প্রত্যাবর্তনকৃত শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান বিষয়ক আফগান হাই কমিশনের প্রতিবেদন (২রা ডিসেম্বর)
আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান ও ইরান থেকে দেশগুলোর ইসলামবিরোধী সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তানে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন শরণার্থীরা। বিভিন্ন পথ দিয়ে দেশে প্রবেশ করছেন তারা। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এই শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছেন। এই সকল কমিটি নিয়মিত আফগান শরণার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য নিয়মিত তদের কার্যক্রমের রিপোর্ট প্রকাশ করছেন।
২রা ডিসেম্বরের প্রকাশিত রিপোর্টটি তুলে ধরা হলো আল ফিরদাউসের পাঠকদের জন্য:
তুরখাম (কল্পিত ডুরান্ড সীমান্ত)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
তুরখামে এই কমিটি নতুনভাবে আরও ২০১ পরিবারের নিবন্ধন করেছেন।
অস্থায়ী আবাসন বিষয়ক কমিটি:
উমারি ক্যাম্পে ২২টি তাবু এবং ৮টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ৮টি ট্যাংকার দিয়ে ১৩০টি ট্যাংকে পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
৫০টি পরিবার বর্তমানে ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। আর বাকি পরিবারগুলোকে তাদের নিজেদের এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
সেবা কমিটি উমারি ক্যাম্পে ৬ হাজার শরণার্থীর মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করেছেন।
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ৩৫০টি কম্বল, ২৫০ প্যাক মিনারেল পানি, ৩০০ কম্বল, জুতা ও কোট, ২৫০ প্যাক খাদ্য সামগ্রী, এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার লিটার পানি দিয়েছেন শরণার্থীদেরকে।
সেবা কমিটির কর্মকর্তারা ৪৯১টি সিম কার্ড বিনামূল্যে শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি উমারি ক্যাম্প ও কল্পিত ডুরান্ড লাইনের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের নিয়ে সভা-সমাবেশের আয়োজন করেছেন। এর মাধ্যমে তারা শরণার্থীদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করেছেন এবং সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন।
ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য শরণার্থী হিসেবে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় না দেওয়ার ব্যাপারটিকে তারা গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেছেন। যদি এই কাজে কেউ ধরা পড়ে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
ইওএম কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে শরণার্থীদের মাঝে অভিবাসন সংক্রান্ত ডকুমেন্টও বিতরণ করেছেন এই কমিটি।
অভিবাসীদের কর্মসংস্থান বিষয়ক কমিটি:
তুরখামে এই কমিটি মোট ২৭৬ জন লোকের নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন আছেন স্নাতক ডিগ্রিধারী, ৩ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, ২ জন হাফেজ, ১৩৪ জন কর্মী এবং ১২৬ জন পেশাগত দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি।
স্পিন বোল্ডাক (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
স্পিন বলদাকে এই কমিটি ৯৯৪ সদস্যের ১৯২টি পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ১২২টি পরিবারের ৬০১ জন সদস্যের দায়িত্ব আইওএম ও ডব্লিউএফবি এর অধীনে দেওয়া হয়েছে। আর ৩৯৩ সদস্যের ৭০টি পরিবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনএইচসিআরের কাছে।
এছাড়া, ৩৬ জন বন্দী এবং ৭ জন পরিবারহীন বাচ্চার নামও নিবন্ধন করেছে এই কমিটি।
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
৮৪০ সদস্যের ১২৬টি পরিবারকে স্পিন বলদাক ও কান্দাহার থেকে কাবুল ও কান্দাহার প্রদেশে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ ৪৪ হাজার আফগানি দেওয়া হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি ৪৬০০ শরণার্থীর জন্য খাদ্য সরবরাহ করেছে এবং উমারি ও শেরানদাম ক্যাম্পে ৯০,০০০ লিটার পানির ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক দল ২৭৯ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে, ১,৯২৩ জন শরণার্থীকে ভ্যাকসিন দিয়েছে, ৮৮৭ জন লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, এবং ৬টি ম্যালেরিয়া ও করোনা স্যাম্পল নিয়ে গেছেন।
পাকতিয়া (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
পাকতিয়া প্রদেশের দান্দ পাতাল জেলা দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন আরও ৪ পরিবার। এই পরিবারগুলোর নিবন্ধন করা হয়েছে।
অস্থায়ী আবাসন কমিটি:
পাকতিয়ায় অস্থায়ী আবাসন কমিটি ৪টি পরিবারের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের জন্য খাবার, পানীয় ও অন্যান্য সেবার ব্যবস্থা করেছেন সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি।
পাকতিকা (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
আজ (২রা ডিসেম্বর) ডুরান্ড লাইনের আংগুর আদায় ১৫ সদস্যের ৩টি পরিবারের নিবন্ধন করা হয়েছে।
