আরব ইসলামিক সামিটে সোমালি রাষ্ট্রপতির ভাঙা হাত: নেপথ্যে শাবাবের অভিযান?
সোমালি রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদ আরব ইসলামিক সম্মেলনে তার ভাঙা হাত নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। সম্মেলনে অন্যান্য আরব ও মুসলিম নেতাদের পাশাপাশি সোমালি রাষ্ট্রপতিও চলমান ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে মুখরোচক কিছু কথা বলেছে। তবে অন্য সবার মতোই তার বক্তৃতাতেও আপোষকামিতা ছিল স্পষ্ট।
সোমালি রাষ্ট্রপতি দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, “এখানে একটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য সমাধান রয়েছে। ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল দুটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিতে বাস করবে। এটা সম্ভব; কেন আমরা এই ব্যাপারে এগিয়ে যাব না?”
১১ এবং ১২ নভেম্বর রিয়াদে অনুষ্ঠিত পঞ্চম আরব আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনের পর সোমালি রাষ্ট্রপতি আরব নিউজের সাথে কথা বলেছিল। বাণিজ্য ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য দুটি অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা রিয়াদে একত্রিত হয়ে থাকে; ফিলিস্তিন ইস্যুর কারণে এবার সেখানে ওআইসি-কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সোমালি রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদ এর ভাংগা হাত নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, আশ-শাবাব মুজাহিদিনের আক্রমণের ফলে হাসান শেখ মাহমুদ তার হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকতে পারেন। আর পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, সোমালি রাষ্ট্রপতির হাতে আঘাত নিয়ে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি মধ্য সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অভিযানে তার আহত হওয়া সম্পর্কিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করছে।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট শাহাদাহ্ এজেন্সির তথ্যমতে, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদকে টার্গেট করে দুটি আক্রমণ করেছিলেন। প্রথম অভিযানটি চালানো হয়েছিল শেখ মাহমুদের মাহাস শহর সফরের সময়, আর দ্বিতীয় আক্রমণটি কেন্দ্রীয় ডোসমেরে শহরে তার সফরকালে।
কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদকে লক্ষ্য করে চালানো শাবাবের আক্রমণে বেশ কয়েকজন সৈন্য, প্রেসিডেন্টের প্রহরী এবং তার সফরসঙ্গী সরকারি কর্মকর্তা হতাহতের শিকার হয় বলে জানা যায়। ঐ অভিযানেই প্রেসিডেন্ট আহত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায় যে, শাবাবের আক্রমণে আহত রাষ্ট্রপতি সোমালিয়ার বাইরের কোন দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকবে।
শীর্ষ সম্মেলনে কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পর্কেও কথা বলেছে সোমালি রাষ্ট্রপতি। কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সোমালি সরকারের প্রতি কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সমর্থনের কারণে সে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
তবে হাসান শেখ মাহমুদ এই সত্য এড়িয়ে গেছে যে, সোমালিয়ায় আশ-শাবাব তার সরকারের চেয়ে অধিক বিস্তীর্ণ এলাকা শাসন করছে। সেখানে তাঁরা ইসলামি শরিয়াহ্ ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছেন।
বিপরীতে, হাসান শেখ মাহমুদের স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ সরকারের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে দুর্নীতি আর জুলুমের অপশাসন চালিয়ে যেতে সমর্থন প্রদান করে যাচ্ছে আমেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ও আফ্রিকান ক্রুসেডাররা; সাথে রয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার।
উল্লেখ্য, হারাকাতুশ শাবাব এখন আর নিছক স্থানীয় কোন সংগঠন নয়। বরং, আশ-শাবাব বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংগঠন হয়ে উঠেছে। তাঁরা একাধারে সোমালিয়া, কেনিয়া ও ইথিওপিয়া সহ গোটা পূর্ব আফ্রিকায় ইসলামি শরিয়া কায়েম এবং সোমালিয়া থেকে সকল পশ্চিমা ও ক্রুসেডার শক্তিকে বিতাড়িত করার লক্ষ্য নিয়ে সশস্ত্র জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এডেন উপসাগরের অপর পারে ইয়েমেনের আনসারুশ শরিয়াকেও তাঁরা নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা করছে বলেও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ও মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সোমালি রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদ আরব ইসলামিক সম্মেলনে তার ভাঙা হাত নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। সম্মেলনে অন্যান্য আরব ও মুসলিম নেতাদের পাশাপাশি সোমালি রাষ্ট্রপতিও চলমান ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে মুখরোচক কিছু কথা বলেছে। তবে অন্য সবার মতোই তার বক্তৃতাতেও আপোষকামিতা ছিল স্পষ্ট।
সোমালি রাষ্ট্রপতি দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছে, “এখানে একটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য সমাধান রয়েছে। ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল দুটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিতে বাস করবে। এটা সম্ভব; কেন আমরা এই ব্যাপারে এগিয়ে যাব না?”
