Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৪ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৪ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    দুর্যোগ ও বিপদে একে অপরের পাশে আফগান সরকার ও জনগণ



    হেরাতের ভয়ানক ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আফগান জাতি তীব্র বেদনাকাতর হয়েছেন এই ঘটনায়। তবে, এই দুর্যোগ আফগান জাতির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার মানসিকতা জাগ্রত করেছে, সাধারণ মানুষ ও দেশের সরকারকে পরস্পরের আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। নিজ জাতির সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

    তাছাড়া, প্রতিবেশী দেশ বিশেষত পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করার কারণে আফগান জাতির উপর উল্লেখযোগ্য আরেকটি পরীক্ষা চেপে বসেছে। আফগানিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামি ইমারতের সম্মানিত কর্ণধারগণ আন্তরিকতার সাথে এই শরণার্থীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সরকারি ও ব্যক্তিগত সাহায্য উত্তোলন করে যথাযথভাবে শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে ইমারতে ইসলামিয়া বিশ্ববাসীর সামনে সহানুভূতি ও আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

    ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা সমস্যার মোকাবেলা করছেন। কোনো কোনো সমস্যা মোকাবেলা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তবুও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্যে সব বাধা-বিপত্তি কাটাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। আফগান জাতির সেবা করে যাওয়ায় সরকার ও জনগণের মধ্যে এক আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।

    হেরাতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অভিবাসীদের জোরপূর্বক প্রত্যাবর্তনের সময়টাতে সমগ্র আফগান জাতি ও সরকার গভীরভাবে উদ্বেলিত হয়েছেন এবং নিজেদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মদিনার আনসার ও মক্কার মুহাজিরদের ঘটনাকে।
    এমনকি সাধারণ সরকারি কর্মচারীরা সীমিত বেতনভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সাহায্যে এগিয়ে আসতে পিছপা হননি, তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যের ভিত্তিতেই জাতির সেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

    অনেক কর্মচারী তাদের মাসিক বেতনের ১০% স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের সাহায্যে ব্যয় করেছেন। তাছাড়া, ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিরা মিলিয়ন মিলিয়ন আফগানি মুদ্রা দান করেছেন। সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সাহায্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাবুল পৌরসভাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্বেচ্ছাসেবী দল। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সহায়তা কার্যক্রমের স্বচ্ছতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা।

    সামগ্রিকভাবে, আফগান জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুঃখ-দুর্দশা দূরীকরণে ইমারতে ইসলামিয়ার সুদৃঢ় মনোযোগ, সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং কার্যকর সমাধানের কারণে এই সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে অনেক গুণ। এমন আন্তরিক কার্যক্রম ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের ভিত্তিকে মজবুত করেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়া প্রমাণ করেছেন, তারা আফগান জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর এই জাতি তাদের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
    সেই সাথে তাঁরা এটাই প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামি শরিয়তের শাসনের ছায়াতলেই কেবলমাত্র জনগণের প্রকৃত অধিকার এবং আত্মিক ও বৈষয়িক উভয় ধরণের উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব।





    তথ্যসূত্র:
    1. National Empathy: Collaborative Problem-Solving by the Government and the People
    https://tinyurl.com/7hynnds9

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পশ্চিম দারফুর: সুদানে জাতিগত নির্মূল অভিযান ও মুসলিম নিধনযজ্ঞ



    বৈশ্বিক নানা ঘটনা প্রবাহের আড়ালেই সুদানে ঘটে যাচ্ছে জাতিগত সহিংসতার নজিরবিহীন অপরাধ। পরাশক্তিগুলোর কুটচালে সেখানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও জাতিগত সহিংসতার বলি হচ্ছেন সাধারণ মুসলিমরা। পশ্চিমা ষড়যন্ত্রে নিজেদের দক্ষিণ ভূখণ্ডকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে আলাদা হয়ে যেতে দেখা সুদানিজ মুসলিমরা এখন পড়েছেন নিজ দেশেরই বিবাদমান পক্ষগুলোর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর জাতিগত সংঘাতের মাঝে; ১৫ এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যার বলি হয়ে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মুসলিম।

