো ইনশা মুসতাকের নিজ জেলা শোপিয়ানেও বিক্ষোভ করছিল মুসলিমরা। আর তিনি সেই সময় নিজ বাড়িতে ছিলেন এবং কোন কারণে তিনি ঘরের জানালা খুলছিলেন।

    এদিকে দখলদার বাহিনী কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ থামাতে শুরু করে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পেলেট গানের নৃশংসতা। ওই সময় দূর্ভাগ্যক্রমে দখলদার সেনাদের ছোঁড়া পেলেট গুলি সরাসরি আঘাত হানে তাঁর চোখ-মুখ ও মাথায়। সাথে সাথেই রক্তাক্ত হয়ে উঠে তাঁর মুখ, ফেটে যায় তাঁর মাথা, চিরদিনের জন্য নিভে যায় তাঁর দু’চোখের আলো। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোন লাভ হয়নি, কারণ তার চোখ দুটো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

    হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় বাহিনী ইনশা মুসতাকের চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে প্রাণোচ্ছল আর হাসিখুশি সুন্দর জীবন। পাল্টে দিয়েছে তাঁর ভবিষৎ জীবনের গতিপথ। তবে অন্ধ হয়েও দমে যাননি তিনি, পড়াশোনায় নিয়ে এসেছেন সফলতা। কিন্তু মেয়ের এমন সফলতা পিতা-মাতাকে আনন্দের বদলে বাড়িয়ে দিয়েছে দুঃসহ যন্ত্রণা। তাঁর পিতামাতা এখনও ডুকরে কেঁদে উঠে বলেন, আমাদের মেয়ে কী দোষ করেছিল যে আমার মেয়ের এমন সর্বনাশ করতে হবে।”

    শুধু যে ইনশা মুসতাকের জীবনেই সর্বনাশ নেমে এসেছে এমন নয়, ভারতীয় বাহিনীর পেলেট গুলি কেড়ে নিয়েছে হাজারো কাশ্মীরি মুসলিমের চোখের আলো। ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের সুন্দর জীবন।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০১০ সালের পর থেকে এই পেলেট গুলি কেড়ে নিয়েছে ১৪ জন মানুষের প্রাণ। এছাড়াও ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে কাশ্মীর জুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার সূত্র ধরে পেলেট বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৭৮২ জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কিংবা হারানোর পথে। তবে কাশ্মীরি মানবাধিকার কমিশনের মতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। তারা জানায়, ২০১৬ সালের পর থেকে ৩,৮০০ জন মুসলিম পেলেট বুলেট দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছেন।

    পেলেট গুলির আঘাতে আহত কাশ্মীরি যুবক।

    পেলেট গুলির আঘাতে আহত কাশ্মীরি যুবক।

    পেলেট গুলির আঘাতে আহত কাশ্মীরি শিশু।


    পেলেট গুলির আঘাতে আহত কাশ্মীরি শিশু।


    পেলেট গুলির আঘাতে আহত কাশ্মীরি শিশু।


    বি.দ্র. বুরহান ওয়ানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন: “শহীদ বুরহান ওয়ানি : কাশ্মীর প্রতিরোধ যুদ্ধের অন্যতম বীর প্রতীক”
    https://alfirdaws.org/2022/07/18/58063/


    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1. Blinded by pellets in 2016, Insha Mushtaq qualifies class 12th board exams
    https://tinyurl.com/56aajrmm
    2. Amnesty Postcard Campaign Against Pellet Guns In Kashmir
    https://tinyurl.com/3v3z24tk
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইউপিতে মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ হিন্দু আটক; মুসলিমদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা



    ভারতের উত্তর প্রদেশে চারটি মন্দিরে হিন্দু দেবদেবীর প্রায় এক ডজন মূর্তিকে ভাঙচুর করা হয়। পরে এই কাজে জড়িত চার হিন্দুকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

    বুলন্দশহর জেলার বড়াল গ্রামে গত ০১ জুন ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে। চার অভিযুক্তের নাম হরিশ শর্মা, শিবম, কেশব এবং অজয়। এরা সকলেই বড়াল এলাকার বাসিন্দা।

    যদিও ইতিমধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই জড়িত, তবুও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক হিন্দুত্ববাদী ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে হিন্দুদের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে। অনেকেই দাবি করেছে যে, এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি কাজ হতে পারে।

    মুসলিমদের ফাঁসিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনেক সময় গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব বা এলাকায় এলাকায় গণ্ডগোল থেকেও হিংসাবশত এক পক্ষ আরেক পক্ষের মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়।

    কারণ যাই হোক, এই জাতীয় ঘটনাগুলোতে মুসলিমদের দায়ী করে তাদের উপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটানোর জন্য একপক্ষ সবসময়ই প্রস্তুত থাকে; যেমনতা দেখা গিয়েছে এই ঘটনার ক্ষেত্রেও।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. UP: 4 Hindu men held for Bulandshahr temple vandalism
    https://tinyurl.com/b59my9pw

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মসজিদে জুতা খুলে প্রবেশ করতে বলায় পুলিশ হেফাজতে যুবককে মারধর



      উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলার দরভাইসপুর গ্রামের মুসলিম বাসিন্দা জুনায়েদ বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ইউপি পুলিশ এর দুই সদস্যকে জুতা পরে মসজিদে প্রবেশ না করতে বলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।

      দরভাইসপুর গ্রামটি কোখরাজ থানার আওতাধীন।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জুনায়েদকে তার কথার বিবরণ দিতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, “দুইজন পুলিশ কনস্টেবল, যারা একটি মসজিদে নামাজের আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকার সরাতে আসে, তারা জুতা পরে সোজা ভিতরে ঢুকেছিল এবং আমি তাদের না করার পরেও তারা আমার কথা শোনেনি।”

      “ফিরে আসার সময় তারা আমাকে ‘ইয়ে জায়াদা বোল রাহে’ বলে ইশারা করে এবং আমাকে টেনে তাদের পুলিশ জিপে তুলে নিয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, “পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে আমাকে আটকে রাখে এবং আমার শরীর, হাত ও কানে জোরে জোরে মারতে থাকে। মারধরের কারণে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে গেছে।”

      আর তার শরীরের ক্ষত চিহ্নগুলো প্রমাণ করে যে তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে।জুনায়েদ বলেছেন, সেদিন পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অফিসার তাকে হুমকি দিয়েছে যে, থানায় যা হয়েছে তা প্রকাশ করলে তার অবস্থা ভয়াবহ হবে।স্থানীয় সংবাদপত্র অনুসারে, জুনায়েদ পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে পুরো ঘটনাটি জানায় এবং তার ক্ষতগুলিও দেখায়। পুলিশ সুপার তাকে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। তবে অপরাধীদের এখনো কোন ধরণের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।

      তথ্যসূত্র:
      ——
      1. UP: Muslim youth alleges assault in police custody after requesting officers to remove shoes in mosque
      https://tinyurl.com/5n9a7k63






      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলি, নিহত ৫০ উর্ধ্ব প্রবীণ



        সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা থামছেই না। গত পাঁচ দিনে ৪ বাংলাদেশির ওপর গুলি চালিয়েছে বিএসএফ। এর মধ্যে ৩ জনকে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে ও অপর ১ জনকে ভারতের অভ্যন্তরে গুলি করে বিএসএফ। তাদের মধ্যে গত ১০ জুন ঠাকুরগাঁওয়ে জিন্নাত আলী নামের ৫০ উর্ধ্ব এক বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। জানা যায়, তিনি সীমান্তের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। এতেই বিএসএফ গুলি করে ঐ বৃদ্ধাকে।

        খুনের এ ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবি-বিএসএফ এর মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনের সীমান্ত সম্মেলন চলছে ভারতের নয়াদিল্লিতে। গত ১০ জুন থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আর এই সম্মেলনের মধ্যেই সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে গুলি চালিয়েছে বিএসএফ।

        অন্যদিকে গত ৫ জুন লালমনিরহাট সীমান্তে ইউসুফ মিয়া নামে এক বাংলাদেশিকে খুন করে বিএসএফ। জানা যায়, সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পৌঁছেছিল একদল বাংলাদেশি। সেখানে কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে মিলে তারা গরু আনার চেষ্টা করছিল। এ সময় বিএসএফ তাদের গ্রেফতার না করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ইউসুফ মিয়া নিহত হয়, অন্যরা পালিয়ে চলে আসে।

        এর আগে গত ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে গরু চড়াচ্ছিলেন দুই কৃষক। এ সময় হঠাৎই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বিএসএফ। এতে দু’জন কৃষকই আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

        প্রতি বছর কয়েক দফা সীমান্ত সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত। এ পর্যন্ত ৫৩ বার সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। বরাবরই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনার বিষয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কেবল মুখেই রয়ে যায়। বাস্তবে বাংলাদেশিদের (শুট এট সাইট) দেখা মাত্রই গুলি করে বিএসএফ। বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সীমান্তে কেউ অপরাধ করলে আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু ভারত এ বিষয়টি না মেনে গুলি করে হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।



        বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থিত দুই পক্ষের কর্মকর্তারা।
        একেতো সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত, অন্যদিকে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের অভ্যন্তরে গুলি করছে বিএসএফ- যা চরম পর্যায়ের ঔদ্ধত্য প্রদর্শন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কিংবা বিরোধী দল কেউই এ বিষয়ে জোরালো আওয়াজ তুলছে না।

        তথ্যসূত্র:
        ——
        ১। লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
        https://tinyurl.com/2p89v54d
        ২। কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই কৃষক আহত
        https://tinyurl.com/22drt3x7
        ৩। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি খুন
        https://tinyurl.com/54fx5dhe


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আল ফিরদাউস টিমের ভাইদের মেহনতগুলো কবুল করুন। আমিন

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা আমাদের জালিমদের থেকে হেফাজত করুন,আমীন।
            Last edited by tahsin muhammad; 06-18-2023, 09:46 PM.

            Comment


            • #7
              ইয়া রব, আমাদের মুসলিম ভাইদের তুমি কাফিরদের হাত থেকে হেফাজত করো । তাওহীদের পতাকা হাতে নিয়ে মুসলিমদের আবার তুমি জাগবার তাওফীক দান করো ।

              Comment

              Working...
              X