Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১২ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২৮ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১২ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ২৮ ডিসেম্বর , ২০২০ ঈসায়ী

    কাশ্মীরে আপেল বাগানে মালাউন পুলিশের নিধন যজ্ঞ, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল স্থানীয়দের ঘরবাড়ি

    বিতর্কিত কৃষি আইন ঘিরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ক্ষোভ- প্রতিবাদ। বিক্ষোভ চলাকালীন জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের নির্দেশে উপত্যকায় ১০ হাজারেরও বেশি আপেল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যেসব আপেল বাগান সাত পুরুষ ধরে করে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাজার হাজার আপেল গাছ নিধন ছাড়াও সরকারি বুলডোজার দিয়ে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কাশ্মীরের আপেল চাষীরা এমনিতেই ন্যায্য মূল্য পান না। এমনকি ভারতীয় কৃষকদের মতো ন্যায্যমূল্যের দাবি করার কোনো সুযোগও তাদের নেই। তারপরও তারা বাগানগুলো করেন খুবই যত্নসহকারে। সারা বছরই ওই বাগান থেকে রোজগারের টাকায় চলে সংসার।

    গত বছর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে এমনিতেই গোটা দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর উপত্যকা। ভাটা পড়েছে পর্যটন শিল্পেও। তাই বংশপরম্পরায় লালিত-পালিত আপেল বাগানের পরিচর্যাতেই মন দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ, যাতে শীতের মওসুমে কিছু রোজগার হয়। কিন্তু চোখের সামনে সেই বাগানই ধূলিসাৎ হয়ে যেতে দেখলেন তারা।

    গত কয়েক দশক ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সযত্নে এ আপেল বাগানগুলো তারা তৈরি করেছেন। এবার সরকারি বুলডোজারের নিচে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা, এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

    খবরে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নির্দেশে উপত্যকায় ১০ হাজারের বেশি আপেল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।



    মধ্য কাশ্মীরের বদগাম জেলার কানিদাজান-সহ আশেপাশের এলাকাতেই মূলত আপেল গাছ নিধন শুরু হয়। গুর্জর এবং বাখরওয়াল, এই দুই মুসলিম যাযাবর গোষ্ঠীর বাস সেখানে। ১৯৯১ সালে তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি পায় এই দুই গোষ্ঠী। তাদের আপেল বাগানেই নিধন যজ্ঞ চালিয়েছে বন দফতর। এলাকায় মাটির কুঁড়েঘর বানিয়ে এত দিন থাকছিলেন ওই দুই গোষ্ঠীর মানুষ। সেগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা, ৬০ বছর বয়সি আবদুল গনি ওয়াগে জানিয়েছেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে নভেম্বর মাসে আপেল গাছ নিধনযজ্ঞ শুরু হয়। শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দেড় বিঘে জমি রয়েছে আবদুলের। তাতে আপেল চাষ করতেন তিনি।
    আবদুল গনির অভিযোগ, ১০ নভেম্বরের সকালে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ খবর পান যে একদল লোক কুড়াল-করাত নিয়ে তার বাগানে হাজির হয়েছেন। তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে যান তিনি। কিন্তু গিয়ে দেখেন, পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর তত্ত্বাবধানে নির্বিচারে গাছ কেটে চলেছেন বন দফতরে লোকজন।

    আবদুল গনি জানান, আপেল বাগানে ৫০টি গাছ ছিল তাঁর। তার উপর নির্ভর করেই সংসার চলত। ৭ মেয়ে রয়েছে তাঁর। মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুলিশের কাছে অনুনয় বিনয়ও করেন তিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বরং বছর ৫০ আগে বাবার কাছ থেকে শিখে নিজে হাতে যে গাছগুলি বসিয়েছিলেন, কুড়ুলের ঘায়ে সেগুলি একের পর এক মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেন।
    উপত্যকার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর, বনদফতরের ৫০ জন আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে সারা দিনে প্রায় ১০ হাজার আপেল গাছ কেটে ফেলা হয় উপত্যকায়। গ্রামের মোড়ল মুহম্মদ আহসান জানান, গাছ কাটার বিরোধিতা করে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি কাজে বাধা দিলে মামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে তাঁদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। মহম্মদ আহসান আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘আপেল গাছের ডাল অত্যন্ত সরু এবং নরম। কুড়ুলের এক-দু’ঘাও সহ্য করার ক্ষমতা নেই।’’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আপেলচাষি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘এতদিন আপেল বাগানেই সারাদিন কেটে যেত। কিন্তু ২০ দিন হয়ে গেল, আপেল বাগানে পা রাখিনি। গাছ কেটে ফেলার পর খাঁ খাঁ করছে বাগান। ওখানে যাওয়ার মতো মনের জোর আর নেই আমার।’’

