মহারাষ্ট্রে দাঙ্গার পরে আটককৃত মুসলিমদের হিন্দু জামিনদার নিয়োগের নির্দেশ
মহারাষ্ট্র পুলিশের সদস্যবৃন্দ। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
চলতি বছর ২০২৩ সালের মে মাসে উত্তর-মধ্য মহারাষ্ট্রের আকোলা শহরে মুসলিমদের উপর হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক আক্রমনের ঘটনা ঘটে। হিন্দুরা মুসলিমদের উপর ব্যাপক ভিত্তিতে হামলা চালানোর পরেও পুলিশ ১৫০ জনের বেশি মুসলিমকে আটক করে।
আটককৃত মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা জামিন পেতে পারেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরে আকোলা সিটি পুলিশ জামিনদার হিসাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি গ্যারান্টার হওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। অথচ এটি ভারতীয় সংবিধান ও আদালতেরও নির্দেশের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আকোলায় মুসলিমদের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনে এটি একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত করছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস (এপিসিআর) এর সাথে যুক্ত একজন আইনজীবী এম. বদর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনেকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি দ্য ওয়্যারকে বলেছেন যে, মুসলিমদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন দেওয়ার সাথে সাথে তাদের সবাইকে স্থানীয় অপরাধ শাখার সামনে সারিবদ্ধ করা হয়। “অভিযুক্তদের প্রত্যেককে তখন বলা হয় যে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে পুলিশের সামনে তাদের জামিন হিসাবে জামিন দেওয়ার জন্য।”
এছাড়া এই জামিনের জন্য মুসলিমদের ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ রুপির মত কিছু খরচ করতে হবে, যা বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তি বহন করতে অক্ষম।
আইনজীবী এম. বদর উল্লেখ করেছেন, টাকার বিষয়টি যেমনি হোক বা না হোক কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকেদের জামিনের গ্যারান্টার হিসেবে হাজির করতে বলার এই দাবিটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হাইকোর্টের আদেশে ইতিমধ্যেই এই ধরনের পুলিশি পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক এবং বেআইনি বলে অভিহিত করেছে। তারপরেও শুধু মুসলিমদের হয়রানি করার জন্য এমন অযৌক্তিক কাজ হচ্ছে। আর হিন্দুরা মুসলিমদের জামিন দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক।
আদালতের আদেশও ভারতের পুলিশেরা অমান্য করে চলেছে হরহামেশাই। আর মুসলিমদেরকে একের পর এক হয়রানি করেই যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Akola Police Ask Muslim Men Accused of Rioting To Furnish Hindu Guarantors
– https://tinyurl.com/ynm2hfcy
মহারাষ্ট্র পুলিশের সদস্যবৃন্দ। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
চলতি বছর ২০২৩ সালের মে মাসে উত্তর-মধ্য মহারাষ্ট্রের আকোলা শহরে মুসলিমদের উপর হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক আক্রমনের ঘটনা ঘটে। হিন্দুরা মুসলিমদের উপর ব্যাপক ভিত্তিতে হামলা চালানোর পরেও পুলিশ ১৫০ জনের বেশি মুসলিমকে আটক করে।
আটককৃত মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা জামিন পেতে পারেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরে আকোলা সিটি পুলিশ জামিনদার হিসাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি গ্যারান্টার হওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। অথচ এটি ভারতীয় সংবিধান ও আদালতেরও নির্দেশের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আকোলায় মুসলিমদের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনে এটি একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত করছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস (এপিসিআর) এর সাথে যুক্ত একজন আইনজীবী এম. বদর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনেকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি দ্য ওয়্যারকে বলেছেন যে, মুসলিমদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন দেওয়ার সাথে সাথে তাদের সবাইকে স্থানীয় অপরাধ শাখার সামনে সারিবদ্ধ করা হয়। “অভিযুক্তদের প্রত্যেককে তখন বলা হয় যে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে পুলিশের সামনে তাদের জামিন হিসাবে জামিন দেওয়ার জন্য।”
এছাড়া এই জামিনের জন্য মুসলিমদের ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ রুপির মত কিছু খরচ করতে হবে, যা বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তি বহন করতে অক্ষম।
আইনজীবী এম. বদর উল্লেখ করেছেন, টাকার বিষয়টি যেমনি হোক বা না হোক কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকেদের জামিনের গ্যারান্টার হিসেবে হাজির করতে বলার এই দাবিটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। হাইকোর্টের আদেশে ইতিমধ্যেই এই ধরনের পুলিশি পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক এবং বেআইনি বলে অভিহিত করেছে। তারপরেও শুধু মুসলিমদের হয়রানি করার জন্য এমন অযৌক্তিক কাজ হচ্ছে। আর হিন্দুরা মুসলিমদের জামিন দিতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক।
আদালতের আদেশও ভারতের পুলিশেরা অমান্য করে চলেছে হরহামেশাই। আর মুসলিমদেরকে একের পর এক হয়রানি করেই যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Akola Police Ask Muslim Men Accused of Rioting To Furnish Hindu Guarantors
– https://tinyurl.com/ynm2hfcy
Comment