Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১১ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২৭ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১১ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২৭ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

    ভারতে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে: কোটি ছাড়িয়েছে রোগী সংখ্যা

    গত ১৯ ডিসেম্বর নাগাদ ভারতে নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যায়। করোনা রোগী সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারত।

    কয়েক মাস আগে ভারতের সবচেয়ে বড় বস্তি ধারভিতে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে, যাকে দেশের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় মহামারি বোমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই বস্তিতে ১০ লাখের বেশি মানুষের বাস।

    এখন ভাইরাসটি নগর থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা খুবই ভঙ্গুর। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়, সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বহু ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

    সরকারি হাসপাতালে বিছানা দুর্লভ হয়ে পড়েছে। এগুলো নোংরাও। বেসরকারি হাসপাতালগুলো গলাকাটা ফি চার্য করে। করোনা আক্রান্ত গরিব মানুষের বাঁচা-মরা ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতে করোনার আসল চেহারা আরো ভয়ংকর। গত সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড এপিডেমিওলজি’র প্রফেসর ব্রাহ্মর মুখার্জি তখনই বলেছিল যে ভারতে কোটির বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

    অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে এ জন্য অনেক মৃত্যুর খবর না জানা এবং অনেক রোগীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সঠিকভাবে পরীক্ষা না করা দায়ি হতে পারে।

    মহামরি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য গত মার্চে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত লকডাউন আরোপ করে। এতে কোটি কোটি গ্রামীণ অভিবাসী শ্রমিক কর্ম হারায়। অর্থনীতির নিম্নমুখি চাপ সামলাতে না পেরে গত জুন থেকে পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে শুরু করে দেশটির সরকার।

    ভারতের ম্যাক্স হেলথকেয়ারের মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড বিহেভিয়রাল সাইন্স বিভাগের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে ভারতের মানুষ কোভিড-১৯ উদ্বেগে ভুগছে। এ কারণে প্রতি চারজনের একজন ভারতীয় মহা চাপে আছে এবং তাদের চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

    ভবিষ্যতে ভারতের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। দেশটির অসুবিধা দুটি: প্রথমত, এর জনসংখ্যা বিশাল। ঘন বসতিপূর্ণ। ফলে গরীবদের পক্ষে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, দেশটির সামাজিক উন্নয়ন নীচু মানের। বিশেষ করে পশ্চাদপদ এলাকাগুলোতে। ফলে ভারতে নিশ্চিত করোনা রোগী সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘কমান্ডো’ নামক ইসলাম বিদ্বেষী সিনেমা

    এবার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছে, কলকাতার চিত্রনায়ক দেব অভিনীত “Commando (কমান্ডো)” নামক একটি চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যে এর Trailer বের করা হয়েছে। যেখানে, দাঁড়ি, পাগড়ি, পাঞ্জাবি পরিহিত লোকদের ‘জঙ্গি’ সন্ত্রাসী চরিত্রে অভিনয় করানো হয়েছে। ইসলামকে বিকৃত বানানোর এক ঘৃণ্য মহড়া চলছে। (ইন্নালিল্লাহ)

    এই ইসলাম বিদ্বেষী মুভি নিয়ে অলরেডি সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। Abdul Hi Muhammad Saifullah সাহেবের ফেসবুক স্টাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো:-

    সিনেমা দেখিনা, খবরও রাখিনা, কিন্তু অনলাইন দুনিয়ায় যেহেতু আছি, সিনেমার টিজারের স্ক্রিনশট দেখে কপাল কুঁচকে গেলো। দুনিয়া ব্যাপী ইসলাম নিয়ে যে বহু পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে এই সিনেমা তারই অংশ বলে মনে হচ্ছে।

    ইসলাম আর মুসলমানদের নানান কৌশলে এতদিন দাড়ি, টুপি, জুব্বা, রুমাল, সুরমা কে রাজাকার, বদমায়েশ, চরিত্রহীনদের পোশাক বানিয়ে অপমান করেছে ভারত ও এদেশের মুভি মেকাররা।এবার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে!! নতুন সংযুক্তি, চরিত্র নয় সাবজেক্টই হবে সেটি! কৌশলে বিষয়টিই বাংলা সিনেমার সাবজেক্ট হচ্ছে! মুভি বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া বলে কথা!

