Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৩ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৮ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৩ জমাদিউল আউয়াল , ১৪৪২ হিজরী # ০৮ জানুয়ারি, ২০২১ ঈসায়ী

    ‘ছেলে বন্ধু’র সাথে ব্যভিচার, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেল স্কুলছাত্রী

    রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া এক কিশোরী তার ছেলে বন্ধুর বাসায় যিনা করার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছে। মৃত কিশোরীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ছাত্রী।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে মেয়েটির কথিত বন্ধু দিহানের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু আনুশকাহকে ধানমন্ডির মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকালে হাসপাতালে আনুশকাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

    চিকিৎসকরা বলছেন, ছেলে বন্ধুর সাথে অবৈধ মিলনের পর আনুশকার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেটের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে কলাবাগান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
    কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুর দাস বলেন, ওই ছাত্রীর বাসা ধানমন্ডির সোবহানবাগে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কলাবাগানের ডলফিন গলিতে বন্ধু দিহানের বাসায় যায় ওই ছাত্রী। দিহানের বাসা তখন ফাঁকা ছিল। সেখানে কথিত ঐ বন্ধুর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহান তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ আনুশকাকে চিকিৎসার জন্য মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকালে তার মৃত্যু হয়।

    এমন ঘটনা সমাজে এখন অহরহ ঘটছে। সমাজের সর্বস্তরে আজ যিনা-ব্যভিচারের বিস্তার হয়েছে; যৌন উন্মাদনায় মেতে ওঠছে কিশোর-কিশোরী। আর এর ফলাফলস্বরূপ কখনো রাস্তাঘাটে কিংবা স্কুল-কলেজের বাথরুমে পাওয়া যাচ্ছে জীবিত বা মৃত নবজাতক, কখনো আবার শোনা যাচ্ছে ধর্ষণ কিংবা গণধর্ষণের ঘটনা। দেশের সংবিধানে ইসলামবিরোধী ও অযৌক্তিক আইন করে বিয়েকে কঠিন করা হলেও, বৈধতা দেওয়া হয়েছে যিনা-ব্যভিচারের, এমনকি রাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা এসব ঘৃণিত কাজে উৎসাহিত পর্যন্ত করছে। আজ আনুশকার মতো মেয়েদের মৃত্যুতে তার পরিবার, তার কথিত ছেলে বন্ধু এবং সে নিজে যেমন দায়ী, তেমনি দেশের সংবিধান, দেশের সরকারও দায়ী। দেশের কথিত সুশীল-বুদ্ধিজীবীরাও এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারবে না বলে মনে করেন ইসলামি ব্যক্তিত্বগণ। কেননা, কথিত এই বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী সমাজে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। প্রতিটি ধর্ষণের পেছনে এসব গোফওয়ালা বুদ্ধিজীবীদের হাত রয়েছে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    স্বাস্থ্য প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির পাঁয়তারা



    প্রকল্প প্রস্তাবেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির পাঁয়তারা চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে একেকটি পালস অক্সিমিটারের (শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নিরূপণ যন্ত্র) দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যার বাজার মূল্য ১৫শ টাকা থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।

    এছাড়া প্রতিটি ফেসমাস্কের দাম ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা, যার বাজার দর ৫ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধরা হয়েছে অস্বাভাবিক দাম।

    ‘কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে এমন আকাশছোঁয়া দাম প্রস্তাব করা হয়। যেটি ‘পুকুরচুরির’ পাঁয়তারা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এছাড়া প্রকল্পটির ‘গোড়ায় গলদ’ ছিল। কোনো প্রকার সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই এটি গ্রহণ করা হয়। ফলে তিন বছরের প্রকল্পে যাচ্ছে ১১ বছর।

    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবশ্যই দুুর্নীতির সুযোগ হিসেবে এ ধরনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত তারা নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে এ ধরনের কাজ করছেন।

    যেহেতু মনিটরিং ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল এবং অতীতে এ ধরনের অপরাধে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বারবার একই ঘটনা ঘটছে।

    সূত্র জানায়, মূল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে হাতে নেয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১২ সালের ৬ মার্চ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় একনেক। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়া প্রথম দফায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

    পরে ব্যয় বাড়িয়ে মোট ৬১১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত (তিন বছর বৃদ্ধি) বৃদ্ধি করে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন করা হয়।

    এর মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন দ্বিতীয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে ৭৪২ কোটি টাকা এবং মেয়াদ ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে।

    গত বছরের ১২ মার্চ প্রথম পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপিতে প্রথম পিইসি সভার সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে পালন না করায় গত বছরের ২৬ আগস্ট প্রকল্পটির ওপর দ্বিতীয় পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    অবশেষে ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৫৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি আরও কম। অর্থাৎ ৩৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

    যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা যায়, মূল প্রকল্পে না থাকলেও প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে দুটি পালস অক্সিমিটার (এফডিএ অনুমোদিত) কেনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২ লাখ টাকা। প্রতিটির মূল্য ধরা হয় ১ লাখ টাকা করে।

    এখন দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে একেকটি অক্সিমিটারের দাম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ধরে দুটির জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধি পায় ৩ লাখ টাকা।

    এ সূত্র ধরে অনলাইন মার্কেট প্লেস আলিবাবাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়নার তৈরি একেকটি অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ১৬ ডলারের মধ্যে। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) দাঁড়ায় ১৭০ থেকে ১ হাজার ৩৬০ টাকা।

    এছাড়া অপর মার্কেট প্লেস দারাজে ১ হাজার ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৭ শতাংশ ট্যাক্স, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এবং সরবরাহকারীর লাভ যোগ করলেও কখনই সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এছাড়া মূল অনুমোদিত প্রকল্পে অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের জন্য ১১টি পালস অক্সিমিটারের দাম ধরা হয়েছিল প্রতিটি ৮৩ হাজার ১৬০ টাকা। এ হিসাবে মোট বরাদ্দ ধরা হয় ৯ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ টাকা।

    প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে ১১টির জন্য একেকটির দাম ধরা হয় ৮৫ হাজার টাকা করে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে ওই ১১টির জন্য প্রতিটির দামের প্রস্তাব করা হয় ২ লাখ ২১ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

    এক্ষেত্রে প্রথম সংশোধনীর তুলনায় বৃদ্ধি পায় ১৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর বাইরে মূল অনুমোদিত প্রকল্পে না থাকলেও ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) আরেক স্থানে প্রথম সংশোধনীতে দুটি অক্সিমিটারের দাম ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনীতে এসে ১০টি অক্সিমিটারের জন্য প্রস্তাব করা হয় ৯ লাখ টাকা।

    এছাড়া অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের জন্য মূল প্রকল্পে ৪০টি ফেসমাস্কের (১-৫ আকারের) দাম ধরা হয়েছিল প্রতিটি ১ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে এসে ব্যয় কমিয়ে ৪০টি মাস্কের জন্য ধরা হয় প্রতিটির জন্য ৬ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

    এখন দ্বিতীয় সংশোধনীতে এতে ধরা হয় ৪০টির জন্য প্রতিটি ১৫ হাজার ৬০০ টাকা করে ৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা। কিন্তু বাজারে ৫ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

    এদিকে রাজস্ব খাতে আরও কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হয়। এর মধ্যে- প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবে রেজিস্ট্রেশন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬ লাখ টাকা। সেটি বাড়িয়ে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রস্তাব করা হয় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। মুদ্রণ ও বাঁধাই অঙ্গে ৩ লাখ টাকার স্থলে ধরা হয় ১৫ লাখ টাকা।

    স্টেশনারি অঙ্গে ৬ লাখ টাকা স্থলে ধরা হয় ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ভ্রমণ অঙ্গে ৮ লাখ টাকার স্থলে ২০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রকল্প প্রস্তাবটির ওপর গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব খাতে অস্বাভাবিক অর্থ সংস্থান বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    তাই এসব অঙ্গের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য মনিহারি ক্রয় বাবদ ৪০ লাখ টাকার প্রস্তাব বাদ দিতে হবে। এছাড়া প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ৪০ লাখ টাকা, সাধারণ সরবরাহ খাতে ১৪ লাখ টাকা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার বরাদ্দ যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

    বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী সার্কুলার জারি করলেই আগামী সপ্তাহে এ প্রকল্পটির তদন্ত শুরু হবে। এক্ষেত্রে শুধু যে বাস্তবায়ন বিলম্বের দিকটি দেখা হবে তা নয়।

    এর সঙ্গে মূল প্রকল্পে বিভিন্ন অঙ্গে বরাদ্দ, এখন পর্যন্ত ব্যয় এবং কোন কোন খাতে বাজার দরের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা হয়েছে সেগুলো সবই তদন্তে আসবে। পাশাপাশি কে কখন প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কেনাকাটায় কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেসবও খতিয়ে দেখা হবে।

    গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত পিইসি সভার কার্যবিবরণীটি চলে এসেছে যুগান্তরের হাতে। সেটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২৫ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই আবশ্যক। কিন্তু এ প্রকল্পটিতে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। ফলে ঘন ঘন মেয়াদ বাড়িয়ে সংশোধন করা হচ্ছে।

    এছাড়া পিইসি সভায় আইএমইডির প্রতিনিধি জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের জন্য নির্ধারিত গাইডলাইন রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ গাইডলাইন অনুসরণ করে না।

    আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে মহার্ঘ ভাতার প্রচলন নেই। কিন্তু প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার সংস্থান রাখা হয়েছে। এটি বাদ দিতে হবে।

    কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা অঙ্গে যোগফল ঠিক নেই। সেই সঙ্গে আছে ভুল-ত্রুটিও। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে নতুন অঙ্গ হিসেবে কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠান ব্যয় বাবদ ৩০ লাখ টাকা,

    এছাড়া প্রথম সংশোধনীর তুলনায় দ্বিতীয় সংশোধনীতে সাকুল্য মজুরি (সরকারি কর্মচারী ছাড়া) বাবদ যে অর্থ সংস্থান রাখা হয়েছে তা ৮৬ শতাংশ বেশি। আউটসোর্সিং বাবদ যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা ১২৭ শতাংশ বেশি।

    এসব ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের সুপারিশ দেওয়া হয়। এদিকে প্রকল্পের আওতায় ফ্লোর টাইলসের সংস্থান থাকা সত্ত্বে¡ও ফ্লোর ম্যাটের সংস্থান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আসবাবপত্রের তালিকা থেকে ফ্লোর ম্যাট বাদ দিতে হবে।

    প্রকল্পের লেকচার ও অডিটোরিয়ামের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জন্য ২ কোটি ৭২ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। আবার যন্ত্রপাতি অংশেও এ ধরনের ব্যয় বাবদ ৮০ লাখ টাকা ধরা হয়। এ অসঙ্গতি দূর করতে বলা হয়েছে। পিইসি সভায় পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি অনুমোদিত কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রকল্পের আওতায় দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের সংস্থান রয়েছে।

    এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০৯ শয্যার ও জেলা হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের সংস্থান রয়েছে।

    এরপরও প্রস্তাবিত প্রকল্পে নতুন করে আইসিইউ সেন্টার স্থাপনে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনে ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।

    এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এসব অঙ্গ বাদ দিতে হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত মাল্টিপারপাস ভবনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

    এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কেননা এগুলো দুর্নীতির উপসর্গ বলা যায়।

    পিইসি সভার কার্যবিবরণীতে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাণ ও একক দর প্রাক্কলনের বিষয়টি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে ভালোভাবে পর্যালোচনার জন্য এর আগে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পাঠানো পুনর্গঠিত ডিপিপিতে যন্ত্রপাতির ব্যয় প্রাক্কলনে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে।

    বিভিন্ন যন্ত্রের একক দর সংশোধিত ডিপিপির বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম। কোনো কোনো পণ্যের একক দর বাজার দরের চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি ধরা হয়েছে। ফলে প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতার বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়।

    সূত্র: যুগান্তর
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজীপুরে কিশোর গ্যাং আতঙ্ক

      গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিপজ্জনক কিশোর গ্যাং-এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন দিন এদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর, পূবাইল, টঙ্গী, বাসন, গাছা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর থানাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। এসব গ্রুপ বিভিন্ন নামে পরিচিত। পশ্চিমা কালচারের অনুকরণে এসব গ্রুপ গড়ে উঠেছে।

      মঙ্গলবার রাতে শহরের নীলের পাড়া সড়কে দুই পক্ষ কিশোর গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করেছে। আটক কিশোরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও রেকর্ডি-এ কিশোর ছেলেটি বলেন, শাহীন ভাই দুটি অট্রো এবং একটি মাইক্রোবাসযোগে তাদের ২০-২৫ জন কিশোরকে দা-কাঁচি ও অস্ত্রসহ নিয়ে আসে। পরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাও কয়েকটি মোটরবাইকে এসে গুলি ছোড়ে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।

      বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরকেন্দ্রিক কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা জড়ো হয় রাজবাড়ি মাঠে ও বাউন্ডারীর দক্ষিণ পাশে, জোর পুকুরের উত্তর ও পূর্ব পাড়, দক্ষিণ ছায়াবিথী-হাড়িনাল রোডের কালভার্টে, লালমাটি, শ্মশান ঘাটে, বারেকের টেক, ফুলস্টপের গলি, বরুদা, ছায়াবিথী, রথখোলা, ভোড়া, হাজীবাগ, কাজীবাড়ি, পূর্ব চান্দনা, নীলের পাড়া রোড, পশ্চিম জয়দেবপুর (লক্ষ্মীপুরা), মারিয়ালী, কলাবাগান, দেশীপাড়া, ভূরুলিয়ার ময়লার টেক, ডুয়েট ও রয়েল ইনস্টিটিউটকেন্দ্রিক আশপাশের এলাকা, এটিআই গেট, শিমুলতলী বাজারসংলগ্ন উত্তর পাশে, চতর স্কুল গেট, ফাউকাল রেলগেট এলাকা, কাউলতিয়া, চান্দনা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, পূবাইল, গাছা ও টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ছোটো-বড়ো কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে আধিপত্য, মাদক, নারী, স্ট্যান্ড দখল, সিনিয়র-জুনিয়রসহ নানা ধরনের ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও খুন খারাবির ঘটনাও ঘটছে।

      এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মোড়ে বা অলি-গলির চা দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য ইভটিজিং এবং বীরদর্পে সিগারেট ফুঁকালেও কেউ কিছু বলার সাহস করে না। এরা বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী বা স্কুলছুট হওয়ায় এদের বয়স ১৩ থেকে ১৯-এর মধ্যে।

      গত ৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা শহরের রাজদীঘির পাড় এলাকায় সামান্য ‘তুই’ বলা’কে কেন্দ্র করে সমবয়সী বন্ধুদের হাতে খুন হয় নুরুল ইসলাম নুরু (১৬) নামে এক কিশোর। পার্শ্ববর্তী সাহাপাড়ার ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের বেশ কয়েকজন সদস্য কিশোর নুরুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে।

      গত ৭ জুলাই গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ফকির মার্কেট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে স্থানীয় ফিউচার ম্যাপ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহাম্মেদকে (১৬) বুক, পিঠ ও মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র, সুইজ গিয়ার ও চাকু উদ্ধার করা হয়। নিহত শুভ ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

      এ ঘটনার কয়েক দিন পর ২৪ জুলাই একই থানাধীন কাজী পাড়া চন্দ্রিমা এলাকায় বাসায় ঢুকে তৌফিজুল ইসলাম ওরফে মুন্না (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে খুন করা হয়। মুন্না রাজধানীর বিএফ শাহিন একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ মুন্নার ব্যবহৃত মোবাইল সেট উদ্ধার করলেও হত্যাকাণ্ডের মূল অপরাধীকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি।

      গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএ বারী বলেন, কিশোর গ্যাং দেশের অপরাধ জগতের নব আবির্ভূত এক অপরাধী চক্র। বখাটে কিছু কিশোর দলবন্ধ হয়ে চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ এমনকি খুন খারাবির দিকে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ক্যাপিটল হিলে হামলাকারী ট্রাম্প সমর্থকদের জমায়েতে ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্ক

        বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল আক্রমণের সময় সেখানে ভারতীয় পতাকা দেখা গেছে। এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

        যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল সমর্থক নিরাপত্তা বাহিনীকে পাশ কাটিয়েই ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন আইন পরিষদ ক্যাপিটল ভবনে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

        ট্রাম্পের হাজারো সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় তাদের হাতে ছিল ট্রাম্পের পতাকা ও আমেরিকার পতাকা। এসব পতাকার ভিড়ে ভারতের পতাকা ও দৃশ্যমান হয়।

        ভিডিওতে দেখা যায়, লাল-নীল বেশকিছু পতাকার মাঝে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভারতীয় তেরঙ্গা পতাকা উড়াচ্ছে। সাংবাদিক আলেজান্দ্রো আলভারেজ ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন।

        ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ভারতীয় প্রশ্ন *তুলেছে, মার্কিন ক্যাপিটল বিক্ষোভে ভারতীয় পতাকাটি কেন গেল?

        এদিকে, ক্যাপিটলে হামলাকারী ট্রাম্প সমর্থদের জমায়েতে ভারতের জাতীয় পতাকার উপস্থিতির ‘প্রভাব’ নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করেছে ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ।

        প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়ে হিউস্টনে অনাবাসী ভারতীয়দের ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তার মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান। সে সময়ও আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদির ‘অংশগ্রহণ’ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

        সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জুয়া খেলায় মত্ত ৯ পুলিশ সদস্যকে আটক

          জুয়া খেলায় মত্ত ৯ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

          বুধবার গভীর রাতে পুলিশ লাইনের ৯ জন পুলিশ সদস্য রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করা হয়।

          পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এঘটনায় তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার নাম মাত্র সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

          জুয়া খেলায় অংশ নিয়ে বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাবিলদার বারেক, হাবিলদার মিজান, কনস্টেবল আফজাল, সালাম, ফরহাদ, শাহেদ, খগেন, রফিক ও করিম। এদের মধ্য ছয় জন নগর পুলিশের সদস্য। অপর তিনজন জেলা পুলিশের সদস্য।

          এছাড়াও অন্যান্য অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বোয়ালিয়া থানার এএসআই বকুল হোসেন এবং কাশিয়াডাঙ্গা পুলিশ বক্সের টিএসআই মনিরের বিরুদ্ধে।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X