Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৬ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৬ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

    পশ্চিম তীরে আরও তিন ফিলিস্তিনিকে খুন


    নিহত দুই ফিলিস্তিনি যুবক, ছবি: টুইটার।


    পশ্চিম তীরে আরও তিন ফিলিস্তিনিকে খুন করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এর মধ্যে গত ১৭ আগস্ট ভোরে পশ্চিম তীরের জেনিনে এক ফিলিস্তিনি বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক যুবককে খুন করে ইসরাইলি বাহিনী।

    এর আগে গত ১৫ আগস্ট জেরিকোয় ইসরাইলি সৈন্যের গুলিতে আরও দুই ফিলিস্তিনি প্রাণ হারায়। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে জেরিকো এলাকায় এটি ছিল ইসরাইলি বাহিনীর বড় ধরনের অভিযান।
    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঐদিন ভোরে জেরিকোতে অভিযান চালানোর সময় ১৬ বছর বয়সী কুসে ওমর সুলেমান আল-ওয়ালাজি এবং ২৫ বছর বয়সী মোহাম্মাদ রিবি এনজুমকে বুকে গুলি করে ইসরাইলি সেনারা। ফলে দু’জনই নিহত হয়।

    এছাড়াও হামজা আবু স্নাইনা নামে আরও এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হন, তিনি গত দুই বছর আগে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এরপর গত দুই বছর ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত ১৮ আগস্ট মারা যান।


    গত দুই বছর আগে ইসরাইলি সেনার গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামজা আবু স্নাইনা, ছবি: টুইটার

    ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরাইলি ইহুদিরা। এরপর থেকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর রুটিন মাফিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এভাবে গত এক সপ্তাহেই ৪ জন এবং চলতি বছর ২২৩ ফিলিস্তিনি খুন করে ইসরাইলি বাহিনী, যাদের মধ্যে ৪০ জনই শিশু।

    তথ্যসুত্র:
    ——
    1. lsraeli occupation forces kill two Palestinians, including a child in Aqbat Jabr camp, Jericho
    https://tinyurl.com/5n84kn3n
    2. Palestine this morning: lsraeli occupation forces kill a Palestinian in Jenin and detain 10 others from across the occupied West Bank
    https://tinyurl.com/3y4pvnc3
    3. Shot by the lsraeli occupation forces two years ago in Al-Aqsa, Palestinian young man Hamza Abu Snaina succumbs to his wounds last night
    https://tinyurl.com/2pehb6uc

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ডলারের বিপরীতে আফগানির মূল্যমান শতকরা ৪.৪ ভাগ বেড়েছে : ডিএবি



    গত এক বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগানি অর্থাৎ আফগানিস্তানের মু্দ্রা ৪.৪ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট বুধবার আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

    আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ডা (দা) আফগানিস্তান ব্যাংক’ এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান হেদায়াতুল্লাহ বাদরি বলেন, “ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশের ব্যাংক গ্রাহকরা এখন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সপ্তাহে $৬০০(ডলার) এবং মাসে $২০০০(ডলার) তুলতে পারবেন।”

    জনাব হেদায়াতুল্লাহ বাদরি আরো বলেন, “ডা (দা) আফগানিস্তান ব্যাংকের কর্মকর্তারা যথোপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আফগান মুদ্রার মূল্যমান ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি ডা আফগানিস্তান ব্যাংক, ব্যাংকিং সেবার উন্নতির জন্য ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালিয়েছে। এই ব্যাংক দেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জন্যও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই তথ্যও জানিয়েছেন যে, “দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।”

    এবিষয়ে ডা আফগান ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগের প্রধান আহমেদ সেদাদ মন্তব্য করেছেন, “রিজার্ভের স্বল্পতা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আফগানিস্তান ব্যাংক এটির যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে বাজারে মুদ্রার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।”

    ডিএবি কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন যে, “ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসমূহ, মানি এক্সচেঞ্জ এবং কোম্পানিগুলোও অর্থব্যবস্থা ও আফগানির মূল্যমান উন্নত করার লক্ষ্যে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

    এছাড়াও, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান আহমেদ জাহির নাসিরজাই জানিয়েছেন, “এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো এখন থেকে ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নাগরিকদের জন্য তাদের কার্যক্রম সঞ্চালন করবেন।”

