মানবিক সহায়তা চুরি করছে মোগাদিশু প্রশাসন: জাতিসংঘ
পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসন সোমালিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা চুরি করেছে। সেই সাথে এসব সাহায্য বিক্রি এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা খরচ করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই সিনিয়র কর্মকর্তা গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সোমালিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিপুল পরিমাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জাতিসংঘের (ইউএন) তদন্তকারী টিম সোমালিয়ার ৫৫টি IDP সাইটের সবকটিতেই সাহায্যের অপব্যবহার খুঁজে পেয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব সহায়তা উপকরণগুলো চুরি, অপব্যবহার এবং বিক্রি করেছে। আর একারণে WFP সাময়িকভাবে দেশটিতে তাদের তহবিল স্থগিত করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বালাজস উজভারি বলেছে, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এসব জালিয়াতি, দুর্নীতি বা অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবো। সেই সাথে আমরা সহনশীলতার নীতিও মেনে চলব।”
ইইউ-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সোমালিয়ায় পাঠানো সাহায্য দেশটির প্রশাসন, ক্যাম্পের মালিক, স্থানীয় কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং মানবিক সহায়তা কর্মীদের দ্বারা চুরি হচ্ছে। একারণে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু এই ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তারা নগদ সহায়তার অর্ধেক পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভাড়া এবং সুবিধাভোগী তালিকা প্রদানের নামে আরো অনেক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এমনটি করতে অসম্মতি জানালে হুমকি দেওয়া হয় যে, সাহায্যের তালিকা থেকে তাদের নাম মুছে ফেলা হবে এবং নগদ অর্থের সামান্যও তাদেরকে দেওয়া হবে না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ত্রাণ চুরি ছিল “ব্যাপক এবং নিয়মতান্ত্রিক”।
উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানবিক সহায়তা চুরির অভিযোগ অনেক আগ থেকেই স্থানীয়রা করে আসছেন। দেশটিতে পাঠানো মানবিক সাহায্যের একটি ছোট অংশই কেবল বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছায়, আর উল্লেখযোগ্য অংশই দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়। গত আগস্ট মাসে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মোগাদিশু বাহিনী থেকে একটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর ঘাঁটিতে তল্লাশি চালানোর পর বেরিয়ে আসে মোগাদিশু বাহিনী কর্তৃক ঘাঁটিটিতে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মানবিক সহায়তা উপকরণ।
বিপরীতে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে দেখতে পাওয়া যায় ভিন্ন চিত্র। খরা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণকে সহায়তায় নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে আশ-শাবাব। শরিয়া শাসনাধীন এলাকাগুলোতে তারা নির্মাণ করছেন রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ড, পানির অভাব দূর করতে নির্মাণ করছেন কৃত্রিম জলাশয়, জনস্বার্থে নির্মাণ করছেন হাসপাতাল ও শিক্ষাঙ্গন। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা নিশ্চিত করছেন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা।
তবুও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ মোগাদিশু প্রশাসনকেই আশ-শাবাবের বিপরীতে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি। হক্কানি উলামাদের বক্তব্য হচ্ছে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার আর ইসলামবিরোধী মিশন বাস্তবায়ন করতেই মূলত দুর্নীতিবাজদেরকে সহায়তার এমন নজির স্থাপন করে যাচ্ছে পশ্চিমারা।
তথ্যসূত্র:
1. Somalia aid theft – a daily reality for country’s most vulnerable
– https://tinyurl.com/5bar22yj
পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসন সোমালিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা চুরি করেছে। সেই সাথে এসব সাহায্য বিক্রি এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা খরচ করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুই সিনিয়র কর্মকর্তা গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সোমালিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিপুল পরিমাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জাতিসংঘের (ইউএন) তদন্তকারী টিম সোমালিয়ার ৫৫টি IDP সাইটের সবকটিতেই সাহায্যের অপব্যবহার খুঁজে পেয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব সহায়তা উপকরণগুলো চুরি, অপব্যবহার এবং বিক্রি করেছে। আর একারণে WFP সাময়িকভাবে দেশটিতে তাদের তহবিল স্থগিত করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বালাজস উজভারি বলেছে, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এসব জালিয়াতি, দুর্নীতি বা অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবো। সেই সাথে আমরা সহনশীলতার নীতিও মেনে চলব।”
ইইউ-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সোমালিয়ায় পাঠানো সাহায্য দেশটির প্রশাসন, ক্যাম্পের মালিক, স্থানীয় কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং মানবিক সহায়তা কর্মীদের দ্বারা চুরি হচ্ছে। একারণে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু এই ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তারা নগদ সহায়তার অর্ধেক পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভাড়া এবং সুবিধাভোগী তালিকা প্রদানের নামে আরো অনেক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এমনটি করতে অসম্মতি জানালে হুমকি দেওয়া হয় যে, সাহায্যের তালিকা থেকে তাদের নাম মুছে ফেলা হবে এবং নগদ অর্থের সামান্যও তাদেরকে দেওয়া হবে না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ত্রাণ চুরি ছিল “ব্যাপক এবং নিয়মতান্ত্রিক”।
উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানবিক সহায়তা চুরির অভিযোগ অনেক আগ থেকেই স্থানীয়রা করে আসছেন। দেশটিতে পাঠানো মানবিক সাহায্যের একটি ছোট অংশই কেবল বেসামরিক নাগরিকদের কাছে পৌঁছায়, আর উল্লেখযোগ্য অংশই দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়। গত আগস্ট মাসে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মোগাদিশু বাহিনী থেকে একটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর ঘাঁটিতে তল্লাশি চালানোর পর বেরিয়ে আসে মোগাদিশু বাহিনী কর্তৃক ঘাঁটিটিতে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মানবিক সহায়তা উপকরণ।
বিপরীতে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে দেখতে পাওয়া যায় ভিন্ন চিত্র। খরা ও দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণকে সহায়তায় নিজেদের সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে আশ-শাবাব। শরিয়া শাসনাধীন এলাকাগুলোতে তারা নির্মাণ করছেন রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ড, পানির অভাব দূর করতে নির্মাণ করছেন কৃত্রিম জলাশয়, জনস্বার্থে নির্মাণ করছেন হাসপাতাল ও শিক্ষাঙ্গন। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা নিশ্চিত করছেন জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা।
তবুও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ মোগাদিশু প্রশাসনকেই আশ-শাবাবের বিপরীতে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তি। হক্কানি উলামাদের বক্তব্য হচ্ছে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার আর ইসলামবিরোধী মিশন বাস্তবায়ন করতেই মূলত দুর্নীতিবাজদেরকে সহায়তার এমন নজির স্থাপন করে যাচ্ছে পশ্চিমারা।
তথ্যসূত্র:
1. Somalia aid theft – a daily reality for country’s most vulnerable
– https://tinyurl.com/5bar22yj
Comment