তুরখাম সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিবর্ষণ, ইমারতে ইসলামিয়ার সমালোচনা
তুরখাম সীমান্তে পাকিস্তানের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর বুধবার পাকিস্তান সরকার তুরখাম সীমান্ত গেট বন্ধ করে দেয় এবং একটি নিরাপত্তা পোস্ট মেরামতকারী আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এসময় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীও গুলি বর্ষণ করে জবাব দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, পাকিস্তানী সেনাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
এর আগে বালুচিস্তান প্রদেশে এক নিরাপত্তা চৌকির কাছে আফগানিস্তানের ডুমুর ফল বহন করে ভারতে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাক আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে এই ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।
এছাড়া, সম্প্রতি করাচিতে ‘সংবেদনশীল তালিকা’য় অন্তর্ভুক্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে আফগানিস্তানের মালামালবাহী শত শত কনটেইনার এবং গাড়ি আটক করেছিল পাকিস্তান সরকার।
এভাবে প্রায় সময়ই পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও নিজেদের অঙ্গীকারের তোয়াক্কা না করে করাচি বন্দরে সমস্যা তৈরি করে এবং আফগানিস্তানে তাজা ফলের মৌসুম আসার সাথে সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানের এমন কর্মকাণ্ড দুই দেশের ব্যবসাকেই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ করছে না, বরং উভয় দেশের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও ট্রানজিটকে বাধাগ্রস্থ করছে।
ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আফগান দূত মৌলভী সরদার আহমাদ শেকিব বলেন, তুরখাম গেট বন্ধ করা আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি যত দ্রুত সম্ভব এই গেট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা উভয় দেশের মধ্যে নিজেদের বৈদিশিক নীতিমালার ভিত্তিতে কূটনীতিক আলাপ-বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করবে।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এসব কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলবে। সমস্যার সমাধানে পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য ও ট্রানজিট ব্যবস্থা সক্রিয় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তথ্যসূত্র:
1. IEA-MoFA statement regarding closure of Torkham gate
– https://tinyurl.com/2uvwmswd
2. Ministry of Foreign Affairs Criticizes Pakistan’s Actions at Torkham Border
– https://tinyurl.com/4bn46zuf
3. Closure of Torkham Gate Detrimental to Both Countries, Says Acting Afghan Envoy in Islamabad
– https://tinyurl.com/mr3p22rj
তুরখাম সীমান্তে পাকিস্তানের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর বুধবার পাকিস্তান সরকার তুরখাম সীমান্ত গেট বন্ধ করে দেয় এবং একটি নিরাপত্তা পোস্ট মেরামতকারী আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এসময় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীও গুলি বর্ষণ করে জবাব দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, পাকিস্তানী সেনাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
এর আগে বালুচিস্তান প্রদেশে এক নিরাপত্তা চৌকির কাছে আফগানিস্তানের ডুমুর ফল বহন করে ভারতে নিয়ে যাওয়া একটি ট্রাক আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে এই ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।
এছাড়া, সম্প্রতি করাচিতে ‘সংবেদনশীল তালিকা’য় অন্তর্ভুক্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে আফগানিস্তানের মালামালবাহী শত শত কনটেইনার এবং গাড়ি আটক করেছিল পাকিস্তান সরকার।
এভাবে প্রায় সময়ই পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি ও নিজেদের অঙ্গীকারের তোয়াক্কা না করে করাচি বন্দরে সমস্যা তৈরি করে এবং আফগানিস্তানে তাজা ফলের মৌসুম আসার সাথে সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানের এমন কর্মকাণ্ড দুই দেশের ব্যবসাকেই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ করছে না, বরং উভয় দেশের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও ট্রানজিটকে বাধাগ্রস্থ করছে।
ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আফগান দূত মৌলভী সরদার আহমাদ শেকিব বলেন, তুরখাম গেট বন্ধ করা আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তিনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি যত দ্রুত সম্ভব এই গেট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা উভয় দেশের মধ্যে নিজেদের বৈদিশিক নীতিমালার ভিত্তিতে কূটনীতিক আলাপ-বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করবে।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক এসব কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলবে। সমস্যার সমাধানে পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য ও ট্রানজিট ব্যবস্থা সক্রিয় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তথ্যসূত্র:
1. IEA-MoFA statement regarding closure of Torkham gate
– https://tinyurl.com/2uvwmswd
2. Ministry of Foreign Affairs Criticizes Pakistan’s Actions at Torkham Border
– https://tinyurl.com/4bn46zuf
3. Closure of Torkham Gate Detrimental to Both Countries, Says Acting Afghan Envoy in Islamabad
– https://tinyurl.com/mr3p22rj
Comment