Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ০৩ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ১৯ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ০৩ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ১৯ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

    ডেমু ট্রেন নিয়ে নানা জালিয়াতি

    যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এবং রেলকে আধুনিকায়ন করতে কেনা হয়েছিল ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন। এতে মানও বাড়েনি, আধুনিকতার ছোঁয়াও লাগেনি। বরং ডেমু ট্রেন কেনা থেকে শুরু করে মেরামতের নামে কর্মকর্তাদের পকেট ভারি হয়েছে। এটি পরিচালনা করতে গিয়ে রেলের লোকসানের বোঝা বেড়েইে চলেছে। ৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ডেমু ট্রেন নিয়ে শুরুতেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে কয়েক মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় ১০ সেট ট্রেন। এরপর বছরজুড়েই বিকল হতে থাকায় ডেমু ট্রেন মেরামতেও নানান জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    ডেমু ট্রেন মেরামতে তিন ধরনের জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডেমুর ইঞ্জিন মেরামতে মূল কোম্পানিকে বাদ দিয়ে স্থানীয় এক কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়েছে। আবার ইঞ্জিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে অন্য কোম্পানি থেকে যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহায়তা বা ম্যানুয়ালও নেয়া হয়নি।

    ২০১১ সালে ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ সেট ডেমু কেনার চুক্তি হয় চীনের তাংশান রেলওয়ে ভেহিকল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে। এর সঙ্গে শুল্ক, কর, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বিদেশ ভ্রমণ ও ভাতা সংযুক্ত করে সব মিলিয়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ৬৫৪ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে দেশে আসে ট্রেনগুলো। বছরে ১০০ কোটি টাকা মুনাফা হবে এ যুক্তিতে ট্রেনগুলো কেনা হলেও এখন রেলের লোকসানের বোঝাই ভারী করছে ডেমু। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিকল হয়ে পড়ছে ডেমুগুলো।

    দুদকে জমা দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ডেমুর ইঞ্জিন বিশেষ ধরনের, যেগুলোর মডেল নং-ডি২৮৭৬ এলইউই ৬২২। উচ্চগতিসম্পন্ন ভারী পরিবহনের জন্য খুবই আধুনিক ও উন্নতমানের ইঞ্জিন এগুলো। ইঞ্জিনগুলো তৈরি করেছে জার্মানির এমএএন গ্রুপ। এসব ইঞ্জিন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা, যা কখনও করা হয়নি। অথচ এমএএনের লোকাল অফিস বাংলাদেশেই আছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহোলিংয়ের জন্য ঢাকায় ওয়ার্কশপও স্থাপন করেছে কোম্পানিটি। বিদেশি প্রকৌশলী ও কারিগরীভাবে দক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে সেখানে কাজ করানো হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, রেলওয়ের পক্ষ থেকে কখনও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

    অভিযোগে বলা হয়, ওয়ার্কশপ ম্যানেজার ডিজেল ঢাকার অধীনে ২০১৭-১৮ সালে ঢাকায় ১০টি ও ২০১৮-১৯ সালে চট্টগ্রামে ৫টি ডেমুর ইঞ্জিন ওভারহোলিং করা হয়েছে বলে দেখানো হয়, যা বাস্তবে ধোয়া-মোছা ছাড়া আর কিছুই নয়। রেলওয়ের ক্রয়নীতি অনুসারে ডেমু ইঞ্জিন ওভারহোলিং করতে হলে মূল কোম্পানি এমএএনের প্রতিনিধি থাকতে হবে বা এমএএনের মাধ্যমে করাতে হবে, যা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি।

    বর্তমান মহাপরিচালক ও আরেকজন কর্মকর্তাকে এ কাজের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্থানীয় এক কোম্পানিকে এই কাজ দেয়। অথচ তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ নেই, নেই কোনো ওয়ার্কশপ। ওভারহোলিং করার কোনো যন্ত্রাংশও নেই। এছাড়া এমএএনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা গেছে, তাদের থেকে ওভারহোলিংয়ের জন্য কোনো খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা হয়নি, কোনো কারিগরি সহায়তা নেয়া হয়নি, ইঞ্জিন ওভারহোলিংয়ের কোনো ম্যানুয়ালও নেয়া হয়নি। তদন্তে জানা গেছে, ওভারহোলিং বলা হলেও বাস্তবে তেমন কোনো কাজ হয়নি।

    অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, রেলওয়ের মহাপরিচালক বিভাগীয় টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার লোকোমোটিভ ডিএমই লোকো ঢাকা ও চট্টগ্রাম, ডবিøউএম ডিজেল ঢাকা ও চট্টগ্রাম যৌথভাবে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ইঞ্জিনপ্রতি ৫৫ লাখ টাকা করে ওভারহোলিং বিল পরিশোধ করেছেন। মহাপরিচালক নিজস্ব ক্ষমতার কৌশলে এই অর্ডার দেন। এভাবে ১৫ ডেমুতে ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা ইঞ্জিন ওভারহোলিংয়ের নামে লোপাট করা হয়। এ অর্থ মহাপরিচালক, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, লোকোমোটিভ ডিএমই, লোকো ঢাকা, লোকো চট্টগ্রাম, ডবিøউএম ডিজেল ঢাকা ও ডবিøউএম ডিজেল চট্টগ্রাম ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

    দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ডেমুর জন্য বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহে মূল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাংশান ভেহিকলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ডেমুর খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য ৩৮টি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে রেলওয়ে। আর এসব যন্ত্রাংশ কেনায় কোনো ধরনের উš§ুক্ত দরপত্র আহবান করা হবে না। সীমিত দরপত্রের (এলটিএম) মাধ্যমে এসব কোম্পানি থেকেই ডেমুর যন্ত্রাংশ কেনা হবে। আবার ৩৮টি কোম্পানি বলা হলেও এগুলোর প্রকৃত স্বত্বাধিকারী ৫-৬টি কোম্পানি। তারা নিজেদের কোম্পানির নামে ও বেনামে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এগুলো হলো- এমআরআর ইন্টারন্যাশনাল, দ্য কসমোপলিটান করপোরেশন, এআরএম ইঞ্জিনিয়ার্স, জেআর এন্টারপ্রাইজ, এমআরটি ইন্টারন্যাশনাল ও ফেরদৌস ইমপেক্স (প্রা.) লিমিটেড। এই কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে কার্টেল করে নিয়েছে ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে বহুগুণ মূল্যে জিনিস বিক্রি করছে।

    এদিকে ডেমুর মূল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাংশান ভেহিকলকে লিস্টেড না করায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সঠিক দাম জানা যাচ্ছে না। তবে কেনা হচ্ছে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ। এক্ষেত্রে ডেমুর ট্র্যাকশন মোটর কেনার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্র্যাকশন মোটরের মূল ম্যানুফ্যাকচারার যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাইজেল সাপ্লাই ইনকরপোরেশন। কিন্তু যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী হিসেবে কানাডিয়ান ডিজেল ইমপেক্সকে রেল ইন্ডাস্ট্রিজ কানাডা ইনকরপোরেশনের ডিস্ট্রিবিউটর দেখানো হয়েছে। বাস্তবে রেল ইন্ডাস্ট্রিজ কানাডা ইনকরপোরেশনের সঙ্গে ডিজেল ইমপেক্সের কোনো সম্পর্ক নেই। আর এ কোম্পানি ট্র্যাকশন মোটর তৈরিও করে না।

    ডিজেল ইমপেক্সের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এমআরআর ইন্টারন্যাশনালকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক একই। ফলে প্রকৃত ম্যানুফ্যাকচারার থেকে মালপত্র আনা সম্ভব হয়নি। এতে ট্র্যাকশন মোটর সম্পর্কিত ৪টি অর্ডার স¤প্রতি কমপ্লেইন পাওয়ার পরে রেল কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। এর মধ্যে প্রথমটির অধীনে ১০টি, দ্বিতীয়টির অধীনে ১২টি, তৃতীয়টির অধীনে ১৪টি ও চতুর্থটির ১১টি ট্র্যাকশন মোটর কেনার কথা ছিল।