    ১ম ছবিটি দেখুন। কালেমা খচিত পতাকা, পতাকার নীচের অংশে AK-47 এর সিম্বল । পতাকার পেছন থেকে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসছে কথিত সন্ত্রাসীরা ।

    ২য় ছবিটিতে দেখুন। চার দিকে আরবি লিখা। টিজারের এই অংশে দেখানো হচ্ছে কথিত সন্ত্রাসীরা সুন্নাতি পোষাক পড়ে “নারায়ে তাকবির” “আল্লাহু আকবর” স্লোগান দিচ্ছে।

    কালেমাধারীদের পরাজিত করার জন্য “নায়ক দেব” যুদ্ধ করে যাবে এই সিনেমাতে । এই মুভিতে দেখাবে ইসলামি ’জঙ্গিবাদ’ দমনে নায়ক দেব এসে হাজির হয়েছে। আর ’জঙ্গিদের’ সিম্বল হিসাবে কালিমা খচিত পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে।

    এখানে সুস্পষ্টভাবে ইসলামকে ডিমোনাইজ করা হচ্ছে। ভিলেন বানিয়েছে ইসলামকে । যা ইচ্ছাকৃত ইসলাম বিদ্বেষ ।

    পরিচালক এই স্পর্ধা কোথায় পেলো! নাটক সিনেমায় আগে থেকেই খারাপ চরিত্র, ধর্ষক, বদমাশ দেখাতে দাড়ি টুপি চোখে সুরমা লাগায়। আমাদের নিরবতায় এখন ভিলেন চরিত্রে সরাসরি কালিমা ব্যবহার করার সাহস দেখাচ্ছে।

    রিসেন্ট ঘটে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ক্রুশবিদ্ধকরণ মুভি বানিয়ে, খৃষ্টান সম্প্রদায়কে দায়ীকরে, দেব ও শোয়ার্জনেগার কে নায়ক বানান।

    আরেকটা বানান লাখ লাখ মুসলিমকে রাখাইন ও পার্শ্ববর্তী দেশের উগ্রবাদীদের দ্বারা হত্যা যুদ্ধাপরাধ ও বাড়িঘর জালিয়ে দেয়া নিয়ে। সেগুলি এত নিকটে ঘটলেও চোখে পড়লনা কেনো? ভন্ডামী সব ইসলাম আর সুন্নাতি পোষাক নিয়ে তাইনা! ইচ্ছাকৃত এসব শয়তানী কারবার দ্রুত বন্ধ করুন। নচেৎ এ নিয়ে শান্তির পরিবেশ নষ্ট হলে সিনেমা কর্তৃপক্ষ দায়- দায়িত্ব এড়াতে পারবে না।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উপমহাসগরীয় অঞ্চলে সর্ববৃহৎ গির্জা নির্মাণ করছে বাহরাইন

      উপমহাসাগরীয় অঞ্চলের সর্ববৃহৎ গির্জা নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাহরাইন। গত ২৩ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করে সৌদি পত্রিকা আরব নিউজ।

      খবরে বলা হয়, ‘আওয়ার লেডি অফ এরাবিয়া ক্যাথেড্রাল’ নামে একটি গির্জা নির্মাণ হচ্ছে। এটি রাজধানী মানামা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি দ্বীপে ৯ হাজার বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে নির্মিত হচ্ছে।

      বাহরাইন চার্চ প্রজেক্টের আওতায় গির্জাটি আগামী বছরের মে মাসে উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে প্রকল্পটির প্রধান পর্যবেক্ষণকারী খ্রিস্ট ধর্মযাজক সাজি থমাস। সে ভারতের কেরালার বংশোদ্ভূত।

      উত্তর আরবের খ্রিস্টিয় অ্যাপোস্টলিক ভিকারিয়েট অর্থাৎ, যে দেশ বা অঞ্চলগুলোতে মিশনারীরা এখনো খ্রিস্ট ধর্মযাজক কিংবা বিশপ কিংবা ডেকানদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি, সেখানে ক্যাথলিক চার্চের আওতায় আঞ্চলিক এখতিয়ার প্রতিষ্ঠার মিশনের অংশ হিসেবে গত ৭ বছর যাবত কাজ করে যাওয়া ধর্মযাজক ফাদার সাজি থমাস, ইতালিয়ান বিশপ ক্যামিলো বালিনের আকস্মিক মৃত্যুর পর এই হারকিউলিয়ান স্থাপত্য প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণ করে।

      এই ব্যাপারে সে আরব নিউজকে জানায়, বিশপ ক্যামিলো বালিনের আকস্মিক মৃত্যুতে আমি জলের বাইরে থাকা জীবিত মাছের মতো হয়ে পরেছিলাম! তবে বিশপ ক্যামিলো বালিন তার মৃত্যুর আগেই আমাকে শিখিয়ে গিয়েছিল যে, একটি ক্যাথেড্রালের নকশা ও নির্মাণশৈলী কেমন হতে হয়, আর ক্যাথেড্রালই বা কিভাবে পরিচালনা করতে হয়।

      তার বক্তব্য মতে, ক্যাথেড্রালটির কাঠামোটি অনন্য নকশায় নির্মিত হয়েছে। কেননা ক্যাথেড্রালটির উপরে যে অষ্টাভূজ আকৃতির গম্বুজ রয়েছে তা বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত একটি তাঁবুর মতো স্থাপিত। তাছাড়া, খ্রিস্ট ধর্মের লাকি নাম্বার হিসেবেও এই ৮ সংখ্যাটি বিবেচিত হয়ে থাকে বলে সে জানায়।

      সাজি থমসন বলেছে, এই ক্যাথেড্রালটির উদ্ভব হয় মূলত বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ আল খলিফা আজ থেকে ২০১৪ সালে যখন বাহরাইনের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের ক্যাথেড্রাল নির্মাণের জন্য বাহরাইনের ভূমি থেকে একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছিল তখন থেকে।

      পরবর্তীতে ভ্যাটিকান সফরে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাতকালে সে পোপকে বাহরাইনের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের পাশে থাকার ও সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে বরাদ্দকৃত প্লটে বর্তমানে নির্মিত ক্যাথেড্রালটির ৩ ফুট উচ্চতার একটি মডেল দেখিয়ে তার কাঠামো, অবস্থা ও আশপাশ কেমন হবে বা তার সার্বিক পরিকল্পনার বিবরণ দিয়েছিল।

      অপরদিকে, উপসাগরীয় ছোট মুসলিম রাষ্ট্র বাহরাইন, যেখানে কিনা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি চার্চ রয়েছে। সেখানে আবার আওয়ার লেডি অফ এরাবিয়া নামে উপমহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ ক্যাথেড্রাল প্রতিষ্ঠা করা কতটা যুক্তিপূর্ণ তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।

      উল্লেখ্য, তেলের খনি ও তেল শোধনাগারকে কেন্দ্র করে বহিরাগত কর্মীদের আবাসস্থলে পরিণত হয় বাহরাইনের রাজধানীর অদূরে অবস্থিত ছোট আওয়ালী দ্বীপ। উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী ছোট আওয়ালী দ্বীপটির জনসংখ্যা মাত্র ১৭৬৯ জন। মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রের অত্যন্ত ছোট একটি দ্বীপে ৯ হাজার বর্গ মিটার জায়গায় নির্মিত ক্যাথলিক ক্যাথেড্রালটি কি অতীব জরুরী?

      কেনোনা বাহরাইনের সকল খ্রিস্টান যাদের সবাই আবার ক্যাথলিক, তাদের পরিমাণ হল দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ নাগরিকের জন্য যেখানে, ১ লক্ষ ৪০ হাজার জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিশাল ক্যাথেড্রাল আগে থেকেই আছে, সেখানে আবার ক্যাথেড্রাল নির্মাণের জন্য ৯ হাজার স্কয়ার মিটারের জায়গা দান ও ক্যাথেড্রাল নির্মাণ বাহরাইনের পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

      তাছাড়া, গ্রেট ব্রিটেনের লন্ডনের মতো বিশাল শহরে পর্যন্ত এমন বিশালাকার কোনো গীর্জাই নির্মাণ করা হয়নি!

      সূত্র: আরব নিউজ
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        চালের বাড়তি দরে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

        গত কয়েক মাস ধরেই চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরু থেকে শুরু করে মাঝারি ও মোটা চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বাজার পরিস্থিতি এমন হয়েছে মিল পর্যায়েই প্রতি বস্তা চাল (৫০ কেজি) ৩ মাসের ব্যবধানে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর এ বাড়তি দরে চাল কিনতে ভোক্তার নাভিশ্বাস বাড়ছে। সব চাইতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

        এ পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ে আজ (রোববার) সংবাদ সম্মেলনে আসছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপ জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

        এদিকে শনিবারে মিল পর্যায়ে, সরু চালের মধ্যে প্রতি বস্তা মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার ৩শ’ টাকা। সে ক্ষেত্রে ৩ মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বাড়ানো হয়েছে ৭শ’ টাকা। পাশাপাশি মাঝারি মানের চালের মধ্যে বিআর-২৮ জাত প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার টাকা। আর মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার টাকা।

        জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়েছে। তাই সরকারের উচিত, সরকারি গুদামে মজুদ বাড়িয়ে ও বাজার তদারকি করে চালের দাম কমিয়ে আনা। এতে ভোক্তার স্বস্তি ফিরবে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০ থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার ৬শ’ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৭শ’ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার ৪শ’ টাকা। আর স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২শ’ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ২ হাজার ১৫০ টাকা।

        যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। শনিবার প্রতি কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাল বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে সর্বোচ্চ ৬৭ টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ৫৫-৫৭ টাকা। বিআর ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা, ৩ মাস আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা, যা ৩ মাস আগে ছিল ৪৫ টাকা।

        কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল বিক্রেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেছেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে (মার্চের শেষে) মিলাররা নানা অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়েছে। কখনও সরবরাহ সংকট, কখনও শ্রমিক নাই মিল বন্ধ আবার কখনও ধানের দাম বেশি- এ করেই চালের দাম বাড়াচ্ছে মিলাররা। তারা বছরের শেষ সময় এসেও চালের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে। সর্বশেষ ৩ মাসের ব্যবধানে কেজিতে মিল পর্যায়ে ৫০ কেজির বস্তায় সর্বোচ্চ ৭শ’ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে।

        রংপুর ব্যুরো জানায়, রংপুরের বাজারে চাল ও ভোজ্যতেলের বাড়তি দাম ভোক্তাদের বিপাকে ফেলেছে। প্রায় ১ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ভোজ্যতেল ও চালের দাম বেড়েই চলেছে। এতে করে সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতি কেজিতে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। শনিবার রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজার, সিটি বাজার, কামালকাছনা বাজার ও টার্মিনাল বাজার, মডার্ন মোড়, লালবাগহাট ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

        মাহিগঞ্জ ও সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নতুন চাল স্বর্ণা প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৩শ’ টাকায়। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে। আঠাশ চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ৬শ’ থেকে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত।

        খুলনা ব্যুরো জানায়, অধিক লাভের আশায় সিন্ডিকেট ও কারসাজিতেই বাড়ানো হয়েছে চালের দাম। এমনই জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। মাত্র সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৪ টাকা। অর্থাৎ বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) বৃদ্ধি পেয়েছে কমপক্ষে ২শ’ টাকা।

        নগরীর খুচরা বাজারগুলোতে শনিবার প্রতি কেজি চাল মোটা (স্বর্ণা) ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, আঠাশ বালাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট (ভালোমানের) ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট (নিম্নমানের) ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, বাসমতি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি চাল মোটা (স্বর্ণা) ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, আঠাশ বালাম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট (ভালোমানের) ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট (নিম্নমানের) ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৪ সেনা নিহত

          পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শনিবার একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ চার সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। খবর ডেইলি পাকিস্তানের।

          পাক সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গিলগিট বালটিস্তান পার্বত্য অঞ্চলের মিনিমার্গ এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

          নিহতদের মধ্যে দুজন পাইলট– মেজর হুসেইন ও তার কো-পাইলট মেজর আয়াজ হোসেন ছাড়াও নায়েক ইনজামাম এবং মোহাম্মদ ফারুক নামে দুই সেনাসদস্য আছে।

          সাকদু এলাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারটি দিয়ে আবদুল কাদের নামে এক সিপাহির লাশ আনা হচ্ছিল। পথে হেলিকপ্টারটি মিনিমার্গ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নাউযুবিল্লাহ
            এরা আমাদের যুব সমাজকে মুজাহিদ সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিতে চায় ৷
            যাতে করে জিহাদের মত ফরজ বিধানকে সবাই ভুলে যায় বা সন্ত্রাস মনে করে ৷
            আল্লাহ ওদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিন ৷ আমিন
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              আমাদের অঞ্চলের প্রধান শত্রু হিন্দু মুশরিকরা। আর আমাদের দেশের ত্বাগুত সরকার হলো ইসলামের লেবাসে হিন্দুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। আর এই উভয় শত্রু মিলে সামরিক, বুদ্ধিভিত্তিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক। সব ধরণের আগ্রাসন চালাচ্ছে। এখন আমাদেরকে সবগুলো দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘কমান্ডো’ নামক ইসলাম বিদ্বেষী সিনেমা
                এবার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছে, কলকাতার চিত্রনায়ক দেব অভিনীত “Commando (কমান্ডো)” নামক একটি চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যে এর Trailer বের করা হয়েছে। যেখানে, দাঁড়ি, পাগড়ি, পাঞ্জাবি পরিহিত লোকদের ‘জঙ্গি’ সন্ত্রাসী চরিত্রে অভিনয় করানো হয়েছে। ইসলামকে বিকৃত বানানোর এক ঘৃণ্য মহড়া চলছে। (ইন্নালিল্লাহ)
                ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইয়া রব্ব! আপনি আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করুন। আমীন
                হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্চে...প্রকাশ্যে তারা এভাবে পবিত্র কালিমার ও শিয়ারে ইসলামের অপমান করার স্পর্ধা কিভাবে পেল? কোথা থেকে পেল?
                তাদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব কত জঘন্য?! আর আমরা কোটি কোটি মুসলমান নিবর দর্শকের ভূমিকা পালন করছি?! হায় আপসোস....!
                আজও আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বুলি আওড়িয়ে অনেক শান্তিবাদী হওয়ার জানান দিচ্ছি! আর এর বিপরীতে তারা তাদের মিশন চালিয়ে যাচ্ছে...
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                  ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইয়া রব্ব! আপনি আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করুন। আমীন
                  হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্চে...প্রকাশ্যে তারা এভাবে পবিত্র কালিমার ও শিয়ারে ইসলামের অপমান করার স্পর্ধা কিভাবে পেল? কোথা থেকে পেল?
                  তাদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব কত জঘন্য?! আর আমরা কোটি কোটি মুসলমান নিবর দর্শকের ভূমিকা পালন করছি?! হায় আপসোস....!
                  আজও আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বুলি আওড়িয়ে অনেক শান্তিবাদী হওয়ার জানান দিচ্ছি! আর এর বিপরীতে তারা তাদের মিশন চালিয়ে যাচ্ছে...
                  মাশা-আল্লাহ্ সুন্দর কথা বলেছেন সাম্মানিত ভাই!
                  তারা মিশন চালিয়ে যাবে বা যাচ্ছে... আল্লাহর কসম