    কাশ্মীরে আপেল বাগানগুলি বন দফতরের জমির ওপর তৈরি বলে দাবি সরকারের। সাত পুরুষ ধরে সেখানে আপেল চাষ করে আসছেন গুর্জর এবং বাখরওয়ালরা। শুধু এই গুর্জর এবং বাখরওয়ালরাই নন, দেশের ১০ লক্ষের বেশি তফসিলি উপজাতি এবং বনবাসীরা বন অধিকার আইন ভোগ করেন। অর্থাৎ বনাঞ্চলে বসবাসের অধিকার যেমন রয়েছে তাদের, তেমনই সেখানে বসবাসের অধিকারও রয়েছে তাদেরই। কাগজে কলমে ওই জমির উপর মালিকানাও ভোগ করেন তারা।

    এক সময় রাজ্য থাকলেও জম্মু-কাশ্মীরে আজও ওই আইন কার্যকর হয়নি। গত বছর উপত্যকার জন্য সংরক্ষিত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর, ১৫৫টি কেন্দ্রীয় আইন আপনাআপনিই সেখানে কার্যকর হয়ে যায়। বন অধিকার আইনও সেখানে কার্যকর করা হবে বলে সেইসময় আশ্বাস দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। সেই সময় উপত্যকার মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমের দফতর থেকে বলা হয়, ‘‘২০২১-এর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই সংক্রান্ত সমীক্ষা সংম্পূর্ণ হলে, মার্চ মাসের মধ্যে উপত্যকায় বন অধিকার আইন কার্যকর হয়ে যাবে।’’

    হাজার হাজার আপেল গাছ নিধন ছাড়াও স্থানীয়দের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং উচ্ছেদ নোটিস ধরানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং ধর্মীয় বিদ্বেষ লুকিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই মুহূর্তে উপত্যকায় গুর্জর এবং বাখরওয়াল গোষ্ঠীর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বাস। উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ এই দুই গোষ্ঠীর মানুষ। কাশ্মীরি এবং ডোগরাদের পর তারাই সেখানকার তৃতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায়।

    সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি ও আলজাজিরা
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-29-2020, 06:45 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    অন্যায়ভাবে মুসলিম শিশুদের লাশ পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলঙ্কা

    লাশ কবর দেয়ার ইসলামী নিয়ম না মেনে করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম শিশুদের লাশ পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি জোরপূর্বক ২০ দিন বয়সের এক মুসলিম শিশুর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রীলকার মুসলিমসহ অন্য ধর্মালম্বীরা।

    মোহাম্মদ ফাহিম ও ফাতিমা শাফনার ঘরে জন্ম নিয়েছিল ২০ দিনের শিশুটি। দীর্ঘ ছয় বছরের অপেক্ষার পর তাদের ঘর আলো করে এসেছিল নবজাতক। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা যায়।

    গত ৭ ডিসেম্বর রাতে শিশুর বাবা-মা খেয়াল করলেন শিশুটির নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত তাকে দ্য লেডি রিজওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    লেডি রিজওয়ে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর শিশুর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা তখন বাবা-মাকে শিশুর গুরুতর অবস্থার কথা জানায়। পরে বাবা-মাকে করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে।

    এই অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে রেখে বাবা-মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর পরের দিনেই হাসপাতালের স্টাফরা তাদের ডেকে জানায়, শিশুটি বেঁচে নেই।

    এই শিশুর মৃত্যু করোনাভাইরাসে হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাবা-মা শিশুর পিসিআর টেস্টের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেস্ট করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে শিশুর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অনুমতি দেয়ার জন্য চিকিৎসকরা পুরুষ অভিভাবককে একটি সরকারি নথিতে স্বাক্ষর করতে বললে শিশুর বাবা ফাহিম তা প্রত্যাখ্যান করেন।

