Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৭ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৭ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ!



    গাজা ভূখণ্ড দখলের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে অভিযান শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল, সাথে রয়েছে অ্যামেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব।

    অ্যামেরিকা যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বহর ও সামরিক সাহায্য পাঠানোর পর এবার ব্রিটেনও ইসরায়েলের সাহায্যার্থে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে; সামরিক সাহায্য প্রদান করছে ফ্রান্স জার্মানি সহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোও।

    পশ্চিমা সমর্থনে ফুলেফেঁপে উঠা ইসরায়েল এখন তাই গাজার পূর্ব অংশের ১১ লাখ বাসিন্দাকে ঐ এলাকা থেকে সরে যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে, যেন গাজাবাসীর উপর সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের আর কোন সংবাদই না পায় বিশ্ববাসী।

    ইসরায়েলের কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ১২ অক্টোবর বিকাল পর্যন্ত গাজায় ৬০০০ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল এয়ার ফোর্স। নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমার ব্যবহারও তারা করেছে গাজাবাসির উপর।

    সব মিলিয়ে সেখানে পূর্ণ যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার অবস্থা বিরাজ করছে বলা যায়।

    ইসরায়েলি বিমান হামলায় অসহায়ের মতো মরছে গাজার মুসলিমরা; মরছে বৃদ্ধ, মরছে নারী ও শিশুরা। ১৩ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়েছে গাজায়। জ্বালানী, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এমনকি খাদ্যসামগ্রী পর্যন্ত প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না গাজায়।

    ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা ঘেরাও করে রেখেছে অন্তত ৩ লাখ ইহুদি সেনা।

    এমন মানবেতর পরিস্থিতির মুখেও মুসলিম বিশ্বের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সাহায্য পাচ্ছে না ফিলিস্তিন।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘ইউরোপ জুড়ে মুসলিমদেরকে অন্যায়ভাবে কালো তালিকায় রাখা হয়েছে’


    ইউরোপে বসবাসরত মুসলিমরা ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। ছবি - প্রেস টিভি


    পুরো ইউরোপ জুড়েই মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইসলাম বিদ্বেষী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপের সাতটি দেশের মুসলিম প্রতিনিধিরা।

    গত ৫ অক্টোবর পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অনুষ্ঠিত সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপস (ওএসসিই) হিউম্যান ডাইমেনশন কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী মুসলিম প্রতিনিধিরা আরও অভিযোগ করেন, ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে রয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

    অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, সুইডেন, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসসহ সাতটি দেশের মুসলিম সংগঠন এ সম্মেলনে যোগ দেয়। তবে, লন্ডনভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচালক মুহাম্মদ রাব্বানিকে এই সম্মেলনে অংশ নিতে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তার নাম “শেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম” এ থাকায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, শেনজেন হলো ইউরোপের নিরাপত্তা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তথ্য আদান-প্রদান পদ্ধতি।

    সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের মুসলিম রাইটস ওয়াচের মুখপাত্র আদানি আল-কানফুদি বলেন, ‘অন্যান্য মুসলিম নাগরিক সংস্থার পাশাপাশি রাব্বানির সাথেও তার সাক্ষাত করার কথা ছিল। তাকে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে না দেয়ার ঘটনাটি একটি বড় উদাহরণ যে, এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যায়ভাবে কালো তালিকায় রাখা হয়।’

    তিনি জানান, ‘আমরা ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্যে আছি। এখানে মুসলিমদেরকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়, ‘সাংবিধানিক অধিকার নির্লজ্জভাবে লঙ্ঘন করা হয়। এই বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা কেবল ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপরই প্রয়োগ করা হয় না, বরং আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ও বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।’

    নিজের দেশের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, শত শত মুসলিমকে ভ্রান্তভাবে সন্ত্রাসী তালিকায় রেখেছে ডাচ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে অনেকে জীবিকা হারিয়েছে, অনেকে ব্যাংকিং ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, অনেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো থাকছে।

    সুইডেনের প্রতিনিধি আরমান জেজিজ বলেন, তিনি যখন বক্তৃতাটি লিখছিলেন, তখন সুইডেনে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল।

    তিনি বলেন, ‘যদি বইপুস্তক পুড়িয়ে দেয়া হয়, মুসলিমদেরকে তাদের পোশাক পরতে দেয়া না হয়, তাদের ওপর সবসময় নজরদারি চালানো হয়, তাদেরকে যদি অব্যাহতভাবে সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, তবে তারা কী করবে?’

    বাস্তবতা হচ্ছে, শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্ব জুড়েই ইসলাম বিদ্বেষের কালো থাবা ছড়িয়ে পড়েছে। সুইডেন, ডেনমার্কের মতো দেশে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় কুরআন পুড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ মুসলিম বিশ্বের নেতৃবর্গ কার্যত নীরব ভূমিকাই পালন করছে। শুধু মৌখিক নিন্দা জানানোর মধ্যেই তাদের প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ থাকছে। ফলে, ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম ও মুসলিমদেরকে অবমাননা করার আরও সাহস পাচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Muslims ‘unjustly placed on blacklists’ across Europe, rights groups warn
    https://tinyurl.com/yp59un7e
    2. Rights groups slam ‘state-sponsored’ Islamophobia facing Muslims across Europe
    https://tinyurl.com/bdz7ntt6
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X