                  আমরা সকলেই জানি, তারা তো তাদের মিশন গোপনে
                  চলমান রেখে মাঝে মাঝে প্রকাশ করে,আর তখন আমরা
                  আফসোছ আর হাই হুতাস করি, যুবকদের মাঝে আমাদের
                  সত্যের মিশন যদি চালু রাখি, আল্লাহর কসম ওদের কোন চক্রান্ত
                  যুবকদের মাঝে প্রভাব ফেলবে না,বাস্তব প্রমান কিছু যুবকদের
                  মাঝে নিজেকে গ্রহনযোগ্য করে তুলে এটাই বুঝেছি...
                  এখন যদি সেই যুবকদের কে বলি বাজারে এমন একটা
                  সিনেমা এসেছে,এমন সব চক্রান্ত রয়েছে.. তোমরা সাবধান
                  থাকবা,পৃথীবির আর কোন শক্তি নেই তাদের কে ফের
                  ধোঁকা দেয়ার.. সিনেমা এখন গুলে খাওয়ালেও কাজ হবে না,,,
                  তাই আমাদের মিশন আপন দায়িত্বে চলমান
                  রাখতে হবে.. দশ জন যুবকের মাঝে নিজেকে গ্রহন যোগ্য
                  করে তুলতে পারলে, তাদের আরো এমন পঞ্চাশ জন বন্ধু থাকে
                  যারা তাদের কথা মত চলে,,এ ভাবে পুরা এলাকা দখলে রাখতে হবে
                  আল্লাহ্ আমাদের হিকমার সাথে প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ আঞ্জাম
                  দিয়ার তাওফিক দান করুন আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    এই ইসলাম বিদ্বেষী মুভি নিয়ে উম্মাহ নেটওয়ার্ক বা উম্মাহ নিউজ থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিলে উম্মাহ কিছু হলেও সতর্ক হবে ইনশা আল্লাহ।
                    দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by Rumman Al Hind View Post
                      মাশা-আল্লাহ্ সুন্দর কথা বলেছেন সাম্মানিত ভাই!
                      তারা মিশন চালিয়ে যাবে বা যাচ্ছে... আল্লাহর কসম
                      আমরা সকলেই জানি, তারা তো তাদের মিশন গোপনে
                      চলমান রেখে মাঝে মাঝে প্রকাশ করে,আর তখন আমরা
                      আফসোছ আর হাই হুতাস করি, যুবকদের মাঝে আমাদের
                      সত্যের মিশন যদি চালু রাখি, আল্লাহর কসম ওদের কোন চক্রান্ত
                      যুবকদের মাঝে প্রভাব ফেলবে না,বাস্তব প্রমান কিছু যুবকদের
                      মাঝে নিজেকে গ্রহনযোগ্য করে তুলে এটাই বুঝেছি...
                      এখন যদি সেই যুবকদের কে বলি বাজারে এমন একটা
                      সিনেমা এসেছে,এমন সব চক্রান্ত রয়েছে.. তোমরা সাবধান
                      থাকবা,পৃথীবির আর কোন শক্তি নেই তাদের কে ফের
                      ধোঁকা দেয়ার.. সিনেমা এখন গুলে খাওয়ালেও কাজ হবে না,,,
                      তাই আমাদের মিশন আপন দায়িত্বে চলমান
                      রাখতে হবে.. দশ জন যুবকের মাঝে নিজেকে গ্রহন যোগ্য
                      করে তুলতে পারলে, তাদের আরো এমন পঞ্চাশ জন বন্ধু থাকে
                      যারা তাদের কথা মত চলে,,এ ভাবে পুরা এলাকা দখলে রাখতে হবে
                      আল্লাহ্ আমাদের হিকমার সাথে প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ আঞ্জাম
                      দিয়ার তাওফিক দান করুন আমিন।
                      মাশাআল্লাহ খুবি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
                      হে আল্লাহ আপনি আমাদের তাওফীক দান করুন আমীন
                      মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
                      লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by ফোরামের সাথি View Post
                        এই ইসলাম বিদ্বেষী মুভি নিয়ে উম্মাহ নেটওয়ার্ক বা উম্মাহ নিউজ থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিলে উম্মাহ কিছু হলেও সতর্ক হবে ইনশা আল্লাহ।
                        সহমত ভাই...আল্লাহ মিডিয়ার ভাইদের তাওফিক দিন। আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment

                        Working...
                        X