উম্মাহ নিউজ # # ০৬ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২১ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

কাশ্মীরে ব্যাপক গোলাগুলি, ৪ স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা নিহত


জম্মুর নাগরোটা জেলায় ভারতীয় মালাউন বাহিনী ও স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ৪ স্বাধীনতাকামী শহিদ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসময়, দুই সেনা আহত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, স্বাধীনতাকামীরা বাসে করে জম্মু থেকে কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছিল।

হাইওয়ে টোলপ্লাজার কাছে গেলে ভারতীয় মালাউন বাহিনীর সন্দেহ হওয়ায় বাস থামানো হয়। সেখানেই গোলাগুলি শুরু হয়।

এরপর থেকে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক আপাতত বন্ধ রাখা হয়। এদিকে, বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী বাহিনীর উপরে গ্রেনেড হামলা চালায় স্বাধীনতাকামীরা।

[Al-Firdaws News]

মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো হিন্দু মালাউন মুন্না ভগত

মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করায় মুন্না ভগত (২০) নামে এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুন্না ভগত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তার মামা ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো বলে জানা গেছে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলো ।

এ ব্যাপারে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, এটা জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর।

বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না। প্রাথমিক সত্যতার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[Al-Firdaws News]

মুসলিম নেতাদের প্রতি ম্যাক্রোঁর ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইসলাম বিদ্বেষী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ রক্ষার নামে ইসলাম বিদ্বেষের নতুন মাত্রা যোগ করে একটি সনদ মেনে নিতে তাদের প্রতি এ আল্টিমেটাম জারি করা হয়।

ফ্রান্সের ‘চরমপন্থী’ ইসলামের বিস্তৃতি ঠেকাতে সে এমন কড়া অবস্থান নিয়েছে বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদটি মেনে নিতে গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) ফ্রান্স কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)-কে ১৫ দিনের সময় বেধে দেয়।

এ সনদে বলা হয়েছে, ইসলামকে শুধু ধর্ম হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে নয়। ফরাসি মুসলিম সংগঠনদের ওপর বিদেশি কোনো প্রভাব বিস্তারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ম্যাক্রোঁ ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিয়ান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিএফসিএমের আটজন নেতার সঙ্গে দেখা করে।

এ সময় মুসলিম নেতাদের প্রতি একটি সনদ উপস্থাপন করে ম্যাক্রোঁ। যাতে ফ্রান্সের মুসলিমদের জন্য আচরণবিধি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ধর্মীয় অজুহাতে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া যাবে না, এমনটি করলে ঘরে (ধর্মীয়) শিক্ষার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে ও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

২. মুসলিম শিশুদের একটি নম্বর দিতে হবে, যা দ্বারা তাদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। অভিভাবকরা এ আইন অমান্য করলে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।

৩. ক্ষতির আশঙ্কা আছে এমন কারও ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় করা যাবে না।

সিএফসিএম এরইমধ্যে একটি জাতীয় ইমাম কাউন্সিল করবে বলে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছে। সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে এ কাউন্সিল কোনো মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেবে, যাকে পরবর্তীতে প্রত্যাহার করাও যাবে। দেশটিতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করায় এক শিক্ষক হত্যা করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ম্যাক্রোঁ কঠোর সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চালু রাখার ঘোষণা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে।