সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে বলায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ আল-গামদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
শায়েখ সাঈদ আল-গামদীর ভাই মুহাম্মদ আল-গামদী, ফাইল ছবি।
সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ সাঈদ আল-গামদীর ভাই মুহাম্মদ আল-গামেদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। তার অপরাধ- তিনি কারাবন্দী আলেমদের পক্ষে ও সৌদি সরকারের জুলুম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেছেন।
গত ২৪ আগস্ট বিষয়টি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন শায়েখ সাঈদ আল-গামেদী।
৫৪ বছর বয়স্ক মুহাম্মাদ আল-গামদী অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক। তার ভাই শায়েখ সাঈদ-আল গামীদি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি জানান, রিমান্ডে তার ভাইকে শায়েখ আওয়াদ আল করনী, শায়েখ সালমান আল আওদাহ, শায়েখ আলি আল ওমারী ও শায়েখ সাফার আল হাওয়ালীর মতো কারাবন্দী আলেমদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি তাদের পক্ষে কথা বলেন, আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মুহাম্মদ আল গামদীর জন্য। জিজ্ঞাসাবাদে সময় কারাবন্দী আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জবানবন্দী না দিয়ে উল্টো তাঁদের পক্ষাবলম্বন করাটাও ছিলো তার অন্যতম অপরাধ।
এছাড়াও সৌদি সরকারের দূর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ আলেম-ওলামা ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন এবং অনাচার নিয়ে ৫টি টুইট করেছিলেন মুহাম্মদ আল গামেদী।
তবে শায়েখ সাঈদ আল-গামদী জানান যে, তার ভাই যে টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করেছিলেন, তার ফলোয়ার বা অনুসারী ছিল মাত্র ৯ জন। এরপরেও বিশেষ আদালতের বিচারক তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। তাছাড়া আসামীর বার্ধক্য, শারীরিক সমস্যা ও স্নায়ুবিক রোগের মেডিকেল রিপোর্টও আমলে নেয়নি বিচারক।
তার ভাই আরও জানান, ইসলাম ও সৌদি সংস্কৃতি বিবর্জিত কার্যকলাপ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধাচারী হকপন্থী আলেমদের গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের জুনে তার ভাইকেও (মুহাম্মদ আল গামদী) গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১ বছর কারারুদ্ধ রাখার পর গত জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক মামলার মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু করে সৌদির সরকার।
তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের কাছ থেকে জানা গেছে যে, মুহাম্মাদ আল-গামদী বেশ কয়েকটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সূত্র জানায় যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে তার প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, অথচ এগুলো তার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা ও তার অবস্থার উন্নতির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে মুহাম্মদ আল-গামদির মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আর শায়েখ সাঈদ আল গামদী টুইট বার্তায় তার ভাইকে ‘অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর পক্ষপাতমূলক অন্যায্য বিচারের’ হাত থেকে বাঁচাতে সকলের সাহায্য কামনা করেন। প্রত্যেকেই যেন নিজ সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে তার ভাই ও দেশের অন্যতম সফল শিক্ষককে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসেন সেই আহবান জানান তিনি।
তথ্যসূত্র:
1. Saudi Arabia: Brother of prominent scholar sentenced to death over tweets
– https://tinyurl.com/wers5e76
2. Saudi Arabia: Man Sentenced to Death for Tweets
– https://tinyurl.com/2s5wdsx4
শায়েখ সাঈদ আল-গামদীর ভাই মুহাম্মদ আল-গামদী, ফাইল ছবি।
সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ সাঈদ আল-গামদীর ভাই মুহাম্মদ আল-গামেদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। তার অপরাধ- তিনি কারাবন্দী আলেমদের পক্ষে ও সৌদি সরকারের জুলুম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেছেন।
গত ২৪ আগস্ট বিষয়টি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন শায়েখ সাঈদ আল-গামেদী।
৫৪ বছর বয়স্ক মুহাম্মাদ আল-গামদী অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক। তার ভাই শায়েখ সাঈদ-আল গামীদি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি জানান, রিমান্ডে তার ভাইকে শায়েখ আওয়াদ আল করনী, শায়েখ সালমান আল আওদাহ, শায়েখ আলি আল ওমারী ও শায়েখ সাফার আল হাওয়ালীর মতো কারাবন্দী আলেমদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি তাদের পক্ষে কথা বলেন, আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মুহাম্মদ আল গামদীর জন্য। জিজ্ঞাসাবাদে সময় কারাবন্দী আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জবানবন্দী না দিয়ে উল্টো তাঁদের পক্ষাবলম্বন করাটাও ছিলো তার অন্যতম অপরাধ।
এছাড়াও সৌদি সরকারের দূর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ আলেম-ওলামা ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন এবং অনাচার নিয়ে ৫টি টুইট করেছিলেন মুহাম্মদ আল গামেদী।
তবে শায়েখ সাঈদ আল-গামদী জানান যে, তার ভাই যে টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করেছিলেন, তার ফলোয়ার বা অনুসারী ছিল মাত্র ৯ জন। এরপরেও বিশেষ আদালতের বিচারক তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। তাছাড়া আসামীর বার্ধক্য, শারীরিক সমস্যা ও স্নায়ুবিক রোগের মেডিকেল রিপোর্টও আমলে নেয়নি বিচারক।
তার ভাই আরও জানান, ইসলাম ও সৌদি সংস্কৃতি বিবর্জিত কার্যকলাপ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধাচারী হকপন্থী আলেমদের গ্রেফতার ও দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের জুনে তার ভাইকেও (মুহাম্মদ আল গামদী) গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ১ বছর কারারুদ্ধ রাখার পর গত জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক মামলার মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু করে সৌদির সরকার।
তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের কাছ থেকে জানা গেছে যে, মুহাম্মাদ আল-গামদী বেশ কয়েকটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সূত্র জানায় যে, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে তার প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, অথচ এগুলো তার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা ও তার অবস্থার উন্নতির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে মুহাম্মদ আল-গামদির মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আর শায়েখ সাঈদ আল গামদী টুইট বার্তায় তার ভাইকে ‘অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর পক্ষপাতমূলক অন্যায্য বিচারের’ হাত থেকে বাঁচাতে সকলের সাহায্য কামনা করেন। প্রত্যেকেই যেন নিজ সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে তার ভাই ও দেশের অন্যতম সফল শিক্ষককে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসেন সেই আহবান জানান তিনি।
তথ্যসূত্র:
1. Saudi Arabia: Brother of prominent scholar sentenced to death over tweets
– https://tinyurl.com/wers5e76
2. Saudi Arabia: Man Sentenced to Death for Tweets
– https://tinyurl.com/2s5wdsx4
Comment