Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৪ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২৯ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৪ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ২৯ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    ভারতের উত্তর প্রদেশে কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী অধ্যাদেশ কার্যকর করলো রাজ্যপাল

    ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে ‘বেআইনি ধর্ম পরিবর্তন অধ্যাদেশ’ জারি হয়েছে। একেই কথিত ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী অধ্যাদেশ বলা হচ্ছে। (শনিবার) রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেছে।

    সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, ধর্মান্তরিত রুখতে ওই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে। তবে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, কথিত ‘লাভ জিহাদের ভূয়া অভিযোগ তুলে মুসলিমদেরকে আইনের জালে ফাঁসানো।

    আগেই ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বিল আনার কথা জানিয়েছিল সন্ত্রাসী দল বিজেপির ফায়ারব্রান্ড নেতা ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত (মঙ্গলবার) রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানায়, ধর্মান্তরিত করা রুখতে নয়া অর্ডিন্যান্স জারি করবে সরকার।

    অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, জোর করে বিয়ের নামে ধর্ম পরিবর্তন করলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। নাবালিকা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতি নারীকে ধর্মান্তর করলে ৩/১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হবে। গণ ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে একই মেয়াদের কারাবাস এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা হবে।

    ভারতে সাধারণত উগ্রহিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন কথিত ‘লাভ জিহাদ’ শব্দ ব্যবহার করে প্রচারণা চালায়। তাদের দাবি, মুসলিম ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে কৌশলে ধর্মান্তর করায়। প্রকৃতপক্ষে, লাভ জিহাদ’বলতে কিছুই নেই। মূলত এটি মুসলিম যুবকদের হত্যা কিংবা নিপীড়ন চালানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছে হিন্দুত্ববাদীরা। আইনেও ‘লাভ জিহাদ’ -এর অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও থেমে নেই হিন্দুত্ববাদী দলবল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    প্রজেশ দাসের একাধিকবার ধর্ষণচেষ্টার মামলাও নিচ্ছে না পুলিশ

    সুনামগঞ্জের শাল্লায় দিনমজুর পরিবারের এক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেছে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী পরিবারের এক হিন্দু বখাটে। ওই নারীর পরিবারের লোকজন থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা হিসেবে নেয়নি। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে এসে ওই নারীর স্বামী তাঁর মা, স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।

    ওই নারীর স্বামী (৩৮) বলেন, তিনি কৃষিশ্রমিক। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং বৃদ্ধা মা-বাবা নিয়ে তাঁর সংসার। বাবা অসুস্থ। একই গ্রামের বাসিন্দা প্রজেশ দাস (৩২) তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৮ নভেম্বর বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় প্রজেশ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তিনি তখন ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ওই দিনই শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ২১ নভেম্বর রাতে মদ্যপ অবস্থায় প্রজেশ ঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বাবার চিৎকারে তিনি পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তিনি মৌলভীবাজার থেকে বাড়িতে আসেন এবং থানায় আরেকটি অভিযোগ দেন।

    ওই স্বামীর ভাষ্য, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া ঘটনা তদন্তে যায়। তদন্ত শেষে গ্রাম থেকে ফেরার সময় তাঁকে বিষয়টি আপস মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন। ২৩ নভেম্বর আবার শাল্লা থানার ওসির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এবং তাঁর মা-বাবাও উপস্থিত ছিলেন। সবার উপস্থিতিতে থানায় এসআই সেলিম মিয়া তাঁদের পরিবার খারাপ বলে ওসিকে জানান। এ সময় তাঁরা এর প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ওসিকে তাঁদের পরিবার ভালো বলে। পরে ওসি আবার তদন্ত করাবেন বলে কথা দিয়ে তিন দিন তাঁদের অপেক্ষা করতে বলেন। তিন দিন অপেক্ষা করে আবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাননি তাঁরা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসআই সেলিম বলেছে, থানায় মামলা রেকর্ড করতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। আমি গরিব মানুষ। খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন যায়, টাকা পাব কই?’

    প্রথম আলো
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকেও যুবকের লাশ উদ্ধার

      শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতাল ভবনের পেছন থেকে শনিবার দুপুরে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

      ওই যুবকের নাম রাকিব হাসান সম্রাট মুন্সী (৩০)। তিনি ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মৃত সিরাজ মুন্সীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ব্লাড ট্রান্সফিউশন রক্তদান নামের একটি সামাজিক সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন।

      ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের পরিত্যক্ত জায়গায় দুপুর ১২টার দিকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

      প্রথম আলো
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X