Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৯ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৯ রবিউল আওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    দক্ষিণ সোমালিয়া শহরে মার্কিন বোমা হামলায় বেসামরিক হতাহত


    সম্প্রতি আমেরিকান যুদ্ধবিমান দক্ষিণ সোমালিয়ার বুয়ালে, জিলব এবং সাকো শহরে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের সম্পত্তি এবং পরিষেবা কেন্দ্রগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে৷

    গত ২৫ রবিউল আউয়াল মোতাবেক ১০ অক্টোবর রাতে, খাবারের সময়ের পর আমেরিকান বিমান বুয়ালি শহরে বোমাবর্ষণ করে। এতে বেসামরিক জনগণের বাড়িঘর, একটি শিশুদের স্কুল এবং একটি খাবারের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানের আওয়াজ শুনে বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর থেকে সরে আসেন। এতে কোনো মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি; তবে তাদের সম্পদ ও বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    শাহাদাহ্‌ এজেন্সি বুয়ালি শহরে অ্যামেরিকার ৩ টি বোমা হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে আবু বকর আল-সিদ্দিক স্কুলের ধ্বংসাবশেষ এবং কোরআন ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক বইয়ের অবশিষ্টাংশ দেখানো হয়েছে। স্কুলের শ্রেণীকক্ষ ও আসবাবপত্রও ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
    ছবিগুলিতে দোকানের ধ্বংসাবশেষ, মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাদ্য সামগ্রী এবং সেইসাথে বেসামরিক মানুষের বাড়িঘরে ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ দেখানো হয়েছে।

    এরপর আমেরিকান বিমানগুলো ১১ অক্টোবর ভোররাত একটার দিকে জিলব শহরে বোমা বর্ষণ করে। সরাসরি শহরের প্রধান বৈদ্যুতিক কোম্পানি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে সেটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় অ্যামেরিকা। বোমা হামলার ফলে সেখানে ব্যাপক আগ্নিকাণ্ড ঘটে, পরের দিন সকাল পর্যন্ত জ্বলতে থাকে সেই আগুন।

    আমেরিকান বিমান একটি হেফযে কুরআন স্কুল এবং দুই বাসিন্দার বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে, ফলে ছোট শিশু ও মহিলারা আহত হয়েছে।
    শাহাদা এজেন্সি থেকে প্রাপ্ত ছবিতে আমেরিকান বিমান থেকে ৪টি বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানি, কোরআনিক স্কুল এবং বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংসের চিত্র দেখানো হয়েছে। এছাড়া আহত কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

    এরপর, ভোরে সাকো শহরে বোমা বর্ষণ করে মার্কিন বিমান। সেখানে দুটি বোমা বেসামরিক বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হয়। আর তৃতীয় বোমাটি একটি খালি জায়গায় পরে মাটিটে ছোট গর্ত তৈরি হয়।

    সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, দক্ষিণ সোমালিয়ার এই শহরগুলি কেনিয়ার বিমান দ্বারা বোমাবর্ষণ প্রত্যক্ষ করেছে। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক বোমা হামলার লক্ষ্য আশ-শাবাব শাসনাধীন ইসলামিক অঞ্চলগুলিতে বসবারত সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত করা এবং ভয় দেখানো বলে মনে হয়।

    তবে শাবাব সূত্র বলছে, এই বোমা হামলাগুলি সোমালিয়ায় আশ-শাবাব মুজাহিদিনের মোকাবিলায় অ্যামেরিকান বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক জোটের অক্ষমতাকে প্রমাণ করে দিয়েছে। বিশেষ করে মধ্য সোমালিয়ায় তাদের পরাজয় এবং সোমালি সরকার কর্তৃক আশ-শাবাব যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে শুরু করা সামরিক অভিযানের ব্যর্থতা ঢাকতেই এখন নির্বিচারে বেসামরিক জনগণের উপর বোমা হামলা চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রুসেডার জোট বাহিনী।

    আগের যুদ্ধগুলোতে সোমালি সরকার ও মিলিশিয়াদের দেওয়া অ্যামেরিকান সহায়তার বড় অংশই আশ-শাবাবের হস্তগত হয়েছে এবং অবশিষ্ট সামগ্রির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই অ্যামেরিকা এখন প্রতিশোধ গ্রহণ করছে সোমালি জনগণের বিরুদ্ধে নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে ও বোমাবর্ষণ করে, যারা কি না আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রণাধীন ইসলামী অঞ্চলগুলিতে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করছে।

    অ্যামেরিকার উক্ত বিমান হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ছবি নিয়ে একটি ফটো-রিপোর্ট ইনশাআল্লাহ্‌ আমরা খুব দ্রুতই প্রকাশ করতে যাচ্ছি আল-ফিরদাউস সাইটে। নিয়মিত পাঠকবৃন্দকে তাই আপনাদের নির্ভরযোগ্য এই নিউজপোর্টালে নজর রাখতে বিশেষ অনুরোধ করা হলো।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘অনারব মুসলিমদেরকে ফিলিস্তিনে ঢুকতে দিন’ – তালিবান নেতা মোহাম্মাদ মুতমাঈন



    গত ১৩ অক্টোবর শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে একটি জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নেন। ইসরায়েলের পতাকাও পুড়ানো হয়।

    জনসমাবেশে বক্তৃতা প্রদানকালে সকলেই ফিলিস্তিনে ইহুদি আগ্রাসন ও ইহুদিদের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের নিরঙ্কুশ সমর্থনের কড়া সমালোচনা করেন।

    তারা এমনকি সাধারণ মুসলিমদের ফিলিস্তিনে প্রবেশের জন্য বর্ডার খুলে দিতে আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা সেখানে গিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পক্ষে যুদ্ধ করতে পারে।

    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জাতীয় অলেম্পিক কমিটির সাবেক প্রধান মোহাম্মাদ মুতমাঈন আরবদের নিষ্ক্রিয়তাকে ব্যাঙ্গ করে বলেন, “আমরা আরব দেশগুলোকে বলছি। আপনারা বর্ডার খুলে দিন এবং অনারব মুসলিমদেরকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের সুযোগ করে দিন। এরপর আপনাদের আর কিছুই করতে হবে না, শুধু বসে বসে আমাদের যুদ্ধ দেখবেন।”


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X