Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১২ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২৭ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১২ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২৭ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে ৩১ বছরে অন্তত ১১ হাজার নারীর সম্ভ্রমহানি

    ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে নারীদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কিত নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কাশ্মীরে ১১ হাজার নারীর সম্ভ্রমহানি করা হয়েছে।

    নারী নির্যাতন রোধে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত ৩১ বছরে ভারতীয় মালাউন সেনারা কাশ্মীরের ১১ হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছে।

    রিপোর্ট মতে, এই ৩১ বছরে ভারতীয় সৈন্যরা মোট ২২০১ জন নারীকে শহীদ করেছে।

    প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনী ধর্ষণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। তারা প্রতিনিয়ত নারীদের যৌন হয়রানিতে লিপ্ত।

    প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আসিয়া আন্দারাবীসহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী বিগত চার বছর ধরে তিহার জেলে বন্দী আছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ড্রাইভারকে গুলি করে হত্যা

    দখলদার ইসরায়েল সৈন্যরা পশ্চিম তীরের একটি চেকপোস্টে গুলি করে এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। স্থানটি পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতির স্থাপনের ফলে ফিলিস্তিনের দুটি এলাকাকে পৃথক করে রেখেছে।

    গত ২৬ নভেম্বর আল-জাজিরার বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের সিলওয়ান শহরের নূর সোকী ঐ চেকপোস্টটি পরিদর্শন শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সেনারা গুলি করে হত্যা করে। গুলিতে নূর সোকী মারা গেলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ সাজায় দখলদার সেনারা। বলা হয় নিহত ব্যাক্তি চেকপয়েন্ট পরিদর্শন শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক সেনাকে আক্রমণ করেছিল।

    সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা-নির্যাতন বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েল। এ মাসের শুরুতেও ইসরায়েলি সৈন্যরা অন্য আরেক ফিলিস্তিনিকেও গুলি করে হত্যা করেছিল। তাঁকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে নাবলুসের প্রবেশদ্বারে একটি চেকপোস্টে প্রবেশের অভিযোগে গুলি করে হত্যা করে।

    ঐসময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা এবং আহত অবস্থায় দীর্ঘ সময় পরে থাকলেও কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করতে দেয়া হয়নি। ফলে সে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।

    বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে ফিলিস্তিনিদের সন্দেহের বসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অস্ত্রের শক্তি প্রয়োগ করেছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অবরুদ্ধ গাজায় দারিদ্রসীমার নিচে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি

      মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলদার বাহিনীর অবরোধে অঞ্চলটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

      এমনটাই উঠে এসেছে সদ্য প্রকাশিত জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে। এবার মূলত খবরটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটির কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি)। বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়। এতে ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।

      প্রতিবেদনে অবিলম্বে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

      ইউএনসিটিএডির ফিলিস্তিনি সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কারী মাহমুদ এলখাফিফ বলেন, অন্যায্য এই অবরোধের ফলে গাজার অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। দারিদ্রসীমার নিচে দিনাতিপাত করছে অন্তত ৫৬ শতাংশ মানুষ। অবরোধ অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।

      মাহমুদ এলখাফিফ বলেন, গাজার ২০ লাখ লাখ বাসিন্দার ওপর থেকে এই অনর্থক অবরোধ অবিলম্বে তুলে নেওয়া উচিত। তাদের অবাধে চলাফেরা এবং বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের সুযোগ দেওয়া উচিত। উপত্যকার বাইরে থাকা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া উচিত।

      ২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে দখলদার সন্ত্রাসী বাহিনী। বাইরের দুনিয়া থেকে অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নিয়মিত সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সঙ্গেই বাস করতে হচ্ছে সেখানকার ২০ লাখ বাসিন্দাকে।

      জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস দারিদ্রসীমার নিচে। এরমধ্যেই ইসরায়েলি তাণ্ডব তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।

      সূত্র: আল-জাজিরা
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কোটিপতির দখলে গরিবের ঘর

        ১৫ বিঘা জমি, কয়েকটি পানের বরজ আর গোয়াল ভরা গরু রয়েছে জাকির হোসেন মধুর। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জাকির হোসেন কখনো কখনো নিজেকে কোটিপতিও দাবি করেন। এলাকার মানুষও তাকে বিত্তবান বলেই জানে। কিন্তু ঘরহীনদের জন্য সরকারের ত্রাণের ঘর দেওয়া হয়েছে তাকেই।

        জাকির হোসেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের দুঃস্থ মানুষকে ঘর না দিয়ে বিত্তবান জাকিরকে ঘর দেওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

        খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত আ. ছাত্তার সিকদারের স্ত্রী শাহানারা বেগম, মৃত তাজেম আলী সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম, রহিমউদ্দিন, মহিউদ্দিন, বিধবা সালেহা বেগম, রানী বেগম, মোতাহার বেড়িবাঁধে ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছেন। তারা এসব ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু এসব দুঃস্থ মানুষদের জন্য সরকারের দেওয়া পাকা ঘর যাচ্ছে বিত্তবানদের দখলে।

        এ বিষয়ে গলাচিপা সদর ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান হিরন বলেন, ‘জাকির হোসেন মধু বিত্তবান। নিজেকে কোটিপতি হিসাবে দাবি করেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ঘর তাকে কীভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে আমাদের তা জানা নেই।’

        গলাচিপা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী বলেন, ‘ধনী হয়েও মধু কিভাবে গৃহহীনদের আবাসন সুবিধার ঘর পেয়েছে, তা জানা নেই।’ বিষয়টি নিয়ে জাকির হোসনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আমাদের সময়
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X