Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১২ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১২ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় ১৪ দিন জেলে কাটালেন কাশ্মীরি মানবাধিকার কর্মী


    কাশ্মীরি সমাজ কর্মী ওয়াকার এইচ. ভাট্টি


    ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় নির্বাহী সদস্য ডঃ দরাক্ষন অন্দ্রাবিরের সমালোচনা করায় ১৪ দিন হাজতে কাটাতে হয়েছে কাশ্মীরি সমাজ কর্মী ওয়াকার এইচ. ভাট্টিকে। গত ১ সেপ্টেম্বর অন্দ্রাবি তার নামে মামলা দায়ের করলে পুলিশ জনাব ওয়াকারকে গ্রেফতার করে।

    বিজেপি নেত্রী জনাব ওয়াকারের বিরুদ্ধে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা এবং ধর্মের ভিত্তিতে জনগণকে উত্তেজিত করার অভিযোগ আনে। শ্রীনগর পুলিশ বরাবর দাখিল করা আবেদনপত্রে সে জনাব ওয়াকার ভাট্টিকে ‘ভারত বিরোধী তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী’ বলে কটাক্ষও করেছে।

    উল্লেখ্য, ডঃ দরাক্ষন অন্দ্রাবি কাশ্মীরি ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত আছে। এরই মধ্যে সে তার প্রভাব খাঁটিয়ে ওয়াকফ বোর্ড পরিচালিত মসজিদ ও দরগায় ‘ডিগ্রিধারী যোগ্য ইমাম’ নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তার এই প্রস্তাবনা কাশ্মীরি মুসলিমদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দেয়। আর এই বিষয় নিয়েই জনাব ওয়াকার এইচ. ভাট্টি তার সমালোচনা করেছিল। এর জেরেই সে ওয়াকার ভাট্টির নামে মামলা দায়ের করে তাকে জেলে পাঠায়।

    তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে জনাব ওয়াকার ধর্মের ভিত্তিতে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং তাকে ভিলেন (খলনায়ক) হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
    অভিযোগপত্রে সে আরও দাবি করেছে যে, “তার বার্তা খুবই বিদ্বেষপূর্ণ, যা আমার ব্যক্তিসুনামের অপরিমেয় ক্ষতি করেছে। এবং একই সাথে সে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে উত্তেজিত করেছে।“

    শ্রীনগরের একটি বিচারিক আদালত গত ১৪ সেপ্টেম্বর জনাব ওয়াকার এইচ. ভাট্টির অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে এবং তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

    জনাব ওয়াকার ভাট্টি কেবলমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল কাশ্মীরের প্রশাসনিক কাঠামোতে কিছু ব্যক্তির নিয়োগের ব্যাপারে সমালোচনা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই তার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হয়, তাকে জেলে যেতে হয়। এর আগেও কাশ্মীরি মুসলিমদের সমর্থন ও হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় প্রশাসনের সমালোচনা করায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন জনাব ওয়াকার। জম্মু পুলিশ জানিয়েছে যে, তার নামে এপর্যন্ত ৪টি এফআইআর করা হয়েছে।

    তবে প্রসাসনিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি, যিনি কিনা অন্য ধর্মের হয়েও মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান হয়ে বসে আছে, তার সমালোচকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দাখিল করার এখতিয়ার আছে কি না বা এমন প্রেক্ষিতে পুলিশেরই বা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার যৌক্তিক হয়েছে কি না, সেই বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

    আদিল নাজির খান নামের একজন এক্টিভিস্ট তার একটি পোস্টের এক পর্যায়ে অন্দ্রাবিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ”… কেন সে আমাদের ধর্মীয় ব্যপারে নাক গলাচ্ছে?… আমাদের কি করা উচিৎ বা উচিৎ নয়, সেটা নির্ধারণ করার উনার কোন অধিকার নেই। এব্যাপারে সে কেউই না।”

    অথচ এমন বাস্তবসম্মত একটি বিষয় নিয়ে যৌক্তিক সমালোচনা করার কারণেই জনাব ওয়াকারকে জেলে যেতে হয়েছে। তার এই জেল-জরিমানার ঘটনাকে মূলত বিজেপি শাসিত ভারতীয় দখলদার সরকারের নানান অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারীদের ভয় দেখিয়ে নিবৃত করার অপকৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Kashmir: Activist spends 14 days in jail for comments against BJP leader
    https://tinyurl.com/mry5k8e3
    2. Court orders 6-day judicial remand for Waqar H Bhatti in JK Waqaf board chairperson’s case
    https://tinyurl.com/5m7zr9cs

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আরাকানে ফিরে আসায় গ্রেফতার হলো রোহিঙ্গা পরিবার


    গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা পরিবার, ছবি: টুইটার।


    নিজ ভূমি ও দেশের প্রতি গভীর টান ও ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। রোহিঙ্গা মুসলিমরাও এর ব্যতিক্রম নন। কিন্তু তাদের আপন ভূমি আরাকানে ফিরে যাবার সব পথ রুদ্ধ করে রেখেছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। এখনো সেখানে নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয় রয়েছে, তা সত্ত্বেও নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইছেন অনেকে।

    গত এক সপ্তাহে এমন দুটি পরিবার নিজ থেকেই আরাকানে ফিরে গিয়েছিল। তবে সেখানে পৌঁছার সাথে সাথেই তাদের স্থান হয়েছে কারাগারে। মিয়ানমার জান্তা বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

    গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে আরাকানে ফিরে যাওয়ার সময় দুই শিশুসহ চারজনের একটি পরিবারকে গ্রেফতার করে জান্তা বাহিনী। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর আরাকানে ফিরে আসলে এক শিশু সহ আরও তিন রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্রেফতার করে জান্তা বাহিনী। মানবাধিকার কর্মী ‘অং কিয়াউ মো’ এক্স পেইজের পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গারা, ছবি: টুইটার।

    রোহিঙ্গা মুসলিমরা নির্যাতনের মুখে দেশ ত্যাগের ছয় বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের ফিরে যাবার কোন পথ তৈরি হয়নি। জাতিসংঘ ও বিশ্ব মোড়লরা তাদেরকে আরাকানে ফিরিয়ে নেবার আশ্বাস দিয়ে বছরের পর বছর পার করছে, কিন্তু কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।


    তথ্যসূত্র:
    1. This family including minors were arrested while attempting to come back to Myanmar on 20th sept
    https://tinyurl.com/mtftbhhn
    2. Myanmar junta arrested three Rohingya youths who returned to their homeland in Rakhine State, Myanmar, of their own free will from Bangladesh camps on the morning of September 11th.
    https://tinyurl.com/3d7kebmv

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      “ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার খুব কাছাকাছি সৌদি আরব”


      সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান, মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, ফাইল ছবি।


      ফিলিস্তিনি জনগণসহ মুসলিম উম্মাহর সাথে বর্তমান আরব শাসকদের প্রবঞ্চনার ইতিহাস বেশ পুরনো। ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পক্ষে কখনোই কোন শক্তিশালী ও কার্যকর অবস্থান নিতে দেখা যায় নি তাদেরকে। আর এখন তো তারা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ভূমি দখল করে গড়ে উঠা ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একরকম প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

      বিশেষ করে দেখা যায়, ২০২০ সালে আমেরিকার মধ্যস্থতায় কথিত ‘আব্রাহাম চুক্তি’ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
      তখন এ ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে অসন্তোষ দেখা দিলে আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে। একই সাথে ইসরাইলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন বা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্যও এই চুক্তি কাজ করবে।

      কিন্তু চুক্তির স্বাক্ষরের ৩ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে এসব দাবির কোনটিই পূর্ণ হয়নি। বরং অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন আরো বাড়িয়েছে ইসরাইল।
      আরব আমিরাতের দেখানো পথে বাহরাইন ও মরক্কোর মতো মুসলিমপ্রধান দেশও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এই তালিকায় শোনা যাচ্ছে সুদানের নামও।

      এখন একই দাবি ও পথ অনুসরণ করে দখলদার ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে ‘হারামাইন শরীফাইনের’ জন্য মুসলিমদের কাছে মর্যাদাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ সৌদি আরব। সম্প্রতি মার্কিন সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছে ক্ষমতার একক কেন্দ্রে থাকা দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।

      বিন সালমান বলেছে যে, উপসাগরের অন্যান্য দেশের উদাহরণ অনুসরণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের চাপের কারণে তার দেশ ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আরো কাছাকাছি চলে এসেছে। ‘এবং প্রতিদিনই আমরা আরো কাছাকাছি চলে আসছি।’

      ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের সম্ভাব্য ছাড় প্রদান, সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং দেশটিকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি হাসিলে সহায়তা প্রদান করা।

      ফক্স নিউজকে বিন সালমান আরও বলেছে, ‘রিয়াদের কাছে ফিলিস্তিনি ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা এই অংশের সমাধান চাই। বিষয়টি কোথায় যায়, তা আমরা দেখতে চাই। আমরা আশা করছি, আমরা এমন এক স্থানে পৌঁছাতে পারব, সেখানে ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ হবে, এবং ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি খেলোয়াড় হিসেবে পাব।’

      তার পুরো বক্তব্যটি শুনে এটা বুঝে নেওয়া যায় যে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেয়ে তার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও সৌদি আরবের স্বার্থ উদ্ধার এবং কথিত উন্নয়ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিন সালমান ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষাকে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করলেও, ফিলিস্তিনি মুসলিমরা বরাবরই ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে, আর এই নির্যাতন চলমান থাকা অবস্থায়ই তার দেশ দিন দিন ‘ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আরো কাছাকাছি চলে এসেছে’। ইসরাইলের ‘আরও কাছাকাছি’ চলে আসার এই সময়কালে কিন্তু ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ করা হয়নি।

