Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২২ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২২ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    ভারতে পর্দানশীল মুসলিম নারীকে পুলিশের আটক ও হয়রানির বিরুদ্ধে পিটিশন



    দিল্লির বাসিন্দা পর্দানশীল একজন মুসলিম নারী রেশমা শফিকউদ্দিন দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তারা উনাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করেছে।

    আটকের ঘটনাটি ঘটেছে ৬ নভেম্বর ভোর রাতে। রেশমা পুরোনো দিল্লিতে ভোর ৩ টার দিকে তার নিচতলার ফ্ল্যাটের সামনের গেটে অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনতে পান। তিনি দেখেন যে, অনেক পুলিশ আবাসিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করছে। পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে চাইলে রেশমা রাজি হননি। তিনি তাদের জানিয়েছিলেন যে, বাড়িতে একা থাকায় তিনি অনিরাপদ বোধ করছেন। আর তিনি একজন পর্দানশীল মহিলা, তাই কোন গায়রে মাহরাম কাউকে ঘরে প্রবেশের অনুমতি দিবেন না।

    রেশমা ১১ই নভেম্বর দিল্লি পুলিশের কমিশনারকে ইমেইল করে জানিয়েছেন যে, পুলিশ কর্মকর্তারা কীভাবে তার ভাই রেহান এবং ইরফান ওরফে লালার সন্ধান করছিল। তার দুই ভাই একটি অজ্ঞাত মামলায় ওয়ান্টেড। বারবার তার বাড়ি থেকে ভাইদের অনুপস্থিতির বিষয়ে পুলিশকে জানানোর পরেও পুলিশ রেশমার বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে এবং বেআইনিভাবে তল্লাশি চালায়। সেই সাথে তারা রেশমাকে হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে।

    রেশমা শফিকউদ্দিন অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন যে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় পুলিশ হুমকি দিয়েছে কাউকে কিছু না জানাতে।

    আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী এম সুফিয়ান সিদ্দিকী যুক্তি দেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড পিটিশনারের মৌলিক অধিকার এবং সার্বজনীন মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

    সুফিয়ান সিদ্দিক দ্য অবজারভার পোস্টকে বলেছেন, “রিট পিটিশনে আমরা একাধিক বিষয় চেয়েছি, এক নম্বর হল একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত যা একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে করা হবে। দ্বিতীয়ত, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। এবং তৃতীয়ত, তার মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ।”

    আবেদনে বলা হয়েছে, একজন “পর্দানশীল” নারীর “জীবনের অধিকার” এর অধীনে পোশাক পরিধান ও নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। সুতরাং তাকে পর্দা ছাড়া পরপুরুষের মুখোমুখি হতে বাধ্য করা যাবে না। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আচরণ তার ‘গোপনীয়তার অধিকার’, ‘মর্যাদার সাথে বাঁচার অধিকার’ এবং ‘রাইট টু রেপুটেশন’-এর একটি জঘন্য লঙ্ঘন।

    আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পুলিশের পদক্ষেপগুলি “তার সম্মতি ছাড়াই জোরপূর্বক তার বাসভবনে প্রবেশ করে তার মর্যাদা এবং আত্মসম্মানের উপর একটি অমার্জনীয় কলঙ্ক” রেখেছিল, তাও যখন সে একা ছিল। অবৈধভাবে বাড়ি তল্লাশি চালায়, তাকে তার পর্দা ছাড়া তার বাসভবন থেকে টেনে নিয়ে যায়। থানায় বোরকা পরে তাকে প্রায় ১৩ ঘন্টা বেআইনিভাবে আটকে রেখে রাতের বেলা তার সাথে অমানবিক ও অপমানজনক আচরণ করা হয়।”

    ৩০ নভেম্বর গৃহীত একটি আদেশে বিচারপতি ব্যানার্জি পুলিশ সদর দফতরের ভিতরে এবং আশেপাশে স্থাপিত সমস্ত ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজ এবং নগর কর্তৃপক্ষ ও ঘটনার এলাকায় ব্যক্তিগত সমস্ত ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয়।

    কোন নারীকে আটক বিষয়ে আইনজীবী সংক্ষেপে বলেছে, আইন অনুসারে সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যোদয়ের আগে কোনও মহিলাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা পুলিশের নেই। শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে, আপনি রাতের বেলা একজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন, তাও ওই এলাকার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে ওয়ারেন্ট আকারে লিখিত অনুমতি পাওয়ার পরে। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকেও থাকতে হয়। কোনও ওয়ারেন্ট ছিল না, কোনও মহিলা পুলিশ অফিসার ছিল না, এটি ছিল সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ।”


