Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২২ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২২ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ১১ জুলাই, ২০২৩ ঈসায়ী

    আগ্রায় বাড়িতে ঢুকে মুসলিম যুবতীকে শ্লীলতাহানি



    ভারতের উত্তর প্রদেশে এক মুসলিম বাড়িতে ঢুকে এক যুবতীকে শ্লীলতাহানী করেছে হিন্দুরা। এ ঘৃণ্য কাজে বাধা দেওয়ায় ঐ যুবতীর ভাই ও আত্মীয়দের পিটিয়ে আহত করেছে আগ্রাসী হিন্দুরা।

    স্থানীয় সূত্র মতে, গত ৪ জুন সন্ধ্যায়, ট্রান্স যমুনা থানার আওতাধীন একটি হিন্দু প্রধান এলাকায় চার হিন্দু যুবক জোরপূর্বক একটি মুসলিম বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর সে বাড়িতে ভাংচুর ও ১৮ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবতীকে শ্লীলতাহানি করে।

    আক্রমণকারী হিন্দুদেরকে বাধা দেওয়ায় ঐ মুসলিম পরিবারের অন্য সদস্যদের উপরও আক্রমণ চালিয়েছে তারা। ঘটনার পর দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐ হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় হামলাকারীরা লাঠি নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং বাড়িতে রাখা একটি মোটর সাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেয়।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাড়ির মালিক জানান, দুষ্কৃতিকারিরা বিশেষভাবে তার যুবতী মেয়েকে টার্গেট করেছিল। ওরা মেয়েটির উপর হামলে পড়ে এবং তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। এসময় বাধা দেওয়ায় বিশাল কুমার, সঞ্জয় কুমার, শীলু এবং ছোটু নামে চার হিন্দু বাড়ির অন্যান্যদের উপরও আক্রমণ চালায়। সেসময় আরও কয়েকজন হিন্দু বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিল বলে জানান ঐ বাড়ির মালিক।

    টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘হামলাকারীদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। তারা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে এবং আমাদের বাড়িতে পাথর ছুঁড়ে মারে। আমার মেয়ের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করায় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আমার দুই ছেলেও আহত হয়েছে। আমাদের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

    মেয়েটির ভাই বলেন, ‘আমাদের বাড়ির বাইরে প্রতিবেশীরা জড়ো হলে হামলাকারীরা চলে যাবার আগে আমাদের হুমকি দিয়ে যায়। ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আমাদের উপর তাদের আক্রমণ চলে। আমাদের উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এলাকার একমাত্র মুসলিম পরিবার হওয়ার কারণে আমাদের টার্গেট করা হয়েছিল।’

    পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুরাজ কুমার রায় বলেছে, ‘চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। পলাতক অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

    তথ্যসূত্র:
    ——-
    1.Muslim Family in Agra Targeted, Girl Sexually Assaulted as Four Men Attack Their Home
    https://tinyurl.com/mr299z59

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে পুলিশি নির্যাতনে মুসলিম যুবকের মৃত্যু



    উত্তর প্রদেশের রাতাউল গ্রামের ২৬ বছর বয়সী মুসলিম যুবক সাজিদ পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত আঘাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ভিকটিমের স্বজনদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, সাজিদকে একটি আম বাগানে বেআইনি জুয়া খেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতাউল পুলিশ গ্রেপ্তার করে। হেফাজতে নেওয়ার পর রাতাউল পুলিশ পোস্টে পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্মম মারধরের শিকার হয় বলে জানা গেছে।

    আঘাতের তীব্রতার কারণে তার স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হয়। গুরুতর আহত হয়ে যাওয়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ সদস্যরা সাজিদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে পুলিশ আহত সাজিদকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে, যারা তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খেকরার নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে, গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই সাজিদ মারা যান।

    সাজিদের ভাই শাহাবুদ্দিন দ্য অবজারভার পোস্টের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, “তাকে আটক করেই মারধর করা হয়। এবং একটি মোটরসাইকেলের মাধ্যমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্বরতা অব্যাহত ছিল। যখন আমরা যখন তার মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎ করি তখন সে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। আমাদের কাছে দেওয়ার পরে আমরা অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যা মুসলিমদের মাঝে তাৎক্ষণিক আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।”

    গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা চৌধুরী সাজিদের মতে, “একদল ছেলে একটি পার্কে তাস ও লুডু গেম খেলছিল। হঠাৎ পুলিশ এসে সাজিদকে শারীরিকভাবে মারধর শুরু করে। পরে তারা তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরিবার তাকে আহত অবস্থায় থানা থেকে হাসপাতাল নিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল তাকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়।”

    জনাব চৌধুরী বলেন, সাজিদ তিন সন্তানের পিতা এবং সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

    পুলিশি বর্বরতায় মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাজার হাজার গ্রামবাসী এবং আত্মীয়রা রাতাউল বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয়, সেখানে তারা বিচারের দাবিতে সাজিদের প্রাণহীন দেহটি রেখে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিবেশ ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

    পরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নামে, সিও প্রীতা সিং, সিও রাকেশ কুমার শর্মা, সিও বিজয় চৌধুরী সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের এবং তিনটি থানার বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। গ্রামবাসীরা, পুলিশি অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে রাস্তা অবরোধ করে।
    পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার বাহানায় সাজিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় স্থানীয় পুলিশ।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    1.Muslim Youth Allegedly Tortured To Death By Police In Uttar Pradesh’s Rataul (The Observer Post)
    https://tinyurl.com/5ab5wd2z

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সীমান্তে আরেক বাংলাদেশিকে খুন করলো বিএসএফ



      আবারও এক বাংলাদেশিকে খুন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নিহত বাংলাদেশির নাম সুজন আলী।
      গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হলে গত ৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

      স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাতে ভারত থেকে গরু আনতে সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন সুজন সহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। এ সময় বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সুজন গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ জুলাই মৃত্যু হয় তার।

      সীমান্তে পাচার রোধে বাংলাদেশিদের হত্যা করার অযুহাত দেখায় ভারত। অথচ সরকারি-বেসরকারি অনেক সূত্রই নিশ্চিত করেছে যে দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে পাচার হয়। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বাধা প্রদান করার ব্যাপারে সেভাবে তথ্য জানা যায় না। কিন্তু খোদ বিএসএফ সদস্যরাই এসব পাচারে জড়িত থাকার বহু প্রমাণ নানান সময়ে পত্র-পত্রিকায় এসেছে।

      আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমান্তে অপরাধীদের গ্রেফতারের বিধান রয়েছে। ভারত অন্যান্য দেশের সঙ্গে সীমান্তে এ আইন মেনে চললেও বাংলাদেশ সীমান্তে কখনই তা মানে না। বরং সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করাকে নিয়মে পরিণত করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এর তথ্য অনুযায়ী এবছর মাত্র ছয় মাসেই ১১ বাংলাদেশিকে খুন ও ১৪ বাংলাদেশিকে গুরুতর আহত করেছে ভারত।


      তথ্যসূত্র:
      ১। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু
      https://tinyurl.com/537vxd24
      ২। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী ১১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে : আসক
      https://tinyurl.com/2s4xw6pt
      ৩। বিএসএফের সহযোগিতায় বেনাপোল সীমান্ত পথে পাচার হচ্ছে মাদক ও অস্ত্র
      https://tinyurl.com/38367pbn

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইনশাআল্লাহ সেই দিন বেশী দূরে নয় যেদিন ভারতের মালাউনদের পায়ের তলায় পিশে মারা হবে।

        Comment


        • #5
          ইন্নালিল্লাহ
          এই খবরগুলো শুনলে বুকটা কেপে উঠে ।

          আল্লাহ মুসলিমদের তুমি হেফাজত করুন । আমীন ।

          Comment


          • #6
            Originally posted by salahuddin bin ali View Post
            ইন্নালিল্লাহ
            এই খবরগুলো শুনলে বুকটা কেপে উঠে ।

            আল্লাহ মুসলিমদের তুমি হেফাজত করুন । আমীন ।
            আল্লাহ আমাদের বোনদের হেফাজত করুন,

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালা জালিমদের ধ্বংস করুন। আমীন

              Comment


              • #8
                ইনশাআল্লাহ অচিরেই মালাউনদের সকল আস্ফালন বন্ধ হয়ে যাবে। উম্মাহর বীরেরা খুবই তাড়াতাড়ি তাদের সব কটাকে তাদের ঠিকানা জাহান্নামে পাঠিয়ে ক্ষান্ত হবেন ইনশাআল্লাহ।
                Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-20-2023, 09:22 AM.

                Comment

                Working...
                X