Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ০৬ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২২ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ০৬ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২২ ডিসেম্বর , ২০২০ঈসায়ী

    ভারতে কথিত ‘লাভ জিহাদে’র অভিযোগ এনে একই পরিবারের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    ভারতে কথিত ‘লাভ জিহাদে’র অভিযোগে একই পরিবারের ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এর মধ্যে ৬ জন জেলে এবং ৫ জন এখনো গ্রেফতারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাদের ধরতে ২৫ হাজার রুপি পুরষ্কার ঘোষণা করেছে মালাউন পুলিশ।

    প্রায় একমাস আগে ২১ বছর বয়সী এক যুবতী দিল্লির এক মুসলিম যুবককের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এ বিষয়ে উত্তর প্রদেশের ইথা পুলিশ ওই মুসলিম যুবকের পুরো পরিবারের সদস্যদের নামে ওই যুবতীকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনে ধর্মান্তরিতকরণ বিরোধী নতুন আইনে মামলা করে এবং ৬ জনকে জেলে পাঠায়।

    গত সপ্তাহে ২৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ জাভেদ এবং তিনজন মহিলাসহ পরিবারের ১০ জনকে আসামী করে জ্বলেশ্বর থানায় মামলা করা হয়েছিলো। জাভেদ এবং আরো ৪জন আত্মীয়কে এখনো গ্রেফতার করার জন্য হয়রানি করছে।

    এই ৫ জনকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ ২৫ হাজার রুপি পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।

    এ বিষয়ে ডিএসপি রাম নেওয়াজ সিং বলেছে, এফআইআরে জাভেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দ-বিধির ৩৬৬ ধারায় ( অপহরণ এবং বিয়েতে বাধ্য করার অভিযোগ) মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া উত্তর প্রদেশের ধর্মীয় অধ্যাদেশ মতে, অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সূত্র:টাইমস অব ইন্ডিয়া।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দুবাইয়ে আমিরাতি রাজপরিবারের জন্য ইহুদিদের প্রার্থনা
    সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে একটি ইহুদি স্কুল উদ্বোধনে করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর দেশটির রাজপরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

    গত ২০ ডিসেম্বর দখলদার ইসরালের একজন শীর্ষস্থানীয় ইহুদি যাজক স্কুলটি উদ্বোধন করে। পরে আমিরাতের রাজপরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করে।

    টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইৎজাক ইউসেফ নামের ওই যাজক গত বৃহস্পতিবার আমিরাতে পৌঁছান।

    কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত এই যাজকের কোনো আরব দেশে এটিই প্রথম সফর। আবুধাবিতে নতুন একটি ইহুদি উপাসনালয়ও উদ্বোধন করে সে।

    ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘ইসরায়েল ইন অ্যারাবিক’ থেকে দুবাইয়ের নতুন স্কুল উদ্বোধনের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করা হয়।

    উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে ভিসামুক্ত ভ্রমণ চুক্তি রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। আমিরাতের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ইহুদি রাষ্ট্রটিতে ভ্রমণ করতে পারে।

    আমিরাতি হোটেলগুলোতে ইহুদিদের খাবারের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আবুধাবির সব হোটেলের প্রতি এ সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা জারি করা হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ঢাকার বস্তিতে রহস্যঘেরা ৩১ অগ্নিকাণ্ড

      রাজধানীর মিরপুরে পল্লবীর তালতলা বস্তিতে আগুনে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন গার্মেন্টকর্মী রাজিয়া খাতুন। গত সোমবার দুপুরে বস্তিতে যখন আগুন লাগে তখন তিনি এবং তার স্বামী রিকশাচালক হামিদুল ছিলেন বাইরে।

      খবর পেয়ে ফিরে এসে দেখেন সব পুড়ে ছাই। শুধু রাজিয়া দম্পতি নয়, বস্তিতে লাগা আগুনে প্রতিনিয়তই নিঃস্ব হচ্ছেন হতদরিদ্র এই মানুষগুলো। তবে বস্তিতে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ অজানাই থেকে যাচ্ছে।

      কিছুদিন পরপর বস্তিতে আগুন লাগাকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে রাজি নন অনেকেই। তারা বলেন, এর পেছনে অনেক স্বার্থ লুকিয়ে থাকার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে।

      ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বলছে, সর্বশেষ পল্লবীর তালতলা বস্তির আগুন নিয়ে এ বছর রাজধানীতেই ৩১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গত ২৪ দিনের ব্যবধানে ঘটেছে ৪টি অগ্নিকাণ্ড।

      খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব আগুন নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন ও কানাঘুষা রয়েছে। প্রতিটি আগুন লাগার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তা কখনও আলোর মুখ দেখে না।

      ফলে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ অজানাই থেকে যাচ্ছে। এর পেছনে কোনো রাঘববোয়াল থাকলেও তারা সামনে আসছে না।

      বস্তির চাঁদাবাজি নিয়েও অনেক ঘটনা ঘটছে। গত বছরও রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে ৩১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কোনো কোনো বস্তিতে প্রতিবছরই নিয়ম করে আগুন লাগে।

      বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বস্তিতে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, এগুলো পরিকল্পিত। উচ্ছেদ করতেই এসব আগুন লাগানো হয়। মহাখালীর সাততলা বস্তিতে পাঁচ বছরে ৬ বার আগুন লাগে।

      সবশেষ গত ২৫ নভেম্বর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগে। এর পরদিন ২৬ নভেম্বর মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় এবং ওইদিন রাতেই মিরপুরের বাউনিয়াবাদ এলাকার বস্তিতে আগুন লাগে। ওই আগুনে কয়েকশ’ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়।

      দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল যুগান্তরকে বলেছিলেন, বস্তিগুলোতে স্বার্থান্বেষী মহলের আগুন লাগানোর অভিযোগ বহুদিনের। এটিকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

      ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব বলছে, গত বছর সারা দেশে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে বস্তিতেই ১৭৪টি।

      এর মধ্যে ঢাকায় ৩১টি, চট্টগ্রামে ৪৬টি, বরিশালে ২টি এবং রংপুরে সর্বোচ্চ ৯৫টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।

      ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। চট্টগ্রামে ক্ষতি হয় ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ২৫ হাজার, রংপুরে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

      জানা গেছে, দেশের ২৪ জেলার ২৯ শহরে ৪৫ হাজার বস্তি আছে। এর মধ্যে টঙ্গী ও সাভারে বস্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বস্তিগুলো ৫ হাজার একর সরকারি জমির ওপর গড়ে উঠেছে।

      বস্তি সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এগুলো শুধুই দুর্ঘটনা নয়। অনেক সময় স্বার্থান্বেষী মহল জায়গা দখলের জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

      গত নভেম্বরে মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লায় আগুন লাগার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে সরকারি জমিতে এই বস্তি ওঠে।

      এর আগেও এ জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় নিতে পারেনি। বস্তির বাসিন্দাদের কারও কারও অভিযোগ স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

      প্রায়ই তিনি লোক মারফত বস্তি ছেড়ে লোকজনকে চলে যেতে বলেন। এর আগেও একবার বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। বস্তির জমি বেচাকেনার ঘটনাও ঘটেছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        রোহিঙ্গা মুসলিম নারীদের দুর্দশা



        ধরুন আপনি কোন শরণার্থী শিবিরে আছেন যেখানে নিরাশা, খাবারের অভাব, অন্যের বোঝা হয়ে থাকার হীনমন্যতা অনুভব করবেন না- তাই কখনো হয়! এছাড়া পরিবার ছেড়ে চলে যাওয়া, মৃত্যু ঝুঁকি, ধর্ষণ বা পাচার হওয়ার ভয় সর্বদা আপনাকে গ্রাস করবে। অথবা কয়েক মাস সমুদ্রের পানিতে ভেসে থেকে এমন কারো কাছে পৌঁছাতে চাইছেন যিনি আপনার স্বামী, কিন্তু তাকে আপনি কোনদিন দেখেনও নি- কেমন হবে আপনার মনের অবস্থা একবার কল্পনা করেন তো! জানি এমন একটা দৃশ্য আপনি কখনো মনে করতে চাইবেন না। কিন্তু এমনসব অনিশ্চিয়তা এবং ভয়ের মধ্যে দিয়ে এক একটি দিন পার করছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নারী। আজ তাদের জীবনে নিজস্ব, পছন্দ বলে নেই কোন শব্দ।

