দুর্যোগ ও বিপদে একে অপরের পাশে আফগান সরকার ও জনগণ
হেরাতের ভয়ানক ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আফগান জাতি তীব্র বেদনাকাতর হয়েছেন এই ঘটনায়। তবে, এই দুর্যোগ আফগান জাতির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার মানসিকতা জাগ্রত করেছে, সাধারণ মানুষ ও দেশের সরকারকে পরস্পরের আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। নিজ জাতির সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তাছাড়া, প্রতিবেশী দেশ বিশেষত পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করার কারণে আফগান জাতির উপর উল্লেখযোগ্য আরেকটি পরীক্ষা চেপে বসেছে। আফগানিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামি ইমারতের সম্মানিত কর্ণধারগণ আন্তরিকতার সাথে এই শরণার্থীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সরকারি ও ব্যক্তিগত সাহায্য উত্তোলন করে যথাযথভাবে শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে ইমারতে ইসলামিয়া বিশ্ববাসীর সামনে সহানুভূতি ও আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা সমস্যার মোকাবেলা করছেন। কোনো কোনো সমস্যা মোকাবেলা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তবুও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্যে সব বাধা-বিপত্তি কাটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। আফগান জাতির সেবা করে যাওয়ায় সরকার ও জনগণের মধ্যে এক আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।
হেরাতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভিবাসীদের জোরপূর্বক প্রত্যাবর্তনের সময়টাতে সমগ্র আফগান জাতি ও সরকার গভীরভাবে উদ্বেলিত হয়েছেন এবং নিজেদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মদিনার আনসার ও মক্কার মুহাজিরদের ঘটনাকে।
এমনকি সাধারণ সরকারি কর্মচারীরা সীমিত বেতনভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পিছপা হননি, তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যের ভিত্তিতেই জাতির সেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
অনেক কর্মচারী তাদের মাসিক বেতনের ১০% স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের সাহায্যে ব্যয় করেছেন। তাছাড়া, ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিরা মিলিয়ন মিলিয়ন আফগানি মুদ্রা দান করেছেন। সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সাহায্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাবুল পৌরসভাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাসেবী দল। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সহায়তা কার্যক্রমের স্বচ্ছতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা।
সামগ্রিকভাবে, আফগান জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুঃখ-দুর্দশা দূরীকরণে ইমারতে ইসলামিয়ার সুদৃঢ় মনোযোগ, সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং কার্যকর সমাধানের কারণে এই সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে অনেক গুণ। এমন আন্তরিক কার্যক্রম ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের ভিত্তিকে মজবুত করেছে।
ইমারতে ইসলামিয়া প্রমাণ করেছেন, তারা আফগান জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর এই জাতি তাদের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
সেই সাথে তাঁরা এটাই প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামি শরিয়তের শাসনের ছায়াতলেই কেবলমাত্র জনগণের প্রকৃত অধিকার এবং আত্মিক ও বৈষয়িক উভয় ধরণের উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র:
1. National Empathy: Collaborative Problem-Solving by the Government and the People
– https://tinyurl.com/7hynnds9
হেরাতের ভয়ানক ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আফগান জাতি তীব্র বেদনাকাতর হয়েছেন এই ঘটনায়। তবে, এই দুর্যোগ আফগান জাতির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার মানসিকতা জাগ্রত করেছে, সাধারণ মানুষ ও দেশের সরকারকে পরস্পরের আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। নিজ জাতির সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তাছাড়া, প্রতিবেশী দেশ বিশেষত পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করার কারণে আফগান জাতির উপর উল্লেখযোগ্য আরেকটি পরীক্ষা চেপে বসেছে। আফগানিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামি ইমারতের সম্মানিত কর্ণধারগণ আন্তরিকতার সাথে এই শরণার্থীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সরকারি ও ব্যক্তিগত সাহায্য উত্তোলন করে যথাযথভাবে শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে ইমারতে ইসলামিয়া বিশ্ববাসীর সামনে সহানুভূতি ও আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা সমস্যার মোকাবেলা করছেন। কোনো কোনো সমস্যা মোকাবেলা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তবুও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্যে সব বাধা-বিপত্তি কাটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। আফগান জাতির সেবা করে যাওয়ায় সরকার ও জনগণের মধ্যে এক আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।
হেরাতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভিবাসীদের জোরপূর্বক প্রত্যাবর্তনের সময়টাতে সমগ্র আফগান জাতি ও সরকার গভীরভাবে উদ্বেলিত হয়েছেন এবং নিজেদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মদিনার আনসার ও মক্কার মুহাজিরদের ঘটনাকে।
এমনকি সাধারণ সরকারি কর্মচারীরা সীমিত বেতনভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পিছপা হননি, তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যের ভিত্তিতেই জাতির সেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
অনেক কর্মচারী তাদের মাসিক বেতনের ১০% স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের সাহায্যে ব্যয় করেছেন। তাছাড়া, ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিরা মিলিয়ন মিলিয়ন আফগানি মুদ্রা দান করেছেন। সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সাহায্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাবুল পৌরসভাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাসেবী দল। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সহায়তা কার্যক্রমের স্বচ্ছতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা।
সামগ্রিকভাবে, আফগান জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুঃখ-দুর্দশা দূরীকরণে ইমারতে ইসলামিয়ার সুদৃঢ় মনোযোগ, সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং কার্যকর সমাধানের কারণে এই সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে অনেক গুণ। এমন আন্তরিক কার্যক্রম ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের ভিত্তিকে মজবুত করেছে।
ইমারতে ইসলামিয়া প্রমাণ করেছেন, তারা আফগান জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর এই জাতি তাদের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
সেই সাথে তাঁরা এটাই প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামি শরিয়তের শাসনের ছায়াতলেই কেবলমাত্র জনগণের প্রকৃত অধিকার এবং আত্মিক ও বৈষয়িক উভয় ধরণের উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র:
1. National Empathy: Collaborative Problem-Solving by the Government and the People
– https://tinyurl.com/7hynnds9
Comment