ড. আফিয়া! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন।
ড. আফিয়া সিদ্দিকী আজ ২০ বছর যাবত ক্রসেডার আমেরিকার হাতে বন্দি। শিকল আর বেড়ীতে তার পুরো দেহ জড়ানো। দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছে, শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছে। শারিরীক নির্যাতনে আজ সে পর্যুদস্ত। দেহের এমন কোন অঙ্গ নেই যার উপর পিচাশরা নির্যাতন করেনি। কোন পশুকেও এমন নির্যাতন করা হয় না।
মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্ত উম্মাহকে জানানো হয় সে মৃত্যু বরণ করেছে। বিশ বছর পর সত্য প্রকাশ করে তারা জীবিত থাকার খবর জানায়। মানবতার সবকদাতারা এখানে সব মানবতা খুয়ে ফেলেছে। মিথ্যা অভিযোগে ৮৬ বছরের কারাদন্ড দিয়ে তারা আবারো প্রমাণ করেছে যে, আসলে মানবতা নয় বরং স্বার্থটা তাদের নিকট বড়। তাদের স্বার্থ বিরোদ্ধ কেউ কোন কথা বলে অথবা কেউ যদি নিজ দেশ বা জাতির উপকারে কোন কাজ করে তাহলে সেও অপরাধী হয়ে যায়। তখন তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হয় কেবল তাকে দমন করা। এ ক্ষেত্রে তার নিজেরা সফল না হলে তাদের নামধারী দোসরদের কাজে লাগায়। উম্মাহর জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি আজ তাদের জালে আবদ্ধ। প্রথমে তারা আপসে তার কাছ থেকে প্রকল্পটি নিতে চায়, তাতে সুবিধা করতে না পারায় বিয়ের ফাঁদে ফেলে তারে কাছ থেকে উদ্ধার করার প্রয়াস চালায়। আর এ কাজে সবটুকু দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের পা-চাটা গোলাম, কুলাঙ্গার, জালেম আমজাদ খান। সে প্রথমে তাকে বিয়ে করে। তারপর তার কাছ থেকে সেটা উদ্ধার করার চেষ্টা চালায় কিন্তু ড. সিদ্দিকী তাকে দিতে অস্বীকার করলে সে তাকে শারিরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এতেই তারা থেমে যায় না বরং তারা আশঙ্কা করে যদি প্রকল্পটি মুসলমানদের হাতে এসে যায় তাহলে তাদের বহু পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে, মুসলমানরা আবার হয়তো তাদের সোনালী ইতিহাসের দিকে ফিরে যাবে। তাই এখন তারা শেষ পদক্ষেপ নেয়- তার প্রাক্তন স্বামীর দ্বারা অভিযোগ দাড় করায় যে, তিনি এক ভয়ংকর মহিলা, তার কাছে মানব বিধ্বংসী প্রকল্প আছে। এই সুযোগটাকে তারা পরিপূর্ণ কাজে লাগায়। তারা তাকে গুম করে ফেলে। পরবর্তী দাস্তান আরো দীর্ঘ...
তালেবান যখন তাকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নেয় তখন সর্বপ্রথম বাধা দেয় তাদের পাকিস্তানী দোসররা। একবারও চিন্তা করল না যে, এই মেয়েটা যদি তাদের নিজের মেয়ে হতো তাহলে কি তাদের হাতে এভাবে ছেড়ে দিতে পারত!
এখন পাকিস্তানে তাকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন চলছে, মিটিং-মিছিল হচ্ছে কিন্তু উম্মার সাধারণ মানুষগুলোর এ দরদ ও পদক্ষেপগুলো কি তাকে মুক্ত করতে পারবে? পারবে কি তাকে তাদের জিঞ্জির থেকে বের করে আনতে? কারণ ইটের বিপরীতে যদি পাটকেল না থাকে তাহলে তো জবাব যথাযথ হয় না। তবু চাই উম্মার এ বীরাঙ্গনা যেন মুক্ত হয়, যেন নরপিচাশদের কালো থাবা থেকে বের হয়। কারণ সে তো আমার মা, সে তো আমার বোন। তার প্রতিটা আঘাত যেন আমার গায়ে নয় বরং কলিজায় লাগে, তার প্রতিটা অশ্রু যেন আমার অন্তরে রক্ত হয়ে গড়িয়ে পরে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি......