    সুদানের মুসলিমদের বেদনা ও বঞ্চনার ইতিহাস বেশ পুরনো। যুগের পর যুগ ধরে গৃহযুদ্ধ ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর নির্দয় প্রতিযোগিতা ও ষড়যন্ত্র আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে সম্ভাবনাময় এই মুসলিম ভূখণ্ডটিকে।


    সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের সাথে হামদান দাগোলো

    সুদানের দারফুর অঞ্চলের বিদ্রোহ দমনে করতে স্থানীয় আরব মিলিশিয়াদের নিয়ে ২০০৩ সালে জানজাবিদ ফোর্স গঠন করেছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। জানজাবিদের সদস্যদের নিয়েই পরবর্তীতে রেপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) গঠন করা হয়; এই ফোর্সের কমান্ডার হামদান দাগোলো সহ অধিকাংশ সদস্যই ছিল জানজাবিদের সদস্য। আর তারাই আরব বসন্ত পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উৎখাত করে বশিরকে।

    তবে সুদানের ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনী এবছর আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত করে একক ক্ষমতা বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দিলে, দেশজুড়ে নতুন করে শুরু হয় উভয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ। এই আরএসএফের পেছনে জায়নবাদী ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদদ থাকার জোরালো গুঞ্জনও রয়েছে।



    দুই বাহিনীর সংঘর্ষের মাঝে চরম আতংকে দিনাতিপাত করছেন রাজধানী খারতুম সহ গোটা সুদানের অধিবাসীরা। বিশেষ করে দারফুর অঞ্চলে অনারব এবং কৃষ্ণাঙ্গ গোত্রগুলি আরএসএফ ও সহযোগী আরব মিলিশিয়াদের প্রধান টার্গেট।

    মাসালিত গোত্র আরএসএফের বিশেষ টার্গেট; এই গোত্রের অনেকেই সেখানে আল-কায়েদা যোদ্ধাদের সাথে মিলে যুদ্ধ করছিলেন। অতীতে ওমর আল বশিরের আমলে সংঘটিত গণহত্যার সময়ও মাসালিতরাই ছিল জানজাবিদ ফোর্সের অন্যতম টার্গেট। সেসময় দারফুর অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ মুসলিম নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল জানজাবিদদের গণহত্যার শিকার।



    এবছর মধ্য এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে, জুন মাস নাগাদ তা দারফুর অঞ্চলেও ছড়িয়ে পরে। আর জুন মাস থেকেই মাসালিত সহ অন্যান্য অনারব গোত্রগুলোকে আল-জেনিন অঞ্চলে টার্গেট করতে শুরু করে আরএসএফ ও তাদের সহযোগী স্থানীয় আরব উপজাতিদের নিয়ে গঠিত মিলিশিয়ারা।



    যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই আরএসএফ পশ্চিম দারফুরের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেয়, সুদানিজ আর্মি তখন ১৫ তম পদাতিক ডিভিশনের এলাকাতেই নিজেদের সীমিত করে ফেলে। মালাসিত গোত্রের স্থানীয় যোদ্ধারা তখন আল-কায়েদার অধীনে সেসকল অঞ্চলে যুদ্ধ করতে থাকে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ আরএসএফ ও উপজাতিয় আরব মিলিশিয়ারা দক্ষিণ ও মধ্য দারফুর থেকে সুদানিজ আর্মিকে বিতাড়িত করে দিতে সক্ষম হয়। আর নভেম্বরের ৪ তারিখে সেনাবাহিনীর ১৫ তম পদাতিক ডিভিশন দখল করে নেয়। এর পরের ৩ দিনে পশ্চিম দারফুরের আল-জেনিনা অঞ্চলে মাসালিত গোত্রের উপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালায় আরএসএফ।



