Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৫ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ১০ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৫ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ১০ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে ইসরায়েলি ফুটবল ক্লাব কিনলো আমিরাতি যুবরাজ

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসক পরিবারের এক যুবরাজ দখলদার ইসরায়েলের একটি ফুটবল ক্লাবের অর্ধেক মালিকানা কিনে নিয়েছে। এ ক্লাবটির সমর্থকরা সবচাইতে বেশি মুসলিম ও আরব বিদ্বেষী। এছাড়া সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও অবমাননার অবমাননার অভিযোগ রয়েছে।

    বেইতার জেরুযালেম নামের এই ক্লাবটিতে আগামী ১০ বছরে ৯২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে শেখ হামাদ বিন খলিফা আল নাহিয়ান।

    শেখ হামাদ দাবি করে, ‘আমি রোমাঞ্চিত এই গৌরবময় ক্লাবের অংশীদার হতে পেরে। আমি এই শহর সম্পর্কে অনেক শুনেছি, বিশ্বের অন্যতম পবিত্র শহর, ইসরায়েলের রাজধানী।’

    ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব বেইতার জেরুযালেম। যারা ছয়বার ইসরায়েলের প্রিমিয়ার লিগে জয় পেয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামেন নেতানিয়াহু এই ক্লাবটির সমর্থক।

    এই ক্লাবটি পরিচিত ‘উগ্র’ সমর্থকগোষ্ঠীর জন্য, যারা ‘লা ফ্যামিলিয়া’ নামে পরিচিত। যারা আরবদের প্রতি সরাসরি বিদ্ধেষী।

    ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ আরব।

    ক্লাবটির স্টেডিয়ামে ‘আরবদের মৃত্যু হোক’ এমন শ্লোগান নিয়মিত শোনা গিয়েছে।

    ক্লাবের সমর্থকেরা যখন জানতে পারে, একজন আমিরাতি আরব যুবরাজ এই ক্লাবটির অর্ধেক শেয়ার ক্রয় করেছে। এর পর থেকেই ক্লাবটির সমর্থকরা এবিষয়ে বিরোধিতা করছে।

    ক্লাবটির সমর্থকেরা বেইতার জেরুজালেম স্টেডিয়ামের বাইরের দেয়ালে আক্রমণাত্মক ইসলাম ও আরব বিরোধী বিভিন্ন লেখা অংকন করে। তারা দেয়ালে লিখে, ‘মুহাম্মদ মারা গেছে’, ‘আরবরা মরে পঁচে গেছে’, ‘দুবাই তোরা আমাদের কিনতে পারবেনা’, আমরা তোদের….. (….অকথ্য ভাষায় গালি)’।

    ঠিক তিন মাস আগে আরব আমিরাত প্রথম উপসাগরীয় আরব মুসলিম গাদ্দার দেশ হিসেবে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ রাষ্ট্রের সাতে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করে।

    চুক্তির পর দু-দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষে এ ক্লাবটি কেনা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।

    সূত্র : ডকুমেন্টিং অপরেশন এগিনেস্ট মুসলিম।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কোরআন পাঠ, হজ্ব ভ্রমণের জন্য মুসলিমদের গ্রেপ্তার করত চীন

    চীনের শিনজিয়াংয়ে তুর্কি উইঘুর মুসলিমদের কোরআন শরীফ পাঠ, পর্দা পরা, হজ্বে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করত চীন। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর আল জাজিরা।

    খবরে বলা হয়েছে, আকসু দপ্তরের ২ হাজারের বেশি বন্দির ফাঁস হওয়া তালিকা পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তলিকাটি তারা যাচাই-বাছাই করেছে। মুসলিমদের দমন করতে চীন প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

    মায়া ওয়াং নামে এক সিনিয়র চীনা এইচআরডব্লিউ গবেষক জানান, আকসুর তালিকা থেকে কিভাবে চীন শিনজিয়াংয়ে তুর্কি মুসলিমদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দমন-নিপীড়ন চালায় তার ভয়ানক বর্ণনা পাওয়া গেছে।

    এইচআরডব্লিউ উদাহরণস্বরূপ দুইটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। প্রথমটি ১৯৮০ সালে, একব্যক্তির কোরআন পাঠ এবং ২০০০ সালে স্ত্রীকে পর্দা পরতে দেওয়ায় চীন ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। এর পর ২০১৩ সালে আকসুর বাইরে ভ্রমণ করায় এক নারীকে আটক করেছে চীন। ঐ নারী প্রথমে কাশগর এবং হতানে এক রাত কাটিয়েছিলেন। এছাড়া আকসুর তালিকা থেকে এইচআরডব্লিউ আরো জানায়, ভিপিএন ব্যবহার করে চ্যাট করার কারণেও ওই অঞ্চলে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

    জাতিসংঘের অনুমান, ১০ লাখের বেশি তুর্কি মুসলমান এদের মধ্যে বেশিরভাগ জাতিগত উইঘুর। পশ্চিম-পশ্চিম জিনজিয়াংয়ে তাদের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন তাদের আটকের উদ্দেশ্য ছিল তুর্কি মুসলমানদের “জাতিগত এবং ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলা” এবং চীন সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য নিশ্চিত করা।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ রাখতে ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনা

      পশ্চিম তীরে নতুন করে আবারও ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। গত রোববার ইসরায়েলি কয়েকটি গণমাধ্যম এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।

      এপি ও ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরে আরো চারটি অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ করা হবে।

      এছাড়া, আল-কুদস শহরের উত্তরে আরো নয় হাজার ইউনিট বসতি নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে তেল আবিব। রোববার ইসরাইলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেজেভ পশ্চিম তীরে নতুন চারটি বসতি নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এ পরিকল্পনার আওতায় নতুন নতুন মহাসড়ক, পাতালপথ ও ওভারপাস নির্মাণ করবে ইহুদিবাদী দেশটি।

      পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে কয়েক বছরের মধ্যে ওই সব বসতির বাসিন্দারা জেরুসালেম ও তেল আবিবে অবাধে যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে নিজেদের শহরগুলোর এক অংশে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন ফিলিস্তিনিরা। ১৯৯৫ সালের ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) মধ্যে চুক্তির আওতায় পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীরকে অঞ্চল এ, বি এবং সিতে বিভক্ত করা হয়েছিল।

      পশ্চিম তীরের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা নিয়ে এরিয়া সি গঠিত। ওই এলাকার নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে। এরিয়া সি এলাকায় বর্তমানে প্রায় তিন লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিক বসবাস করেন। যাদের অধিকাংশ বেদুইন অবস্থায় মূলত তাঁবু, কাফেলা এবং গুহায় বাস করে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমের উভয় অংশকেই ***অধিকৃত অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং সেখানে ইহুদি বসতি-নির্মাণ কার্যক্রমকে অবৈধ বলে মনে করা হয়। সূত্র: ইকনা
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ৪ দিনের ব্যবধানে ঢাবির ক্যাম্পাস থেকে ফের নবজাতকের লাশ উদ্ধার

        মাত্র ৪ দিন আগে জগন্নাথ হলের সামনে ড্রেনের পাশে রাস্তার উপর থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের পেছনে পানির পাম্প সংলগ্ন কেচি গেটের সঙ্গে লাগানো অবস্থায় এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতককে কে বা কারা ওই স্থানে রেখে গেছে তা পুলিশ এখনো জানতে পারেনি।

        বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে নবজাতকটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

        এর আগে গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) জগন্নাথ হলের সামনে ড্রেনের পাশে রাস্তার উপর থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তার আগে গত ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছিলেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনাকালেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার কোটি রুপির অস্ত্র কিনেছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি

          করোনা মহামারীর বছর চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি রুপির অস্ত্র কিনেছে ভারতের বিজেপি সরকার।

          সম্প্রতি আমেরিকায় ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য সামনে এসেছে। চলতি বছরে অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছে। ঠিক তখনই এক ধাক্কায় আমদানি অনেকটাই বাড়িয়েছে ভারত।

          মার্কিন সামরিক নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনেছে ভারত। ভারতীয় অর্থে যার মূল্য ২৫ হাজার কোটিরও বেশি। গত বছর এই অংকটা ছিল ৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৪৫ কোটির কিছুটা বেশি।

          সংবাদ প্রতিদিন বলছে, এক ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আমদানি এতটা বেড়ে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এটা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালের শেষ বছর।

          পাশাপাশি মহামারীর ধাক্কায় ভারতীয় অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। সরকারের তহবিলেও টান পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপুল অস্ত্র কেনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

          উল্লেখযোগ্যভাবে এ বছর অস্ত্র কেনা কমিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ। ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশ ৫৫.৭ বিলিয়ন মূল্যের সমরাস্ত্র কিনেছিল। চলতি বছরে সেই হিসাবটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভাস্কর্য নিয়ে নওমুসলিম যুবকের স্ট্যাটাস ভাইরাল

            দেশে চলমান ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মূর্তি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এক নওমুসলিম।ইতিমধ্যে তার এই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়েছে। তার আগের নাম সত্যজিৎ রায় (২২)। তিনি পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার। মুসলিম হয়ে তিনি তার নাম রেখেছেন মুহাম্মাদ।

            রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় থাকেন মুহাম্মাদ। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর থেকে তিনি তার পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছেন। স্বনির্ভর এ যুবক ভাস্কর্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। যেই মূর্তি-ভাস্কর্য বাদ দিয়ে হিন্দু থেকে ইসলামে দাখিল হলাম, আজ সেই মুসলিমই কুরআন হাদিসের বিপক্ষে।’

            মুহাম্মাদের প্রোফাইল থেকে গত রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দেয়া স্ট্যাটাসটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ৫শ মানুষ মন্তব্য করেছেন এবং ১ হাজারেও বেশি ব্যবহারকারী এটি শেয়ার করেছেন।

            মন্তব্যের ঘরে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মুহাম্মাদের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন। তারা বলছেন, ‘মুহাম্মাদ ইসলামে এসে এ ধর্মের মর্ম বুঝতে পেরেছেন।

