রাজনৈতিক সহিংসতায় আবারও অগ্নি সন্ত্রাস! করণীয় কী?
গত ২৮ অক্টোবর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগসাজশে রাজধানী ও আশেপাশের একাধিক জায়গায় আবারও অগ্নি সন্ত্রাসের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিরীহ বাস হেলপার নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রাজধানীতে মাত্র দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিকেল ৪:৩০ এর দিকে মালিবাগে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে এবং প্রায় একই সময়ে কমলাপুরে একটি বিআরটিসি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই দুটি বাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য বের করতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে বিকেল ৫:২০ এর দিকে কাকরাইল মোড়ে পুলিশ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত একটি বাসে আগুন দিয়েছে ডিবি পোশাক পরিহিত এক যুবক। বাসটির চালক মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এক দল পুলিশকে ঘটনাস্থলে নামিয়ে দেওয়ার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই ডিবি জ্যাকেট পরিহিত এক যুবক এসে বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। অপর যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে বাসের পিছনে অবস্থান করছিল। বাসে আগুন লাগিয়ে ঐ দুই যুবক মোটর সাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ইনকিলাবের তথ্য মতে বাসটিতে যখন আগুন জ্বলছিল তখন ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।
তাহলে কি রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সরকার নিজেই পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে? স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ ব্যতীত নিশ্চিত ভাবে তা বলা সম্ভব নয়। তবে, অতীতে দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব নেতাকর্মীদের মালিকানাধীন বাসে নিজেরাই আগুন দিয়ে অপর পক্ষের উপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করেছে বহুবার। এসব ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ ঘটনায় একাধিক রাজনৈতিক নেতাকর্মী পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু, কোনো ঘটনাতেই ন্যায় বিচার পায়নি ভুক্তভোগীরা; পরিবর্তন হয়নি দেশের জনগণের ভাগ্য।
সাধারণ মানুষের সামনে এটা পরিষ্কার হওয়া দরকার যে, এসব তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আওয়ামী লীগ গিয়ে বিএনপি বা অন্য যেকোনো দলই ক্ষমতায় আসুক না কেনো, গত ৫০ বছরেও ইনসাফের দেখা পায়নি এ দেশের আপামর মুসলিম জনতা। সময়ের আবর্তনে এ দেশের জনগণকেই রক্ত ঝরাতে হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই এ নোংরা রাজনীতির মুখোশ উম্মোচিত হতে থাকে একে একে। শেখ মুজিব প্রকাশ্যেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে জিয়াও প্রয়োজনমতো সংশোধন করেছে তথাকথিত সার্বভৌম মানবরচিত সংবিধানকে, এরশাদ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে, বিএনপি পাঁচ বার দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে, আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা পরোক্ষ ভাবে বাকশাল কায়েম করার জন্য গত ১৫ বছর ধরে যা করছে তা তো আপনাদের চোখের সামনেই ঘটছে। এমনকি ইসলামের নামে রাজনীতি করা কিছু দল তো দুনিয়াবি স্বার্থের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ধ্যান ধারণা থেকে অনেকটাই যেন বের হয়ে এসেছে।
পাশাপাশি, সরকারি বাহিনীগুলো এবং নিজেদের অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের দিয়ে এসব রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের উপর যে জুলুম, নিপীড়ন, গুম, খুন ও ধর্ষণের বুল ডোজার চালিয়েছে তার তীব্রতা শুধু ভুক্তভোগী পরিবারগুলোই অনুভব করতে পারবে।
গত এক দশকের চিত্র দেখুন – শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলাম এর উপর, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীর উপর, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুবক-যুবতীদের উপর, শিক্ষক আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ শিক্ষকদের উপর প্রশাসনের যেমন আচরণ আমরা দেখেছি, এটাই তাদের আসল রূপ।
গত ৫০ বছরের ইতিহাস সাক্ষী, এরা কেউই ইসলাম কিংবা দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করছে না। এরা প্রত্যেকেই জনগণের রক্ত চুষে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে, বিদেশে বেগম পাড়া তৈরি করছে, তাদের ছেলে-মেয়ে পরিবার-পরিজনকে বিদেশে স্থায়ী করাচ্ছে। বিনিময়ে সাধারণ জনগণ কী পাচ্ছে তা আপনারা সকলেই অবগত আছেন।