        এই সব নারী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংস অত্যাচার থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছেন। কিন্তু সেখানেও তারা যেন এই নির্মম বাঁধন থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নারীদের এমনই দুর্দশার গল্প শুনিয়েছেন স্থানীয় রোহিঙ্গা নারীরা।

        ক্রমবর্ধমান ও জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে নারীদের অবস্থার এমন অবনতি হওয়ায় রোহিঙ্গা বাবা-মা তাদের মেয়েদেরকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা মালেশিয়ায় অবস্থান করা পুরুষদের সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করছেন। অনেক সময় মোবাইলে বা ভিডিও অ্যাপ ব্যবহার করে এই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে এই বিষয়ে নারীদের খুব কমই কথা বলা জায়গা থাকে।

        এই বিবাহের সম্পর্কটাকে বাস্তবে রূপ দিতে মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি স্বামীর কাছে পৌঁছাতে ভয়ঙ্কর সমুদ্র পথে ভ্রমণেরও সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

        এ বিষয়ে জান্নাত আরা নামের এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকলেও, তাদের কাছে আমাকে খাওয়ানো জন্য একটি অতিরিক্ত মুখ হিসাবে দেখা হতো। তাই তারা আমাকে কুয়ালালামপুরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নূর আলমের সঙ্গে বিয়ের কথা বলেছিলেন এবং আমাকে তার কাছে পাঠানোর জন্য ভিন্ন উপায় খোঁজা হচ্ছিল। আমি ছাড়াও আরো সাতজন ভাইবোন রয়েছে আমার। আমার পরিবার বেঁচে আছে মাসে দু’বার করে পাওয়া ২৫ কেজি চাল ভাগাভাগি করে।

        পরিবারের চাপাচাপিতে পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে জান্নাতের মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাকে তার স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে চাপ আসতে থাকে এবং এ সময় তিনি বেরিয়ে পড়েন স্বামীর খোঁজে। জান্নাত আরাও লাখো রোহিঙ্গাদের একজন, যারা রাষ্ট্রহীন এবং বৈধভাবে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। তাদেরকে এমন স্বামীর উপর বিশ্বাস রাখতে বাধ্য করা হয়েছে, যাদেরকে তারা চেনে না বা জানেন না। তাদেরকে পৌঁছে দেয়ার জন্য পাচারকারীদের টাকাও দিয়েছিলেন। জান্নাতকে পাঠানোর গোপন পথটা এমন ছিল, প্রথমে তাকে রিকশায় করে বন্দরে নেয়া হয় এবং একটি জরাজীর্ণ একটি ট্রলারে তোলা হয়। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার এই অবৈধ প্রবেশে বাধা দেয়। দীর্ঘ দুটি মাস সমুদ্রে ভেসে এবং বহু মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখার পর যে জায়গা থেকে শুরু করেছিল আবার সেই জায়গায় ফিরে আসেন বলে জানান রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারী ২০ বছর বয়সী জান্নাত।

        পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন করা রোহিঙ্গাদের একটি ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে যৌতুক প্রথা প্রচলিত। স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো সেই যৌতুক পরিশোধ করতে হিমশিম খায়। এ জন্য তারা ভার্চ্যুয়াল বিয়ের মধ্য দিয়ে এর সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।

        মাত্র ১৮ বছর বয়সী সোমুদা বেগমকে বিয়ের জন্য খুব বেশি বয়সী বলে মনে করেন তার আত্মীয়স্বজন। বিয়ের জন্য শরণার্থী শিবিরে কয়েকটা পরিবার থেকে প্রস্তাব এলেও তারা প্রচুর অর্থ যৌতুক দাবি করছিলো। যেটা তার গরিব বাবার পক্ষে দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান সোমুদা বেগম। তার ভাষায়- তাই পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আমাকে ভার্চ্যুয়াল বিয়ে দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেয়াটা ভালো হবে। মোহাম্মদ লেদুর ১১ সন্তানের মধ্যে সোমুদা একজন। বিয়ের আগে সোমুদাকে তার সম্ভাব্য স্বামীর একটি ছবি দেখানো হয়। আর বিয়ে ওই ভিডিওকলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, যেখানে মোবাইল স্ক্রিনের এক পাশে একজন ইমাম এবং অপরপাশে তার স্বামী বন্ধুদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।