    ডা আফগানিস্তান ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরো অবগত করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানটি দেশের ধারাবাহিকভাবে জরাজীর্ণ ব্যাংকনোটগুলো সংগ্রহ করে সেগুলোকে নতুন নোট দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করছে। কেননা এসকল জরাজীর্ণ নোটের ব্যবহার উপযোগিতা নিয়ে নাগরিকরা মানি-মার্কেটে বারবার অভিযোগ করেছেন৷

    সকল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে, ইমারতে ইসলামি আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থবাজার ও মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছেন। আর দেশের সৎকর্মশীল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই কাজে তাদেরকে সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Afghani Strengthens By 4.4% Against US Dollar: DAB
    https://tinyurl.com/2fvtbw65

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালি ট্র্যাজেডি: ওয়াগনারের গণহত্যার শিকার ৪৩ বেসামরিক মুসলিম


      পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ান ওয়াগনার বাহিনী নতুন করে গণহত্যা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

      আঞ্চলিক সূত্র অনুযায়ী, মালিতে রাশিয়ান ভাড়াটে ওয়াগনার মিলিশিয়া বাহিনী এবং সামরিক জান্তা সরকার তাদের সাধারণ মুসলিমদের গণহত্যার মিশন অব্যাহত রেখেছে। ওয়াগনার বাহিনী সামরিক জান্তার সাথে মিলে দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে নতুন করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
      স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ওয়াগনার বাহিনী দেশের মধ্যাঞ্চলের কৌলিকোরো প্রদেশের ৭টি গ্রামে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

      ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াগনারের বর্বরোচিত এই হামলায় কমপক্ষে ৩৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক ডজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। এছাড়াও আরো ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোককে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

      আয-যাল্লাকা সূত্রে এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্বরোচিত হামলাগুলি বামবারা এবং ফুলানি জাতিগত মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

      অপরদিকে গত ১৩ আগস্ট ওয়াগনার মিলিশিয়া এবং জান্তা সৈন্যরা টিমবুকটু রাজ্যের বীর শহরের বার বসতিতে প্রবেশ করেছিল। এসময় তারা এই এলাকায় আরও ৭ জন বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করে এবং ৯ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। অঞ্চলটিতে বসবাসরত তুয়ারেগ সম্প্রদায়ের মুসলমানদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিল ওয়াগনার ও সামরিক জান্তার যৌথ দল।



      এটি উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি মালিতে জান্তা বাহিনী এবং রাশিয়ান ওয়াগনার মিলিশিয়া দ্বারা বেসামরিক গণহত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মধ্য মালি থেকে উত্তর এবং দক্ষিণের মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে এই মর্মান্তিক ট্র্যাজিডি চালানো হচ্ছে। এই ওয়াগনারকেই আবার নিজারে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে সেখানকার সদ্য ক্ষমতা গ্রহণকারী সামরিক জান্তা।

      মালির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ করা ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মর্মান্তিক এই ট্র্যাজিডি নিয়ে লিখিত একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মালির ধর্মত্যাগী জান্তা সরকার এবং রাশিয়ান ভাড়াটেরা এই অঞ্চলে মুসলিম জনগণকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

      আর ইতিপূর্বেও যেহেতু আইএস সদস্যরা গণহত্যা চালানোর সময় জেএনআইএম যোদ্ধারা তাদেরকে নির্মূল করে সাধারণ মুসলিমদের রক্ষা করেছে, তাই আশা করা হচ্ছে যে, এবার ওয়াগনার বাহিনী কর্তৃক মুসলিম গণহত্যা প্রতিরোধে জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ সারা বিশ্বের মাজলুম মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu ahmad View Post
          আল্লাহ সারা বিশ্বের মাজলুম মুসলিমদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। আমীন
          আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            উম্মাহর রক্ত একদিন বিজয় এনে দিবে ইনশাআল্লাহ! বৃথা যাবে না।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ পাক মাজলুমদের সাহায্য করুন।উম্মাহর বিজয়কে ত্বরান্বিত করুন।বিজিত অঞ্চল গুলোকে হেফাজত করুন।

              Comment

              Working...
              X