    মালাসিত গোত্রের বসতিতে আরএসএফের ধ্বংসযজ্ঞ

    বিগত জুন মাস থেকে দারফুরে প্রায় ৫০০ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে তারা, অক্টোবর মাসে হত্যা করে আরও প্রায় ১ হাজার জনকে। আর সেনাক্যাম্প দখলের পরবর্তী তিন দিনেই মাসালিত সম্প্রদায়ের অন্তত ১,৩০০ মুসলিমকে গণহারে হত্যা করেছে আরএসএফ ও আরব মিলিশিয়ারা। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এই সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। আরএসএফের অত্যাচারে সুদান থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মুসলিম, যাদের অধিকাংশই গিয়েছেন পশ্চিম দারফুর থেকে। আর এপর্যন্ত অনেক নারীকেই সেখানে যৌনদাসি হিসেবে ব্যবহার করার অসংখ্য অভিযোগও সামনে এসেছে। চাদে আশ্রয় গ্রহণ করা অনেকেই মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন যে, তারা স্বচক্ষে দেখেছেন যে উপজাতিয় আরব মিলিশিয়ারা সেখানে শত শত মুসলিমকে হত্যা করেছে এবং নারীদেরকে ধর্ষণ করেছে। রাস্তায় শত শত মানুষের লাশ পরে থাকতে দেখার কথাও জানিয়েছেন তারা।


    স্থানীয় প্রায় ১৬০ জন সুদানিজকে গ্রেফতার করেছে আরএসএফ

    দারফুরের কোলবোস, সেরবাস, আজুরনি, আদরা এবং সিদান ও চাদ-সুদান সংযোগ সড়কের চেকপয়েন্টগুলোতে এসকল অপরাধ সংঘটিত করেছে আরএসএফ ও স্থানীয় আরব মিলিশিয়ারা।



    ‘দা রুটস ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মনিটরিং ভায়োলেশন’ নামক একটি সংস্থা পার্শ্ববর্তী চাদে আশ্রয় নেওয়া সুদানিজদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিহত এই ১,৩০০ ব্যক্তির নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছে। মিডল ইস্ট আই এবং অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে শাহাদাহ্ নিউজ এজেন্সি।

    বিশ্বের অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহের আড়ালে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলের মুসলিমদের করুণ অবস্থা এভাবেই হয়তো থেকে যাচ্ছে সকলের চোখের আড়ালে। আরব-অনারব কে শ্রেষ্ঠ, মুসলিমদের মধ্যে এই জাতিগত বিভেদ চাঙ্গা করে দিয়ে সেখানে অমুসলিমদের প্রেসক্রিপশনে এভাবেই চলছে হত্যাযজ্ঞ।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ وَأَعُوذُ بِاللهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِى قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِى لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِى أَسْلاَفِهِمُ الِّذِينَ مَضَوْا وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِى أَيْدِيهِمْ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللهُ إِلاَّ جَعَلَ اللهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ
      ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে মুহাজিরদল! পাঁচটি কর্ম এমন রয়েছে যাতে তোমরা লিপ্ত হয়ে পড়লে (উপযুক্ত শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে)। আমি আল্লাহর নিকট পানাহ চাই, যাতে তোমরা তা প্রত্যক্ষ না কর।

      যখনই কোন জাতির মধ্যে অশ্লীলতা (ব্যভিচার) প্রকাশ্যভাবে ব্যাপক হবে, তখনই সেই জাতির মধ্যে প্লেগ এবং এমন মহামারী ব্যাপক হবে যা তাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে ছিল না।

      যে জাতিই মাপ ও ওজনে কম দেবে, সে জাতিই দুর্ভিক্ষ, কঠিন খাদ্য-সংকট এবং শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের শিকার হবে।

      যে জাতিই তার মালের যাকাত দেওয়া বন্ধ করবে, সে জাতির জন্যই আকাশ হতে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদি অন্যান্য প্রাণীকুল না থাকত, তাহলে তাদের জন্য আদৌ বৃষ্টি হত না।

      যে জাতি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে, সে জাতির উপরেই তাদের বিজাতীয় শত্রুদলকে ক্ষমতাসীন করা হবে; যারা তাদের মালিকানা-ভুক্ত বহু ধন-সম্পদ নিজেদের কুক্ষিগত করবে।

      আর যে জাতির শাসকগোষ্ঠী যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর কিতাব (বিধান) অনুযায়ী দেশ শাসন করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তাদের মাঝে গৃহদ্বন্দ্ব অবস্থায় রাখবেন। বায়হাকি শরীফ।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment

      Working...
      X