      ইসলামের তৃতীয় পবিত্র আল-আকসার মসজিদময় ভূমি ফিলিস্তিন, যা আজ থেকে ৭৫ বছর আগে সাম্রাজবাদী বৃটিশ সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় জোরপূর্বক দখল করে নেয় ইউরোপ থেকে বিতাড়িত ইহুদিরা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দখলদারিত্ব বৃদ্ধি ও ফিলিস্তিনিদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে এসেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। দখলদারিত্বের এ দীর্ঘ সময় এক দিনের জন্যও আগ্রাসন বন্ধ করেনি তারা। এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের পূর্ণ সমর্থণ ও সহযোগীতা করছে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।

      সম্প্রতি ফিলিস্তিনে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইসরাইল, যার ফলে চলতি বছর এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২৫১ জন মুসলিম নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে যখন মুসলিম ও আরব রাষ্ট্রগুলোর উচিৎ ছিল ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পক্ষে জোড়ালো অবস্থান ঘোষণা ও সহযোগিতা প্রদান করা এবং ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ ও এসংলগ্ন ঐতিহাসিক জায়গাগুলোকে অভিশপ্ত ইয়াহুদী থেকে পুতঃপবিত্র রাখার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা, ঠিক এই সময়েই তারা দখলদার ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। আর এর ফলে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হওয়ার বদলে দখলদার ইজরাইলের জুলুম দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:

      1. Saudi Crown Prince MBS says Israel normalisation getting ‘closer’
      https://tinyurl.com/mvvumrce

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘এই মোল্লাকে বের করে দিন’: লোকসভায় বিজেপি নেতার মুসলিমবিদ্বেষী আচরণ


        দানেশ আলীকে হাসিমুখে সাম্প্রদায়িক কটূক্তি করছে বিজেপি এমপি রমেশ বিধোরি


        বহুজন সমাজ পার্টির সংসদ সদস্য কুনওয়ার দানেশ আলীকে সাম্প্রদায়িক কটূক্তি করেছে বিজেপি এমপি রমেশ বিধোরি। গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারে ভারতের লোকসভায় এই ঘটনা ঘটে।

        দানেশ আলীকে আতঙ্কবাদী, উগ্রবাদী বলে সম্বোধন করার পাশাপাশি ‘মোল্লা’ বলে কটূক্তি করে রমেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় দানেশ আলীকে লক্ষ্য করে রমেশ বলছে, “এই উগ্রবাদী! যখন তুমি দাঁড়াবে তখন তোমাকে কথা বলতে দেবো না, বলে দিচ্ছি। এই মোল্লা হচ্ছে আতঙ্কবাদী। বাইরে বের করে দিন এই মোল্লাকে।”

        এর আগে দানেশ আলী আইআইটি-মান্ডির পরিচালক লক্ষ্মীধর বেহারার একটি উক্তির উল্লেখ করেছিলেন। আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানের ঐ পরিচালক বলেছিল যে, মানুষ মাংস খাওয়ার কারণেই নাকি হিমাচল প্রদেশে ভূমিধস এবং অতিবৃষ্টি সংঘটিত হচ্ছে।

        রমেশ বিধোরী যখন দানেশ আলীকে গালিগালাজ করছিল, তখন দুই বিজেপি এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী রবি শংকর প্রাসাদ ও হর্ষবর্ধনকে হাসতে ও মজা করতে দেখা যায়। দানেশ আলী কেবল মুসলিম নামধারী হওয়ার কারণেই বিজেপি হিন্দু এমপি তাকে লোকসভায় বসে কটাক্ষ ও গালিগালাজ করেছে।

        রমেশ বিধোরীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও প্রকৃতপক্ষে বিজেপি সরকার সমষ্টিগতভাবেই ইসলামবিদ্বেষী। বিজেপির নেতৃত্ব পর্যায়ের বহু ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ইসলামকে কটূক্তি করে চলেছে, মুসলিমদের উপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে। আসলে বিজেপি নেতাদের ইসলামবিদ্বেষের একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে লোকসভায় বসে রমেশ বিধোরীর এমন বক্তব্যে।



        তথ্যসূত্র:
        1. BJP MP spews communal slurs against Muslim BSP MP, party issues show-cause notice to him
        https://tinyurl.com/yp7j8fek
        2. BJP MP Ramesh Bidhuri uses communal slurs in LS, calls BSP’s Muslim MP Danish Ali ‘terrorist’
        https://tinyurl.com/y7dpt4mx

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X