            মোহাম্মদ নিলয় নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, আপনি সফল আল্লাহ প্রেমিক ভাই। যারা একটা দলের জন্য আল্লাহর আদেশ ভুলে গিয়ে ভাস্কর্য আর মূর্তি প্রেমিক হচ্ছে, তাদের হিসাব আল্লাহ নেবেন। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝদান করুক।

            মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন নামে একজনে লিখেছেন, জন্মসূত্রে সবাই মুসলিম। কিন্তু মুমিন বা মুত্তাকী কতজন? নিজেকে মুমিন মুত্তাকী হিসাবে গড়ে তুলুন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে জান্নাতে যাবেন। ইসলামটা আপনার জন্য আদর্শস্বরুপ। সবাই কি করলো সেটা দেখতে যাবেন না। স্টাডি করেন, বেশীরভাগ আলেমদের মতকে অগ্রাধিকার দেন।

            তানভীর আহমেদ লিখেছেন, ভাই এদের নামগুলো শুধু মুসলমানদের মত। আসলে এরা ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। আল্লাহ এবং রাসূলের যারা বিরোধী, তারা আর যাইহোক মুসলিম থাকে না। আমাদেরকে এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

            রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার জান-ই-আলম সরকার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন মুহাম্মদ। ছোটবেলা থেকেই একাডেমিক পড়ালেখায় মনোযোগী ছিলেন না নওমুসলিম মুহাম্মাদ। কর্মমুখী শিক্ষায় ঝোঁক ছিল তার। সে থেকে পরবর্তীতে এসএসসি পরীক্ষার পর শুরু করেন ফিল্যান্সিং। বর্তমানে তিনি এর মাধ্যমে স্বনির্ভর জীবনযাপন করছেন।

            মুহাম্মাদ জানান, তার স্ট্যাটাসটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তিনি বেশকিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে তার ফেসবুকে ব্যবহার করা নাম নিয়ে। তবে ফেসবুক পলিসির কারণে তিনি বর্তমানে নাম পরিবর্তন করতে পারছেন না বলে জানান। এছাড়া এ স্ট্যাটাসটি কাউকে দেখানো কিংবা ভাইরাল হওয়ার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তার। তিনি শুধুমাত্র নিজ দায়িত্ব থেকে এটি লিখেছেন।

            মুহাম্মাদ চলতি বছরের শুরুতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবাই তাদের ধর্মগ্রন্থ পরিপূর্ণভাবে পড়ে না। যদি পড়তো তাহলে সবাই দলে দলে ইসলামে দাখিল হতো।

            স্ট্যাটাসের বিষয়ে মুহাম্মাদ বলেন, আমি শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। যা আল্লাহ আমার উপর ফরজ করেছেন। তিনি কোরআনে বলছেন, সত্য সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তালার। আমি উছিলা মাত্র, আমাকে নেকি অথবা গুনাহ অর্জন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখন আমি কি করছি তা দ্বারা আমার বিচার হবে। না হলে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরভুক্ত হতে চাই না।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              উইঘুর | শুকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে মুসলিমদের

              প্রতি শুক্রবার জুমার দিন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে উইঘুর মুসলিমদের শুকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। যারা শুকরের মাংস ভক্ষণ করতে অস্বীকার করে, তাদের কঠিন শাস্তি দিচ্ছে চীনের ইসলামবিদ্বেষী সরকার।

              বার্তা সংস্থা ডকুমেন্টিং অপ্রেশন এগেইন্সট মুসলিমসের বরাতে জানা যায়, উইঘুর বন্দী শিবির থেকে মুক্তি পাওয়া সাইরাগুল সাউথবে এর সাক্ষাতকার থেকে এসব শাস্তির বিষয়ে জানা গেছে। সাইরাগুল জানান, ইসলামে শুকরের মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। তবুও চীন সরকার মুসলিমদের জন্য শুকরের মাংস খাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।
              এভাবে চীনা নাস্তিক্যবাদী সরকার মুসলিমদেরকে ইসলামবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করছে।
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতের কর্ণাটকে গরু জবাই বন্ধে প্রস্তাব পাস

                ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বিধানসভায় হট্টগোলোর মধ্য দিয়ে বিতর্কিত গরু জবাইবিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে। গবাদিপশু জবাইরোধ ২০২০-এ, রাজ্যে গরু জবাই সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের আহ্বান জানানো হয়।

                বুধবার বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাস হয়। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে কর্ণাটকের আইন এবং সংসদবিষয়ক মন্ত্রী জেসি মধুস্বামী বলেছে, হ্যাঁ প্রস্তাবটি বিধানসভায় পাস হয়েছে।

                গরু-বাছুরের পাশাপাশি ১২ বছরের কম বয়সী মহিষ-মহিষের বাছুর রক্ষার বিষয় প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

                গবাদিপশু সুরক্ষায় গোয়ালঘর কীভাবে তৈরি করতে হবে তাও বলা হয়েছে। বিষয়গুলো তদারকির জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু রক্ষায় যারা কাজ করবে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

                শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রস্তাব পাস হলে, সংখ্যালঘু মেরুকরণ বাড়বে। আইনের অপপ্রয়োগের শিকার হবে সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X