পাচারের নৌকায় রোহিঙ্গাদের নির্দয়ভাবে মারপিট
নৌকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্দয়ভাবে মারপিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। পাচারকারীদের হাতে রোহিঙ্গাদের মারার ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়।
তাতে দেখা গেছে, শিশুসহ অনেক রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে নৌকায় বসে আছে। তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা আছে। হঠাৎ তর্ক শুরু হলে এক পাচারকারী দড়ির লাঠি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মারপিট শুরু করে।
মিয়ানমারে সেনা নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদ জীবনের আশায় বিপদজনক উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাকে। মিয়ানমার উপকূল থেকে মাছ ধরা নৌকায় কিংবা কখনও কখনও বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শিবির থেকে পাচারকারীদের হাত ধরে পাড়ি জমায় তারা। মালয়েশিয়া কিংবা অন্য কোনও দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে তারা। প্রায়ই এসব নৌকা উত্তাল সাগরে ডুবে বহু রোহিঙ্গার প্রাণহানির কারণ হয়। আবার পাচারকারীদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার তথ্যও জানা যায় প্রায়ই।
এএফপি’র হাতে আসা ভিডিওতে পাচারকারীদের নির্দয় আচরণের প্রমাণ দেখা গেছে। ওই নৌকার আরোহী ছিলেন ১৬ বছর বয়সী রোহিঙ্গা ওসমান। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ওসমান বলেন, ‘খাবার নিয়ে আপত্তি তোলায় তারা আমাদের মারপিট শুরু করে। একটু বেশি ভাত ও পানি চাইলে প্রায়ই তারা আমাদের মারতো।’
রোহিঙ্গা শিবিরে ওসমানের প্রতিবেশি এনামুল হাসান (১৯) ছিলেন সেই নৌকায়। তিনি জানান, সব রোহিঙ্গা ক্ষেপে উঠলে পাচারকারীরা অন্য একটি নৌকায় করে পালিয়ে যায়। সেসময় এক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ফোন তুলে নেন তিনি।
ওই ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিডিওটি ধারণ করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে নৌকাটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে রোহিঙ্গারা ক্ষেপে উঠলে পাচারকারীরা মধ্য এপ্রিলে নৌকাটি আবারও বাংলাদেশ উপকূলে ফিরিয়ে এনে দিয়ে তা ফেলে পালিয়ে যায়।
এনামুল হাসান জানান, সেদিনের মারপিট শুরুর আগে পাচারকারীদের হাতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা মারাও যায়। তবে সেই ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের নির্দয়ভাবে পেটাতো-মাথায় মারতো, কান ছিঁড়ে ফেলতো, হাত ভেঙে দিতো।’
এনামুল ও ওসমান জানান তাদের নৌকায় মারপিট, ক্ষুধা এবং অসুস্থতায় ৪৬ জন রোহিঙ্গা মারা যায়। এতো মানুষের মৃত্যু দেখার পর নৌকায় থাকা বাকি রোহিঙ্গারা ক্ষেপে ওঠে। এএফপি নিরপেক্ষভাবে তাদের বর্ণনা যাচাই করতে পারেনি। তবে আর ধারণ করা ভিডিওতে এনামুল ও ওসমানের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থাটি। এছাড়া নৌকাটির তৃতীয় আরেক আরোহী ঘটনার একই ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন।
নৌকায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্দয়ভাবে মারপিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। পাচারকারীদের হাতে রোহিঙ্গাদের মারার ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়।
তাতে দেখা গেছে, শিশুসহ অনেক রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে নৌকায় বসে আছে। তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা আছে। হঠাৎ তর্ক শুরু হলে এক পাচারকারী দড়ির লাঠি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মারপিট শুরু করে।
মিয়ানমারে সেনা নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদ জীবনের আশায় বিপদজনক উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাকে। মিয়ানমার উপকূল থেকে মাছ ধরা নৌকায় কিংবা কখনও কখনও বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শিবির থেকে পাচারকারীদের হাত ধরে পাড়ি জমায় তারা। মালয়েশিয়া কিংবা অন্য কোনও দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে তারা। প্রায়ই এসব নৌকা উত্তাল সাগরে ডুবে বহু রোহিঙ্গার প্রাণহানির কারণ হয়। আবার পাচারকারীদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার তথ্যও জানা যায় প্রায়ই।
এএফপি’র হাতে আসা ভিডিওতে পাচারকারীদের নির্দয় আচরণের প্রমাণ দেখা গেছে। ওই নৌকার আরোহী ছিলেন ১৬ বছর বয়সী রোহিঙ্গা ওসমান। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ওসমান বলেন, ‘খাবার নিয়ে আপত্তি তোলায় তারা আমাদের মারপিট শুরু করে। একটু বেশি ভাত ও পানি চাইলে প্রায়ই তারা আমাদের মারতো।’
রোহিঙ্গা শিবিরে ওসমানের প্রতিবেশি এনামুল হাসান (১৯) ছিলেন সেই নৌকায়। তিনি জানান, সব রোহিঙ্গা ক্ষেপে উঠলে পাচারকারীরা অন্য একটি নৌকায় করে পালিয়ে যায়। সেসময় এক পাচারকারীর ফেলে যাওয়া ফোন তুলে নেন তিনি।
ওই ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিডিওটি ধারণ করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে নৌকাটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে রোহিঙ্গারা ক্ষেপে উঠলে পাচারকারীরা মধ্য এপ্রিলে নৌকাটি আবারও বাংলাদেশ উপকূলে ফিরিয়ে এনে দিয়ে তা ফেলে পালিয়ে যায়।
এনামুল হাসান জানান, সেদিনের মারপিট শুরুর আগে পাচারকারীদের হাতে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা মারাও যায়। তবে সেই ঘটনা ভিডিওতে ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের নির্দয়ভাবে পেটাতো-মাথায় মারতো, কান ছিঁড়ে ফেলতো, হাত ভেঙে দিতো।’
এনামুল ও ওসমান জানান তাদের নৌকায় মারপিট, ক্ষুধা এবং অসুস্থতায় ৪৬ জন রোহিঙ্গা মারা যায়। এতো মানুষের মৃত্যু দেখার পর নৌকায় থাকা বাকি রোহিঙ্গারা ক্ষেপে ওঠে। এএফপি নিরপেক্ষভাবে তাদের বর্ণনা যাচাই করতে পারেনি। তবে আর ধারণ করা ভিডিওতে এনামুল ও ওসমানের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থাটি। এছাড়া নৌকাটির তৃতীয় আরেক আরোহী ঘটনার একই ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন।
Comment