পাকিস্তানকে ষড়যন্ত্র না করার পরামর্শ আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
মৌলভী মুহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোনো দেশের নিজেদের অযোগ্যতা ও অযোগ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা ঢাকতে আফগান সরকারকে দায়ী করা উচিত নয়।
আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দেশটিতে বিভিন্ন হামলা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানে এই হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা আফগানিস্তান থেকে এসেছে, তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধারা আফগান সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে, ইত্যাদি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ করেছে। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন বরাবর এসব অভিযোগ নাকচ করে আসছে। ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে বারবার ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে, সশস্ত্র যোদ্ধাদের (টিটিপি) না আটকালে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেবে।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি আবারও আশ্বস্ত করেছেন যে, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “কিছু দেশ আছে, যারা নিজেদের অযোগ্যতা এবং অযোগ্য নেতৃত্ব, দুর্বলতা এবং সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার জন্য আফগানদের দায়ী করে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যা দাবি করছে। ইমারাতে ইসলামিয়া অনেকবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছে, তাদের সাথে সমোঝোতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমদানি করা অব্যাহত রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই দেশটি গোয়েন্দা ও সামরিক সংস্থাগুলোর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করে, কিন্তু তারা দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ। তারা এর দায়ভার নেওয়ার পরিবর্তে তাদের জাতির চোখে ধুলো দিতে আফগানিস্তানকে দোষারোপ করছে। তাদের উচিত আফগানিস্তানকে দোষারোপ না করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা। আর অন্য দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আফগানিস্তানের দায়িত্ব নয়।”
মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ আরও বলেন, “আমি খুবই অবাক হয়েছি, কেন তারা এমনটা করছে! তাদের এমন কাজ করা উচিত নয়। হয়তো তারা এটা করে বিশ্বকে বুঝাতে চায় যে, আফগানিস্তান বিশ্বের জন্য হুমকি।”
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, “যদি তারা মনে করে যে আফগানিস্তান আবার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে, তবে তাদের এই চিন্তা অবশ্যই নিষ্ফল প্রমাণিত হবে। আফগানিস্তানের শত্রুদের এই ইচ্ছাও তাদের সাথেই কবর যাবে।
“আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না এবং আমরা কারো নিরাপত্তার ক্ষতি করতেও আগ্রহী নই। তাই তাদেরও উচিত তাদের নিজেদের দায়ভার স্বীকার করে নেওয়া এবং আফগানদের দোষারোপ করা বন্ধ করা।”
অন্য দেশগুলো যেনো আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাউকে উৎসাহিত না করে, এমন আহ্বান জানিয়ে মৌলভি ইয়াকুব বলেন, “আমরা জানি, আমাদের প্রতিপক্ষকে আমাদের বিরুদ্ধে কারা প্রশিক্ষণ দেয়, কারা তাদেরকে আফগানিস্তানে গিয়ে নিরাপত্তা বিনষ্ট করার উৎসাহ দেয়। এমন অনেককেই আমরা নিষ্ক্রিয় করেছি এবং অনেককে বন্দী করেছি। তাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং শত্রুদেরকে সংগঠিত ও সমন্বয় করা থেকে বিরত থাকুন।”
কারা বা কোন দেশ এই কাজ করছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি অভিযোগ করেন, “এরা তাদের অর্থনীতির উন্নতি করতে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে আফগানিস্তানকে অনিরাপদ করে তুলতে চায়। আমরা এই সমস্ত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন। আমরা এ বিষয়ে গাফেল নই।”
একই বিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ আরও স্পষ্ট করে বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দায়ী না করে পাকিস্তানের উচিত তার নিজের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা এবং নিজ দেশের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আরও বলেন, গত বছর আফগানিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে আইএসের ১৮ জন পাকিস্তানি সদস্য নিহত হয়েছে, যারা আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ ও হামলায় জড়িত ছিল। এছাড়াও পাকিস্তানের আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রমাণ ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের কাছে রয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র বলেন, “এসব বিষয়ে আমরা পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করিনি, বরং আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও উন্নত করেছি। এর ফলাফল আজ স্পষ্ট। তাই অভিযোগ করা সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় নয়…পাকিস্তানে হামলা বন্ধ করা তাদেরই দায়িত্ব, আফগানিস্তানের নয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উচিত অন্যকে অভিযুক্ত না করে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা।”