    তিনি ইসলামে লাশ পুড়ানো হারাম উল্লেখ করে সন্তানকে মুসলিম রীতিতে দাফনের দাবী জানান। কিন্তু সরকারী কর্তৃপক্ষ দাবী উপেক্ষা করে শিশুর লাশ পুড়িয়ে ফেলে। অন্য অনেক মুসলমানদের মতো শুধুমাত্র করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার কারণে তাদের প্রিয়জনদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

    ফাহিম বলেন, আমার শিশুর লাশ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বহুবার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) মুসলমানদের লাশ অযৌক্তিকভাবে পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি লক্ষ্য করে শ্রীলঙ্কাকে দেশটির দাহনীতি পরিবর্তন করতে বলেছে।

    ২০ দিনের শিশুর লাশ পুড়ানোর খবরটি ভাইরাল হলে মুসলমান-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠী এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।

    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ হয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছে, মুসলমানরা যাতে সঠিকভাবে লাশ দাফন করতে না পারে এজন্যে শ্রীলংকা সরকার রাতারাতি কফিন হিসেবে পরিচিত ‘সাদা কাপড়’ বাজার থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অনেক মুসলমান এটিকে সরকারের বর্ণবাদী কৌশল বলে দাবি করেছেন। সূত্র : বিবিসি, দি ইসলামিক ইনফরমেশন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সহকর্মীর পুত্রকে বলাৎকার চেষ্টার সময় ৭১টিভির সিনিয়র সাংবাদিক হাতেনাতে ধরা

      সহকর্মীর শিশু পুত্রকে বলাৎকার চেষ্টা ও নিপীড়নের সময় ধরা পড়েছে ইসলাম বিদ্বেষী প্রচাম মাধ্যম একাত্তর টিভির সিনিয়র সাংবাদিক হােসাইন সােহেল।

      জানা গেছে, একাত্তর টিভির এক প্রডিউসারের বাসায় মদের পার্টিতে মাতাল ছিল সাংবাদিক সােহেল ও তার অন্য বন্ধুরা। ভাের চারটার দিকে ওই প্রডিউসারের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া আট বছরের ছেলেকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা করে সােহেল।

      এসময় শিশুটির বাবা এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে সাংবাদিক সােহেলকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে একাত্তর টিভির ওই প্রডিউসার, সে নিজেও মাতাল ছিল। পরের দিন অফিসে এসে অভিযােগ দেয়।

      এরপর সােহেল একাত্তর টিভিতে গেলে সেখানে কর্মরত কয়েকজন নারী সাংবাদিক সােহেলকে পেটায়। চলতে থাকে চড়-থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি। অভিযোগ আছে, সােহেল শুধু মদ নয় বরং আরো নানা ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে থাকে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক নারী ঘটিত অভিযােগ ছিল একাত্তর টিভিতে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিন | হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা, গর্ভবতী নারী আহত

        ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন গর্ভবতী নারী এবং অন্য একজন নার্স মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।

        গত ২৭ ডিসেম্বর ভোরে পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরের একটি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। খবর কুদুস নিউজ নেটওয়ার্ক।

        খবরে বলা হয়, দখলদার সেনারা হাসপাতালের রোগী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের লক্ষ্য করে অনবরত এলোপাতাড়ি রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এ হামলায় একজন গর্ভবতী নারীর কাঁধ ও অন্য একজন সেবিকা বাহুতে আহত হয়।

        হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর ৪ : ৩০ মিনিটে ইসরায়েলের সেনারা রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে শুরু করে।

        এই হামলার ফলে হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে। টিয়ারগ্যাসে দম বন্ধ হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করে রোগীরা। এতে রোগীদের ফুসফুসে সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          লেবাননে সিরীয় শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

          লেবাননে সিরিয়ান শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুড়ে গেছে অন্তত শতাধিক শরনার্থীর আশ্রয়স্থল।

          গত ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাতে ঘটনাটি ঘটে। খবর এএফপি।

          লেবাননে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র খালেদ কাব্বারা জানিয়েছেন, আগুনের জেরে চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

