Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৭ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৭ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

    মুসলিম নারীকে হিজাব খুলতে বাধ্য করার চেষ্টা


    হিজাবের কারণে বিদ্বেষের শিকার নারী


    ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যের সমাসিপাদি গ্রামের এক স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা মুসলিম এক নারীকে তার হিজাবের কারণে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তাকে হিজাব খুলতে বলা হলে তিনি পরীক্ষা শেষ না করেই বের হয়ে যান। ঘটনাটি রাজ্যের তিরুভান্নামালিয়া শহরের নিকটস্থ আন্নামালিয়া মেট্রিকুলেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ঘটেছে।

    স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ২৭ বছর বয়সি মিসেস শাবানা হিন্দি পরীক্ষা দিতে হিজাব পরিহিত অবস্তাতেই নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে তার হিজাবের কারণে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জনাব রেভাথি তাকে তার হিজাব খুলে ফেলতে বলেন। কিন্তু তিনি হিজাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে এবিষয়ে তার দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়।

    বিষয়টি কিছুটা গম্ভীর হয়ে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনকি মিসেস সাবানাকে বাগে আনতে পুলিশের সহায়তা নেয়। আর পুলিশও নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণে অনিচ্ছুক বলেই প্রতীয়মান হয়।

    শাবানার পরিবার স্কুল চত্বরে বাইরেই অবস্থান করছিল। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকলে তাদের সাহায্যার্থে কিছু মুসলিম সংগঠনও শাবানার সমর্থনে এগিয়ে আসে।

    আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলা হলেও, মিসেস শাবানা তার হিজাব না খোলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তিনি তার হিজাব খুলে ফেলার চেয়ে পরীক্ষা শেষ না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করাকেই বেছে নেন।

    পরবর্তীতে তার স্বামী স্থানীয় রাজনৈতিক দল এসডিপিআইয়ের মাধ্যমে স্কুল কমিটির সাথে যোগাযোগ করেন। এসডিপিআইয়ের জেলা প্রধান মুশতাক বাসা জানান যে, স্কুল কমিটি ‘উচ্চতর কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশেই হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে থাকতে পারে।

    মূলত হিন্দুত্ববাদী শক্তি ভারতের প্রায় সকল স্তরেই আসন করে নিয়েছে। কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছে যে, হরিয়ানার নুহ জেলায় দাঙ্গার পরে স্থানীয় প্রশাসন মুসলিমদের গ্রামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে মে মাসে মুম্বাইয়ের জলগাঁওয়ের কালেক্টর মুসলিমদের অনুপস্থিতিতে শুনানি করে ৮০০ বছরের পুরনো তালুকদার জামে মসজিদে নামাজ পরার উপরে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা ছিল তার আইনি এখতিয়ার বহির্ভূত। ভারতের প্রায় সকল স্থানেই এভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীরা এবং তাদের সহায়ক প্রশাসন, যেমনটা দেখা গিয়েছে মিসেস শাবানার হিজাব ইস্যুতে।


    তথ্যসূত্র:

    1. Muslim woman asked to remove hijab during exam
    https://tinyurl.com/2s448f75
    2. Deputy Commissioner, who issued showcause notices against Muslim entry ban in villages, transferred
    https://tinyurl.com/297mxsvv
    3. Jalgaon: Based on Right-Wing Activist’s Complaint, Collector Bans Namaz at 800-Year-Old Mosque
    https://tinyurl.com/297cwstx


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সোমালিয়ায় নারী ও শিশুদের গণহত্যা করছে পশ্চিমা ও তাদের মিত্ররা


    সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও তাদের মিত্ররা সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও কেন্দ্রীয় অংশে বেসামরিক বসতি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন দেশটির নিরপরাধ বেসরকারি জনগণ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট রবিবার সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় হিরান রাজ্যের বুক আকাবেল বসতিতে আমেরিকান যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। হামলাটি মোগাদিশু প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে চালানো হয়।

    আঞ্চলিক সূত্র জানায় যে, ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঐ বসতিতে বিমান হামলাটি চালানো হয়। এতে নারী ও শিশুসহ ৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং আরও ৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

    এর আগে গত ১০ আগস্ট মধ্য সোমালিয়ার জালাজদুদ রাজ্যের গ্যালিক হারেরি বসতিতেও বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। এতে অন্তত ৮ জন বেসামরিক মুসলিম হতাহত হন। সূত্রমতে, নিহতদের মধ্যে এক শিশুও ছিলো।

    অপরদিকে গত ১৬ আগস্ট দক্ষিণাঞ্চলিয় জুবা রাজ্যের জিলিব শহরে কেনিয়ান যুদ্ধবিমানগুলি থেকে ৩টি হামলা চালানো হয়। এতে ৪ শিশু সহ একজন মহিলা নিহত হন এবং আরও ৪ জন আহত হয়। এছাড়াও এই অঞ্চলে বেসামরিক লোকদের বাড়িঘর এবং টেলিযোগাযোগ সংস্থার অফিস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

    সূত্র জানায়, আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলোতে নির্বিচারে বিমান হামলার মাধ্যমে জনগণকে আতংকিত করে তুলতে চায় পশ্চিমা ও তাদের মিত্র দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, কেনিয়া ও তুরস্ক। এই দেশগুলোর ইচ্ছাকৃত এসব বিমান হামলার লক্ষ্য হচ্ছে সাধারণ মুসলিমরা, যাতে তারা ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা শাসিত এসব অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।

    অন্যদিকে সোমালিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা হামলায় কোন জবাবদিহিতা নেই বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর কোন নিন্দাও নেই। সেই সাথে মিডিয়াগুলোও বিমান হামলার অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

    পশ্চিমা ও তাদের প্রভাবসম্পন্ন বাহিনীগুলোর এমন বর্বরোচিত হামলা এবং আন্তর্জাতিক মহল ও মিডিয়ার নীরবতা সত্ত্বেও হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা চিকিৎসা, পূনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন।



    এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদের বিমান হামলায় নিহত, আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে আশ-শাবাব প্রশাসন। সম্প্রতি জিজু রাজ্যে এধরণের হামলায় বস্তুগত ক্ষতির শিকার প্রতিটি বেসামরিক পরিবারকে ৩১ হাজার ডলার করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আশ-শাবাব।

    উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ার এসব অঞ্চলে জনগণের মাথাপিছু দৈনিক আয় ১ ডলারেরও কম। সেখানে হারাকাতুশ শাবাব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ৩১ হাজার ডলার করে নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, যা পরিবারগুলোকে শোক কাটিয়ে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X