আফগানিস্তানে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন
আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত ইমারতে ইসলামিয়ার উমারা ও কর্মকর্তাগণ
আমিরুল মুমিনীন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ হাফিজাহুল্লাহ-এর এক বিশেষ আদেশে (ডিক্রি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়ত্ত্বাধীনে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও তাদেরকে সহায়তা করা। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর শনিবার এই কমিটির উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সচিব মৌলভী আব্দুল্লাহ আজজাম ইসলামি ইমারতের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এখন পর্যন্ত অর্জিত ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করার সুযোগ-সুবিধাগুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে তিনি নিশ্চিত করেন যে, নবগঠিত এই কমিটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হবে ইমারতে ইসলামিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা এবং ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিক কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধান মৌলভী জাবিহুল্লাহ নাসের নবগঠিত কমিটির আদেশপত্র সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বিনিয়োগের পদ্ধতি ও নীতিমালা পরিমার্জন, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে কমিটির মূল মিশনগুলোর রূপরেখা দেন।
পরিশেষে সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় কমিটির কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য তাদের সুপারিশ লিখিত আকারে আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটির সচিবালয়ে জমা দেবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা এই কমিটি গঠনকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, যদি এই কমিটি আরও বেশি কর্তৃত্ব নিয়ে কাজ করতে পারে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ্।
আব্দুল নাসির রাশতিয়া নামে এক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, “সরকার যত বেশি বিনিয়োগ কার্যক্রমকে সহজ করতে পারবে, বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি ততো বেশি প্রণোদনা যোগাবে। কাগজপত্রের ঝামেলা আর সময়ের অপচয় রোধ করা গেলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে।”
ইমারতে ইসলামিয়া, আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পর দেশটির অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামি ইমারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক নানা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানও বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কার্যক্রম আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে সহায়তা করবে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
1. Inaugural Meeting of inter-ministerial committee for investment facilitation convened
– https://tinyurl.com/ycxd5a8c
2. Inter-ministerial committee formed to streamline investment process
– https://tinyurl.com/2ts4nbcb
আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত ইমারতে ইসলামিয়ার উমারা ও কর্মকর্তাগণ
আমিরুল মুমিনীন শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ হাফিজাহুল্লাহ-এর এক বিশেষ আদেশে (ডিক্রি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়ত্ত্বাধীনে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি গঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও তাদেরকে সহায়তা করা। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর শনিবার এই কমিটির উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সচিব মৌলভী আব্দুল্লাহ আজজাম ইসলামি ইমারতের পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এখন পর্যন্ত অর্জিত ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করার সুযোগ-সুবিধাগুলো গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে তিনি নিশ্চিত করেন যে, নবগঠিত এই কমিটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হবে ইমারতে ইসলামিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা এবং ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
পরবর্তী সময়ে অর্থনীতিক কমিশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রধান মৌলভী জাবিহুল্লাহ নাসের নবগঠিত কমিটির আদেশপত্র সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বিনিয়োগের পদ্ধতি ও নীতিমালা পরিমার্জন, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে কমিটির মূল মিশনগুলোর রূপরেখা দেন।
পরিশেষে সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় কমিটির কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য তাদের সুপারিশ লিখিত আকারে আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটির সচিবালয়ে জমা দেবে।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা এই কমিটি গঠনকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, যদি এই কমিটি আরও বেশি কর্তৃত্ব নিয়ে কাজ করতে পারে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ্।
আব্দুল নাসির রাশতিয়া নামে এক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, “সরকার যত বেশি বিনিয়োগ কার্যক্রমকে সহজ করতে পারবে, বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি ততো বেশি প্রণোদনা যোগাবে। কাগজপত্রের ঝামেলা আর সময়ের অপচয় রোধ করা গেলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে।”
ইমারতে ইসলামিয়া, আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পর দেশটির অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামি ইমারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক নানা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানও বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কার্যক্রম আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে সহায়তা করবে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
1. Inaugural Meeting of inter-ministerial committee for investment facilitation convened
– https://tinyurl.com/ycxd5a8c
2. Inter-ministerial committee formed to streamline investment process
– https://tinyurl.com/2ts4nbcb
Comment