          তিনি জানায়, আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারণ শিবিরটি তৈরি করা হয়েছিল পলিথিন এবং কাঠ দিয়ে। সেখানে অন্তত ৭৫টি পরিবারের প্রায় ৩৭৫ জন সিরীয় শরনার্থী বসবাস করতো। শিবিরটি এখন পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

          লেবাননের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে,লেবাননের একটি পরিবারের সঙ্গে শরণার্থী শিবিরের একজন শ্রমিকের দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনার জেরে হাতাহাতির পর রাতের বেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

          লেবাননে প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী বাস করছেন।

          মিঃ কাবারা জানায় যে, প্রায়ই সিরিয়ার শরণার্থীদের সাতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিভেদে জড়িয়ে পড়ে। ফলে এসব বিভেদের কারণে শরনার্থীদের জীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়ছে।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘কমান্ডো’: মুভিতে ভারতের কারসাজি

            ভারতে সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় মাঠে ময়দানে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর ছড়ায় মিডিয়ায়। বাস্তব ময়দানে তেমন কিছু না ঘটলেও মিডিয়ার ময়দান জুড়ে এদেশে ইসলাম ও মুসলমানকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

            বিজেপির উত্থান কালে তসলিমা নাসরিনকে দিয়ে ‘লজ্জা’র মতো উপন্যাস লেখানো হয়েছিল। ভারতে যখন মুসলমানদের কচুকাটা করা হচ্ছিল তখন এই বইয়ে তসলিমা দেখিয়েছে বাংলাদেশে হিন্দুদেরকে ব্যাপক নির্যাতন করা হচ্ছে।

            বিজেপি ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপহার-উপঢৌকন এ কাজের পেছনে ছিল বলে অনেক তথ্য পরে সামনে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের উগ্রতা বিরোধী সিনেমা বানানোর মানে গোটা ভারত জুড়ে মানবতাবিরোধী গেরুয়া সন্ত্রাসকে চাপা দিয়ে বাংলাদেশকে আবারো এক্ষেত্রে ভিলেন হিসেবে দেখানো।

            এখানে বিজেপি স্বার্থ, ‘র’-এর স্বার্থ, মুসলিম দমনমূলক উগ্র হিন্দু স্বার্থ প্রতিষ্ঠার একটা ভয়ংকর খেলা আছে! খেলা এই একটি সিনেমা দিয়েই হচ্ছে না, মিডিয়ার খবর, নাটক, বিনোদন-সংস্কৃতি, শিল্প, শোবিজ এবং পতিত বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপকভাবে হচ্ছে।

            কোনো কোনোটা চোখে পড়ে যাচ্ছে ‘কমান্ডো’ সিনেমার মতো। সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যমগত এবং গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা স্বার্থসংশ্লিষ্ট এজাতীয় দুষ্ট শিল্প প্রবণতা রুখে দেওয়ার সর্বাত্মক উদ্যোগ দরকার। সব মহলে, সব সময়।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ও আল্লাহ্ বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম!
              আল্লাহ্ আপনি জালিমদের ধ্বংস করুন
              তাদের নাপাক চিহ্ন দুনিয়া থেকে মুছে
              দিন, সাহায্য করুন বীর মুজাহিদদের
              আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।

              Comment


              • #8
                কমান্ডো মুভির নির্মাতারা যে অপরাধ করেছে, তা অমার্জনীয়। তাদেরকে যথাযথ পাওয়ানা বুঝিয়ে দিতে পারলে হৃদয় প্রশান্তি লাভ করত।
                আল্লাহ আপনার সিংহদের মাঝ থেকে কোন সিংহকে এ কাজের জন্য কবুল করে নিন। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে...............
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  Originally posted by abu ahmad View Post
                  কমান্ডো মুভির নির্মাতারা যে অপরাধ করেছে, তা অমার্জনীয়। তাদেরকে যথাযথ পাওয়ানা বুঝিয়ে দিতে পারলে হৃদয় প্রশান্তি লাভ করত।
                  আল্লাহ আপনার সিংহদের মাঝ থেকে কোন সিংহকে এ কাজের জন্য কবুল করে নিন। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে...............
                  আমীন।
                  মৌখিকভাবে গণ আন্দোলন হওয়া দরকার। যাতে শয়তানি মুভিটি যেন রিলিজ না হয়
                  দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

                  Comment

                  Working...
                  X