Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১২ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১২ সফর, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ঈসায়ী

    বহিরাগতদের হামলায় আহত কাশ্মীরি ১২ ছাত্র, একপক্ষকেই শুধু গ্রেফতার

    প্রতিক ছবি

    ভারতের রাজস্তানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরি ছাত্রদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগত হিন্দুত্ববাদীরা এসে জয় শ্রী রাম শ্লোগান দিয়ে প্রায় ১২ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে মেরে আহত করেছে বলে জানা যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে ৬ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।

    ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার, রাজস্তানের চিত্তোরগর জেলার মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিচেন রুমে। সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে সামান্য ঝগড়া বেধে যায়। এই ঝগড়ার মধ্যেই আবার বহিরাগত কিছু লোক এসে কাশ্মীরি ছাত্রদেরকে খুঁজতে থাকে।

    তারা হিন্দুত্ববাদী ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগানের পাশাপাশি অন্যান্য উগ্রবাদী শ্লোগান দিতে দিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কাশ্মীরি ছাত্রদের খুঁজে খুঁজে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক কাশ্মীরি ছাত্র দ্য কাশ্মীরিয়াত কে ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। মারামারির এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন কাশ্মীরি ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার পর উভয় পক্ষের ছাত্ররা বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নাম করে ৬ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে আটক করে।

    পুলিশ বলছে যে, তারা এসে উভয় পক্ষের বিক্ষোভরতদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এক জন অফিসার জানিয়েছেন যে, কাশ্মীরি ছাত্ররা নাকি সেখানে কিছু আপত্তিকর শ্লোগান দিয়েছিল, তাই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বর্তমানে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে ঐ অফিসার।

    পুলিশ এক্ষেত্রে কথার মাধ্যমে নিজেদেরকে নিরপেক্ষ প্রমাণের চেষ্টা করছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলছে যে, হিন্দুদের হামলা বা উস্কানির জবাবে মুসলিমরা প্রতিবাদ-প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ এসে মুসলিমদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়। গত মাসের শেষের দিকে হরিয়ানার নুহ দাঙ্গার পরে পুলিশ এসে একতরফাভাবে মুসলিমদের উপরেই গণগ্রেফতার চালিয়েছে। সেখানে কয়েকটি গ্রামে এমনকি মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন।

    তথ্যসূত্র:
    ———
    1. Kashmiri students attacked in Rajasthan, At least six detained – https://thekashmiriyat.co.uk/kashmir...etained/?amp=1https://hindutvawatch.org/kashmiri-s...e-kashmiriyat/ 2. Nuh violence: police raids force Muslims to flee from Meoli village, several camps in forest – https://maktoobmedia.com/india/nuh-v...mps-in-forest/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘মুসলিমরা সর্বশক্তি দিয়ে আল-আকসাকে রক্ষা করবে’- ফিলিস্তিন ইসলামিক ফতোয়া কাউন্সিল


    অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা নিয়মিত যাতায়াত করছে আল-আকসা প্রাঙ্গনে

    মুসলিমদের প্রথম কিবলা পবিত্র বাইতুল মোকাদ্দাসে কথিত ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে জায়নবাদী ইসরাইল- এমন একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে ফিলিস্তিন ইসলামিক ফতোয়া কাউন্সিল। গত ২৪ আগস্ট ফিলিস্তিন ফতোয়া কাউন্সিল এ বিষয়ক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত বিপজ্জনক সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে আল-আকসা মসজিদ।

    এটা শুধু এজন্য নয় যে, ইহুদিরা এর দখল নিতে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে বরং তাদের কাঙ্ক্ষিত ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের কাজ ধারাবাহিক ভাবে শুরুর দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছে গেছে তারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পবিত্র এই মসজিদের স্থানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণে কোনো ইসরাইলী তাণ্ডব বা ষড়যন্ত্রই মসজিদটির স্বত্বাধিকার, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবে না। এটি পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য ওয়াকফকৃত।

    পৃথিবীর সকল মুসলিম সর্বশক্তি দিয়ে বাইতুল মোকাদ্দাসকে রক্ষা করবে। এছাড়া ফিলিস্তিনের বর্তমান গ্র‍্যান্ড মুফতি ও ফতোয়া কাউন্সিলের প্রধান শায়েখ মুহাম্মদ হুসাইন পবিত্র কুদসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডেনমার্ক ও সুইডেনে বাকস্বাধীনতার নামে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো, পবিত্র কুরআন পোড়ানো ও ইসলামী নিদর্শনগুলোর প্রতি অবমাননার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

    শায়েখ মুহাম্মদ হুসাইন বলেন, পবিত্র আল-আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডব ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য অপরাধ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব সন্ত্রাস ও বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড মানুষের মাঝে ঘৃণা ও সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে। এই সবকিছু ধর্মীয় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা কখনো বন্ধ হবার নয়।

    তথ্যসূত্র:
    1. Palestinian council warns of growing Israeli control over al-Aqsa Mosque
    https://tinyurl.com/37jmwj62
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মন্দিরে মাংস নিক্ষেপ করে দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্র, হিন্দু গ্রেফতার

      মন্দিরে মাংস নিক্ষেপের ঘটনায় দুই হিন্দু গ্রেফতার - প্রতীকী ছবি

      ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গুমলা জেলায় একটি মন্দিরে মাংসের টুকরা নিক্ষেপের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে ঘটনায় জড়িত ৩ হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধাতেই তারা এমনটি করেছিল বলে জানা গেছে।

