Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট: উন্নয়নের পথে আফগানিস্তানের যাত্রা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট: উন্নয়নের পথে আফগানিস্তানের যাত্রা


    আফগানিস্তানে গণতন্ত্র কায়েমের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হতাহত করে, দেশটির অবকাঠামো ধ্বংস করে ২০২১ সালের আগস্টে আফগান ছেড়ে পালিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দখলদার বাহিনী। এর মাধ্যমে আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের অসম যুদ্ধের পর আফগানিস্তানে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।

    ক্ষমতায় আরোহণের পরই আফগানিস্তান পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগ দেন তাঁরা। কিন্তু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপে পরিণত দেশ, অন্যদিকে বহিঃশত্রুর অসহযোগিতামূলক আচরণ, অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে কঠিন এক পথ ছিল ইমারতে ইসলামিয়ার সামনে। তবে এতসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও আফগানিস্তানকে নতুন রূপে বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছেন ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।

    ক্ষমতায় আরোহণের মাত্র দুই বছরের মধ্যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তাঁরা। বিশ্বব্যাংকও তালিবান সরকারের এই সাফল্যকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। বিশ্বব্যাংক আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিষয়ে তাদের সর্বশেষ ৩১শে জুলাই ২০২৩ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের ক্রমোন্নতির কিছু দিক তুলে ধরেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের মে মাসের হিসাবে আফগানিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি সংকোচিত হয়ে -২.৮৩% হয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্যের উপর উল্লেখযোগ্য হারে কর কমিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে আফগানিস্তানে খাদ্য উৎপাদনে খরচ কমেছে এবং বেড়েছে উৎপাদন, তাই কমেছে খাবারের দাম।

    অবশ্য এখনও আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সাহায্য ও রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল। কারণ, দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা মার্কিন নিয়ন্ত্রিত সরকারের আমলে আফগানিস্তানকে সম্পূর্ণভাবে বিদেশের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল। ফলত, এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে আফগান জাতির।

    আফগানি মুদ্রার ক্রমাগত মূল্যমান বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। আফগানি মুদ্রার মূল্যমান ইরানের তুমানের বিপরীতে ৪১.২%, পাকিস্তানের রুপির বিপরীতে ১৯.৫%, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৩.৯%, চায়নার ইউয়ানের বিপরীতে ৩.৩% এবং ভারতীয় রুপির বিপরীতে ০.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈদিশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বর্তমানে আফগানি মুদ্রা বেশ দৃঢ়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থারও উন্নয়নের চিত্র বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
    ২০২৩ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা এখন সপ্তাহে ৫০ হাজার আফগানি পর্যন্ত তুলতে পারবেন। আগের তুলনায় এই অর্থ উত্তোলনের উচ্চসীমা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারীদের প্রায় সবাই যথাসময়ে বেতন পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছে বিশ্বব্যাংক। সেই সাথে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।

    রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের প্রথম চার মাসে তালিবান সরকার ৬৩ বিলিয়ন আফগানি রাজস্ব আদায় করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে পণ্য রপ্তানির হারও। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মে মাসে রপ্তানি মূল্য ০.৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এসময় কয়লা ছিল প্রধান রপ্তানি পণ্য, আর সবজি রপ্তানিও বেড়েছে ১%।

    হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের সূত্রে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে ২০২৩ এর জুনের মধ্যে ৫.১ মিলিয়ন মানুষ গর্ভকালীন জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া প্রকল্পের সেবা নিয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জরুরি স্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়া প্রকল্পের সেবা ১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ১.০ মিলিয়ন বাচ্চা জন্মগ্রহণের সময় সাহায্য করেছে এই প্রকল্প।

    আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত ক্ষমতায় আসার পর মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে আল্লাহর অনুগ্রহে এসব সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে সত্যনিষ্ঠ তথ্য ওঠে আসায় বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ। ইসলামি ইমারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংকের এমন প্রতিবেদনের পাশাপাশি আফগানিস্তানে তাদের অপূর্ণাঙ্গ কাজগুলো সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়।

    উন্নয়নের সকল সূচকেই ক্রমাগত উন্নতি করে যাচ্ছে তালিবান শাসিত ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। ইতিমধ্যে ইসলামি শাসনের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে জনগণ; সর্বত্রই সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার স্পষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তান নামধারী উন্নত দেশগুলোকেও অর্থনৈতিক-সামরিক-সামাজিক সকল দিক দিয়েই ছাড়িয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।


    তথ্যসূত্র:
    1. Afghanistan Economic Monitor – https://tinyurl.com/ycem9eyk
    2. Statement of the Economic Deputy PM Office of the IEA in Response to the Recent World Bank Report on Afghanistan’s Economic Situation! – https://tinyurl.com/3vd8tdzh

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মাশাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আরও বরকত দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আর এটা এমনই উন্নয়ন যে তাগুত হেডরা পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হলো।
      আল্লাহ তা'আলা ইমারাকে আরো আরো সমৃদ্ধ করুক, সকল ফিতনাবাজ ও বিপদআপদ থেকে হিফাজত করুক আমীন!

      অনেক অনেক জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা মুহতারাম আল-ফিরদাউস মিডিয়া বৃন্দ।
      Last edited by Rakibul Hassan; 08-13-2023, 05:27 AM.
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের মে মাসের হিসাবে আফগানিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি সংকোচিত হয়ে -২.৮৩% হয়েছে।
        অর্থাৎ আফগানিস্তানে দ্রব্যমূল্য কমেছে। আগে ১০০ টাকায় যা কেনা যেত, এখন তা ৯৭.১৭ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

        আর এদিকে আমাদের দেশে ২ সাপ্তাহ আগে ১০০ টাকায় ১০ টা ডিম কেনা যেত, এখন তা কিনতে ১৩০ টাকা লাগছে।
        উন্নতিতে আমরা আফগানিস্তান কে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। মাশাআল্লাহ

        Comment

        Working...
        X