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
৩টি পরিবারকে আংগুর আদা থেকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে এবং পরে তাদের নিজ নিজ জেলা ও গ্রামে পাঠানো হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি:
আংগুর আদার ৩টি পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এই কমিটি। প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দেওয়া হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
আংগুর আদায় ৬৩ জন শরণার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছে এই কমিটি। এছাড়া ৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, ১০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তারা ৬টি সিম কার্ডও বিতরণ করেছেন সেখানে।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি ফিরে আসা শরণার্থীদেরকে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য সরবরাহ করেছেন।
নিমরুজ:
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
সিল্ক রোড দিয়ে দেশে ফেরা ৬ পরিবারের ৩১ সদস্যের নিবন্ধন ও বায়োমেট্রিক করা হয়েছে।
অস্থায়ী আবাসন কমিটি:
শরণার্থীদের জন্য তৈরি অস্থায়ী শিবিরে ৬ পরিবারের ৩১ সদস্যের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি:
নিমরুজে ৬ পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দিয়েছে এই কমিটি।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হয়েছে শরণার্থীদের। ১০ সদস্যের ৩টি পরিবারকে খাবারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন এই কমিটি।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
স্বাস্থ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক সেবা ফিরে আসা শরণার্থীদের প্রদান করেছে এই কমিটি।
হেরাত
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
২৫ জন সদস্যের ১৪টি পরিবারের তথ্য হেরাতের ইসলাম কালা বন্দরে আজ নিবন্ধন করা হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি:
হেরাতে ২টি পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দিয়েছে এই কমিটি।
কাবুল
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
১৩৮ সদস্যের ২৬টি পরিবারকে কুন্দুজ ও বলখ প্রদেশে পাঠিয়েছেন কাবুলের পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি। পরিবারগুলোকে ১ লাখ ৮৭ হাজার আফগানি ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
———–
1. Daily report of high commission for facilitation of returning refugees
– https://tinyurl.com/3p6u7p6a
আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান ও ইরান থেকে দেশগুলোর ইসলামবিরোধী সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তানে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন শরণার্থীরা। বিভিন্ন পথ দিয়ে দেশে প্রবেশ করছেন তারা। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এই শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছেন। এই সকল কমিটি নিয়মিত আফগান শরণার্থীদের সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য নিয়মিত তদের কার্যক্রমের রিপোর্ট প্রকাশ করছেন।
২রা ডিসেম্বরের প্রকাশিত রিপোর্টটি তুলে ধরা হলো আল ফিরদাউসের পাঠকদের জন্য:
তুরখাম (কল্পিত ডুরান্ড সীমান্ত)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
তুরখামে এই কমিটি নতুনভাবে আরও ২০১ পরিবারের নিবন্ধন করেছেন।
অস্থায়ী আবাসন বিষয়ক কমিটি:
উমারি ক্যাম্পে ২২টি তাবু এবং ৮টি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ৮টি ট্যাংকার দিয়ে ১৩০টি ট্যাংকে পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
৫০টি পরিবার বর্তমানে ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। আর বাকি পরিবারগুলোকে তাদের নিজেদের এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
সেবা কমিটি উমারি ক্যাম্পে ৬ হাজার শরণার্থীর মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করেছেন।
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ৩৫০টি কম্বল, ২৫০ প্যাক মিনারেল পানি, ৩০০ কম্বল, জুতা ও কোট, ২৫০ প্যাক খাদ্য সামগ্রী, এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার লিটার পানি দিয়েছেন শরণার্থীদেরকে।
সেবা কমিটির কর্মকর্তারা ৪৯১টি সিম কার্ড বিনামূল্যে শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি উমারি ক্যাম্প ও কল্পিত ডুরান্ড লাইনের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের নিয়ে সভা-সমাবেশের আয়োজন করেছেন। এর মাধ্যমে তারা শরণার্থীদেরকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করেছেন এবং সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন।
ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য শরণার্থী হিসেবে নিজেকে মিথ্যা পরিচয় না দেওয়ার ব্যাপারটিকে তারা গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেছেন। যদি এই কাজে কেউ ধরা পড়ে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
ইওএম কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে শরণার্থীদের মাঝে অভিবাসন সংক্রান্ত ডকুমেন্টও বিতরণ করেছেন এই কমিটি।
অভিবাসীদের কর্মসংস্থান বিষয়ক কমিটি:
তুরখামে এই কমিটি মোট ২৭৬ জন লোকের নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন আছেন স্নাতক ডিগ্রিধারী, ৩ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, ২ জন হাফেজ, ১৩৪ জন কর্মী এবং ১২৬ জন পেশাগত দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি।
স্পিন বোল্ডাক (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
স্পিন বলদাকে এই কমিটি ৯৯৪ সদস্যের ১৯২টি পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ১২২টি পরিবারের ৬০১ জন সদস্যের দায়িত্ব আইওএম ও ডব্লিউএফবি এর অধীনে দেওয়া হয়েছে। আর ৩৯৩ সদস্যের ৭০টি পরিবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনএইচসিআরের কাছে।
এছাড়া, ৩৬ জন বন্দী এবং ৭ জন পরিবারহীন বাচ্চার নামও নিবন্ধন করেছে এই কমিটি।
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
৮৪০ সদস্যের ১২৬টি পরিবারকে স্পিন বলদাক ও কান্দাহার থেকে কাবুল ও কান্দাহার প্রদেশে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ ৪৪ হাজার আফগানি দেওয়া হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি ৪৬০০ শরণার্থীর জন্য খাদ্য সরবরাহ করেছে এবং উমারি ও শেরানদাম ক্যাম্পে ৯০,০০০ লিটার পানির ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য বিষয়ক দল ২৭৯ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে, ১,৯২৩ জন শরণার্থীকে ভ্যাকসিন দিয়েছে, ৮৮৭ জন লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, এবং ৬টি ম্যালেরিয়া ও করোনা স্যাম্পল নিয়ে গেছেন।
পাকতিয়া (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
পাকতিয়া প্রদেশের দান্দ পাতাল জেলা দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন আরও ৪ পরিবার। এই পরিবারগুলোর নিবন্ধন করা হয়েছে।
অস্থায়ী আবাসন কমিটি:
পাকতিয়ায় অস্থায়ী আবাসন কমিটি ৪টি পরিবারের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের জন্য খাবার, পানীয় ও অন্যান্য সেবার ব্যবস্থা করেছেন সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি।
পাকতিকা (কল্পিত ডুরান্ড লাইন)
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
আজ (২রা ডিসেম্বর) ডুরান্ড লাইনের আংগুর আদায় ১৫ সদস্যের ৩টি পরিবারের নিবন্ধন করা হয়েছে।
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
৩টি পরিবারকে আংগুর আদা থেকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে এবং পরে তাদের নিজ নিজ জেলা ও গ্রামে পাঠানো হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি:
আংগুর আদার ৩টি পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এই কমিটি। প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দেওয়া হয়েছে।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
আংগুর আদায় ৬৩ জন শরণার্থীকে চিকিৎসা দিয়েছে এই কমিটি। এছাড়া ৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, ১০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তারা ৬টি সিম কার্ডও বিতরণ করেছেন সেখানে।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
এই কমিটি ফিরে আসা শরণার্থীদেরকে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য সরবরাহ করেছেন।
নিমরুজ:
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
সিল্ক রোড দিয়ে দেশে ফেরা ৬ পরিবারের ৩১ সদস্যের নিবন্ধন ও বায়োমেট্রিক করা হয়েছে।
অস্থায়ী আবাসন কমিটি:
শরণার্থীদের জন্য তৈরি অস্থায়ী শিবিরে ৬ পরিবারের ৩১ সদস্যের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি:
নিমরুজে ৬ পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দিয়েছে এই কমিটি।
সেবা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি:
প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হয়েছে শরণার্থীদের। ১০ সদস্যের ৩টি পরিবারকে খাবারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন এই কমিটি।
তথ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক কমিটি:
স্বাস্থ্য ও জনসচেতনতা বিষয়ক সেবা ফিরে আসা শরণার্থীদের প্রদান করেছে এই কমিটি।
হেরাত
নিবন্ধন, অনুমোদন ও অভ্যর্থনা কমিটি:
২৫ জন সদস্যের ১৪টি পরিবারের তথ্য হেরাতের ইসলাম কালা বন্দরে আজ নিবন্ধন করা হয়েছে।
অর্থ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি:
হেরাতে ২টি পরিবারকে ১০ হাজার আফগানি দিয়েছে এই কমিটি।
কাবুল
পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি:
১৩৮ সদস্যের ২৬টি পরিবারকে কুন্দুজ ও বলখ প্রদেশে পাঠিয়েছেন কাবুলের পরিবহন ও স্থানান্তর কমিটি। পরিবারগুলোকে ১ লাখ ৮৭ হাজার আফগানি ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
———–
1. Daily report of high commission for facilitation of returning refugees
– https://tinyurl.com/3p6u7p6a
Comment