অতএব, এসব তথাকথিত রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করুন, তাদের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আপনি ভোট দেন বা না দেন, তারা কোনো পরোয়াই করে না। হয় রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলবে অথবা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে দিবে। এরা ন্যুনতম ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করে না, শতভাগ ইসলামী নীতি-নৈতিকতা তো অনেক দূরের বিষয়।
বিপরীতে ইসলামী শরিয়তেই রয়েছে পুরো মানব জাতির জন্য চূড়ান্ত কল্যাণ। তার বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি আফগানিস্তানে। টানা প্রায় ৪০ বছর ধরে দুইটি পরাশক্তির সাথে লড়াই করে ক্লান্ত শ্রান্ত, বিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র দুই বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে! তাও আবার আমেরিকা আফগানিস্তানের রিজার্ভের টাকা আটকে রেখেছে, কোনো দেশ তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও শরিয়তের বরকত স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে পুরো বিশ্ব।
আফগানিস্তানে আমরা দেখেছি কীভাবে তালিবান প্রশাসনের প্রচেষ্টায় আফগান মুদ্রা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রায় পরিণত হচ্ছে, কীভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের কাজ শেষ হচ্ছে, কীভাবে মাদকের স্বর্গরাজ্য থেকে মাদকমুক্ত একটি দেশ তৈরি হচ্ছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে, আর কোনো তন্ত্র-মন্ত্র, আর কোনো সভ্যতা এমন নজির দেখাতে পারেনি।
হ্যাঁ, মাত্র ২৩ বছরে একটি জাতিকে অন্ধকার যুগ থেকে বের করে সভ্যতার সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার নজিরও আছে মানব ইতিহাসে। তবে, আল্লাহর ইচ্ছায় সেটাও হয়েছে ইসলামী শরিয়তের বরকতেই।
সুতরাং, বর্তমানে প্রচলিত তথাকথিত সকল তন্ত্র-মন্ত্র ও রাজনীতির দুষ্ট চক্র থেকে বের হয়ে আসুন। তারা সংখ্যায় খুবই সীমিত। তাদেরকে প্রত্যাখান করুন অন্তর থেকে। আপনার দুনিয়াতো এই রাজনৈতিক দলগুলোই ধ্বংস করছে। আজ তারা বাসে আগুন দিচ্ছে; কাল প্রয়োজন হলে আপনার ঘরে আগুন দিবে। এতে তাদের কিছুই যায় আসে না।
তাই, ঘুরে দাঁড়ান। নিজেকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসুন। এখানে আপনার হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে দিনে অন্তত একজন করে হলেও যদি আমরা ইসলামী শরিয়ার পক্ষে কথা বলতে শুরু করি, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসলামী শারিয়াহর পক্ষের হয়ে যাবে এবং ইমারাতে ইসলামিয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
গত ২৮ অক্টোবর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগসাজশে রাজধানী ও আশেপাশের একাধিক জায়গায় আবারও অগ্নি সন্ত্রাসের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিরীহ বাস হেলপার নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রাজধানীতে মাত্র দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিকেল ৪:৩০ এর দিকে মালিবাগে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে এবং প্রায় একই সময়ে কমলাপুরে একটি বিআরটিসি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই দুটি বাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য বের করতে পারেনি প্রশাসন।
এদিকে বিকেল ৫:২০ এর দিকে কাকরাইল মোড়ে পুলিশ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত একটি বাসে আগুন দিয়েছে ডিবি পোশাক পরিহিত এক যুবক। বাসটির চালক মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এক দল পুলিশকে ঘটনাস্থলে নামিয়ে দেওয়ার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই ডিবি জ্যাকেট পরিহিত এক যুবক এসে বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। অপর যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে বাসের পিছনে অবস্থান করছিল। বাসে আগুন লাগিয়ে ঐ দুই যুবক মোটর সাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ইনকিলাবের তথ্য মতে বাসটিতে যখন আগুন জ্বলছিল তখন ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।
তাহলে কি রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সরকার নিজেই পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে? স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ ব্যতীত নিশ্চিত ভাবে তা বলা সম্ভব নয়। তবে, অতীতে দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব নেতাকর্মীদের মালিকানাধীন বাসে নিজেরাই আগুন দিয়ে অপর পক্ষের উপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করেছে বহুবার। এসব ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ ঘটনায় একাধিক রাজনৈতিক নেতাকর্মী পুলিশের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু, কোনো ঘটনাতেই ন্যায় বিচার পায়নি ভুক্তভোগীরা; পরিবর্তন হয়নি দেশের জনগণের ভাগ্য।