ডা. আফিয়া! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন, শেষ দিনে আমাদের অপরাধী হিসেবে দাঁড় করিয়েন না।
ড. আফিয়া সিদ্দিকী আজ ২০ বছর যাবত ক্রসেডার আমেরিকার হাতে বন্দি। শিকল আর বেড়ীতে তার পুরো দেহ জড়ানো। দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছে, শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গিয়েছে। শারিরীক নির্যাতনে আজ সে পর্যুদস্ত। দেহের এমন কোন অঙ্গ নেই যার উপর পিচাশরা নির্যাতন করেনি। কোন পশুকেও এমন নির্যাতন করা হয় না।
মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্ত উম্মাহকে জানানো হয় সে মৃত্যু বরণ করেছে। বিশ বছর পর সত্য প্রকাশ করে তারা জীবিত থাকার খবর জানায়। মানবতার সবকদাতারা এখানে সব মানবতা খুয়ে ফেলেছে। মিথ্যা অভিযোগে ৮৬ বছরের কারাদন্ড দিয়ে তারা আবারো প্রমাণ করেছে যে, আসলে মানবতা নয় বরং স্বার্থটা তাদের নিকট বড়। তাদের স্বার্থ বিরোদ্ধ কেউ কোন কথা বলে অথবা কেউ যদি নিজ দেশ বা জাতির উপকারে কোন কাজ করে তাহলে সেও অপরাধী হয়ে যায়। তখন তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হয় কেবল তাকে দমন করা। এ ক্ষেত্রে তার নিজেরা সফল না হলে তাদের নামধারী দোসরদের কাজে লাগায়। উম্মাহর জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি আজ তাদের জালে আবদ্ধ। প্রথমে তারা আপসে তার কাছ থেকে প্রকল্পটি নিতে চায়, তাতে সুবিধা করতে না পারায় বিয়ের ফাঁদে ফেলে তারে কাছ থেকে উদ্ধার করার প্রয়াস চালায়। আর এ কাজে সবটুকু দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের পা-চাটা গোলাম, কুলাঙ্গার, জালেম আমজাদ খান। সে প্রথমে তাকে বিয়ে করে। তারপর তার কাছ থেকে সেটা উদ্ধার করার চেষ্টা চালায় কিন্তু ড. সিদ্দিকী তাকে দিতে অস্বীকার করলে সে তাকে শারিরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এতেই তারা থেমে যায় না বরং তারা আশঙ্কা করে যদি প্রকল্পটি মুসলমানদের হাতে এসে যায় তাহলে তাদের বহু পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে, মুসলমানরা আবার হয়তো তাদের সোনালী ইতিহাসের দিকে ফিরে যাবে। তাই এখন তারা শেষ পদক্ষেপ নেয়- তার প্রাক্তন স্বামীর দ্বারা অভিযোগ দাড় করায় যে, তিনি এক ভয়ংকর মহিলা, তার কাছে মানব বিধ্বংসী প্রকল্প আছে। এই সুযোগটাকে তারা পরিপূর্ণ কাজে লাগায়। তারা তাকে গুম করে ফেলে। পরবর্তী দাস্তান আরো দীর্ঘ...
তালেবান যখন তাকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নেয় তখন সর্বপ্রথম বাধা দেয় তাদের পাকিস্তানী দোসররা। একবারও চিন্তা করল না যে, এই মেয়েটা যদি তাদের নিজের মেয়ে হতো তাহলে কি তাদের হাতে এভাবে ছেড়ে দিতে পারত!
এখন পাকিস্তানে তাকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন চলছে, মিটিং-মিছিল হচ্ছে কিন্তু উম্মার সাধারণ মানুষগুলোর এ দরদ ও পদক্ষেপগুলো কি তাকে মুক্ত করতে পারবে? পারবে কি তাকে তাদের জিঞ্জির থেকে বের করে আনতে? কারণ ইটের বিপরীতে যদি পাটকেল না থাকে তাহলে তো জবাব যথাযথ হয় না। তবু চাই উম্মার এ বীরাঙ্গনা যেন মুক্ত হয়, যেন নরপিচাশদের কালো থাবা থেকে বের হয়। কারণ সে তো আমার মা, সে তো আমার বোন। তার প্রতিটা আঘাত যেন আমার গায়ে নয় বরং কলিজায় লাগে, তার প্রতিটা অশ্রু যেন আমার অন্তরে রক্ত হয়ে গড়িয়ে পরে। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি......
ডা. আফিয়া! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন, শেষ দিনে আমাদের অপরাধী হিসেবে দাঁড় করিয়েন না।
Comment