১১ এবং ১২ নভেম্বর রিয়াদে অনুষ্ঠিত পঞ্চম আরব আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনের পর সোমালি রাষ্ট্রপতি আরব নিউজের সাথে কথা বলেছিল। বাণিজ্য ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য দুটি অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা রিয়াদে একত্রিত হয়ে থাকে; ফিলিস্তিন ইস্যুর কারণে এবার সেখানে ওআইসি-কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সোমালি রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদ এর ভাংগা হাত নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, আশ-শাবাব মুজাহিদিনের আক্রমণের ফলে হাসান শেখ মাহমুদ তার হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকতে পারেন। আর পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, সোমালি রাষ্ট্রপতির হাতে আঘাত নিয়ে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি মধ্য সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অভিযানে তার আহত হওয়া সম্পর্কিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করছে।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট শাহাদাহ্ এজেন্সির তথ্যমতে, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় পশ্চিমা সমর্থিত রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মাহমুদকে টার্গেট করে দুটি আক্রমণ করেছিলেন। প্রথম অভিযানটি চালানো হয়েছিল শেখ মাহমুদের মাহাস শহর সফরের সময়, আর দ্বিতীয় আক্রমণটি কেন্দ্রীয় ডোসমেরে শহরে তার সফরকালে।
কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদকে লক্ষ্য করে চালানো শাবাবের আক্রমণে বেশ কয়েকজন সৈন্য, প্রেসিডেন্টের প্রহরী এবং তার সফরসঙ্গী সরকারি কর্মকর্তা হতাহতের শিকার হয় বলে জানা যায়। ঐ অভিযানেই প্রেসিডেন্ট আহত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায় যে, শাবাবের আক্রমণে আহত রাষ্ট্রপতি সোমালিয়ার বাইরের কোন দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকবে।
শীর্ষ সম্মেলনে কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পর্কেও কথা বলেছে সোমালি রাষ্ট্রপতি। কথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সোমালি সরকারের প্রতি কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সমর্থনের কারণে সে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
তবে হাসান শেখ মাহমুদ এই সত্য এড়িয়ে গেছে যে, সোমালিয়ায় আশ-শাবাব তার সরকারের চেয়ে অধিক বিস্তীর্ণ এলাকা শাসন করছে। সেখানে তাঁরা ইসলামি শরিয়াহ্ ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেছেন।
বিপরীতে, হাসান শেখ মাহমুদের স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ সরকারের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে দুর্নীতি আর জুলুমের অপশাসন চালিয়ে যেতে সমর্থন প্রদান করে যাচ্ছে আমেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ও আফ্রিকান ক্রুসেডাররা; সাথে রয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার।
উল্লেখ্য, হারাকাতুশ শাবাব এখন আর নিছক স্থানীয় কোন সংগঠন নয়। বরং, আশ-শাবাব বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংগঠন হয়ে উঠেছে। তাঁরা একাধারে সোমালিয়া, কেনিয়া ও ইথিওপিয়া সহ গোটা পূর্ব আফ্রিকায় ইসলামি শরিয়া কায়েম এবং সোমালিয়া থেকে সকল পশ্চিমা ও ক্রুসেডার শক্তিকে বিতাড়িত করার লক্ষ্য নিয়ে সশস্ত্র জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। এডেন উপসাগরের অপর পারে ইয়েমেনের আনসারুশ শরিয়াকেও তাঁরা নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা করছে বলেও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ও মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।