        সোমুদা বলেন, মা এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আমার অনেক বয়স হয়েছে গেছে এই কথাটি শুনতে শুনতে হতাশায় ভুগতে শুরু করি। যেখানে আমার বলার কিছুই ছিলো না। তাই এই বিয়ের পর থেকে আমি কিছুটা আনন্দ অনুভব করি যে, অবশেষে এই বেষ্টনি থেকে বেরিয়ে নিজের একটি পরিবার শুরু করতে পারবো।

        সোমুদার পিতা লেদু ৩০ হাজার টাকায় একটি দালালচক্রের সঙ্গে চুক্তি করেন- যারা তাকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাবে। এরপর দালাল সোমুদাকে নৌকায় নিয়ে গেল এবং তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত সোমুদা মালয়েশিয়ায় তার স্বামীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি। গন্তব্য থেকে সরে এসে তারা দুই মাস সমুদ্রে ভাসতে থাকে এবং একসময় বাংলাদেশি কোস্টগার্ড বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। লেদু বলেন, আমরা ভেবেছি সোমুদার তার স্বামীর সাথে সুখে সংসার করছে। কিন্তু এটা শুধু আমাদের স্বপ্নই ছিলো। এখন ওই দালালরা টাকা ফেরতও দেবে না কোনদিন।

        বেসরকারি সংস্থা আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লেওয়া বলেন, বৌদ্ধ প্রধান দেশ মিয়ানমার ২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ সংখ্যালঘু মুসলিমদের সামরিক নৃশংসতার মাধ্যমে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিলো। এরাই বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে জীবনধারণের কঠিন যুদ্ধে। এই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এই অবস্থা থেকে বের হতে মানবপাচার গোষ্ঠীটি রোহিঙ্গাদের নৌপথে বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে নারীপাচারকে তাদের অন্যতম পন্থা হিসেবে নিয়েছে বলেও জানান ক্রিস লেওয়া।

        রোহিঙ্গা নারীদের জীবনে এখন আর পছন্দ অপছন্দ বলে কোন বিকল্প নেই। তাদেরকে তাদের পরিবারের চাপে অল্প বয়সে বিয়ে করতে হচ্ছে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে অনিশ্চিত সমুদ্র যাত্রায় নামতে হচ্ছে। শিবিরের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে এবং যৌনকর্মী হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এই নারীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। নেই তাদের কোন স্বপ্ন।
        সূত্র: মানবজমিন
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বেলজিয়ামে আইন করে ‘হালাল মাংস’ বন্ধ

          বেলজিয়ামের একটি আইন বহাল রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত। এ রায়ের ফলে মুসলমান মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।

          বেলজিয়ামের ওই আইনে বলা হয়, জবাই করার আগে প্রাণীকে বৈদ্যুতিক শক দিতে হবে। ২০১৭ সালে বেলজিয়ামের ফ্লান্ডার্স অঞ্চল এ আইন প্রণয়ন হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত জানায় যে, এই আইনকেই বহাল রাখার পক্ষে তারা।

          কিন্তু জবাইয়ের আগে শক দিয়ে মারলে সেই প্রাণীকে হালাল বা কোশার পণ্য হিসাবে গণ্য করা হবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এই আইনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকেই সরব ছিল ইহুদি ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন। তারা জানান, কোনো প্রাণীর মাংস হালাল বা কোশার হতে গেলে সেই প্রাণীকে আগে শক দেওয়া যাবে না।

          কিন্তু আদালতের মত, বেলজিয়ান আইনটি বহাল রাখাই সঠিক, কারণ ধর্মে প্রচলিত আচারকে এই আইন সম্পূর্ণভাবে খারিজ করছে না। একই সঙ্গে, এই শক দেওয়াতে আংশিকভাবে ধর্মচর্চায় বিঘ্ন ঘটবে, তা স্বীকার করে আদালত।

          তবে এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বেলজিয়ামের প্রাণী অধিকার সংস্থা গ্লোবাল অ্যাকশন ইন দ্য ইন্টারেস্ট অফ অ্যানিমেলস।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আল্লাহ ভাইদের মেহনতকে কবুল করুন ৷ আমিন
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment

            Working...
            X