সাধারণ মানুষের সামনে এটা পরিষ্কার হওয়া দরকার যে, এসব তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আওয়ামী লীগ গিয়ে বিএনপি বা অন্য যেকোনো দলই ক্ষমতায় আসুক না কেনো, গত ৫০ বছরেও ইনসাফের দেখা পায়নি এ দেশের আপামর মুসলিম জনতা। সময়ের আবর্তনে এ দেশের জনগণকেই রক্ত ঝরাতে হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই এ নোংরা রাজনীতির মুখোশ উম্মোচিত হতে থাকে একে একে। শেখ মুজিব প্রকাশ্যেই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে জিয়াও প্রয়োজনমতো সংশোধন করেছে তথাকথিত সার্বভৌম মানবরচিত সংবিধানকে, এরশাদ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে, বিএনপি পাঁচ বার দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে, আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা পরোক্ষ ভাবে বাকশাল কায়েম করার জন্য গত ১৫ বছর ধরে যা করছে তা তো আপনাদের চোখের সামনেই ঘটছে। এমনকি ইসলামের নামে রাজনীতি করা কিছু দল তো দুনিয়াবি স্বার্থের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ধ্যান ধারণা থেকে অনেকটাই যেন বের হয়ে এসেছে।
পাশাপাশি, সরকারি বাহিনীগুলো এবং নিজেদের অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের দিয়ে এসব রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের উপর যে জুলুম, নিপীড়ন, গুম, খুন ও ধর্ষণের বুল ডোজার চালিয়েছে তার তীব্রতা শুধু ভুক্তভোগী পরিবারগুলোই অনুভব করতে পারবে।
গত এক দশকের চিত্র দেখুন – শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলাম এর উপর, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীর উপর, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুবক-যুবতীদের উপর, শিক্ষক আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ শিক্ষকদের উপর প্রশাসনের যেমন আচরণ আমরা দেখেছি, এটাই তাদের আসল রূপ।
গত ৫০ বছরের ইতিহাস সাক্ষী, এরা কেউই ইসলাম কিংবা দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করছে না। এরা প্রত্যেকেই জনগণের রক্ত চুষে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে, বিদেশে বেগম পাড়া তৈরি করছে, তাদের ছেলে-মেয়ে পরিবার-পরিজনকে বিদেশে স্থায়ী করাচ্ছে। বিনিময়ে সাধারণ জনগণ কী পাচ্ছে তা আপনারা সকলেই অবগত আছেন।
অতএব, এসব তথাকথিত রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করুন, তাদের সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করুন। আপনি ভোট দেন বা না দেন, তারা কোনো পরোয়াই করে না। হয় রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলবে অথবা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে দিবে। এরা ন্যুনতম ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করে না, শতভাগ ইসলামী নীতি-নৈতিকতা তো অনেক দূরের বিষয়।
বিপরীতে ইসলামী শরিয়তেই রয়েছে পুরো মানব জাতির জন্য চূড়ান্ত কল্যাণ। তার বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি আফগানিস্তানে। টানা প্রায় ৪০ বছর ধরে দুইটি পরাশক্তির সাথে লড়াই করে ক্লান্ত শ্রান্ত, বিধ্বস্ত একটি দেশ মাত্র দুই বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে! তাও আবার আমেরিকা আফগানিস্তানের রিজার্ভের টাকা আটকে রেখেছে, কোনো দেশ তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও শরিয়তের বরকত স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে পুরো বিশ্ব।
আফগানিস্তানে আমরা দেখেছি কীভাবে তালিবান প্রশাসনের প্রচেষ্টায় আফগান মুদ্রা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রায় পরিণত হচ্ছে, কীভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের কাজ শেষ হচ্ছে, কীভাবে মাদকের স্বর্গরাজ্য থেকে মাদকমুক্ত একটি দেশ তৈরি হচ্ছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে, আর কোনো তন্ত্র-মন্ত্র, আর কোনো সভ্যতা এমন নজির দেখাতে পারেনি।
হ্যাঁ, মাত্র ২৩ বছরে একটি জাতিকে অন্ধকার যুগ থেকে বের করে সভ্যতার সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে দেওয়ার নজিরও আছে মানব ইতিহাসে। তবে, আল্লাহর ইচ্ছায় সেটাও হয়েছে ইসলামী শরিয়তের বরকতেই।
সুতরাং, বর্তমানে প্রচলিত তথাকথিত সকল তন্ত্র-মন্ত্র ও রাজনীতির দুষ্ট চক্র থেকে বের হয়ে আসুন। তারা সংখ্যায় খুবই সীমিত। তাদেরকে প্রত্যাখান করুন অন্তর থেকে। আপনার দুনিয়াতো এই রাজনৈতিক দলগুলোই ধ্বংস করছে। আজ তারা বাসে আগুন দিচ্ছে; কাল প্রয়োজন হলে আপনার ঘরে আগুন দিবে। এতে তাদের কিছুই যায় আসে না।
তাই, ঘুরে দাঁড়ান। নিজেকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসুন। এখানে আপনার হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে দিনে অন্তত একজন করে হলেও যদি আমরা ইসলামী শরিয়ার পক্ষে কথা বলতে শুরু করি, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসলামী শারিয়াহর পক্ষের হয়ে যাবে এবং ইমারাতে ইসলামিয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
Comment