    রেল কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করে দেখেছে, এখানে বিরাট অনিয়ম হয়েছে। তাই এ দরপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু কাউকে এ বিষয়ে শোকজ করা হয়নি বা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। অথচ এ চার অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ২৯ কোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ডেমুর ১০টি এইচএমআই ডিসপ্লে কেনায় অনিয়মের উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগে। এতে বলা হয়, এইচএমআইয়ের প্রতিটির দাম সর্বোচ্চ দুই হাজার ডলার হলেও ৪৯ হাজার ৮০০ ডলারে তা কেনা হয়েছে। এতে প্রায় চার কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। এছাড়া জাম্পার কেবল কেনা হয়েছে প্রতিটি চার হাজার ডলারে। যদিও এগুলোর দাম সর্বোচ্চ ২০০ ডলার।

    তৃতীয় অভিযোগটি হলো, ডেমুর খুচরা যন্ত্রাংশ একবারে সংগ্রহ না করে ছোট ছোট লটে কেনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৭ সালের একটি দরপত্রের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডেমুর জন্য ১২৭ লাইন আইটেম কেনার কথা ছিল। তবে তা একেবারে না কিনে এলটিএমের মাধ্যমে ৫-৬টি ভাগে কেনা হয়, যাতে সিসিএস নিজেই তা অনুমোদন করতে পারে। কারণ দরপত্রের মূল্য বেশি হলে তা অনুমোদনের ক্ষমতা সিসিএসের নেই। সেক্ষেত্রে দরপত্র অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাতে হতো।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    হবিগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন


    হবিগঞ্জে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অব্যাহত এই বালু উত্তোলনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। পাহাড়ি ছড়া ও খাল থেকে অপরিকল্পিত-অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে তিন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ২০ সরকারি কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

    নোটিশে পরিবেশ রক্ষায় ২৩টি সিলিকা ও সাতটি সাধারণ বালুমহালকে ইজারার তালিকা থেকে বাদ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বেলার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর গত ৯ ডিসেম্বর এ নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে নোটিশদাতাকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    সম্প্রতি চুনারুঘাট উপজেলার অন্তর্গত দারাগাঁও গ্রামে সাম্প্রতিক সফরকালে এই প্রতিবেদক ড্রেজার ও লম্বা পাইপ ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন করতে দেখেন।

    দারাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম মিয়া জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় মেশিন ও ড্রেজার স্থাপন করে কৃষিজমি ও পাহাড়ি ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

    ৪৫ বছর বয়সী রফিক মিয়া জানান, ব্যবসায়ীরা পৃষ্ঠের নিচের প্রায় ৩৫-৩০ ফুট বালু উত্তোলন করছিলেন। ফলে আশেপাশের কৃষি ও পার্বত্য জমি এবং খালগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় চা-বাগান ও রাবার বাগানের ভেতর দিয়ে অনেক ছড়া প্রবাহিত হয়েছে। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিভিন্ন ছড়া থেকে অপরিকল্পিতভাবে, অবাধে ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ছড়া ও ছড়ার পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে অপরিকল্পিতভাবে এ কার্যক্রম রোধে স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানায়। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তারা বালু উত্তোলন রোধে বেলার কাছে আবেদন জানায়। এলাকাবাসীর প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বেলার অনুসন্ধানী দল সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।’

    তিনি জানান, নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন-ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব; বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব; খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক; হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক; হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার; সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এবং হবিগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর- এই চার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার ভূমি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘অপরিকল্পিত ও অননুমোদিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ছড়াগুলোর নাব্য হারাচ্ছে, ছড়ার দুই পাড় ভেঙে পড়ছে। কোথাও কোথাও ছড়ার দুই পাশের কৃষিজমি এবং চা-বাগানের জমি কেটেও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ছড়ার পাড় সংলগ্ন কৃষিজমি, বাঁশঝাড়, গাছগাছালি ও বসতবাড়িও মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ফলে ভূমির শ্রেণির পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে।’

    ‘এ ছাড়াও, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে কৃষিজমির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। একইসঙ্গে পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভয়াবহতা ব্যাপক হারে বাড়বে’, বলেন তিনি

    নোটিশে চিহ্নিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ইজারা প্রদানের প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে একইসঙ্গে কৃষক, কৃষি ও কৃষিজমির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তা আদায় করার দাবিও করেছে বেলা।

    খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যমান খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-সহ বিদ্যমান অন্যান্য আইন অনুযায়ী অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ পন্থায় সিলিকা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।’

    পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. এমরান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি এখনো বেলার নোটিশ পাননি।


    সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই মাদরাসা কমপ্লেক্স ও এতিমখানা



      লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে এক এতিমখানার খাবারঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর ৩ টা ৪৫ মিনিটে সদর উপজেলার আলহাজ্ব মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ ছাহেব মাদরাসা কমপ্লেক্স ও এতিমখানাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

      মাদ্রাসা শিক্ষক ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠেন। এসময় খাবার ঘরে আগুন জ্বলতে দেখেন তারা। এর আগে মাদরাসার বাইরে অজ্ঞাত মানুষের কথাবার্তাও শোনা যায়। পরে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় শিক্ষকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।

      একপর্যায়ে মাদরাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ মনির হোসেন চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে আগুনের বিষয়টি অবহিত করেন। দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হতে পারে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিহারে গরুচোর সন্দেহে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা

        ভারতের বিহারের পাটনার ফুলওয়ারিশরিফ এলাকায় গরুচোর সন্দেহে মোহাম্মদ আলমগীর (৩০) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

        ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার ভোরে আলমগীর ও তার এক সঙ্গী গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে সন্দেহ করে স্থানীয়রা। চোর সন্দেহে তাদেরকে ঘিরে ধরে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন তারা। এতে হতচকিত হয়ে পড়েন আলমগীর। কিছু বলার আগেই স্থানীয়রা মারধর শুরু করে।

        এ সময় আলমগীরের সঙ্গে থাকা আরেকজনকেও মারধর করতে থাকে। তবে তিনি কোনো রকমে পালিয়ে যান। ক্ষুব্ধ জনতার রোষের শিকার হন আলমগীর। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন আলমগীর। এরপর তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় উত্তেজিত গোপূজারীরা।

        পরে গুরুতর জখম অবস্থায় আলমগীরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ঋণের বোঝা সইতে না পেরে পত্রিকায় কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন কাশ্মীরি যুবকের

          ঋণে জর্জরিত হয়ে নিজের কিডনি বিক্রি করতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন কাশ্মীরি এক মুসলিম যুবক।

          বিজ্ঞাপনে সাবজার আহমেদ খান (২৮) নামে ওই কাশ্মীরি যুবক লিখেছেন, ‘নব্বই লাখ রুপির ঋণের বোঝা আমার মাথায়। এ অবস্থায় বিষয়টি বেআইনি জেনেও নিরূপায় হয়ে কিডনি বেচার বিজ্ঞাপনটি দিতে হয়েছে।’

          এভাবে কিডনি বা শরীরের যেকোনো অঙ্গ বিক্রি করা ভারতে নিষিদ্ধ। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারও আইন সম্মত নয়।

          জানা যায়, শ্রীনগরভিত্তিক একটি কাশ্মীরি পত্রিকায় তিনি সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) কিডনি বিক্রির ওই বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জন তার সঙ্গে কিডনি কেনার জন্য যোগাযোগ করেন বলে জানা গেছে। কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা অনন্তনাগের নুসু গ্রামের বাসিন্দা সাবজার আহমেদ খান নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ছিলেন।

          উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর থেকে কর্মসংস্থান হারিয়ে সাবজারের মত বহু যুবক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

          একদিকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অন্যদিকে অন্যায়মূলক লকডাউনের ফলে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে তার ৯০ লাখ টাকা ঋণ হয়ে যায় সাবজারের। এসব কারণে দিশেহারা হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত কিডনি বেচার সিদ্ধান্ত নেন।

          সূত্র: আরব নিউজ।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            তাগুত হাসিনার উন্নয়নের নামে পদ্মাসেতু,ডেমুট্রেন,যাত্রাবাড়ী-ভাংগা এক্সপ্রেস হাইওয়ে,কক্সবাজার মেরিন রোড, কর্ণফুলী ট্যানেল চট্রগ্রাম,ঢাকা মেট্রো রেল সবই হলো তাগুত হাসিনা ও তার মুরতাদ আমলাদের টাকা দিয়ে পকেট ভারী করার মেশিন ও সকল জুলুম,নির্যাতন,দূর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়া।
            দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

            Comment

            Working...
            X