Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৭ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ১২ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৭ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ১২ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

    পদ্মা সেতু প্রকল্পে সময় ও ব্যয় *দুই-ই বেড়েছে তিন গুণ


    পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে। শুরুতে এর নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ধরা হলেও সর্বশেষ তা তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায়। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। শুরুতে পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের পর ২০১৩ সালে সেতু চালুর ঘোষণা থাকলেও পরবর্তী সময় নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৮ সালের মধ্যে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২১ সালের ডিসেম্বরেও সেটি হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে পদ্মা সেতু জনসাধারণের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথম প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধনের পর পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে এ প্রকল্পটি সংশোধন না করে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। চলতি ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর অগ্রগতি ৯১ ভাগ, নদী শাসন ৭৬ আর সার্বিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ।
    সেতু পারাপারের টোল

    সেতু চালু হওয়ার পর পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য মোটরসাইকেলের জন্য ১০৫ টাকা, কার জিপের জন্য ৭৫০ টাকা, ছোট বাসের জন্য ২০২৫ টাকা, বড় বাসের জন্য ২৩৭০ টাকা, পাঁচ টনের ট্রাকের জন্য ১৬২০ টাকা, আট টনের বড় ট্রাকের জন্য ২৭৭৫ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ১২৯০ টাকা টোল প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি ১৫ বছর টোলের হার ১০ শতাংশ বাড়ানো হতে হবে।

    বর্তমানে ফেরিতে যে হারে যানবাহন পারাপারে ফি দেওয়া হচ্ছে, এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ফি দিতে হবে পদ্মা সেতু পারাপারে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ঘোষণা মরক্কোর

    বিশ্ব সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ ও আনুষ্ঠানিক কূটনীতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে মরক্কো। খবর আলজাজিরার।

    এ নিয়ে গত চার মাসে চারটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো। এর আগে মিসর ও জর্ডান ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো।

    ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায়, উপহার স্বরূপ পশ্চিম সাহারা অঞ্চল নিয়ে মরক্কোর দাবিকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এরপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সুদান।

    বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ঘোষণা দেয়, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে মরক্কো।

    ট্রাম্প বলেছে, ‘আরেকটি যুগান্তকারী অর্জন হলো। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরায়েল এবং কিংডম অব মরক্কো পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের জন্য এটি বিশাল অগ্রগতি।’

    হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প এবং মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মুহাম্মদ সম্মত হয়েছেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে মরক্কো এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা প্রসারিত করবে।

    এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মরক্কোর বাদশাহ। সে জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার ফোনালাপ হয়েছে। মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক করেছে বলে ষষ্ঠ মুহাম্মদ জানান।

    ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিনিময়ে বিতর্কিত পশ্চিম সাহারা নিয়ে নিজেদের দাবির স্বীকৃতি পাচ্ছে মরক্কো। এক দশক ধরে ওই অঞ্চলে আলজেরিয়া সমর্থিত পোলিসারিও ফ্রন্টের সঙ্গে লড়াই করে আসছে দেশটি।

    দখলদার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মরক্কোকে স্বাগত জানিয়েছেন। সে আরব দেশটির ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে আখ্যা দেন।

    এদিকে দখলদার রাষ্ট্রের সাতে সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিরোধীতা করছে মরক্কোর মুসলমরা।

    অন্যদিকে, মরক্কোর এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য বাসাম আস-সালহি বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপন অগ্রহণযোগ্য। এটি ইসরায়েলি আগ্রাসন বৃদ্ধিকে সমর্থন দেয়া এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে অস্বীকার করা।’

    একইভাবে গাজার হামাস সরকারের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ‘এটি অন্যায়, এটি কোনোভাবে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে না। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রত্যেকটি চুক্তি ব্যবহার করে ইসরায়েল তাদের দখলদারি বাড়াবে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাবে।’
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অগ্নিদগ্ধ জেনি: ৮ মাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ


      বাসার বেলকুনিতে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তারে জড়িয়ে চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী ইশরাত জাহান জেনির হাত-পা ও শরীরের অংশ পুড়ে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জেনির ঝলসানো ও পোড়া শরীরে ১০ থেকে ১২টি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। জেনির পরিবার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

      এ ছাড়া মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন মা কাজি প্রিয়া আকতার মুক্তা। যদিও সাহায্যের বিষয়ে এখনও কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনো উপায় না পেয়ে জেনির মা চিকিৎসা (দুটি প্লাস্টিক সার্জারি), লেখাপড়া, বিয়ে এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

      আইনজীবী সাকিব মাবুদ তানিফ জানান, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার হামজার বাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান জেনির হাত-পা ও শরীরের অংশ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ২৬ নভেম্বর জেনির মা কাজি প্রিয়া আকতারের পক্ষে রিট করেন তাদের আইনজীবী। *রিটে চিকিৎসা খরচ ও ১২টি সার্জারি বাবদ এক কোটি ২০ লাখ টাকা, আগের চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩০ লাখ টাকা এবং জেনির লেখাপড়া, বিয়ে এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা চাওয়া হয়।

      জেনির মা কাজি প্রিয়া আকতার মুক্তা বলেন, বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তারে জড়িয়ে মেয়ের হাত-পা ও শরীরের অংশ পুড়ে যায়। এরপর চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দফতরে সাহায্যের জন্য গিয়েছি। কেউ সাহায্যের জন্য আসেনি। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলেও অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

      চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার সুন্নিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন শ্যামলী আবাসিক এলাকার পশ্চিম ষোলশহর ৯০৬/২-এ এবিসি হাইসের তৃতীয় তলায় বসবাস করতো জেনির পরিবার। চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে বেলকুনিতে পরিত্যক্ত একটি পাইপ সরাতে গিয়ে বেলকুনির পাশেই ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে ইসরাত জাহান জেনির (১১) ডান হাতের কব্জি, বাম হাতের কনুই, বাম পায়ের পুরো পাতা এবং পেটের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া পেট থেকে বাম উরু পর্যন্ত সম্পূর্ণ পুড়ে ঝলসে যায়।

      এর পর মুমূর্ষু ও জলসানো মেয়েকে নিয়ে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত বার্ন ইউনিটে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরপর মেয়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ৯ এপ্রিল ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। জেনির এক হাত ও এক পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে। আর চারটি অপারেশন করা হয়।

      সেখানে চিকিৎসা করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এরপর জেনির চিকিৎসা বাবদ বিভিন্নভাবে মোট ৩০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে দাবি করেন তার পরিবার।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X