ফিলিস্তিনের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলিম প্রবেশে দুই দিনের নিষেধাজ্ঞা
ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলি পতাকা। ছবি: মিডল ইস্ট মনিটর।
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘সুক্কোৎ’ পালনের জন্য ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদে ২ দিনের জন্য মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দখলদার ইসরাইল। এ সময়ে মসজিদটিতে অবাধে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে ইহুদিরা।
গত ২ অক্টোবর মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানা যায়।
ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক ঘাসন আল-রাজাবি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ইহুদি উৎসব উপলক্ষে দুই দিন ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের প্রতিটি গেইট ও অভ্যন্তরের সব স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইসরাইলে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের।’
পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন। বহু নবী রাসূলের স্মৃতি-গাঁথা ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্বলিত ভূমি হচ্ছে এই ফিলিস্তিন। আর ইব্রাহিমি মসজিদটি এমনই এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে অবস্থিত। এ মসজিদের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নবী ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব আলাইহিমুস সালামের স্মৃতি। ধারণা করা হয় এখানেই রয়েছে তাঁদের কবর।
ফিলিস্তিন দখল করার পর ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে ইহুদি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নানা কূটকৌশল অবলম্বন ও আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরাইল। ১৯৯৪ সালে মসজিদটিতে এক ইহুদি নামাজরত মুসল্লীদের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল। বর্বরোচিত এ হামলায় ২৯ জন ফিলিস্তিনি নির্মমভাবে শহীদ হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম পর্যায়ে মসজিদটি বন্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। পরে মসজিদটিকে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য দুই ভাগে বিভক্ত করে দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আর এভাবেই মসজিদটিতে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে জায়নবাদী ইসরাইল।
শুধু মসজিদটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। যখনই ইহুদিদের কোন ধর্মীয় উৎসবের সময় আসে তখনই মসজিদটির পূর্ণ অংশ ইহুদিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সেখানে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসরাইল। এছাড়া প্রায় সময় গানের কনসার্টের আয়োজন করে মসজিদের ভিতর নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে ইহুদিরা। এভাবে প্রতিনিয়ত আল্লাহ তা’আলার ঘর মসজিদকে অবমাননা করে চলেছে ইহুদিরা।
ইসরাইলের এমন আচরণ সত্ত্বেও বিশ্ব সম্প্রদায় ও কথিত শান্তির কথা বলা জাতিসংঘ কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে আরব শাসকরা ইসলামের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক গড়তে ব্যস্ত রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israel shuts Hebron Ibrahimi Mosque to Muslim worshippers for Jewish holiday
– https://tinyurl.com/29rtfp25
ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলি পতাকা। ছবি: মিডল ইস্ট মনিটর।
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘সুক্কোৎ’ পালনের জন্য ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদে ২ দিনের জন্য মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দখলদার ইসরাইল। এ সময়ে মসজিদটিতে অবাধে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে ইহুদিরা।
গত ২ অক্টোবর মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানা যায়।
ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক ঘাসন আল-রাজাবি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ইহুদি উৎসব উপলক্ষে দুই দিন ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের প্রতিটি গেইট ও অভ্যন্তরের সব স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ইসরাইলে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের।’
পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন। বহু নবী রাসূলের স্মৃতি-গাঁথা ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্বলিত ভূমি হচ্ছে এই ফিলিস্তিন। আর ইব্রাহিমি মসজিদটি এমনই এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে অবস্থিত। এ মসজিদের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নবী ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুব আলাইহিমুস সালামের স্মৃতি। ধারণা করা হয় এখানেই রয়েছে তাঁদের কবর।
ফিলিস্তিন দখল করার পর ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে ইহুদি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নানা কূটকৌশল অবলম্বন ও আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরাইল। ১৯৯৪ সালে মসজিদটিতে এক ইহুদি নামাজরত মুসল্লীদের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল। বর্বরোচিত এ হামলায় ২৯ জন ফিলিস্তিনি নির্মমভাবে শহীদ হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম পর্যায়ে মসজিদটি বন্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। পরে মসজিদটিকে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য দুই ভাগে বিভক্ত করে দেয় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। আর এভাবেই মসজিদটিতে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করে জায়নবাদী ইসরাইল।
শুধু মসজিদটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। যখনই ইহুদিদের কোন ধর্মীয় উৎসবের সময় আসে তখনই মসজিদটির পূর্ণ অংশ ইহুদিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সেখানে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসরাইল। এছাড়া প্রায় সময় গানের কনসার্টের আয়োজন করে মসজিদের ভিতর নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে ইহুদিরা। এভাবে প্রতিনিয়ত আল্লাহ তা’আলার ঘর মসজিদকে অবমাননা করে চলেছে ইহুদিরা।
ইসরাইলের এমন আচরণ সত্ত্বেও বিশ্ব সম্প্রদায় ও কথিত শান্তির কথা বলা জাতিসংঘ কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে আরব শাসকরা ইসলামের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক গড়তে ব্যস্ত রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israel shuts Hebron Ibrahimi Mosque to Muslim worshippers for Jewish holiday
– https://tinyurl.com/29rtfp25
Comment