আল শিফা হাসপাতালে প্রি-ম্যাচিউর শিশু সহ বেশিরভাগ আইসিইউ রোগীর মৃত্যু
আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর মারমুখী অবস্থান, ছবি: আল-জাজিরা।
বিগত কয়েকদিন ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার অভ্যন্তরে ও বাইরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালটি পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার কারণে এবং বিদ্যুৎ না থাকায় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) অনেক রোগী ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে ইতোমধ্যেই প্রি-ম্যাচিউর শিশুসহ আইসিইউর ৪০ জন রোগী মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত শুক্রবার ১৭ নভেম্বর আল শিফার পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছিলেন যে- “জ্বালানি, খাবার ও পানি; আমাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রতি মিনিটে আমরা একটি জীবন হারাচ্ছি। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত রাতে আমরা ২২ জনকে হারিয়েছি।”
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি একটি ‘বড় কারাগার’ এবং ‘গণকবর’ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে সব চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস ও পানির সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে হাসপাতালটির মৌলিক প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতির পাশাপাশি পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালের অবস্থা করুণ ও বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর দখলদার ইসরায়েল বলছে যে, এই হাসপাতালকে ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই অজুহাত দেখিয়েই তারা হাসপাতালের রোগী ও আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষদের উপর অমানবিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা এখনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ভিডিও ছাড়া আর কোন প্রমাণ দিতে পারে নি।
তথ্যসূত্র:
————-
1. More than 20 patients die at Gaza’s al-Shifa Hospital amid Israeli raid
– https://tinyurl.com/mr2sxjan