      ঘটনার সূত্রপাত গুমলা জেলার টিটো এলাকার একটি শিবমন্দিরে মাংসের টুকরা নিক্ষেপ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দল এবং ভিএইচপি (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) ২৩ আগস্ট সব বন্ধের ডাক দেয়। আর এমন পরিস্থিতির মাঝেই সংবাদ আসে যে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩ হিন্দু যুবককে আটক করেছে।

      পুলিশ জানায়, এসপির নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল অভিযুক্ত রাজদীপ কুমার ঠাকুরকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে, অভিযুক্ত রাজদীপ এবং গলু উক্ত মন্দিরে মাংস নিক্ষেপ করে এবং মূর্তি ভাংচুর করে। আর তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা উস্কে দেওয়া।

      দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের পর পুলিশ সেই মন্দিরে গিয়ে মাংসের টুকরোটি সরিয়ে পুরো মন্দির ধুয়ে পরিস্কারের কাজ সম্পন্ন করে। এবিষয়ে ভিএইচপির মুখপাত্র মুকেশ সিং বলেছেন যে, হিন্দুদের পবিত্র মাসে তাদের প্রার্থনা বিনষ্ট করা হচ্ছে। আর ভিএইচপির পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে পুলিশকে দোষারোপ করে বলা হয় যে, পুলিশের নিরলিপ্ততার কারণেই রাজ্যে কসাইখানাগুলো এখনো গোপনে বেআইনিভাবে চলছে, আর তার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

      তথ্যসূত্র:
      ———-
      1. Meat thrown in Shiva temple, accused Rajdeep arrested; Today VHP district bandh – https://tinyurl.com/ha8a23f2

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মুসলিম শিশুকে মারতে অন্য হিন্দু ছাত্রদের নির্দেশ হিন্দু শিক্ষিকার


        হিন্দু শিক্ষিকার নির্দেশে মুসলিম ছাত্রটিকে মারছে হিন্দু সহপাঠীরা


        সম্প্রতি ভারতের একটি স্কুলে মুসলিম শিশুদের প্রতি হিন্দু শিক্ষিকার বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, হিন্দু শিক্ষিকা শিশুদেরকে তাদের অন্য মুসলিম সহপাঠীকে মারধোর করার নির্দেশ দিচ্ছে।
        ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার, ভারতের উত্তর প্রদেশের কোবাপুর গ্রামের “নেহা পাবলিক প্রাইমারী স্কুলে।

        ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, হিন্দু শিক্ষিকা ত্রিপ্ত ত্যাগী তার চেয়ারে বসে ছাত্রদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে, তারা যেনো মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করে। তার এই নির্দেশের পর ছাত্ররা পালাক্রমে মুসলিম সহপাঠীকে মারধর করতে শুরু করে। তখন কোনো কোনো শিক্ষার্থী হালকা মারধর করলে তাকে বলা হচ্ছিল, কেন তাকে হালকাভাবে আঘাত করছো? তাকে জোরে আঘাত কর, তার মুখ, পেট ও কোমরে আঘাত কর।

        নির্যাতনের শিকার ৭ বছর বয়সী শিশু মুহাম্মদ আল-তামাশ একটি প্রেস সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানায়, “নির্যাতনের দৃশ্যের এই ঘটনাটি এক ঘন্টা ধরে চলেছে।”
        শিশুটির মা রুবিনা যোগ করেছেন, “আমার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসেছিল, সে শারীরিক আঘাতের পাশাপাশি প্রচন্ড মানসিক আঘাত পেয়েছে।”
        আর শিশুটির বাবা বলেন, “তার সাথে এমন আচরণে এটাই মনে হচ্ছে যে, শিক্ষকের অন্তর ঘৃণাতে পরিপূর্ণ।”

        ঐ শিক্ষিকা অবশ্য দাবি করেছেন যে, সে নিজে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় অন্য ছাত্রদের দিয়ে ঐ মুসলিম শিশুটিকে মার দেওয়ানোর কাজটি করিয়েছে। কিন্তু ভিডিওতে ঘটনার সময় তার কণ্ঠস্বরে শোনা যায়, “আমি ঘোষণা করছি, এসমস্ত মুসলিম শিশুদের অবশ্যই চলে যেতে হবে।”

        তৃপ্তি ত্যাগী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। তৃপ্তি ত্যাগী বলেছে, তার আচরণের জন্য সে লজ্জিত নয়। সে আরো বলে, তারা আইন বানিয়েছেন। তবে স্কুলে শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তারা এভাবেই শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করে।
        ওই শিক্ষিকা আরও বলে, “আমি এই গ্রামের শিক্ষিকা। সবাই আমার সঙ্গে রয়েছে।”

        এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত টুইট করে লিখেছে, নিরীহ শিশুদের মনে বৈষম্যের বিষ বপন করা, স্কুলের মতো একটি পবিত্র স্থানকে ঘৃণার বাজারে পরিণত করা; একজন শিক্ষকের জন্য এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।
        তিনি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে বলেন, এটি বিজেপি দ্বারা ছড়িয়ে দেওয়া একই কেরোসিন, যা ভারতের প্রতিটি কোণায় আগুন দিয়েছে।


        তথ্যসূত্র:

        1. UP school where teacher got kids to beat Muslim student shut
        https://tinyurl.com/ycx8x422
        2. স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীকে থাপ্পড়ের ঘটনায় তোলপাড় ভারত
        https://tinyurl.com/ye4kk9up
        3. ভারতে সহপাঠীদের মুসলিম শিশুকে চড় মারতে নির্দেশ: লজ্জিত নন সেই শিক্ষিকা
        https://tinyurl.com/syjwz83t

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          এভাবে আর কতদিন???
          অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার সময় এসেছে 🗡️🗡️🗡️

          Comment

          Working...
          X