    তথ্যসূত্র:
    ———–
    1. ‘Pardanashin’ Muslim Woman Moves Court Against Illegal Police Entry, Detention, and Harassment
    https://tinyurl.com/nm3vtxkh


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘এটি কাশী, করাচি নয়’: মুসলিম মাংস ব্যবসায়ীকে বিজেপি বিধায়কের হুমকি


    বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারনার সময় থেকেই রাজস্থানে মুসলিম বিদ্বেষের ঘটনা বেড়েছে। আর নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজেপি বিধায়করা মুসলিম বিদ্বেষের নিত্যনতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।

    হাওয়া মহল কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য তার নির্বাচনী এলাকায় মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ করার “নির্দেশ” দিয়েছে। অথচ মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে সেখানে ব্যবসা করে আসছেন। এটি নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    অনলাইনে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে বিজেপি বিধায়ক পুলিশকে চণ্ডী তকসাল এলাকায় মাংসের দোকান এবং রেস্তোরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে।


    ভিডিওটিতে আচার্য এক পুলিশ অফিসারকে খোলা জায়গায় মাংস বিক্রির বৈধতা এবং পরিণতির ভয়াবহতা নিয়ে প্রশ্নও করছিল।
    সে জিজ্ঞাসা করছে “মাংস কি রাস্তায় খোলা অবস্থায় বিক্রি করা যায়? হ্যাঁ বা না উত্তর দিন। আপনি হয়তো তাদের সমর্থন করছেন? আমি সন্ধ্যায় আপনার কাছ থেকে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন নেব।”

    আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে আচার্য এম এম খান হোটেলের মুসলিম মালিককে হেনেস্থা করছে। সে অযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবি তুলছে।

    আচার্য আরো বলেছে, মুসলিম ব্যবসায়ীরা নাকি এলাকাটিকে “করাচি” তে পরিণত করছে। পরে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হিন্দুত্ববাদী “জয় শ্রী রাম” স্লোগান দিতে থাকে এবং বলে যে, “এটি করাচি নয়, এটি কাশী।”

    সে মুসলিমদের তাচ্ছিল্য করে জানতে চায় আপনারা কি এই জায়গাটিকে করাচির মতো জগাখিচুড়িতে পরিণত করতে চান?


    তথ্যসূত্র:
    ————
    1. ‘This is Our Kashi, Not Karachi’: Newly Elected BJP MLA in Rajasthan Tells Muslim Meat Shop Owners
    https://tinyurl.com/mtru8dk6


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইসরায়েলি হামলায় গাজায় হতাহত অর্ধ লাখেরও বেশি



      ফিলিস্তিনের গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে হতাহত হয়েছেন অন্তত ৬০,০০০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৬,২০০ ছাড়িয়েছে, আহতদের সংখ্যা ৪১,০০০ হাজারেও বেশি। পাশাপাশি এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৭,৫০০ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা ৭০ শতাংশেরও বেশি।

      ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ১৬,২০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৬,৬০০ জন শিশু এবং ৪,৩০০ জন নারী।

      জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৬৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে অন্তত ৩,০০,০০০ এর বেশি আবাসিক ভবন ও অন্তত ৩৩৯টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ২৬টি হাসপাতাল ও ৫২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও নিহত হয়েছেন অন্তত ২০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জনেরও বেশি। এ সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ জন সাংবাদিক।

      ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও অবরোধে দশ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে এখনো বঞ্চিত গাজার বাসিন্দারা।

      অন্যদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এলাকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন ২৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে ৬১ জন শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩,৩৬৫ জন। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ৩,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনিকে, যার মধ্যে নারী-শিশু রয়েছে।

      আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় প্রতি ঘণ্টায় গড়ে অন্তত ৪২টি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩৫ জন। আর প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ১২টি ভবন ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।

      ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় এমন বর্বরতা চালাতে সরাসরি সমর্থন ও অস্ত্র সহযোগিতা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষভাবে আমেরিকা। অন্যদিকে ইহুদিরাও গাজায় আগ্রাসনকে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের যুদ্ধ নয় বরং পশ্চিমা বিশ্ব ও পশ্চিমা সভ্যতার যুদ্ধ বলেও উল্লেখ্য করছে। অথচ বেশিরভাগ আরব দেশ এখনো বক্তৃতা আর বিবৃতিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

      তথ্যসূত্র:
      ————–
      1. Israel-Hamas war updates: More than 16,200 dead in Gaza from Israeli attack
      https://tinyurl.com/486nndp3
      2. Israel-Gaza war in maps and charts: Live tracker
      https://tinyurl.com/42cfrpxs
      3. This war is not only a war between Israel and Hamas
      https://tinyurl.com/47j3pdhb


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X