ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্য ও হয়রানির কারণে অ্যাপল থেকে পদত্যাগ
ভারতে অ্যাপল কোম্পানির বেঙ্গালুরু শাখা থেকে জনাব খালিদ পারভেজ নামের একজন চাকুরিজীবী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জনাব পারভেজ মানসিক হয়রানির শিকার হওয়া, তার প্রতি সহকর্মীদের অশালীন ভাষার ব্যবহার, সমস্যা সমাধানে কোম্পানি ব্যবস্থাপনার অনাগ্রহ ও পক্ষপাতিত্ব এবং ইসলামফোবিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি নিজের একটি লিংকড-ইন পোস্টে জনাব পারভেজ কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে “সহানুভূতি প্রকাশের অভাব” রয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি অ্যাপলে নিজের উন্নয়নের জন্য যে সুযোগ পেয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলেননি।
পারভেজ উল্লেখ করেছেন যে, তার প্রতি সহকর্মীদের ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য ও হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের পর ম্যানেজমেন্টের তদন্তের সময় তাকে বারবার সিস্টেমের উপর আস্থা রাখতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি তখনই দেখতে পেয়েছেন যে, সমস্যা সমাধানে তারা পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।
অবশেষে দুই মাসের তথাকথিত ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ’ তদন্তের পরে ম্যানেজমেন্ট তার অভিযোগগুলো অস্বীকার ও পাল্টা অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই করেনি। এমনকি জনাব পারভেজের মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক সমস্যাগুলি নিয়ে উপহাসও করা হয়েছে। পারভেজ অভিযোগ করেছেন যে, তার মানসিক স্বাস্থ্যের উদ্বেগগুলিকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি, বরং উপহাস করা হয়েছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, সংস্থাটি তার অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার পরিবর্তে তার উত্থাপিত বিষয়গুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি লিংকড-ইন-এ লিখেছেন, “যখন আমি ইসলামোফোবিক মন্তব্য সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি, তখন ই.আর. বলেছিল যে আমার কোনো অভিযোগমূলক বিবৃতি বা ঘটনা অন্য কর্মচারীদের দ্বারা প্রমাণিত হয়নি।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কোনও তদন্ত হয়নি, বরং এটি ছিল কিছু বড় কর্পোরেট কাভার আপ তথা লোক দেখানো তদন্ত।”তিনি তার পোস্টে আরো লিখেছেন, “আমি কেন পদত্যাগ করেছি- তার একমাত্র কারণ হল আমার অ্যাপল সহকর্মী এবং আমার সমস্ত সহকর্মী কর্পোরেট ভিকটিমদের কাছে আমি একটি বার্তা পৌঁছে চিতে চাই। আর তা হল- অনুগ্রহ করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাবেন না। যখনই আপনি বৈষম্য, অসদাচরণ কিংবা কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার বা গুন্ডামি দেখবেন, তখন অনুগ্রহ করে আপনার আওয়াজ তুলুন।
আমার মতো সিস্টেমটিকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না (অন্তত স্থানীয় সিস্টেমকে বিশ্বাস করবেন না)। দয়া করে রুখে দাড়ান, এবং দয়া করে প্রতিটি বিষয় প্রমাণসহ সংগ্রহ করুন।”
ভারতে ইসলামবিদ্বেষ কতটা গভীরে শেকড় গেড়েছে, জনাব পারভেজের এই ঘটনা তার একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ। অ্যাপলের মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেও তিনি ইসলামবিদ্বেষী আচরণ ও উপহাস থেকে বাঁচতে পারেন নি। ভারতের বাস্তব পরিস্থিতি মুসলিমদের জন্য কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে- তা এই ঘটনার মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে।তথ্যসূত্র:
——
1. Bengaluru Muslim employee resigns from Apple, citing Islamophobia and harassment
–https://tinyurl.com/bdcnr9w4
ভারতে অ্যাপল কোম্পানির বেঙ্গালুরু শাখা থেকে জনাব খালিদ পারভেজ নামের একজন চাকুরিজীবী পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জনাব পারভেজ মানসিক হয়রানির শিকার হওয়া, তার প্রতি সহকর্মীদের অশালীন ভাষার ব্যবহার, সমস্যা সমাধানে কোম্পানি ব্যবস্থাপনার অনাগ্রহ ও পক্ষপাতিত্ব এবং ইসলামফোবিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি নিজের একটি লিংকড-ইন পোস্টে জনাব পারভেজ কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে “সহানুভূতি প্রকাশের অভাব” রয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি অ্যাপলে নিজের উন্নয়নের জন্য যে সুযোগ পেয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলেননি।
পারভেজ উল্লেখ করেছেন যে, তার প্রতি সহকর্মীদের ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য ও হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের পর ম্যানেজমেন্টের তদন্তের সময় তাকে বারবার সিস্টেমের উপর আস্থা রাখতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি তখনই দেখতে পেয়েছেন যে, সমস্যা সমাধানে তারা পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।
অবশেষে দুই মাসের তথাকথিত ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ’ তদন্তের পরে ম্যানেজমেন্ট তার অভিযোগগুলো অস্বীকার ও পাল্টা অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই করেনি। এমনকি জনাব পারভেজের মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক সমস্যাগুলি নিয়ে উপহাসও করা হয়েছে। পারভেজ অভিযোগ করেছেন যে, তার মানসিক স্বাস্থ্যের উদ্বেগগুলিকে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি, বরং উপহাস করা হয়েছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, সংস্থাটি তার অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার পরিবর্তে তার উত্থাপিত বিষয়গুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি লিংকড-ইন-এ লিখেছেন, “যখন আমি ইসলামোফোবিক মন্তব্য সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি, তখন ই.আর. বলেছিল যে আমার কোনো অভিযোগমূলক বিবৃতি বা ঘটনা অন্য কর্মচারীদের দ্বারা প্রমাণিত হয়নি।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে কোনও তদন্ত হয়নি, বরং এটি ছিল কিছু বড় কর্পোরেট কাভার আপ তথা লোক দেখানো তদন্ত।”তিনি তার পোস্টে আরো লিখেছেন, “আমি কেন পদত্যাগ করেছি- তার একমাত্র কারণ হল আমার অ্যাপল সহকর্মী এবং আমার সমস্ত সহকর্মী কর্পোরেট ভিকটিমদের কাছে আমি একটি বার্তা পৌঁছে চিতে চাই। আর তা হল- অনুগ্রহ করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাবেন না। যখনই আপনি বৈষম্য, অসদাচরণ কিংবা কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার বা গুন্ডামি দেখবেন, তখন অনুগ্রহ করে আপনার আওয়াজ তুলুন।
আমার মতো সিস্টেমটিকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না (অন্তত স্থানীয় সিস্টেমকে বিশ্বাস করবেন না)। দয়া করে রুখে দাড়ান, এবং দয়া করে প্রতিটি বিষয় প্রমাণসহ সংগ্রহ করুন।”
ভারতে ইসলামবিদ্বেষ কতটা গভীরে শেকড় গেড়েছে, জনাব পারভেজের এই ঘটনা তার একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ। অ্যাপলের মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেও তিনি ইসলামবিদ্বেষী আচরণ ও উপহাস থেকে বাঁচতে পারেন নি। ভারতের বাস্তব পরিস্থিতি মুসলিমদের জন্য কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে- তা এই ঘটনার মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে।তথ্যসূত্র:
——
1. Bengaluru Muslim employee resigns from Apple, citing Islamophobia and harassment
–https://tinyurl.com/bdcnr9w4
Comment