মৌলভী মুহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোনো দেশের নিজেদের অযোগ্যতা ও অযোগ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা ঢাকতে আফগান সরকারকে দায়ী করা উচিত নয়।
আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দেশটিতে বিভিন্ন হামলা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানে এই হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা আফগানিস্তান থেকে এসেছে, তেহরিকে তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধারা আফগান সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে, ইত্যাদি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ করেছে। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন বরাবর এসব অভিযোগ নাকচ করে আসছে। ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে বারবার ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে, সশস্ত্র যোদ্ধাদের (টিটিপি) না আটকালে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেবে।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি আবারও আশ্বস্ত করেছেন যে, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “কিছু দেশ আছে, যারা নিজেদের অযোগ্যতা এবং অযোগ্য নেতৃত্ব, দুর্বলতা এবং সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতার জন্য আফগানদের দায়ী করে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যা দাবি করছে। ইমারাতে ইসলামিয়া অনেকবার এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছে, তাদের সাথে সমোঝোতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমদানি করা অব্যাহত রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই দেশটি গোয়েন্দা ও সামরিক সংস্থাগুলোর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করে, কিন্তু তারা দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ। তারা এর দায়ভার নেওয়ার পরিবর্তে তাদের জাতির চোখে ধুলো দিতে আফগানিস্তানকে দোষারোপ করছে। তাদের উচিত আফগানিস্তানকে দোষারোপ না করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা। আর অন্য দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আফগানিস্তানের দায়িত্ব নয়।”
মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ আরও বলেন, “আমি খুবই অবাক হয়েছি, কেন তারা এমনটা করছে! তাদের এমন কাজ করা উচিত নয়। হয়তো তারা এটা করে বিশ্বকে বুঝাতে চায় যে, আফগানিস্তান বিশ্বের জন্য হুমকি।”
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, “যদি তারা মনে করে যে আফগানিস্তান আবার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে, তবে তাদের এই চিন্তা অবশ্যই নিষ্ফল প্রমাণিত হবে। আফগানিস্তানের শত্রুদের এই ইচ্ছাও তাদের সাথেই কবর যাবে।
“আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না এবং আমরা কারো নিরাপত্তার ক্ষতি করতেও আগ্রহী নই। তাই তাদেরও উচিত তাদের নিজেদের দায়ভার স্বীকার করে নেওয়া এবং আফগানদের দোষারোপ করা বন্ধ করা।”
অন্য দেশগুলো যেনো আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাউকে উৎসাহিত না করে, এমন আহ্বান জানিয়ে মৌলভি ইয়াকুব বলেন, “আমরা জানি, আমাদের প্রতিপক্ষকে আমাদের বিরুদ্ধে কারা প্রশিক্ষণ দেয়, কারা তাদেরকে আফগানিস্তানে গিয়ে নিরাপত্তা বিনষ্ট করার উৎসাহ দেয়। এমন অনেককেই আমরা নিষ্ক্রিয় করেছি এবং অনেককে বন্দী করেছি। তাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং শত্রুদেরকে সংগঠিত ও সমন্বয় করা থেকে বিরত থাকুন।”
কারা বা কোন দেশ এই কাজ করছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি অভিযোগ করেন, “এরা তাদের অর্থনীতির উন্নতি করতে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে আফগানিস্তানকে অনিরাপদ করে তুলতে চায়। আমরা এই সমস্ত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন। আমরা এ বিষয়ে গাফেল নই।”
একই বিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ আরও স্পষ্ট করে বলেন, নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দায়ী না করে পাকিস্তানের উচিত তার নিজের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা এবং নিজ দেশের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আরও বলেন, গত বছর আফগানিস্তান নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে আইএসের ১৮ জন পাকিস্তানি সদস্য নিহত হয়েছে, যারা আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ ও হামলায় জড়িত ছিল। এছাড়াও পাকিস্তানের আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রমাণ ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের কাছে রয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র বলেন, “এসব বিষয়ে আমরা পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করিনি, বরং আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও উন্নত করেছি। এর ফলাফল আজ স্পষ্ট। তাই অভিযোগ করা সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় নয়…পাকিস্তানে হামলা বন্ধ করা তাদেরই দায়িত্ব, আফগানিস্তানের নয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উচিত অন্যকে অভিযুক্ত না করে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা।”
Comment